কথিত আছে, কাশীর রাজা চৈত সিং নিজেই গোপনে মূর্তিটি তুলে দেন নন্দকুমারের হাতে। গঙ্গায় ডুবিয়ে নৌকার সঙ্গে বেঁধে মুর্শিদাবাদ হয়ে সেখান থেকে ব্রাহ্মণী নদীর খাত বেয়ে মূর্তি আসে ভদ্রপুরে, বর্তমান মন্দিরের ঘাটে। জঙ্গলাকীর্ণ ভদ্রপুরের এক গোপন স্থানে গড়ে তোলেন মন্দির। গুহ্যকালী মূর্তি ভদ্রপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৭২ সালের জানুয়ারি মাসে, রটন্তি চতুর্দ্দশী তিথিতে।
১৫.
শক্তি আরাধনার অন্যতম কেন্দ্র রূপে বীরভূম পরিচিত। একান্নপীঠের মধ্যে পাঁচটি পীঠ, একটি সিদ্ধ পীঠ ছাড়াও একাধিক উল্লেখযোগ্য কালীমন্দির ছড়িয়ে আছে এই জেলার নানা প্রান্তে। ভদ্রপুরের মহারাজা নন্দকুমারের প্রতিষ্ঠিত গুহ্যকালী বিগ্রহ ও মন্দির তারই একটি। অতি অদ্ভুত দর্শন সেই মূর্তি, মন্দিরটিও স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য উদাহরণ। একান্নপীঠের অন্তর্গত না হয়েও নিত্যদিনে বিপুল ভক্ত সমাবেশে মুখরিত সেই মন্দির প্রাঙ্গণ। শুধু দিনেরবেলায়, এমনকী, কার্তিক অমাবস্যার দ্বীপান্বিতা তিথিতেও শুধু দিনেরবেলায় ভক্ত ও পূজারিদের প্রবেশ অধিকার, নিশীথে দেবী একাকী, নির্জনে বাস করেন।
কালিকাপুরাণ মতে, দেবী তিনরূপে তিনবার মহিষাসুর বধ করেছিলেন। প্রথমে উগ্রচণ্ডারূপে, দ্বিতীয়বার ভদ্রকালীরূপে ও তৃতীয়ক্ষেত্রে দুর্গারূপে মহিষাসুরহন্ত্রী। এই ত্রিবিধের মধ্যে পার্থক্য শুধু বাহু সংখ্যায়, উগ্রচণ্ডা অষ্টাদশভূজা, ভদ্রকালী ষোড়শভূজা আর দুর্গা দশভূজা। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণে ভদ্রকালীর যে রূপ বর্ণনা আছে তারসঙ্গে এই গুহ্যকালী মূর্তির অনেক মিল আছে। বৃহৎতন্ত্রসার অনুযায়ী, ভদ্রকালীর গাত্রবর্ণ মহামেঘের তুল্য, পরিধানে কৃষ্ণবস্ত্র, লোলজিহ্বা, ভয়ঙ্কর দন্তপঙক্তি। কোটরাক্ষী, হাস্যময়ী। তাঁর গলায় সর্পহার, গগনস্পর্শী জটার প্রান্তভাগে অর্ধচন্দ্র, শবলেহনে রতা, সর্পশয্যায় উপবিষ্টা। ৫০টি মুণ্ডসংযুক্ত মুণ্ডমালা গলে, বিশাল উদরযুক্তা, মাথার ওপরে অনন্তনাগ সহস্রফণা বিস্তার করে দেবীকে ঘিরে আছে।
দেবীর অলঙ্কার সমূহের মধ্যেও সর্পকূলের গরিমা। বাম হাতের কঙ্কণরূপে তক্ষক ও দক্ষিণ হাতে কঙ্কণরূপে নাগরাজ, কটিদেশে সর্পমেখলা, পায়ে রত্ন নূপুর, কান দু’টিতে নরদেহের কুন্তল, বক্ষজুড়ে নাগ-যজ্ঞোপবীত। দেবীর বামে বালক শিব। তিনি সৌম্যা ও নানা রত্ন উপশোভিতা, নারদাদিমুনিগণ দ্বারা নিত্য পূজিতা ও শিবপত্নী, অট্টহাস্যকারিণী, মহাভয়ঙ্করী, সাধকগণের অভীষ্টদাত্রী।
মহারাজা নন্দকুমারের গুহ্যকালীর মূর্তি, আয়তকার এক বেদীর উপর আসীন, বেদির চারকোণায় চারটি সাপের ফণা, দু’টি কুণ্ডলীকৃত সাপের উপর অর্ধপদ্মাসনে বসে আছেন দেবী। ডান পা স্পর্শ করে আছে একটি সাপের ফণা, সহস্রাধার চক্রের প্রতীকী সর্প কিরীট। গলায় ৫০টি নরমুণ্ডের মালা। কানে ঝুলছে দু’টি মানবশিশু দেহ। দেবীর বক্ষে দুলছে নাগোপবীত, নাভিবেষ্টন করে আছে কুণ্ডলীকৃত সাপ। দুই হাতে সাপের বলয়, ত্রিনয়ন বিস্ফারিত, অধরে স্মিতহাসি, বিস্তৃত জিহ্বা, উন্মুক্ত দন্তপঙক্তি। এইরূপ গৃহস্থের পূজনীয় নয়, শুধু সাধক, শুধুই সাধকের পূজ্য।
মহাভারতে উল্লেখিত অতি পরাক্রান্ত সম্রাট জরাসন্ধ, তাঁর পূজ্য ছিলেন কালরুদ্রদেব ও ভদ্রকালীর এক বিগ্রহ, তা প্রতিষ্ঠিত ছিল রাজপ্রাসাদের মধ্যে এক গুপ্তস্থানে। জরাসন্ধের পতনের পর সেই মূর্তি কোথায় যায়, তার হদিশ জানা যায় না। মালওয়ার রানি অহল্যাবাঈ হোলকার সেই মূর্তি উদ্ধার করে তুলে দেন কাশী নরেশের হাতে।
কাশীর রাজার গৃহে পূজিত হচ্ছিলেন দেবী গুহ্যকালীর মূর্তিখানি। অপূর্ব কষ্টিপাথরের সেই মূর্তি। এক মতে, যেমন অহল্যাবাঈ কাশীর রাজাকে ওই মূর্তিখানি উপহার দিয়েছিলেন, তেমনই আরেক মতে, চৈত সিং তাঁর রাজ্যে কোথাও এক ইঁদারা খননের সময় পেয়েছিলেন মূর্তিটিকে। রাজা পুজো করতেন নিত্যদিন। কোনও একদিন সেই মূর্তির দর্শন পেয়ে ওয়ারেন হেস্টিংস স্থির করলেন, যেকোনও উপায়ে মূর্তিখানি নিয়ে যেতে হবে নিজের দেশে।
খবরটা গোপন রইল না। চিন্তায় পড়লেন চৈত সিং। ভেবেচিন্তে মূর্তিটিকে গঙ্গার জলে এক বিশেষ জায়গায় ডুবিয়ে রাখলেন, যবনস্পর্শ থেকে বাঁচাতে। কেউ বলেন, নন্দকুমার স্বপ্নাদিষ্ট হয়েছিলেন, স্বয়ং মা গুহ্যকালী তাঁর উদ্ধারের জন্য আদেশ করেন মহারাজাকে, আবার কেউ বলেন, কাশীর রাজা চৈত সিং নিজেই গোপনে মূর্তিটি তুলে দেন নন্দকুমারের হাতে। গঙ্গায় ডুবিয়ে নৌকার সঙ্গে বেঁধে মুর্শিদাবাদ হয়ে সেখান থেকে ব্রাহ্মণী নদীর খাত বেয়ে মূর্তি আসে ভদ্রপুরে, বর্তমান মন্দিরের ঘাটে। জঙ্গলাকীর্ণ ভদ্রপুরের এক গোপন স্থানে গড়ে তোলেন মন্দির। গুহ্যকালী মূর্তি ভদ্রপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৭২ সালের জানুয়ারি মাসে, রটন্তি চতুর্দ্দশী তিথিতে। কার্যকারণে সেদিন প্রতিষ্ঠাকালে মহারাজা নন্দকুমার উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁর পুত্র গুরুদাস যথাবিহিত আয়োজন করে মন্দিরে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন।
ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন অর্থলোলুপ ও ক্ষমতালোভী। নন্দকুমারের সঙ্গে তাঁর শত্রুতার জন্ম হয় অনেক আগেই, ক্লাইভের আমলে। ক্লাইভ এদেশে থাকাকালীন সময়েই ভান্সিসার্ট সাহেবের নামে প্রচুর অভিযোগ পেয়েছিলেন। সে বিষয়ে তদন্তের জন্য অন্যান্য লোক বাদ দিয়ে নন্দকুমারকে বেছে নিয়েছিলেন। নন্দকুমারও প্রজাহিতে যাবতীয় অভিযোগের এক দীর্ঘ তালিকা তৈরি করে ক্লাইভের হাতে তুলে দেন। যদিও ক্লাইভ তাড়াতাড়ির মধ্যেই দেশে ফিরে যাওয়ায় বিশেষ সুরাহা হয়নি। ১৭৬৯ সালে ফিরে গেলেন ভের্লেস্ট সাহেব, তাঁর জায়গা নিলেন কার্টিয়ার সাহেব। তাঁর আমলেই ঘটে যায় বীভৎসতম মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ, ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’।
এই গোটা সময় জুড়ে নন্দকুমার ছিলেন ভদ্রপুরে, যথাসাধ্য ভাবে নিরন্নদের অন্নদান করতেন। বহু বৈষ্ণব তাঁর কাছে ওই সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন, কারণ নন্দকুমার রাধামোহন ঠাকুরের কাছে বৈষ্ণবমন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন, এবং পরম বৈষ্ণবভক্ত তথা বৈষ্ণবপোষকও ছিলেন আজীবন। পরম বৈষ্ণব হলেও তিনি কিন্তু গোঁড়া ছিলেন না। তাঁর সম্বন্ধে বলা হত, ‘তিনি শাক্তের চোখে শাক্ত আর বৈষ্ণবের চোখে বৈষ্ণব প্রতীত হতেন’।
একদিকে সাধারণ মানুষের চরম দুর্দশা, অন্নকষ্ট আর অন্যদিকে একশ্রেণির ইংরেজ ও তাদের তাঁবেদার গোষ্ঠীর শোষণের নানা কৌশল ঘনিয়ে উঠতে থাকল। বাস্তবিক ‘বাবু’র চেয়ে পারিষদদের অত্যাচার সভ্যতার সকল সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল সেই সময়।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
ইম্পের বিচারে নন্দকুমারের ফাঁসির আদেশ হয়। দেশীয় আইনে সই জাল করার শাস্তি ফাঁসি হতে পারে না বলেই আগাগোড়া বিচার করা হয় বিলিতি আইনে। আর শাস্তি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিচারককে অভিনন্দনপত্র পাঠিয়ে দেন হুজরীমল আর নবকৃষ্ণ। অবশেষে ১৭৭৫ সালের ৫ আগস্ট নন্দকুমারের ফাঁসি হয়। সেদিন কলকাতার বহু ধর্মপ্রাণ বাঙালি পরিবার কলকাতা শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া স্থির করেন, যে নগরীতে ব্রহ্মহত্যা হয় সেখানে বাস করা নরকবাসের সমতুল্য বলেই তাদের মত ছিল।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
এরই মধ্যে ১৭৭২ সালে কার্টিয়ার দেশে ফিরে গেলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। সেই ১৭৫৮ সালে মুর্শিদাবাদের রেসিডেন্ট পদে কাজ শুরু করে এতদিনে গভর্নর পদে আসীন হলেন হেস্টিংস। শুরু হল নানা উপায়ে টাকা আদায়ের ফন্দিফিকির আর ব্যাপক প্রজা নিপীড়ন। ‘হয় দলে নয় কোন্দলে’ হেস্টিংস সর্বগ্রাসী ভয়ানক দানব হয়ে উঠতে রইলেন দিনে দিনে।
রেজা খাঁ তখন বাংলার আসল শাসক, নবাব কাঠের পুতুল মাত্র, ফলে রাজস্ব আদায়ের নামে ন্যায়– অন্যায় দুই উপায়েই রেজা খাঁ প্রজাদের কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে রইলেন। প্রজাকুল অগতির গতি নন্দকুমার ভেবে তাঁর কাছেই নানা অভিযোগ জানাতে রইল। বিচার শুরু করার আগেই কারারুদ্ধ করা হল রেজা খাঁ ও পাটনার শাসনকর্তা সেতাব রায়কে। ডাইরেক্টরদের আদেশ অনুযায়ী, হেস্টিংস বাধ্য হলেন নন্দকুমারকে তদন্তে সঙ্গী করে নিতে। ওদিকে রেজা খাঁ, নন্দকুমারকে ভালোই চিনতেন, উৎকোচে জব্দ করার চেষ্টা চালাতে লাগলেন। নন্দকুমারের সঙ্গে সেইকালে হেস্টিংসের মৈত্রীভাব থাকলেও এই ঘুষের বিষয়ে নন্দকুমার কিছুই জানতেন না। ঘুষের বিনিময়ে রেজা খাঁ শেষপর্যন্ত নির্দোষ সাব্যস্ত হয়ে মুক্তি পেলেন। আর হেস্টিংসও ক্রমে নিজমূর্তি ধারণ করতে থাকলেন, নন্দকুমারের প্রতি তাঁর বিদ্বেষ কত গভীর ও মারাত্মক ছিল, সেটা তাঁর লেখা ডাইরেক্টরদের উদ্দেশে মন্তব্যগুলিতে প্রমাণিত।
১৭৯৩ সালে তৈরি হল ‘রেগুলেটিং অ্যাক্ট’, গভর্নরের কাজের তদারকির উদ্দেশ্যে। সেই সময়েই গভর্নর পদটি গভর্নর জেনারেল রূপে উত্তীর্ণ হয়। তবু বাংলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তগুলি আর এককভাবে নেওয়ার অধিকার হেস্টিংসের রইল না। পাঁচজনের এক কাউন্সিল তৈরি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হল। ১৭৯৪ সালে তৈরি হল কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রজাদের দুঃখ দুর্দশা জানানোর এক উপায় হল বটে, কিন্তু প্রতিকারের বিশেষ সুযোগ হল, এমন বলা যায় না। তবু নন্দকুমার বারেবারে সেই কাউন্সিলে প্রজাদের দুর্দশার কথা জানাতে থাকলেন। মূলত তাঁর অভিযোগগুলির কেন্দ্রে ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। সেই অভিযোগের মাত্রা ও পরিমাণ যত বাড়তে থাকল, ততই হেস্টিংস নন্দকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকলেন।
বুলাকীদাস ছিলেন মুর্শিদাবাদের এক শেঠ, মুর্শিদাবাদ ছিল সেকালের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র। হুন্ডি ও বন্ধকী কারবারের করতেন শেঠরা। সেই বুলাকীদাসের কাছে ১৭৫৮ সালে কিছু গয়না বিক্রির জন্য গচ্ছিত রাখেন নন্দকুমার। যার দাম স্থির হয়েছিল ৪৮,০২১ টাকা। মীরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজের যুদ্ধের সময় মুর্শিদাবাদে ব্যাপক লুঠতরাজ হয়, বুলাকীদাসের বাড়িও বাদ যায়নি। গয়না ফেরত দিতে না পেরে শেঠ একখানি অঙ্গীকারপত্র লিখে দেন (তারিখ: ৭ ভাদ্র ১১৭২ বঙ্গাব্দ)। হেস্টিংস আর তাঁর দলবল মিলে সেটিকে জাল প্রতিপন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লাগে, শেষ পর্যন্ত সফলও হয়।
ইম্পের বিচারে নন্দকুমারের ফাঁসির আদেশ হয়। দেশীয় আইনে সই জাল করার শাস্তি ফাঁসি হতে পারে না বলেই আগাগোড়া বিচার করা হয় বিলিতি আইনে। আর শাস্তি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিচারককে অভিনন্দনপত্র পাঠিয়ে দেন হুজরীমল আর নবকৃষ্ণ। অবশেষে ১৭৭৫ সালের ৫ আগস্ট নন্দকুমারের ফাঁসি হয়। সেদিন কলকাতার বহু ধর্মপ্রাণ বাঙালি পরিবার কলকাতা শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া স্থির করেন, যে নগরীতে ব্রহ্মহত্যা হয় সেখানে বাস করা নরকবাসের সমতুল্য বলেই তাদের মত ছিল। শোনা যায়, ওইদিন আকালীপুরে দেবীর মন্দিরের দেওয়ালে এক বিরাট ফাটলের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া ওই মন্দিরের ছাদ তৈরির পর থেকে বারেবারে ভেঙে যেত। দেবী মন্দিরের বদ্ধ থাকতে চাইতেন না। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, প্রতি রাতে দেবী সংলগ্ন শ্মশান অঞ্চলে ইচ্ছামত বিচরণ করেন। বহু সাধকের সাধনস্থল এই গুহ্যকালীর মন্দির। বামাক্ষ্যাপা এই মূর্তি দর্শন করে দেবীকে ‘বেদের বেটি’ নামে অভিহিত করেন। দেবীর কাছে প্রত্যহ অসংখ্য ভক্তের সমাবেশ ঘটে, তাঁদের কেউ আসেন নির্দিষ্ট প্রার্থনা জানাতে, আবার কেউ বা আসেন প্রার্থনাপূর্তিতে মানসিক পূজা সম্পন্ন করতে।
(চলবে)
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব