১৯৬৯ -এর গণ আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, অধিকার অর্জনের লড়াই থেকে কখনও সরেননি। একই সঙ্গে বলিষ্ঠ কলম থেকে উচ্চারিত হয়েছে– ‘মুক্তিকামী সংগ্রামী যাহারা।/ তাহাদের সাথে রব চিরদিন।’ (উনসত্তরের এই দিনে)। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সুফিয়া কামালের যোদ্ধারূপের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর ‘একাত্তরের ডায়েরি ’ থেকে। প্রায় নজরবন্দি অবস্থায় বাড়িতে থেকেই গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন। অনেকের রেশন কার্ডে খাবার তুলে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঠিয়েছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। স্বাধীনতার পরও দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী আর রাজাকাররা যেসব মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, তাঁদের পুনর্বাসন ব্যবস্থার নেতৃত্ব দিলেন সুফিয়া কামাল।
২০ নভেম্বর ১৯৯৯ সাল, প্রয়াত হলেন লেখক ও সমাজকর্মী সুফিয়া কামাল। তাঁর জন্ম বরিশালের শায়েস্তাবাদ পরগনার জমিদার পরিবারে ১৯১১ সালের ২০ জুন। তাঁর পরিবার থেকে পাওয়া নাম ছিল সুফিয়া খাতুন। বিবাহসূত্রে তিনি হলেন সুফিয়া কামাল। নবাব পরিবারের রীতি-রেওয়াজ অনুযায়ী মামার বাড়ির অন্দরমহলেই কেটেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর। সুফিয়া কামালের দাদারা উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্যে বড় বড় শহরের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন। আর সুফিয়া কামালের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটানো হল সাত বছর বয়সেই। মাত্র বারো বছর বয়সে ১৯২৩ সালে মেজমামার ছেলে সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পরই তিনি সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে ক্রমশ পরিচিত হতে থাকলেন। বরিশালের শিশুসদন এবং মাতৃমঙ্গল-এর মতো সমিতির কাজগুলিতে প্রথম যোগদান করেন। চরকা কেটে স্বদেশি আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। চরকায় সুতো কেটে মহাত্মা গান্ধীর হাতেও পরিয়েছিলেন। সৈয়দ নেহাল হোসেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হলে, সুফিয়াও তাঁর সঙ্গে কলকাতায় থাকতে শুরু করেন।
সুফিয়া কামাল রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ভাবশিষ্য। রোকেয়ার জীবনের শেষের দিকে (প্রায় চার বছর) সুফিয়া কামাল তাঁর কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯১৬ সালে রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত করেন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ বা মুসলিম মহিলা সমিতি। এই সমিতির কাজে যোগ (১৯২৯ সালে ) দিয়ে সুফিয়া কামাল প্রত্যক্ষভাবে টের পেলেন নারীর অধিকার আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা। প্রথমেই শুরু করলেন কলকাতার বস্তিতে বস্তিতে গিয়ে সব ধর্মের মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কাজ। অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিলে শারীরিক ও মানসিক কী কী সমস্যা হয়, তা অভিভাবকদের বোঝাতেন। আসলে নিজের জীবনের শৈশব হারানোর কান্না যে তাঁর ‘পুরানো দিনের স্মৃতি’ কবিতায় (সাঁঝের মায়া) ধরা আছে, ‘কালো বদরের জলে ভাসাইয়া মোচার খোলার তরী/ কাঁদিয়া ফিরেছি শ্বশুর-বাড়িতে পুতুল বিদায় করি!’ সমাজে ছেলে- মেয়ের প্রতি বৈষম্যের আচরণকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাছাড়া লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে আরও সচেতন হয়ে ওঠেন রোকেয়ার ভাবধারায়। তাই বস্তিতে কাজ করার সময় অভিভাবকদের বোঝাতেন ছেলে আর মেয়েকে আলাদা দৃষ্টিতে মানুষ করলে পরিবার এবং সমাজের কী কী ক্ষতি হতে পারে।
সৈয়দ নেহাল হোসেনের তৎপরতায় মাত্র বারো বছর বয়সে সুফিয়ার রচিত ‘সৈনিক বধূ’ গল্পটি ‘তরুণ’ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল। সুফিয়ার বড়মামা অন্দরমহলের মেয়ের এই বেপর্দা হওয়ার মতো কাজকে ক্ষমা করেননি। তাই শাস্তিস্বরূপ তাঁকে প্রায় নজরবন্দি করে রাখলেন শায়েস্তাবাদে। তবে সুফিয়ার সাহিত্য প্রতিভা চাপা পড়ে না যাওয়ার জন্যে চেষ্টা করেছিলেন তাঁর ছোটমামা, নেহাল হোসেন এবং পরবর্তী সময়ে কাজী নজরুল ইসলাম। মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীনের ‘সওগাত’ পত্রিকায় ১৯২৬ সালে তাঁর ‘বাসন্তী’ কবিতা প্রথম প্রকাশিত হল। রোকেয়ার ভাষায় তিনি ছিলেন ‘ফুল কবি’। তাঁর প্রথম গদ্যগ্রন্থ ‘কেয়ার কাঁটা’ (চোদ্দটি গল্প ও একটি নাটক) ১৯৩৭ সালে এবং প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’ ১৯৩৮ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। সুফিয়া খাতুন তখন পরিচিত ছিলেন সুফিয়া এন হোসেন নামে। ‘সাঁঝের মায়া’ কাব্যগ্রন্থের ভূমিকায় নজরুল ইসলাম লেখেন– ‘কবি সুফিয়া এন হোসেন বাঙলার কাব্যগগনে উদয়তারা। অস্ততোরণ হতে আমি তাঁকে যে বিস্মিত মুগ্ধচিত্তে আমার অভিনন্দন জানাতে পারলাম, এ আনন্দ আমার স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ (সুফিয়া কামাল রচনাসমগ্র: সাজেদ কামাল সম্পাদিত, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ২০০২) তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকা বেশ দীর্ঘ। ১৯৭৫ সালে ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয় ‘মোর যাদুদের সমাধি পরে’, ১৯৮৪ সালে রুশ ভাষায় অনূদিত হয় ‘সাঁঝের মায়া’। ১৯৩৭ সালে রবীন্দ্রনাথের ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে তিনি ‘পঁচিশে বৈশাখ’ (উদাত্ত পৃথিবী) কবিতাটি লিখে কবিকে উপহার দেন। এই কবিতার উত্তর লিখে রবীন্দ্রনাথ পাঠান– ‘বিদায় বেলায় রবির পানে/ বনশ্রী যে অর্ঘ্য আনে/ অশোক ফুলের করুণ অঞ্জলি,/ আভাস তারি রঙিন মেঘে/ শেষ নিমেষে রইবো লেগে/ রবি যখন অস্তে যাবে চলি।’ (সুফিয়া কামাল রচনাসমগ্র: সাজেদ কামাল সম্পাদিত)
১৯৩২ সালে সৈয়দ নেহাল হোসেন প্রয়াত হলেন। শুরু হল সুফিয়ার আর এক জীবন সংগ্রাম। মেয়ের লেখাপড়া চালু রাখার জন্যে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা দরকার। হিতাকাক্ষীদের চেষ্টায় ৫০ টাকা মাইনেয় কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে পেলেন শিক্ষকতার কাজ। সামাজিক পরিস্থিতির চাপে ১৯৩৯ সালে বিয়ে করলেন চট্টগ্রামের কামালউদ্দীন আহমদ খানকে। রাজনৈতিক কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন ১৯২৬ সাল থেকেই। ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’- এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন তাই নিখিল ভারত কংগ্রেসের কলকাতায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন। আজীবন অব্যাহত ছিল তাঁর রাজনৈতিক মতামত। আন্দোলনে অংশগ্রহণ। তবে কোনও দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ১৯৪৬ সালে বাংলায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগে। গড়ে ওঠে দাঙ্গা-বিরোধী সামাজিক প্রতিরোধ বাহিনী। সুফিয়া কামাল এই দাঙ্গার বিরোধিতা করে গেছেন। দেশের এক অস্থির রাজনৈতিক আবহাওয়ার মাঝেই মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন প্রকাশ করলেন ‘বেগম’ পত্রিকা। প্রথম প্রকাশের সময় সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন সুফিয়া কামাল। ‘মহিলাদের সচিত্র পত্রিকা সুফিয়া কামাল-এর (১৯১১ -১৯৯৯) সম্পাদনায় ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই (১৩৫৪, ৩ শ্রাবণ) কলকাতা থেকে আত্মপ্রকাশ করে। সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন কতৃক ক্যালকাটা আর্ট প্রিন্টার্স, ১১ ওয়েলেসলী স্ট্রীট কলিকাতা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়।’ (মালেকা বেগম: বাঙালি মুসলিম নারী সম্পাদিত সাময়িক পত্রিকা, সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা, মাঘ-চৈত্র ১৪১৩) বাঙালি মুসলিম নারীর শিক্ষা-সংস্কৃতি, সাহিত্যচর্চা, রাজনীতি ও নানাবিধ খবর প্রকাশে ‘বেগম’ পত্রিকা প্রকৃতই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। ১৯৫০ সাল থেকে এই পত্রিকাটির প্রকাশ ঢাকা থেকে হয়। পূর্ব পাকিস্তানের নারীদের অধিকার আদায়ের প্রয়োজনে ১৯৫৪ সালে মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীনের প্রচেষ্টায় ‘বেগম ক্লাব’ তৈরি হয়। এই ক্লাব সর্বস্তরের নারীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করে। সুফিয়া কামাল ছিলেন এই ক্লাবের প্রধান সংগঠক।
দেশভাগ হয়ে যাওয়ার পর সুফিয়া কামাল পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় চলে যান। সেখানেও শুরু হয়েছে দাঙ্গা। লীলা নাগ-সহ অনেকেই দাঙ্গা প্রতিরোধের কাজে সুফিয়া কামালকে ডাক দিলেন। সুফিয়া কামালও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে রাস্তায় নামলেন দাঙ্গা আটকাতে। সাম্প্রদায়িকতা রোধ করে, সামাজিক রক্ষণশীলতায় আঘাত হেনে, রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে আজীবন তিনি প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছেন। শৈশব যদি বিপথগামী হয়, তাহলে সমাজের অবক্ষয় অবধারিত। এই উপলব্ধি থেকে তিনি শিশুদের প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়েছেন। ১৯৫১ সালে গড়ে তোলেন ‘ঢাকা শহর শিশুরক্ষা সমিতি’। পরে একান্ত নিজের উদ্যোগেই তাঁর বাড়ির চৌহদ্দিতে প্রতিষ্ঠিত করলেন শিশু সংগঠন ‘কচি কাঁচার মেলা’। নারীর অধিকারের জন্য আন্দোলন করার মনোভাব আরও জোরালো হয়েছিল রোকেয়ার সাহচর্যে কাজ করার সুবাদে। তাই বিভিন্ন মহিলা সংগঠনগুলির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সমিতি’-র, গড়েছেন ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’ (১৯৭০) সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: সোনালি হুমায়ূন টাকিলার বোতল
পাকিস্তান সরকার জোর করে তাদের দেশের বাঙালির ওপরও উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাংলা ভাষাকে শেষ করে দেওয়ার এই সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ আন্দোলনে নামেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সাল, পুলিশ গুলি চালাল আন্দোলনকারীদের ওপর। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তখন জোরালো শপথ নেওয়া শুরু হয়েছে। মহিলাদের সংঘবদ্ধ করে, মাতৃভাষা রক্ষার শপথ নিয়ে সুফিয়া কামালও ভাষা আন্দোলনে যোগ দিলেন। পাকিস্তানি সেনাদের দমন-পীড়নকে উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়লেন রাজপথে। মিছিলের সারিতে। একুশের ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ– অব্যাহত ছিল তাঁর সক্রিয় পদযাত্রা। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ পালনে বাধা দিচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক সরকার। সুফিয়া কামাল চরম সাহসের সঙ্গে সরকারি বাধাকে ঠেলে শুরু করলেন রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান-আন্দোলন। তাঁকে কেন্দ্রে রেখে অনেকেই সামিল হলেন আন্দোলনে। বাঙালির অবদমিত ইচ্ছের জোয়ার নামল পূর্ব পাকিস্তানে। সারা দেশে পালিত হল রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ। সংগীত শিল্পী তৈরির প্রয়োজন অনুভব করে এই সময় প্রতিষ্ঠিত হল ‘ছায়ানট’। সুফিয়া কামাল ‘ছায়ানট’-এর সভানেত্রী ছিলেন আজীবন। আন্তর্জাতিক নারীদিবস উপলক্ষে ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে যান। ফিরে এসে ‘সোভিয়েটের দিনগুলি’ গ্রন্থে লিখলেন– ‘সোভিয়েত দেশকে আজ নারী রাজ্য বলে আখ্যায়িত করলে খুব বেশি অত্যুক্তি করা হবে না।’ সেদেশের মহিলাদের কর্ম তৎপরতা, শিশুদের অগ্রগতি মুগ্ধ করেছিল তাঁকে। নিজের দেশকেও তো এমনটাই দেখতে চেয়েছিলেন। যার জন্যে আন্দোলন করেছেন আমৃত্য।
আরও পড়ুন: অল্রাইট কামেন্ ফাইট্! কামেন্ ফাইট্!
১৯৬৯ -এর গণ আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, অধিকার অর্জনের লড়াই থেকে কখনও সরেননি। একই সঙ্গে বলিষ্ঠ কলম থেকে উচ্চারিত হয়েছে– ‘মুক্তিকামী সংগ্রামী যাহারা।/ তাহাদের সাথে রব চিরদিন।’ (উনসত্তরের এই দিনে)। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সুফিয়া কামালের যোদ্ধারূপের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর ‘একাত্তরের ডায়েরি ’ থেকে। প্রায় নজরবন্দি অবস্থায় বাড়িতে থেকেই গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন। অনেকের রেশন কার্ডে খাবার তুলে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঠিয়েছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। স্বাধীনতার পরও দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী আর রাজাকাররা যেসব মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, তাঁদের পুনর্বাসন ব্যবস্থার নেতৃত্ব দিলেন সুফিয়া কামাল। স্বাধীন বাংলাদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই, নারী-নির্যাতন বন্ধের দাবি নিয়ে নিরন্তর সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন তিনি। বাংলার এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, নারী আন্দোলনের পূর্বসূরি সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পদক পেয়েছেন— সাহিত্য, নারীর জাগরণ ও মানবতাবাদী আন্দোলনে যুক্ত থাকার জন্যে।