‘বেলাইন’ অসততা-মুক্ত, কেননা এ-ছবিটা যারা তৈরি করেছেন, তাদের কাজে একটা একটানা অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতা লক্ষ করা যায়। এটাই আমার ব্যক্তিগতভাবে সবথেকে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে। ওরা জানেন, কী বানাতে চাইছেন এবং ‘এন্ড প্রোডাক্ট’ কীরকম দেখতে হবে। ‘কনসিস্টেন্ট ফিল্মমেকিং’, যা থ্রিলারের মতো জঁর ছবিতে খুব প্রয়োজনীয়, তা ‘বেলাইন’-এ দেখতে পেলাম।
বহুদিন পর একটা বাংলা ছবি দেখে মনে হল ‘সৎ’ কাজ দেখলাম। গত বছর ইন্দ্রাশিস আচার্যের ‘নীহারিকা’ আর এবার শমীক রায়চৌধুরীর ‘বেলাইন’। দু’টি ভিন্ন গোত্রের ছবি, জঁরও আলাদা, তবে দু’টিই ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাজ এবং ঠুনকো ঠাট্টা-তামাশা বাদ দিয়েও যে ম্যাচিওর কনটেন্টে ভাবনাবহুল ছবি বাংলায় সাম্প্রতিক সময়ে বানানো সম্ভব, তার সার্থক উদাহরণ বছরখানেকের মধ্যে বানানো এই দুটো ছবি।
‘বেলাইন’ কেন সৎ (কয়েকটি খামতি থাকা সত্ত্বেও)? এক তো এসব ছবিতে যা হয়– প্রযুক্তিগত দিক থেকে, মানে আলো, শব্দ, সম্পাদনা, ক্যামেরা ইত্যাদি ব্যাপারে বৈচিত্র ফলাতে গিয়ে ছবির অন্যতম দুটো বিষয় অর্থাৎ চিত্রনাট্য ও পরিচালনা ঘেঁটে ঘ হয়ে যায়। বা বলা ভালো, লেখায় কাঁচা থাকলে বহু প্রযুক্তি দিয়েও লাভের লাভ কিছু হয় না, অন্তিমপ্রাপ্তি সেই শূন্যই থাকে। উদাহরণের অভাব নেই। ‘কেদারা’ (২০১৯) ছবিটার কথা ধরা যাক। অভিনবত্বের দাবিদার কারিগরি দিক থেকে, অথচ গল্পের নিহিতার্থে কিছুটা অসৎ ও অনভিজ্ঞ, কেননা সে-ছবির শেষে দৃঢ়চিত্তের মূল চরিত্রটিকে আত্মহত্যা করতে হয়েছিল কেবলমাত্র চিত্রনাট্যকারের বেয়াক্কেলেপনার কারণে।
যেন আত্মহত্যাই সহজ সমাধান! আর একটি উদাহরণ ‘অনন্ত’ (২০২২) নামের একটি ছবি, যা দেখতে শুনতে ভালো হলেও ক্রাফটের দিক থেকে সবটাই ওং কার-ওয়াইয়ের কাজ থেকে একপ্রকার অনুলিখিত বলা চলে। এবং ন্যারেটিভে ও চরিত্রচিত্রণে রয়েছে খামচে-খিমচে বিদেশি ছাঁচের মধ্যে কিছুটা বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, কিছুটা ওং কার-ওয়াইয়েরই ‘ইন দ্য মুড ফর লাভ’ (২০২২) ছবিটির ডিএনএ, যার দরুন সততা পুরোপুরি গুলিবিদ্ধ সে-ছবিতে, প্রাথমিক ভালো লাগা ভাঙলে ভিতরের ফাঁপা দিকটাও চোখে ধরা পড়তে বেশি সময় লাগে না।
তো, এদিক থেকে ‘বেলাইন’ অসততা-মুক্ত, কেননা এ-ছবিটা যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁদের কাজে একটা একটানা অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতা লক্ষ করা যায়। এটাই আমার ব্যক্তিগতভাবে সবথেকে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে। ওঁরা জানেন, কী বানাতে চাইছেন এবং ‘এন্ড প্রোডাক্ট’ কীরকম দেখতে হবে। ‘কনসিস্টেন্ট ফিল্মমেকিং’, যা থ্রিলারের মতো জঁর ছবিতে খুব প্রয়োজনীয়, তা ‘বেলাইন’-এ দেখতে পেলাম। ছবিটা ছোট এবং আঁটসাঁট। যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই।
বাড়তি বক্তব্য জানানোর আগে ছবিটা হলে দেখতে গিয়ে কেউ ঠিক কী-কী দেখতে পাবেন, তা স্পয়লার না দিয়ে বলে নেওয়া যাক। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত চরিত্রটি একলাই থাকেন, যার সর্বক্ষণের সঙ্গী বলতে একটি পুরনো আমলের টিভি। ভদ্রলোক টিভি সিরিয়াল দেখার খুব ভক্ত, তাই টিভি খারাপ হয়ে গেলে গজগজ করতে থাকেন আপন মনেই। এহেন বুড়ো মানুষটার ল্যান্ডলাইনে একদিন একটা ফোন আসে। ওপাশ থেকে একটি মেয়ের গলা, বুড়ো বুঝতে পারেন যে, রং নম্বর থেকে ফোনটা এসেছে। কানে রিসিভার রাখা অবস্থায় বুড়ো ওপাশের কথাবার্তা শুনতে পান এবং আবিষ্কার করেন এক ভয়ানক টানাপোড়েন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
শমীক রায়চৌধুরী এর আগে ‘লাইফ অফ পাই’, ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম ২’, ‘’দ্য মামি ৩’ ইত্যাদির মতো হলিউডের ছবিতে ভিএফএক্স টেকনিকাল ডিরেক্টর হিসেবে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। ২০১৬ নাগাদ প্রথম ফিচার-ফিল্ম ‘ডি-মেজর’ বানান। তবে তার আগে বানিয়ে ফেলেছেন ডজন খানেক শর্ট ফিল্মস, যেগুলির মধ্যে ‘লোনারলস্ট (ইন) স্যানিটি’, ‘ইয়েস্টারডে’ প্রমুখ ছবি উল্লেখযোগ্য।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
যেহেতু ছবিটা উদ্দেশ্যহীন ভবঘুরে বাংলা ছবি নয়, তাই অন্তিম গন্তব্য আগে থেকে বিবেচনায় নিয়েই সমগ্র ছবিটাকে সাজানো হয়েছে। বৃদ্ধ চরিত্রটির ঘরের ভিতরে আলো, শব্দ, ছায়া, সিঙ্গেল শটের মধ্যে ফোরগ্রাউন্ড-ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিন্নভিন্ন অবস্থানের দৃশ্যায়ন, শব্দ-মন্তাজ– এই সমস্ত দিককে মূল রহস্যকে মাথায় রেখেই ছকে নিয়ে তারপর পাজল পিসের মতো করে বানানো হয়েছে, যে কারণে কোনও কিছুই অসঙ্গত বা অহেতুক লাগেনি। লাগার সমূহ সম্ভাবনা ছিল যদি উদ্দেশ্যে গলদ থাকত বা ছবিটা ওভার অ্যাম্বিশনে ভুগত।
যেহেতু রহস্য বৃদ্ধ মানুষটির শোনা ও কল্পনাকে কেন্দ্র করে– টেলিফোনে ওপারের কথাবার্তা শুনছেন এবং টিভি সিরিয়ালে দেখা নায়ক-নায়িকার মুখ হিসেবে ফোনের ওপারে লিভ ইন-রত দম্পতির মুখ কল্পনা করে নিচ্ছেন– তাই রহস্য বোনায়, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় এবং ক্লাইম্যাক্সে সবকিছুর মীমাংসা করায় গতিচ্ছেদ হওয়া বা গতানুগতিক হয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা ছিলই। আর যেহেতু পাজল পিসের মতো সম্পূর্ণ রহস্যটাই চিত্রনাট্যকার (শমীক রায়চৌধুরী) ছবির একদম শুরুর শট থেকেই ভিজ্যুয়াল, ইমেজারি, শট কম্পোজিশনের মাধ্যমে দেখিয়ে চলেছেন আর দর্শকদের ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন, তাই যেকোনও মুহূর্তে ধরা পড়ে যাওয়ারও বিপত্তি ছিল। তা হয়নি মূলত নির্মেদ এডিটিং, অবান্তর বিষয় বাতিল করে দেওয়া আর দর্শকদের সবকিছু অতিসরলীকৃত করে বুঝিয়ে বলার প্রবণতা থেকে দূরে থাকার কারণেই।
এ-ছবিতে যেখানে যেখানে মনে হয়েছে বাড়তি দৃশ্য দেখিয়ে বা ব্যাখ্যামূলক কথা বলে দর্শকদের স্পুনফিড করিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে, সেখানেই ছবিটা নির্মেদ পক্ষ অবলম্বন করেছে। সম্প্রতি দেখা মলয়ালম হরর ফিল্ম ‘ভ্রমযুগম’ (২০২৪)-এও দর্শককে অতিকথনের সহায়তা নিয়ে ঘাড় ধরে বুঝিয়ে বলার প্রবণতা দেখেছি। এই প্রবণতা যথাযথ জঁর-অভিজ্ঞতাতে তো আঘাত করেই, সেইসঙ্গে ছবিতেও নানা মন্দ-ত্রুটি যোগ হয়ে যায় অজান্তেই। ‘বেলাইন’ অন্তত এদিক থেকেও সফল বলা চলে, কারণ সে নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন।
এই ছবিতে অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে মুখ্য তিনকর্মীই যে-যার কাজে নিখুঁত। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বয়সেও এত ভালোভাবে চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে পারছেন, তা দেখে বিস্ময়ে তাক লেগে যায়। আর যে দু’জন– শ্রেয়া ভট্টাচার্য ও তথাগত মুখার্জি, এরা দু’জনেই নিজেদের থেকে সেরাটা বের করে আনতে চেষ্টা করেছেন। শ্রেয়া ভট্টাচার্য কোথাও অতিনাটকীয় না হয়েও তাঁর অভিনীত জটিল চরিত্রটিকে চমৎকারভাবে সামলেছেন। এ-ছবির টেকনিকাল ডিপার্টমেন্টগুলো যাঁরা সামলেছেন, তারাও নিখাদ বাহবা পাওয়ার যোগ্য। শমীক রায়চৌধুরী, যিনি ছবিটির পরিচালনা ছাড়াও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন, তাঁর কোনও ছোট-বড় কাজ আগে দেখিনি, চিনতামও না ছবিটা মুক্তি না পেলে। এরকম কনফিডেন্ট ফিচার-লেন্থ সাইকোলজিকাল থ্রিলার একপ্রকার অপ্রত্যাশিতই বাংলা-বাজারে। সমস্ত বিভাগের সুতো-বাঁধা লাটাই নিজের হাতে নিয়ে তিনি তালমিল বজায় রেখে ঘুড়ি উড়িয়েছেন। জঁর ফিল্মে যে ছোট ছোট বিষয়ের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দিতে হয়, যা না হলে বিচক্ষণ দর্শকের চোখে ধরা পড়ে যায়, সেসবে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে বলেই ছবিটা শেষ অবধি অবাক করার ক্ষমতা রাখে।
কেবল তো গল্প বললেই হল না, গল্পটাকে ফিল্মে পরিণত করতে হবে। সেটায় দুর্বলতা সেভাবে নেই। শমীক এর আগে ‘লাইফ অফ পাই’, ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম ২’, ‘’দ্য মামি ৩’ ইত্যাদির মতো হলিউডের ছবিতে ভিএফএক্স টেকনিকাল ডিরেক্টর হিসেবে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। ২০১৬ নাগাদ প্রথম ফিচার-ফিল্ম ‘ডি-মেজর’ বানান। তবে তার আগে বানিয়ে ফেলেছেন ডজন খানেক শর্ট ফিল্মস, যেগুলির মধ্যে ‘লোনারলস্ট (ইন) স্যানিটি’, ‘ইয়েস্টারডে’ প্রমুখ ছবি উল্লেখযোগ্য।
‘বেলাইন’-এর প্রস্তুতি দীর্ঘদিনের, মোটামুটি ২০১৫ থেকেই। বেশ কিছু প্রযোজকের গলাধাক্কা, হতাশা, ক্ষোভ ইত্যাদির দিন পার করে অবশেষে হরিৎ রত্ন বলে একজন এগিয়ে এলেন। শুটিং শুরু ২০২১-এ। শেষ তিন বছরে এই ছবিটি ছাড়াও শমীক ‘মাশরুম’ নামে আরেকটি আংশিক-পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবিও বানিয়ে ফেলেছেন, যা গত বছর ‘নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ দেখানো হল।
এ-ছবির সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছেন সংলাপ ভৌমিক। আগেও নির্মেদ সম্পাদনার কথা উল্লেখ করেছি। সংলাপের অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের এবং সম্প্রতি ‘বাদামী হায়নার কবলে’র নজরকাড়া সম্পাদনাও তারই কৃতিত্ব। এছাড়া সুপ্রিয় দত্তর ক্যামেরা, তপন শেঠের আর্ট ডিজাইন, তমাল কান্তি হালদারের সংগীত, অভীক-অয়নের সাউন্ড ডিজাইন ও মিক্সিং, প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রং, সৌমেন সামন্তর ভিএফএক্স সুপারভিশন ইত্যাদি সমস্ত বিভাগেই সকলে মিলে যত্ন নিয়ে কাজটা করেছেন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
আরও পড়ুন: ‘ময়দান’ ফুটবলের ‘চক দে ইন্ডিয়া’, কিন্তু তথ্যে ‘ঘাটিয়া’
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
একটা কথা এই ফাঁকে বলে নিই, মার্টিন স্করসেসির একটি বিখ্যাত ছবির কথা ‘বেলাইন’ দেখাকালীন মনে পড়তে পারে। কিন্তু অন্ধ অনুকরণ ও অনুপ্রেরণার মধ্যে যে তফাত আছে, তা স্মরণে রাখাটাও এক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রয়োজন। স্করসেসির ছবিটার নাম নিচ্ছি না, স্পয়লার হয়ে যাবে, তবে সে-ছবি আর ‘বেলাইন’ আলাদা দুটো ছবি।
ছবিটায় ফোনের ওপাশে যে চরিত্রগুলোকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত চরিত্রটির চোখ দিয়ে, তাদের ক্রাইসিসটা আপাতভাবে সেভাবে মনে প্রভাব না ফেললেও, একটু সময় এগোলে, কয়েকটা বিষয় ধরা পড়বে। বিস্তারিত আলোচনা করতে চাইছি না, কেননা আলোচনা করা মানেই স্পয়লার দিয়ে দেওয়া। তবুও বলি, যে যে এলিমেন্টগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন দম্পতির মধ্যে বনিবনা না হওয়া, পার্টনারকে অহেতুক সন্দেহ, মাথায় পাগলামির লক্ষণ, যৌনতা, হিংসা, খারাপ হয়ে যাওয়া টিভি, প্রতিশোধ ইত্যাদি, সবকিছুর সঙ্গে ফোনের এপাশের জগতেরও আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। ক্লাইম্যাক্সে যখন আসল রহস্য উদ্ঘাটিত হয়, তখন গোটা ব্যাপারটা শুরু থেকে ভাবলেই গল্পের সূক্ষ বিন্যাস বুঝতে পারা যায়। পাজলের মতো করে সবকটা টুকরো হাতের কাছেই রাখা। ছবিটায় শোনার থেকেও বেশি গুরুত্ব বোধকরি দেখাতে। হ্যাঁ, দেখার ওপরেই সমস্ত রহস্য লুকিয়ে।
আর এই সুযোগে, এই থিমটিকে এক্সপ্লোর করতে গিয়ে শমীক বাংলা ছবিতে কয়েকটা অনুচ্চারিত কথা বলার সুযোগ পেয়ে গেছেন। নারী-যৌনতা নিয়ে বাংলাতে খোলামেলা আলোচনা আসেই না সেভাবে, অন্তত সাম্প্রতিক সময়ে তো নয়ই। গত বছর ‘নীহারিকা’র কথা এই প্রসঙ্গে বলতে হয়। সে-ছবিতে ‘ফিমেল ডিজায়ার’কে এক নারীর চোখ দিয়েই দেখানো হয়েছিল ‘নন-জাজমেন্টাল’ ভঙ্গিতে। ‘বেলাইন’-এ এসেছে নিম্ফোম্যানিয়ার প্রসঙ্গ, ফিমেল মাস্টারমেশন। এগুলো তথাকথিত অন্যস্বর, যেগুলো শোনা দরকার।
এ-ছবিটা মাথা-ঘোরানো টুইস্ট দেওয়া হবে বলে বানানো নয়। ক্লাইম্যাক্স অনাবশ্যক নয়, বরং শুরু থেকে দেখানো ঘটনাবলিকে সন্তোষজনকভাবে যুক্তি জুগিয়েছে।
বাংলা ছবিতে এই অন্যস্বরগুলো দর্শকদের শুনতে ও শিখতে হবে।