ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর ‘ছোটলোক’ ওয়েব সিরিজের চরিত্র সাবিত্রী মণ্ডল বাঙালি গোয়েন্দাদের প্রচলিত ট্র্যাডিশনে একটা চমৎকার বিচ্যুতি তৈরি করেছে। সাবিত্রী গাজীতলা থানার এসআই। অথচ গ্রেটার কলকাতার অপরাধজগতে তাকে ঘাই মারতে হয়। সহকর্মীদের চোখে ‘কোটায় চান্স পাওয়া’, মহিলা অফিসার সাবিত্রী কলকাত্তাইয়া বাংলাও বলে না। তার সহকর্মী জামিল প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে। নিম্নবর্গ বা সংখ্যালঘুকে টোকেন হিসেবে ব্যবহার করা নয়, শুধু শখের গোয়েন্দার বদলে দুই সরকারি কর্মচারীর সামাজিক অবস্থানে একটা হালকা টোকা দিয়ে পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার যা করলেন, তা বাঙালি ডিটেকটিভ-ঐতিহ্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নিল লহমায়।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে চাঁদনি চকের দিকে মোড় নিলে একটা হলুদ রঙের ব্রিটিশ ধাঁচের বাড়ি চোখে পড়বে। তাতে বেশ বড় একখানা নীল সাইনবোর্ডে ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ’ লেখাটাও সহজে চোখ এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয় ও পথের পথিকদের। অমন ব্যস্ত শহরের মাঝে কিঞ্চিৎ তামাদি, অল্প পলেস্তারা খসা, অথচ আলতো ঝকঝকে আভিজাত্যের মাঝে ওই অফিস আদতে বুঝিয়ে দেয়, বাংলায় শখের গোয়েন্দাদের ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার এখনও নেহাত উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।
গোয়েন্দা ব্যাপারটা বাংলায় চিরকালই গোলমেলে। সেই উনিশ শতকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক ব্রিটিশ অফিসার বলেছিলেন বাঙালির বুদ্ধি বেশি, গায়ের জোর কম। তাই গোর্খাদের যেমন হাবিলদারের কাজে লাগে, তেমনই গোয়েন্দাগিরির কাজে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। সেই যে বুদ্ধির হায়ারার্কি সাহেবরা চাপিয়ে দিল বঙ্গমানসের ওপর, তারপর সেই প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় থেকে পাঁচকড়ি দে, রবার্ট ব্লেক থেকে ফেলুদা, ব্যোমকেশ থেকে শবর হয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলায় গোয়েন্দাদের জয়যাত্রা। মাঝে কৃষ্ণা, গার্গী, মিতিন মাসিরা এসেছেন বটে, কিন্তু মহিলা গোয়েন্দারা আদতে ‘ব্যতিক্রমী’ হয়ে থেকে গেছেন এই পুরুষশাসিত টিকটিকি-বিশ্বে। একইসঙ্গে দেবেন্দ্রবিজয়, দীপক চ্যাটার্জি থেকে কিরীটি রায়, ব্যোমকেশ বক্সী, প্রদোষ মিত্র– চট করে এমন কোনও নাম-পদবি মিলবে না, যা উচ্চবর্ণের পরিধির বাইরে। শরদিন্দু বড়জোর ব্যোমকেশকে কায়স্থ করেছেন এই যুক্তিতে যে, কায়স্থদের বুদ্ধি ব্রাহ্মণদের থেকে বেশি।
ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর ‘ছোটলোক’ ওয়েব সিরিজের চরিত্র সাবিত্রী মণ্ডল বাঙালি গোয়েন্দাদের এই ট্র্যাডিশনের দু’টি ধারায় একটা চমৎকার বিচ্যুতি তৈরি করেছে। সাবিত্রী গাজীতলা থানার এসআই, মাথায় রাখার, কলকাতা পুলিশের অংশ নয় সে। অথচ গ্রেটার কলকাতার অপরাধজগতে তাকে ঘাই মারতে হয়। কিন্তু খুলনার পেটের বড়াই করা সাবিত্রী, ঝাল দিয়ে চুরমুর খাওয়া সাবিত্রী আদতে কলকাতাকে দেখে দূর থেকে। সহকর্মীদের চোখে ‘কোটায় চান্স পাওয়া’, মহিলা অফিসার সাবিত্রী কলকাত্তাইয়া বাংলাও বলে না। তার সহকর্মী জামিল প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে। নিম্নবর্গ বা সংখ্যালঘুকে টোকেন হিসেবে ব্যবহার করা নয়, শুধু শখের গোয়েন্দার বদলে দুই সরকারি কর্মচারীর সামাজিক অবস্থানে একটা হালকা টোকা দিয়ে পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার (ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর সঙ্গে এই সিরিজের চিত্রনাট্য লিখেছেন সুগত সিংহ) যা করলেন, তা বাঙালি ডিটেকটিভ-ঐতিহ্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নিল লহমায়। দগদগে বৈষম্যের কথা বলে খুচরো রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন নয়, বরং বাংলায় রহস্যসন্ধানীরা যে রাজনীতিতে চালিত, তার বিপ্রতীপে এটা স্পষ্ট, অথচ নির্মোহ অবস্থান নেওয়া।
দামিনী বেণী বসু এবং প্রতীক দত্ত দু’জনেই কিছুটা নিচু তারে বাঁধা, প্রয়োজনে উচ্চগ্রামে যাওয়ার ভঙ্গিতে যে অভিনয় করেছেন, তা এপার বাংলার ওয়েব সিরিজে বিরল। দামিনী বেণী বসু শক্তিশালী অভিনেত্রী। তাঁর উপস্থিতির প্রতিটি পরত চরিত্রের এক একটা জানলা খুলে দিয়েছে। কখনও স্বামীর (এই চরিত্রে শুভ্রজিৎ দত্তও মনে থেকে যাবেন) সঙ্গে বসে মদ্যপানে, কখনও মেয়ের শৃঙ্খলাবদ্ধ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে মা হয়ে কথোপকথনে, কখনও শাশুড়ির সঙ্গে নৈমিত্তিক বোঝাপড়ায়, কখনও ঊর্ধ্বতন অফিসারের সামনে বিনয়ী অথচ দৃঢ় থাকায়, আবার কখনও জেরায় নরমে-গরমে। এই সবক’টি দৃশ্যেই দামিনী বেণী বসুর ভ্রু কোঁচকানো, হাসির রকমফের, গালাগালি, থাপ্পড়, আফসোস, কান্না, ক্লান্তি এবং প্রশান্তি প্রায় নিখুঁত। একটি এপিসোডের নাম, ‘খুলনার পেট, কলকাতার জল’, এই চরিত্রের ট্যাগলাইন অনায়াসেই হয়ে উঠতে পারে এই বাক্যাংশটুকু। প্রতীক দত্ত চমকে দেওয়ার মতো অভিনয় করেছেন। তাঁর মুখ প্রায় স্থির থাকে, অথচ প্রতিটি অভিব্যক্তি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যে উচ্চারণে তিনি কথা বলেছেন, খুব কম অভিনেতাকেই গোটা সিরিজ জুড়ে অমন ত্রুটিহীনভাবে একটি উচ্চারণ অনুসরণ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, এঁদের উচ্চারণ অস্পষ্ট, অস্ফুট। এই এসআই এবং এএসআই-এর উচ্চারণ ‘বিরক্তিকর’ বলেও মতামত দিয়েছেন কেউ কেউ। অস্বাভাবিক রকমের সুচারু নাগরিক উচ্চারণ ও শারীরিক অভিনয় বাঙালি দর্শকের কান এবং চোখকে কোথায় নিয়ে গিয়ে পৌঁছলে একথা প্রকাশ্যে কেউ নিজের মতামত হিসেবে পেশ করতে পারে, ভেবেই করুণা হয়।
আমেরিকার মহামন্দায় চাকরি খুইয়ে পাল্প পত্রিকা ‘ব্ল্যাক মাস্ক’-এ হার্ডবয়েলড ডিটেকটিভ গল্প লিখতে শুরু করেন রেমন্ড শ্যান্ডলার। বিশ্বসাহিত্যে গোয়েন্দা গল্প-লিখিয়ে হিসেবে জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে যে ক’জন লেখকের, রেমন্ডের নাম তার মধ্যে প্রথম সারিতে। একটি কথা রেমন্ড বলেছিলেন, ভাল থ্রিলার সেটাই, যার শেষটুকু না থাকলেও পড়তে চাইবে পাঠক। একই কথা খাটে সিনেমা বা সিরিজের ক্ষেত্রেও। এই সিরিজে থ্রিলার বা রহস্য আসলে ভেক-মাত্র। এবং সেই ভেকের আড়ালে বক্তব্য বলে দাগিয়ে দেওয়া কিছুও নেই। যা আছে, তা রাজনীতি, সমাজের স্তরে স্তরে আতসকাচের দৃষ্টি রাখা। এবং খুব সূক্ষ্মভাবে, বাঙালি ‘ভদ্রলোক’ তার ঐতিহাসিক নির্মাণ পেরিয়ে যে সাম্প্রতিক অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে, তার ময়নাতদন্ত করা, কিন্তু গম্ভীরভাবে নয়, হিউমারকে হাতিয়ার করে। তাই সিরিজের নামে থাকা ‘ছোটলোক’ তকমাটি বাবুর বাড়িতে ঠিকে কাজ করা পুষ্প, তার ছেলেমেয়ে পুতুল এবং বাসু বা কাঁচরাপাড়া থেকে শহরের ঝলমলানিতে এসে পৌঁছনো এসকর্ট রূপসা, লকডাউনে চাকরি খোয়ানো ডেলিভারি বয় সুমন, সোয়া পাঁচটার রাণাঘাট লোকাল ধরার তাড়া থাকা শ্বেতশুভ্র ধুতিপাঞ্জাবি পরা একুশ শতকের ‘কাস্টমার’-এর দিকে ধেয়ে যাবে, না কি দলবদলু রাজনৈতিক নৈত্রী মোহর ভট্টাচার্য, তার ছেলে ঘুষখোর অফিসার রাজা ভট্টাচার্য, তার চতুর এবং ধান্দাকেই সর্বস্ব জ্ঞান করা মামা, বা তার ফিউডাল বাবা, বা ধুরন্ধর নেতা ও হাওলায় টাকা খাটানো তন্ময় বাগচী এবং তার যখের ধনের রক্ষক কস্তুরী গুহর দিকে ধেয়ে যাবে, তা বলা কঠিন। এমনকী, ভদ্রলোকের এই বর্গ নির্মাণে, তথাকথিত ‘অপরাধী’ এবং তথাকথিত ‘ভিকটিম’-এর শিবির নির্মাণে হয়তো সাবিত্রী এবং জামিল, এই দুই তদন্তকারীও অপরাধীদের সঙ্গে শ্রেণিবিন্যাসে একই সমতলে থাকে। এই একটি শব্দ, ‘ছোটলোক’ কেমন বুমেরাংয়ের মতো চোরাগোপ্তা এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছোটে এই সিরিজ জুড়ে। যৌন তাড়না, প্রতিহিংসা, লোভ, লালসা, কৌশল, কালোডাক (ব্ল্যাকমেলের এই বাংলাই করেছিলেন সত্যজিৎ রায়), ভন্ডামি, অসভ্যতা, ঢেকে যাওয়া কান্না, চেনা রাতে চেনা চিৎকারের পাশাপাশি কোথাও এই সিরিজের আখ্যানের আড়ালে ছলেবলে লুকিয়ে আছে প্রেম, মমতা, গ্লানি, অপরাধবোধ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাহীন, ঠোক্কর খাওয়া অথচ শান্তির, খোলা আকাশের উতরোল জীবনপিপাসা। রূপসা ঘোষের খুন এই গল্পে আদতেই নিরর্থক হয়তো, যেমন সব খুনই হয়তো অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু তাও সেই খুনটার প্রয়োজন ছিল, আরও অনেক রকমের খুনের, নানা কিসিমের লাশের ওপর ঢেকে রাখা তেরপল সরাতে। একই সঙ্গে ‘ছোটলোক’ চিনিয়ে দেয়, ভদ্রলোক নামক এই ধারণাটির ভঙ্গুর সোপানটুকু। ‘বাঙালি শুধুই খচ্চর নয়, তদুপরি অসহায়’, সেই কবেই বলেছিলেন পুরন্দর ভাট।
প্রিয়াঙ্কা সরকারের উপস্থিতিতে ধারালো তলোয়ারের মতো ঔজ্জ্বল্য এবং মালিন্য, গৌরব চক্রবর্তীর সংলাপ ও চাহনিতে ধরা পড়া ধূর্ততা এবং মেরুদণ্ডহীনতা, লাস্য এবং চকিত স্মার্টনেসের ভেতরে লুকনো ঊষসী রায়ের সাবলীলতার তাস, ইন্দ্রাণী হালদারের নিথর, ভাবলেশহীন কপটতার অভিনয়– এই সিরিজের সম্পদ। আগ্রহব্যঞ্জক চরিত্র পেলে প্রিয়াঙ্কা তার প্রতি সম্পূর্ণ সুবিচার করতে পারেন, আবারও প্রমাণিত। ইন্দ্রাণীর অভিনয়ের দক্ষতা চিরকালই প্রশ্নাতীত। গৌরব এবং ঊষসীকে এতটা অভিঘাতপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায়নি সম্প্রতি, তাঁরাও প্রাণ ঢেলে কাজ করেছেন। কিন্তু বাকি সমস্ত ছোট-বড় চরিত্রের অভিনেতারা, পরিচিত-অপরিচিত মুখ মিলিয়ে, ‘ছোটলোক’-কে অভিনয়ের নিরিখে একেবারে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কাকে ছেড়ে কার কথা বলা যায়? লোকনাথ দে তাঁর চরিত্রের দুই বয়সেই এক মুহূর্ত চোখ ফেরাতে দেননি নিজের ওপর থেকে। দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, সুমিত সমাদ্দার, ঊষসী চক্রবর্তী আলোআঁধারি অভিনয়ে ধরে রাখেন দর্শকের চোখকে। একটিমাত্র দৃশ্যে এসেও দীপক হালদার, যোগমায়া বসু বা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় দিব্যি মনে থেকে যাচ্ছেন। ভাল লাগে সঞ্জীব সরকারকে। জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের অভিনয়ে তাঁর চরিত্র আরও নিঘিন্নে হয়ে উঠছে যেমন, তেমনই আবার, এত রক্তমাখা আবর্জনার মাঝে জিৎসুন্দর চক্রবর্তীর চরিত্র, তাঁর অভিনয় নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। এই সিরিজের অভিনেতা নির্বাচন কুর্নিশযোগ্য। সঙ্গে সঙ্গেই বলতে হবে, আলো এবং রঙের ব্যবহারের কথা। কোনও দৃশ্য একফোঁটাও চড়া লাগে না দেখতে। চোখের আরাম দেয় টাইটেল কার্ডটিও। শব্দের ব্যবহারে অ্যাম্বিয়েন্ট এবং নন-অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ডের মাপজোখ অনবদ্য। রোল ভাজার দৃশ্য থেকে উঁচু থেকে পড়ে আত্মহত্যা, শ্বাসরোধে খুন থেকে সুসজ্জিত অ্যাপার্টমেন্টে ঘুম ভাঙার দৃশ্য, কোথাও কিচ্ছু সিন্থেটিক নয়। সম্পাদনায় সংযম বজায় রাখা, নির্লিপ্ত থাকার প্রয়োজন হয়, এক্ষেত্রে তা পুরোমাত্রায় হয়েছে। চিত্রগ্রাহক ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক অমিত রায়কে বাহবা না দিলেই নয়। সঙ্গে এই সিরিজের সংগীত গড়পড়তা থ্রিলারের আবহের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিল শ্রতিকেও, গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে (গাবু) আরও বেশি ব্যবহার করা হোক।
‘মেয়ার অফ ইস্টটাউন’-কে বাদ রেখেই বলা যায়, ‘দাহাঢ়’ বা ‘কাঁঠাল’ থেকেও অনুপ্রাণিত হতে হয়নি এই সিরিজকে। এই সিরিজ আদ্যোপান্ত বাঙালি। তাই বিধ্বস্ত গোয়েন্দাদের দেখিয়ে নর্ডিক নয়্যার বানানোর প্রয়াসও নিতে হয়নি পরিচালককে। নিও নয়্যারের ছাঁচ রেখেই বাঙালি গল্প বলেছেন তিনি। এখন ফেসবুক জাতীয় চণ্ডীমণ্ডপে কবি, বিজ্ঞানী, পয়গম্বর সকলেই পনেরো-কুড়ি মিনিট সিনেমা-সিরিজ দেখেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে দ্বিধা করেন না। এখন ‘জওয়ান’ দেখে তার মতামত কী, তাতে হয়তো খুব বেশি দর্শক প্রভাবিত হবেন না, কারণ তার নেপথ্যে রয়েছে স্টারডম। এক্ষেত্রে যেহেতু তেমন জৌলুস নেই, তাই সময় বাঁচাতে ওই ইনস্ট্যান্ট নুডলসের মতো মতামতগুলির ওপর ভিত্তি করেই অনেক বঙ্গজন সিদ্ধান্ত নেবে এই সিরিজ না দেখার। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে বলা যায়, ‘ছোটলোক’ এপার বাংলায় তৈরি জাতীয় স্তরের কাজ। তাই কেবলমাত্র বাঙালি নয়, বাংলার বাইরের দর্শকদের জন্যও জি ফাইভ-এ রক্ষিত থাক ‘ছোটলোক’। যেভাবে বাঙালি ‘কোহরা’ দেখেছে, সেভাবেই তারাও ‘ছোটলোক’ দেখুক।