রূপকথা পড়ার সময় তো এ নয়। রূপকথার ইচ্ছাপূরণ তো এখন হওয়ার নয়। গোপাল ভাঁড়ের গল্পেও গোপাল যেভাবে রাজা কিংবা নবাবকে বোকা বানায় বারবার তা কি একজন সাধারণ মানুষ পারবে? বস্তুত এসবই সাধারণ মানুষের ইচ্ছাপূরণেরই গল্প। অসহায় পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে সে বাস্তবে হেরে গেলেও গল্পে জিতিয়ে দেয় নিজের মতো আরেকজনকে। তাই বাস্তবে টুনটুনিদের রাজারা গিলে খায়, গল্পে সে রাজার নাক কাটে।
এই আলোচনা শুরু করি একটি লোকগল্প দিয়ে। গল্পের নাম ‘চিংড়ি মাছের নবান্ন’। গল্পটা এরকম:
এক চিংড়িমাছ পদ্মপাতার ওপরে বসে নবান্ন করছিল। এমন সময় একটা কাক এসে বললে, ‘ও লো তোকে খাই, ও লো তোকে খাই ?’
এই কথা শুনে চিংড়ির ভয়ানক রাগ হল। সে তখন জলের মধ্যে টুপ করে ডুবে গিয়ে রুইমাছের কাছে গিয়ে বললে,
রুইদাদা, রুইদাদা ঘরে?
রুইমাছ বললে, এত রাত্তিরে কে ডাকাডাকি করে?
চিংড়ি বললে, আমি ইচলে রানি।
রুই বললে, দাও বোনকে পিঁড়ে পানি ।
চিংড়ি বললে, তোমার পিঁড়ে-পানিতে আগুন লাগুক। আমি এক কার্যে এসেছি।
রুই বললে, কী কার্যে, বোনটি ?
চিংড়ি বললে, আমি পদ্মপাতায় বসে নবান্ন করছিলাম, এমন সময় একটা কাক কোথা থেকে এসে বলে কি না, ‘ও লো তোকে খাই, ও লো তোকে খাই!’ খেত তো ভাল হত, লো বললে কেন?
রুই বললে, ‘লো’ বলেছে? না। এত বড় অপমান তো সহ্য হয় না! তার তো ভারি বাড় হয়েচে! আচ্ছা, তাকে টের পাওয়াচ্চি! কিন্তু কী জানো বোন, আজ আমার অনেক কাজ আছে। তুমি ইলিশদাদার কাছে যাও।’
এভাবে গল্প এগোয়। চিংড়ি, যার নাম নাকি ‘ইচলে রানি’ সে কাকের ‘লো’ বলার অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইলিশদাদা, কাতলা দাদার কাছে গেল। কেউই তাকে সময় দিতে পারল না। শেষে কাঁকড়াদাদা তার প্রতিবিধান করার চেষ্টা করল। মুড়ি-মুড়কির লোভ দেখিয়ে কাককে তার গর্তের সামনে এনে তার পা চেপে ধরল। কাক প্রথমে ভয় পেয়েছিল, কিন্তু ইচলে রানির আনন্দ উল্লাস শুনে ব্যাপার বুঝে কাঁকড়াকে এক ঠোকর মেরে মুখে করে নিয়ে পালাল। আর চিংড়িমাছ মনের দুঃখে জলে চলে গেল।
এই গল্প দৈনন্দিনতার। অবশ্যম্ভাবী নানা ঘটনার শিল্পিত প্রকাশ। কিন্তু এই কাহিনির উল্লেখ্য এটাই ‘ইচলে রানি’ মানে চিংড়িকে নারী হিসেবে কল্পনা এবং তার আত্মসম্মানবোধ। তুচ্ছ নারীর অপমানবোধ এবং তার প্রতিকারের জন্য একাধিক পুরুষের সাহায্য নিতে যাওয়া এই গল্পের সূত্র। এই দুঃখিনী, সাধারণ, অথচ অভিমানী কন্যাদের আমরা পুরুষ লেখকদের কলমে, লিখিত সাহিত্যে ততটা পাই না যতটা পাই নারীর মুখনিঃসৃত এই সকল কাহিনিতে।
উল্লিখিত গল্পটি পাওয়া যায় প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি লোককথার সংকলন বিভূতিভূষণ গুপ্ত সম্পাদিত ‘বেড়াল ঠাকুরঝি’ বইতে, যার ভূমিকা লিখেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৩৩০-এর ১০ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বইয়ের ভূমিকায় লিখছেন, ‘রূপকথা মেয়েদের মুখে যেমন শোনা যায় ঠিক তেমনি লিপিবদ্ধ করিবার চেষ্টা করা যাইতেছে। এগুলি পড়িলেই বুঝা যাইবে, এ-সমস্তই অখ্যাতনাম্নী মেয়েদেরই রচনা, তাহাদেরই প্রতিদিনের ঘরকরনার হাঁড়িকুঁড়ির অন্তরের কথা। তা, ছাড়া ইহার মধ্যে মানবমনের যে প্রকৃতিপরিচয় পাওয়া যায় তাহারও আধার এই বাংলাদেশের গ্রামের অন্তঃপুরে।’
কিন্তু নারীর নিজস্ব জীবন কিংবা নারীর কল্পনায় নারী চিত্রায়ণ দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় পুরুষের কল্পনার নারী আর নারীর কল্পনার নারীর তফাতটুকু। নাহ, বিষয়টা ঠিক এমন নয় পুরুষ নারীকে অসম্মানসূচক চোখে দেখেছেন কিংবা নারী নিজেকে উন্নত ভূমিকায় এঁকেছে। বরং বিষয়টা খানিকটা বিপরীত। পুরুষের হাতে নারীচরিত্র যে মহিমায় মহিমান্বিত হয়েছে, নারীর নিজস্ব গল্পে তা নেই। সেখানে বরং মেয়েরা খানিক খোলামেলা এবং দোষে-গুণে নিজের মতো। কোনও আদর্শ বহন করার কোনও দায় তাদের নেই। তারা ঝগড়া, ভালোবাসা, ভুল বোঝাবুঝি এবং পরাজয় স্বীকার সহ-ই নিজের মতো।
‘মনসামঙ্গল’, ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কিংবা ‘অন্নদামঙ্গল’– বাংলা সাহিত্যের নারী দেবতাদের পুজোর গল্প হলেও সেসব গল্প লেখা হয়েছে পুরুষ কলমে। শুধু পুরুষ কলমেই নয়, ব্রাহ্মণ পুরুষ কলমে যা শিষ্ট সাহিত্যের প্রধান নির্মাতা। ‘মনসামঙ্গল’-এ মনসাকে দেখেছি দাপুটে, প্রবল ব্যক্তিত্বময়ী এক নারী হিসেবে যে আত্মসম্মান অর্জনের জন্য লড়াই করে। অথচ চাঁদ বেনের সঙ্গে তার এ লড়াই প্রায় নায়ক আর খলনায়িকার লড়াইতে পরিণত হয়। নারীর দেবী হয়ে ওঠাও যে পুরুষ সমাজ, পিতৃতন্ত্র অত সহজে ছাড় দেয়নি, তার উল্লেখ্য প্রমাণ চাঁদের মনসাকে অপমান এবং অস্বীকার। এ লড়াইকে জেন্ডার স্টাডি না করে কীভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? একইসঙ্গে এ লড়াই শিষ্ট সমাজ তথা তথাকথিত অশিষ্ট সমাজের। তাই বাংলার মৌখিক সাহিত্যের চিংড়ি মাছের কাকের থেকে অপমানের লড়াই আর মনসার লড়াই কোথাও আলাদা নয়। এক্ষেত্রে শিষ্ট-অশিষ্ট মিলেমিশে একাকার।
তবে বাংলা সাহিত্যে কি দেবীর মতো নারীর উপস্থিতি নেই? তাঁরা কেমন? খেয়াল করে দেখবেন– সবর্ত্রই তারা দুঃখিনী। রূপকথার গল্পের দুয়োরানিরাই শ্রেষ্ঠ নারী। কারণ? কারণ তাঁদের ছিন্ন বস্ত্র, ভাঙা ঘর এবং চোখের জল তাদের পাঠকপ্রিয়তার কারণ। বঞ্চিত এই নারীরা অশেষ দুঃখভোগের পর হৃত সম্মান পায়, এই ফরমুলাই নারীই আদর্শ। দেবীপ্রায়। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দেবী চৌধুরানী’র দেবী তার পরাক্রম দিয়ে ব্রিটিশদের নাজেহাল করলেও কাহিনির শেষে প্রফুল্ল সেজে পুকুরঘাটে বাসন মাজার মধ্যে দিয়ে পিতৃতান্ত্রিক পাঠকের চিত্তরঞ্জনই মাত্র হয়। তাই বঙ্কিম একাধিকবার নারী স্বাধীন ব্যক্তিত্বের ঝিলিক উপস্থিত করলেও কাহিনির শেষে তারা সবাই পরাজিত প্রায়। যে ভ্রমর নিজের প্রাণাধিক স্বামীকে লিখতে পেরেছিল, ‘তুমি যতদিন শ্রদ্ধার যোগ্য, ততদিন আমার শ্রদ্ধা’, সেই ভ্রমর তার আত্মসম্মান নিয়ে পরিস্থিতি জয় করতে পারে না তো! যে শৈবলিনী প্রেমিকের সঙ্গে একসঙ্গে জলে ডুবে মরতে গিয়ে নিজের কথা স্বাধীন চেতনায় ভেবেছিল, ‘আমি কেন মরিব’ ‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসে সেই শৈবলিনীও পরাজিত।
তাই নারীর রূপ, খ্যাতি তার দুঃখে, বিষণ্ণতায়, প্রেমিকের জন্য অপেক্ষায়, মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষায়। বীরভূম-পুরুলিয়ার পরিচিত ভাদু গানের ভদ্রেশ্বরী বিবাহের রাতে স্বামীর অকাল মৃত্যুতে ভাদু আত্মহত্যা করেন এবং ক্রমশ ভদ্রেশ্বরী এক সাধারণ নারী থেকে দেবী হয়ে ওঠেন। মনসা যে দেবীত্ব বেঁচে থেকে অর্জন করতে পারেনি, তা পেতে হয় ভাদুকে মরে গিয়ে।
এই দুঃখিনী বঞ্চিতা নারী মূর্তিতে কোথায় জায়গা পাবে স্বাধীনচেতা, স্পষ্টবাক্, ব্যক্তিত্বময়ী, স্বোপার্জনকারী নারী? আবার ফিরে যাই লোককথার কাছে, যা মূলত সাধারণ মেয়েদের মুখে মুখে রচিত।
……………………………………………………………..
নারীর দেবী হয়ে ওঠাও যে পুরুষ সমাজ, পিতৃতন্ত্র অত সহজে ছাড় দেয়নি, তার উল্লেখ্য প্রমাণ চাঁদের মনসাকে অপমান এবং অস্বীকার। এ লড়াইকে জেন্ডার স্টাডি না করে কীভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? একইসঙ্গে এ লড়াই শিষ্ট সমাজ তথা তথাকথিত অশিষ্ট সমাজের। তাই বাংলার মৌখিক সাহিত্যের চিংড়ি মাছের কাকের থেকে অপমানের লড়াই আর মনসার লড়াই কোথাও আলাদা নয়। এক্ষেত্রে শিষ্ট-অশিষ্ট মিলেমিশে একাকার।
……………………………………………………………..
কে না জানে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সেই টুনটুনির গল্প ? ছোট্ট পাখিটি রোদে শুকোতে দেওয়া রাজার টাকা নিয়ে বলে অনায়াসে– রাজার ঘরে যে ধন আছে, টুনির ঘরেও সে ধন আছে। টাকার গায়ে কি নাম থাকে? নাকি রাজার যে সম্পদের অহংকার সেই সম্পদ আসলে সাধারণ মানুষেরই অর্থ? তাতে সক্কলের অধিকার?
সেই টুনটুনির কি কম হেনস্তা হয়েছিল? কিন্তু হাল সে ছাড়েনি। সে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল রাজাকে বলে না পারলেও বুদ্ধিবলে সে নাক কাটাতে পারে। এক রাজার সাত রানির অবস্থানও সে বুঝিয়ে দিয়েছিল। অনুগ্রহপ্রাপ্ত স্ত্রী আসলে নেহাত রাজার রক্ষিতা। তাই এক রাজার সাত রানি। যা রূপকথার অতি পরিচিত ব্যাপার। এবং রাজাকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে রাজা তাদের নাক কাটার জন্য রাজসেনাপতিকে ডাকে। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে পারে একটা ছোট্ট পাখি যার ধনসম্পদ নেই, কিন্তু দু’টি ডানা আছে।
ঠিক যেন ওই সময়েই দাঁড়িয়ে আছি আমরা। আমাদের দরকার সেই নারী, যার ডানা আছে। যে স্বাধীনভাবে ভাবতে পারে। যে স্বাধীন পোশাক পরতে পারে। রাজার বিরুদ্ধে কলম ধরতে পারে। যে তার প্রেমিককেও বলতে পারে, না মানে না। হ্যাঁ মানে হ্যাঁ। এবং সে শুধু নিজের অধিকারের জন্য নয়, অন্যের জন্যও লড়তে পারে।
‘ বেড়াল ঠাকুরঝি’ বইটিতেও একটি গল্প যার নাম ‘বুড়ো বুড়ির গল্প’, সেখানে পাওয়া যায় টুনটুনির মতই এক ফিঙে পাখিকে। যে পূর্বনারীর আবেগের গাছটিকে দায়িত্ব নিয়ে রক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে সওদাগরের হাতে। সওদাগর বাড়ি ফিরে বউকে বলে, এই ফিঙের ঝোল রেঁধে যেন তাকে খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু সওদাগরের বউয়ের হাত থেকে বুদ্ধি করে ফিঙে পালায় আর সদাগরের বউ কোলাব্যাঙ রেঁধে দিলে ফিঙে জোর গলায় বলতে থাকে, আমি ফিঙে হেথা।/ আর সওদাগর খায় কোলাব্যাঙের মাথা। এসব দুঃসাহসের জন্য সে পুনরায় ধরা পড়লে আবারও বুদ্ধি করে পালায়। কিন্তু সওদাগরের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সে পড়ে শেয়ালের হাতে। সেখান থেকেও তাকে পালাতে হয় বুদ্ধি আর দুঃসাহসে ভর করে।
……………………………………………………….
আরও পড়ুন রাজীব দত্ত-র লেখা: যে আন্দোলনের গ্রাফিতিতে নারীদের এত সরব উপস্থিতি, তাকে দূরে ঠেলা কঠিন
……………………………………………………….
কিন্তু রূপকথার গল্পে যেভাবে টুনটুনি আর ফিঙেরা জিতে যায়, যেভাবে তাদেরকে জিতিয়ে দেন তাদের রচয়িতা নারীরা, সে কি বাস্তবে হয়? কত তিলোত্তমাকে তো মরে যেতেই হয়। কিন্তু একজন হেরে যাওয়া নারীর পাশে যে লক্ষ জিততে চাওয়া নারী থাকে, এই বার্তাও কি কম? মনে হয় না তিলোত্তমার বিচার চেয়ে উত্তাল হয়ে ওঠা এই শহরে রাজ্যে আমরা ক্ষমতাবান রাজতন্ত্র চিনছি, সুবিধাভোগী সওদাগরকে চিনছি, সুযোগ সন্ধানী শৃগালকে চিনছি? আর চিনে নিচ্ছি এই লড়াই। এই সামগ্রিক ক্ষমতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর লড়াই? নারীর মধ্যে আবার আবিষ্কার করছি তার ডানা।
রূপকথা পড়ার সময় তো এ নয়। রূপকথার ইচ্ছাপূরণ তো এখন হওয়ার নয়। গোপাল ভাঁড়ের গল্পেও গোপাল যেভাবে রাজা কিংবা নবাবকে বোকা বানায় বারবার তা কি একজন সাধারণ মানুষ পারবে? বস্তুত, এসবই সাধারণ মানুষের ইচ্ছাপূরণেরই গল্প। অসহায় পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে সে বাস্তবে হেরে গেলেও গল্পে জিতিয়ে দেয় নিজের মতো আরেকজনকে। তাই বাস্তবে টুনটুনিদের রাজারা গিলে খায়, গল্পে সে রাজার নাক কাটে।
আজকের লড়াইয়ের দিনে, প্রতিরোধের দিনে, প্রতিবাদের দিনে আমাদের কাছে এই গল্পগুলোর নির্মাণ রহস্য স্পষ্ট হয়। স্পষ্ট হয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ এবং তাকে জিতে নেওয়ার ইচ্ছেটুকু। মেয়েদের এই প্রতিকূলতা জয় করার দিনে যে মৌখিক সাহিত্যে মূলত নারীর মুখে মুখে নির্মিত এই লড়াইয়ের কাহিনিগুলিই বা অস্বীকৃত থাকবে কেন? কেন আমরা ফিরে পড়ব না সেইসব গল্প এবং গল্প রচনার পিছনের খেদ-ক্ষোভ-বুদ্ধি-প্রতিবাদ এবং শিল্পগুণকে? গত একমাস ধরে বাংলায় যে লড়াই চলছে তা মনে করিয়ে দেয় কতদিন আগে একাধিক নিরক্ষর নারী সাহস করে বেঁধেছিল এই গল্প, যেখানে একটা ছোট্ট টুনটুনি পাখিও রাজার বিরুদ্ধে বলে ওঠে, ‘রাজার ঘরে যে ধন আছে, টুনির ঘরেও সে ধন আছে।’
……………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার.ইন
……………………………………………