বাবা যখন নন্দনের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তখনও মৃণাল সেন বেঁচে। জানি না, কার সঙ্গে কথা হয়েছিল, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য না জ্যোতি বসু– বাবা বলেছিলেন, মৃণালদা বেঁচে থাকতে আমাকে কেন চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হচ্ছে। ওঁরা বাবাকে বলে-বুঝিয়ে রাজি করিয়েছিলেন। সম্ভবত সরকার তরফের যুক্তি ছিল যে, মৃণাল সেন অনেক ব্যাপারেই ‘র্যাডিক্যাল’। রাজ্য কিংবা নন্দনের যে ব্যাপারে হয়তো কোনও মতামত নেই, মৃণাল সেন সে নিয়ে হয়তো এমন কিছু বললেন, যা নিয়ে সমস্যা তৈরি হল। চেয়ারম্যান থাকাকালীনই নন্দনের এক অনুষ্ঠান চলাকালীন অসিত সেনকে দেখতে পেয়ে বাবা, তাঁকে স্টেজে তুলে নিয়েছিলেন। তখন বাংলা সিনেমার প্রায় সকলেই অসিত সেনকে ভুলে গিয়েছে। বাবা, অসিত সেনের পুনঃপরিচয় করে দিয়েছিলেন সেদিন বহু মানুষের সামনে। এই আশ্চর্য ঘটনায় অসিতদা খুবই খুশি হয়েছিলেন। পরে, অনেকবার বলেছিলেন একথা।
বাবা আদ্যোপান্ত সিনেমার লোক। তবুও সিনেমার রঙিন জগৎ থেকে আমাদের দুই ভাইকে সরিয়ে রেখেছিলেন। ছেলেবেলায় সিনেমা জগতের সঙ্গে আমাদের প্রায় কোনও যোগাযোগই ছিল না। বাবাকে অনেক বিখ্যাত মানুষরাই সপরিবার নেমতন্ন করতেন। তা তখন জানতাম না। কিন্তু পরে জেনেছি, ‘তোমাদের তো নেমন্তন্ন ছিল, শরীর খারাপ ছিল বলে আসতে পারোনি। তোমার বাবা বলেছিলেন।’ এখন সেই ভালোবাসার লোকজন অনেকেই নেই। এখন আমি বুঝি, যে, আমাদের শরীর খারাপ-টারাপ কিছু না। বাবা আমাদের একপ্রকার আড়াল করে রেখেছিলেন সিনে-জগতের এই চাকচিক্য থেকে। চেয়েছিলেন বেড়ে উঠি সাধারণভাবে।
একদিন বাবা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি ঋতুপর্ণ ঘোষ বলে কাউকে চেনো?’ আমার আর ঋতুর যেহেতু খুঁটি বাঁধা ছিল বিজ্ঞাপনের জগতে, তাই ওকে চিনতাম। বাবাকে জানালাম যে চিনি। ‘ও একটা স্ক্রিপ্ট লিখেছে, শোনাতে আসবে’, বললেন বাবা। আমি একটু অবাক হলাম, খুশিও হলাম। সময়মতো ঋতু এল। আমাদের দু’জনের কথাবার্তা দেখে বাবা আন্দাজ করতে পারলেন, আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব যথেষ্টই। ঋতু বলেছিল, ‘জিত কি থাকতে পারে, স্ক্রিপ্টটা পড়ার সময়?’ বাবা বললেন, ‘তোমার যদি আপত্তি না থাকে, নিশ্চয়ই থাকতে পারে।’ আমি ওই জীবনে প্রথম ও শেষবার বাবার সঙ্গে বসে পুরো একটা স্ক্রিপ্ট শুনেছি। বাবা পুরো স্ক্রিপ্টটা না শুনে কোনও দিন, কোনও ছবি করেননি।
ঋতুর এই স্ক্রিপ্ট ছিল ‘হীরের আংটি’র। বাবা বললেন, ঋতুর সঙ্গে আলাদা করে খানিক কথা বলতে চান। আমি নিজের ফ্ল্যাটে চলে এলাম। ঘণ্টাখানেক পরে সেখানে এসে উপস্থিত হল ঋতু। জানতে চাইল, স্ক্রিপ্টটা নিয়ে আমার কী মতামত ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা ছবির গল্পে মশগুল হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন।
বাবাকে কোনওদিনই শুটিং নিয়ে কিছু বলতে দেখিনি। ‘হীরের আংটি’র দ্বিতীয় দিনের শুটিং করার পরই আশ্চর্যভাবে বাবা আমাকে জানিয়েছিলেন, ‘ছেলেটা ভালো ডিরেক্ট করে।’ হয়তো ঋতুর সঙ্গে আমার একটা পূর্ব-আলাপ ছিল, তাই। বাবার মুখ থেকে কিন্তু এর আগে কোনও দিন, কোনও পরিচালকের ভালো-মন্দ শুনতে পাইনি। পরেও না।
বাবার যথেচ্ছ আড়াল সত্ত্বেও, যে দু’-একজন সিনেমার মানুষের সংস্পর্শ পেয়েছিলাম, তাঁর মধ্যে একজন কানন দেবী। যদিও আমি জানতাম না, কে এই কানন দেবী! ১৯৬৮ সালে পদ্মশ্রী কিংবা ১৯৭৬ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেও, আমি সে আঁচ পাইনি। কারণ বয়সে তখন আমি আড়াই-তিন। কানন দেবী থাকতেন ১ নম্বর রিজেন্ট গ্রোভে। আমরা থাকতাম রিজেন্ট গ্রোভের ৭ নম্বরে। বাড়িতে ফোন করে বলতেন, ‘একটু জিতকে পাঠিয়ে দিও।’ আমার জন্য হয়তো মিষ্টি এনেছেন বা পায়েস-কেক বানিয়ে রেখেছেন। আমি চলে যেতাম। আয়ার সঙ্গে গিয়ে পৌঁছতাম কানন দেবীর বাড়ি। অনেকদিনই হয়েছে সেখানে সারাদিন থেকেছি। ওঁর বাড়ির মতো অপূর্ব-দর্শন বাড়ি আমি বহুকাল দেখিনি। একটা আশ্চর্য ডিজাইনের একতলা বাড়ি, সামনে বাগান। পরে জেনেছিলাম, সে বাড়ির ডিজাইন কোনও আর্কিটেক্টের করা নয়, এক শিল্পীর মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি– সুভো ঠাকুর।
আমার তখন ৫-৭ বছর বয়স। সাহেব-মতে, ছোটরা ৮টা নাগাদ খেয়ে-দেয়ে শুতে চলে যেতাম। সেদিনও সেইরকম হয়েছিল। কিন্তু মাঝের কোনও একটা সময় আমাকে ঘুম থেকে তোলা হল। কী ব্যাপার? জানতে পারলাম, উত্তমকুমার আমাকে দেখতে চান। খুব ফিসফিসিয়ে বলা হল, যাতে দাদার ঘুম না ভেঙে যায়। সেদিন রাতে, আমাদের বাড়িতে নেমতন্ন ছিল উত্তমকুমারের। ছোটদের সঙ্গে যেমন কথা হয়, পাঁচ রকমের এটা-সেটা জিজ্ঞেস করলেন, প্রচুর আদর করলেন! তারপর আমি, নির্বোধের মতো ফের ঘুমোতে চলে গেলাম! আমাদের বাড়ির উল্টোদিকের মাঠে ততক্ষণে ভিড়ে ভিড়াক্কার। জানাজানি হয়ে গিয়েছে যে, উত্তমকুমার এসেছেন এই বাড়িতে। অনেকটা রাত হয়েছিল সেদিন আমাদের বাড়ি থেকে বেরতে, তবুও, ওই ভিড়ের দাঁড়ানো মানুষদের উত্তমকুমার হতাশ করেননি। দাঁড়িয়েছিলেন খানিক, দু’চার কথা বলে, হাত নেড়ে– চলে গিয়েছিলেন গাড়ির ধুলো উড়িয়ে।
আমরা যখন ছোটবেলা কাটাচ্ছি, তখন আলাপ হয় বাপিদার সঙ্গে। আমার থেকে অল্পই বড়। তেমন সচ্ছল পরিবারের নয় সে। এখন যেখানে মাস্টারদা ক্লাব, সেই ক্লাবের পিছনে অনেকটা জমি জুড়ে ছিল ওদের বাড়ি। সে বাড়ির ইতিহাস অবশ্য আমি জানি না। সেই বাড়ির ছাদের ঘরে, বাপিদার বাবা-মা আর বাপিদা থাকত। বাপিদা দাদার থেকে বয়সে সামান্য বড় ছিল। আমার বাবা-মা প্রায়শই বাপিদাকে খাওয়াদাওয়ার জন্য বাড়িতে ডাকতেন।
মজার কথা, এই বাপিদার সঙ্গে সিনেমার একটা যোগাযোগ ছিল। ‘শঙ্খবেলা’ নামের একটা ছবিতে ও অভিনয় করেছিল। যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার, মাধবী মুখোপাধ্যায় ও আমার বাবাও। সেখানে বাপিদা বাচ্চা ছেলে। বাপিদা হয়েছিল মাধবীপিসি আর উত্তমকুমারের ছেলে। আর বাবার চরিত্র ছিল ডাক্তারের। অনেক পরে, শুনেছিলাম যে, একটি অপারেশনের সিনে এক মহিলা বা পুরুষের অভিনয় ছিল ভুল যন্ত্রপাতি বাবার হাতে তুলে দেওয়ার। বাবা তাতে বিরক্ত হয়ে ঠিক জিনিসটা দেওয়ার কথা বলবেন। সিনটা সামান্য হলেও বিপরীতে যিনি ছিলেন, তিনি একেবারেই রাজি হচ্ছিলেন না নাকি! তার কারণ, এই ভুলটা সিনেমায় থেকে যাক, তিনি চাইছিলেন না। তিনি সত্যি সত্যিই একসময় নাকি ওটিতে কাজ করতেন।
যে-সময়ের কথা হচ্ছে তখন সিনেমার ব্যাকড্রপ আঁকা হত। আমি বাপিদার বাবাকে দেখেছি সেই ব্যাকড্রপ আঁকতে। ৩০ ফুট বাই ২০ ফুট সাইজ হবে সেসবের। শীতকালে সেই ব্যাকড্রপ আঁকার পর ছাদে শুকোতে দিতেন তিনি। বড় হতে হতে বাপিদার সঙ্গে যোগাযোগ কমে যায়।
বাবার সঙ্গে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কবে থেকে যোগাযোগ, আমি জানি না। তবে প্রসেনজিৎ-পল্লবীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ খুব ছোটবেলা থেকেই। কারণ আমরা প্রায় একই বয়সি। ওরা থাকত আমাদের পাশের পাড়াতেই। বাঁশদ্রোণী বাজারের পিছনে, নাকতলায় ওদের একটা বাড়ি ছিল। সেই বাড়িতে খুবই হইহই, খাওয়াদাওয়া হত। ছুটির দিনে এমনও হয়েছে যে, বাবা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন ওরা বাড়ি আছে কি না। সেক্ষেত্রে যাওয়ার পথে ওদের বাড়িতে নামিয়ে নিজের কাজে চলে গিয়েছেন বাবা। বিশ্বজিৎকাকা পরবর্তীকালে এয়ারপোর্টের দিকে চলে যান। সেখানেও আমরা গিয়েছি। তবে খুবই কম।
একবার ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রোডাকশন হাউস’-এর অর্জুন গৌরীসারিয়ার একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করছি। অর্জুনের উপরোধে পরিচালক আমিই। বলল, সেট আপ করা, আর্ট ডিরেক্টরও রয়েছে। ফলে আমার না করার জো নেই। উপস্থিত হয়েছি স্পটে। জানতে পারলাম, পল্লবী অভিনয় করছে এই বিজ্ঞাপনে। সেই ছোটবেলার বন্ধু, এত বছর পেরিয়ে গিয়েছে মাঝখানে, যে, আমাকে আর চেনার কোনও কারণ নেই। আমি সে কারণে ওর সঙ্গে সংলাপেই যাইনি। ওমপি– বিখ্যাত মেকআপ আর্টিস্ট পল্লবীকে গিয়ে বলেছিল, কী ব্যাপার বলো তো, বিখ্যাত লোকের ছেলে আর বিখ্যাত লোকের মেয়ে মিলে শুটিং হচ্ছে! পল্লবী তখনই জানতে পারে আমার পিতৃপরিচয়। জড়িয়ে ধরে বলে, ‘আরে! তুই ছবি ডিরেক্ট করছিস!’ আবার আমাদের যোগাযোগ শুরু হয়। দাদা আর প্রসেনজিৎ-এর শেষ দেখা হয়েছিল পল্লবীর বিয়ের নেমতন্ন করতে আসার সূত্রে, তারপর সম্ভবত আর দেখাসাক্ষাৎ হয়নি ওদের।
পরিচালক দীনেন গুপ্তর সঙ্গে কাজের সূত্রেই বাবার সখ্য হয়েছিল বেশ। আমরা বলতাম ‘খোকাদা’। থাকতেন গল্ফগ্রিনের কাছে। মাঝে মাঝে ওঁর অ্যাম্বাসেডার নিয়ে চলে আসতেন বাড়িতে। তার বহু পরে, অসিত সেনের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হয়েছিল। ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’-সহ বহু ছবির পরিচালক ছিলেন তিনি। একটা সময় বোম্বেতে পরিচালক হিসেবে নামডাক হয় খুবই। পরে, কলকাতায় ফিরে আসেন। অসিতদাও সকালবেলায় গল্প করতে চলে আসতেন। তখন সিনেমাজগৎ নিয়ে নানা গল্প হত আমার সঙ্গেও। অসিতদার মা যখন মারা যান, তখন ওই প্রথমবারের জন্য আমি নিয়ম ভেঙে কোনও শ্রাদ্ধবাড়ি গিয়েছিলাম। বাবা-ই নিয়ে গিয়েছিলেন সঙ্গে করে।
আমাদের বাড়িতে একটা মাঝারি সাইজের টেবিল ছিল। দু’ফুট বাই দু’ফুট। একটু উঁচু। ছোটবেলায় ওই টেবিলে আমাদের ওষুধ, গরম জল, টুকিটাকি জিনিস থাকত। সে বয়সে কোনও দিন মনে হয়নি যে, টেবিলটা আশ্চর্য রকমের উঁচু! কোথা থেকে এরকম টেবিল জুটল এ বাড়ির ভাগ্যে, মনে হয়নি একথাও! আমি যখন সিনেমাগজতে প্রায় যুক্ত হতে চলেছি, সে বয়সে এসে এই ‘টেবিল রহস্য’ খোলসা হয়। বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোথা থেকে এই টেবিলটা এল? বাবা তখন বলেছিলেন, ‘এটা সুধেন্দু রায়ের টেবিল ছিল।’ সুধেন্দু রায় দুরন্ত আর্ট ডিরেক্টর ছিলেন। ফ্লোরে গিয়ে এই টেবিলেই তিনি স্কেচ করতেন। উল্লেখ্য, পরিচালক বিমল রায়ের অধিকাংশ ছবিরই আর্ট ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।
পরবর্তীকালে সে টেবিল আমার অফিসেও রেখেছিলাম। একদিন আমার বন্ধু ও ক্যামেরাম্যান অভীক মুখোপাধ্যায় টেবিলটা দেখে উৎসুক হয়ে পড়ে। আমিও সুধেন্দু রায়ের কথাটা বলি। এ ঘটনার অনেক দিন পর, ২০০৪-’০৫ সালে অভীক ‘বান্টি অউর বাবলি’ শুটিং করতে যায় যখন, তখন জানতে পারে সে ছবির আর্ট ডিরেক্টর আর কেউ নয়– সুধেন্দু রায়ের মেয়ে– শর্মিষ্ঠা রায়। শর্মিষ্ঠা রায়কে অভীক জানিয়েছিল তাঁর বাবার টেবিল বসন্ত চৌধুরীর ছেলের অফিসে এখনও রয়েছে। পরে, সে ছবির শুটিংয়েও গিয়ে পৌঁছেছিলাম আমিও। শর্মিষ্ঠার সঙ্গেও আলাপ হয়েছিল।
‘মালঞ্চ’ নামের যে সিনেমা হল ছিল, তা আমাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার এগিয়ে, এনএসি বোস রোডের ওপরে। মালঞ্চর সামনে একসময় একটা ওষুধের দোকান ছিল, নাম সম্ভবত ‘টুইন অ্যান্ড কোম্পানি’। দুই ভাইয়ের দোকান। একেবারে একইরকম দেখতে, তাই দোকানের ওই নাম। মজার ব্যাপার, দুই ভাই-ই অভিনয় করত। নানা ছোটখাটো রোলে। শুনেছিলাম, ওরা নয় নয় করে প্রায় ১০০টা ছবিতে কাজ করেছে। এমনও হয়েছে, কোনও এক ভাই ব্যস্ত, পরের দিন শুটিংয়ের ডেট রয়েছে, অন্য ভাই চলে গেল তার বদলে! এবং পরিচালক, কোনওভাবে চিনতে পারেনি আগের দিন অন্য ভাইকে নিয়ে কাজ করলেও!
বাবা কোনও এক জাদুবলে ওদের চিনতে পারতেন। মানে, দু’জনকে খুব সচেতনভাবে আলাদা করতে পারতেন। কোন উপায়ে বাবা চিনতে পারতেন একেবারে হুবহু যমজ দুই ভাইকে? না, কখনও জিজ্ঞেস করা হয়নি একথা। আশ্চর্য টেবিলটার রহস্য ফাঁস হলেও, বসন্ত চৌধুরীর এই অবিকল যমজ চিনতে পারার রহস্যটা ভেদ করা হয়নি কোনও দিন! আর কখনও হবেও না।
………………………………………………………
অনুলিখন সম্বিত বসু
——– পড়ুন বসন্তপঞ্চমীর অন্যান্য পর্ব ——–
পর্ব ২ : ভোরবেলার ঘোড়সওয়ার এবং বসন্ত চৌধুরীর পোষ্যকুল
শুধু দই দিয়ে বিচার করলে দক্ষিণ কলকাতাকে উত্তর কলকাতা ১০ গোল দেবে! শ্যামবাজার ছাড়িয়ে সিঁথি, বরানগর, ব্যারাকপুরের দিকে যত যাওয়া যায়, সেই পথেও চমৎকার সব মিষ্টির দোকান আছে। সেখানকার রসগোল্লা মোটেই ‘স্পঞ্জ’ নয়। এবং অরিজিনাল দই তৈরি হয় সেখানে– যাকে বলে ‘পয়োধি’!