‘কৃতি’-র আয়োজনে জি. ডি. বিড়লা সভাঘর মাতালেন শিল্পী জয়তী চক্রবর্তী, তাঁর ভিন্নধর্মী একক ‘হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ্য’ অনুষ্ঠানে। ‘রক্তকরবী’র শতবর্ষকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গাইলেন ‘তোমায় গান শোনাবো’, পরিবেশন করলেন ‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে’ সহ আরও বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীত এবং পাঠ করলেন কবিগুরুকে নিয়ে একটি লেখা। ভিন্নধর্মী একক, তাই তার নৈবেদ্যর ডালিতে ছিল গজল, লোকগান, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত সেনের গান আর ছিল সলিল চৌধুরী, জয় সরকার ও শ্রীকান্ত আচার্যের সুরে কয়েকটি আধুনিক বাংলা গান।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩– বড়দিনের প্রাক্কালে, ক্রিসমাস ইভের সুরে, কথায় ও ছন্দে জি. ডি. বিড়লা সভাঘর মাতালেন শিল্পী জয়তী চক্রবর্তী। ‘কৃতি’-র আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে পরিপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে জয়তীর ভিন্নধর্মী একক ‘হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ্য’ মুগ্ধ করে শ্রোতা বন্ধুদের।
তাঁর বন্ধুবর, অর্থাৎ সকলের রবিঠাকুর, তাঁর হাতটি ধরে রেখেই এবং ‘রক্তকরবী’র শতবর্ষকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গাইলেন ‘তোমায় গান শোনাবো’, পরিবেশন করলেন ‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে’ সহ আরও বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীত এবং পাঠ করলেন কবিগুরুকে নিয়ে একটি লেখা। ভিন্নধর্মী একক, তাই তার নৈবেদ্যর ডালিতে ছিল গজল, লোকগান, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত সেনের গান আর ছিল সলিল চৌধুরী, জয় সরকার ও শ্রীকান্ত আচার্যের সুরে কয়েকটি আধুনিক বাংলা গান। অনুষ্ঠানের নামকরণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গাইলেন ‘প্রেম এসেছিল নিঃশব্দ চরণে’।
শিল্পীর জীবনযুদ্ধের প্রসঙ্গে কিছু কথায় তাঁর গাওয়া প্রথম আধুনিক বাংলা গান একটি চলচ্চিত্র থেকে বাদ পড়ার ক্ষোভও প্রকাশ পায় কণ্ঠে। এক সুসজ্জিত মঞ্চে জয়তীর ভিন্নধর্মী একক অনুষ্ঠানের প্রত্যেক মুহূর্তগুলিকে উপভোগ করলেন উপস্থিত দর্শকবৃন্দ। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সের শ্রোতা তো বটেই, প্রবীণ নাগরিকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সংগীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্যর স্বস্ত্রীক উপস্থিতি সহ বহু গুণী মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠানটি এক ভিন্ন মাত্রা লাভ করে। শুধু গানে সীমাবদ্ধ না থেকে জয়তী পাঠ করলেন বেশ কিছু গুণী মানুষের সৃষ্ট লেখা তাঁর পরিবেশিত সংগীতের রেশটা রেখে।
আসলে এই ভিন্নধর্মী এককে নিজের ভালোলাগাকেই মূলত প্রাধান্য দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করলেন জয়তী চক্রবর্তী। শৈশবে ফিরে গিয়ে গাইলেন ‘আমরা এমনি এসে ভেসে যাই’। ছিল তাঁর আরও কিছু শোনানোর, কিন্তু সময়ের বন্ধনে তা সম্ভব হল না। তাই কৃতি-র ডাকে আরও একবার সাড়া দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েই তাঁর কন্ঠে ভেসে এল ‘নীল আকাশের নিচে এই পৃথিবী, আর পৃথিবীর পরে এই নীল আকাশ– তুমি দেখেছ কি?’ শেষ করলেন তাঁর ভিন্নধর্মী একক ‘হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ্য’।