কৌতুক আবিষ্কার করেছেন, ওই ছবিতে টম ক্রুজ যে চূড়োয় বসে পা দোলাচ্ছে তাতে মার্কার দিয়ে লেখা আছে ‘সতীশ সচদেভা ২০-০৫-২০০৫, ১২-০৩-২০১০’। বুর্জ খালিফা তৈরি করতে এই সময়কালটাই মানে ওই ছ’বছর মতো সময় লেগেছিল। তাই মনে মনে করা হচ্ছে, উনি খালিফার নির্মাণকর্মীদের মধ্যে কেউ একজন হবেন। তবে উনি যেই হন, এই যে পৃথিবীর উচ্চতম স্থাপত্যের মাথায় নিজের নাম লিখে দিতে পেরেছেন, এটাই কী একটা ধুমতানানা ব্যাপার হল না! আলবাত হল।
এই পৃথিবীর আখাম্বাতম বিল্ডিং এর নাম যে বুর্জ খালিফা, এ কথা তো মোটামুটি আমরা সকলেই জানি। কী ভাবছেন, ‘আখাম্বাতম’ বলেছি মানেই বুর্জ খালিফার ওপর আমার একটা রাগ আছে তাই তো? এটাই ভাবছেন তো? তাহলে বলি যে… হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ভাবছেন। না, মানে আমার প্রশ্নটা হল, যে তুই খামোকা একটা ১৬৩ তলার বাড়ি বানাতে যাবিই বা কেন?
আমাদের এখানে চারতলার পারমিশন পেতেও প্রোমোটারদের জান কয়লা হয়ে যায়! তারপরও প্রতি ফ্লোরে চারটে করে সিরিয়াল ঝলমল পরিবার থাকতে পারে! তোর ওই বাড়িতে থাকবেটা কেডা? শালা! আমাদের অযোধ্যা পাহাড়ের হাইটই মেরেকেটে ২,৩০০ ফুট, তুই একটা ২,৭২২ ফিটের মাল নামিয়ে দিলি! এটা কোনও কথা হল!
………………………………………………………………………………………………
ইদানীং, বুর্জ খালিফাকে একেবারে আগে থেকেই নুন গোলমরিচ ছড়ানো টলটলে সেদ্ধ ডিমের মতো স্নিগ্ধ লাগছে। মিষ্টি একেবারে! কারণ কৌতুক শ্রীবাস্তব নামের একটা কমেডিয়ান আবিষ্কার করেছেন যে, বুর্জ খালিফাকে ‘সতীশ টাওয়ার’ নামেও ডাকা যায়। সতীশ টাওয়ার! আহা গো, শুনলেই মনে হচ্ছে খাবার ডেলিভারি দিতে আসা মানুষটাকে আমি নিজের দোষেই ঠিকানাটা বুঝিয়ে দিতে পারছি না, আর ও বেচারা তাও আমার রাগটা সহ্য করে যাচ্ছে! এতটা কাছের, এতটা আপন হয়ে হয়ে উঠেছে মিষ্টি বুর্জুটা আমার একেবারে!
……………………………………………………………………………………………….
না হয় মানছি, তোদের প্রচুর পয়সা আছে! মানছি তোরা বাঘ, ভাল্লুক পুষেও সেই পয়সা শেষ করতে পারছিস না! তাহলে নতুন কিছু একটা কর! ডলফিনকে কথা বলতে শেখা, কেউ একটা ব্যাটম্যান হয়ে যা, আমার অ্যাকাউন্টে কিছু পাঠা, কিন্তু না! আমরা এসব কিচ্ছু করব না! আমরা টম ক্রুজের জন্যে ভার্টিকাল ফুটপাত বানাব! তাও মানতাম এমন কিছু বানাতি, যেটা দেখে অন্তর থেকে ‘জিনিসটা দেখসো, কিরম ওয়াও না’ বলতে ইচ্ছে করত তাও বুঝতাম! সিমেন্টে কমপ্ল্যান গুলে দিয়েছে! বিরক্তিকর… এতদিন লাগতো, আর লাগছে না!
ইদানীং, বুর্জ খালিফাকে একেবারে আগে থেকেই নুন গোলমরিচ ছড়ানো টলটলে সেদ্ধ ডিমের মতো স্নিগ্ধ লাগছে। মিষ্টি একেবারে! কারণ কৌতুক শ্রীবাস্তব নামের একটা কমেডিয়ান আবিষ্কার করেছেন যে, বুর্জ খালিফাকে ‘সতীশ টাওয়ার’ নামেও ডাকা যায়। সতীশ টাওয়ার! আহা গো, শুনলেই মনে হচ্ছে খাবার ডেলিভারি দিতে আসা মানুষটাকে আমি নিজের দোষেই ঠিকানাটা বুঝিয়ে দিতে পারছি না, আর ও বেচারা তাও আমার রাগটা সহ্য করে যাচ্ছে! এতটা কাছের, এতটা আপন হয়ে হয়ে উঠেছে মিষ্টি বুর্জুটা আমার একেবারে!
কিন্তু কী ভাবে হল এই নামকরণ?
টম ক্রুজের একটা ছবি আছে না যেটায় ও বুর্জ খালিফার মাথায় উঠে হাঁটু-ফাটু বার করে দাঁত-ফাত কেলিয়ে এমনভাবে বসে আছে যেন তাজপুরে সমুদ্রের ধারে বসে পমফ্রেট ভাজার অপেক্ষা করছে। আপনিই বলুন তো আমাদের মতো যাদের মেট্রোর খাড়াই সিঁড়িতে উঠতেই মাথা ঘোরে, তাদের এই ছবি দেখে রাগ হবে কি হবে না! তা যাকগে, বাদ দিন এসব উদ্ভট লোকজনের কথা! আসল কথাটা বলি।
…………………………………………………………………………………..
আরও পড়ুন সৌমিত দেব-এর লেখা: আমাদের মগজাস্ত্র নেই তাই নতুন ফেলুদা এলেই হামলে পড়ি
…………………………………………………………………………………..
কৌতুক আবিষ্কার করেছেন, ওই ছবিতে টম ক্রুজ যে চূড়োয় বসে পা দোলাচ্ছে তাতে মার্কার দিয়ে লেখা আছে ‘সতীশ সচদেভা ২০-০৫-২০০৫, ১২-০৩-২০১০’। বুর্জ খালিফা তৈরি করতে এই সময়কালটাই মানে ওই ছ’বছর মতো সময় লেগেছিল। তাই মনে মনে করা হচ্ছে, উনি খালিফার নির্মাণকর্মীদের মধ্যে কেউ একজন হবেন। তবে উনি যেই হন, এই যে পৃথিবীর উচ্চতম স্থাপত্যের মাথায় নিজের নাম লিখে দিতে পেরেছেন, এটাই কী একটা ধুমতানানা ব্যাপার হল না! আলবাত হল। এভাবেই একদিন পৃথিবীর প্রতিটি বিত্তের সিংহনাদে লেখা হয়ে যাবে শ্রমিকের নাম, আর সেই ঘটনা বিক্রি করে আমরা পয়সা তুলব। তারপর সেই পয়সায় গজাবুরুর মাথায় উঠে.. ওহ ওটাও তো বেঁটে! ধুস, ভাল্লাগে না!
…………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………………….
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved