Robbar

হাংরি আন্দোলনের সালতামামি

Published by: Robbar Digital
  • Posted:October 26, 2023 4:32 pm
  • Updated:October 26, 2023 4:46 pm  

প্রয়াত হলেন মলয় রায়চৌধুরী। হাংরি আন্দোলনের রূপকার। আজীবন প্রতিষ্ঠান-বিরোধী। আন্দোলন, তত্ত্ব এবং সেই সংক্রান্ত মতপার্থক্য নিয়ে বাংলা ভাষায় বিতর্কের কোনও শেষ নেই। এই বিতর্কই আসলে জিইয়ে রাখে একজন স্রষ্টাকে। একজন কবি ও গদ্যকারকে। ভাষাকে সেই বাঁচিয়ে রাখে, যে আক্রমণ করে ভাষা। মলয় রায়চৌধুরী তাঁদেরই একজন। কী ঘটেছিল হাংরি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে, প্রথম ২০ বছরের ইঙ্গিত মিলবে হাংরির এই সালতামামিতে। পুনর্মুদ্রিত হল ‘হাওয়া ৪৯’ পত্রিকাকে সৌজন্য জ্ঞাপন করে।    

১. পাটনায় দরিয়াপুরে ১৯৬১ সালে সমীর রায়চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, দেবী রায় ও মলয় রায়চৌধুরী কর্তৃক আন্দোলন আরম্ভ করার সিদ্ধান্ত।
২. নভেম্বর ১৯৬১: প্রথম হাংরি বুলেটিন পাটনা থেকে ইংরেজিতে প্রকাশিত।
৩. ১৯৬২: প্রথম বাংলা বুলেটিন দেবী রায় কর্তৃক হাওড়ায় মুদ্রিত ও প্রকাশিত ।
৪. ১৯৬৩: মুখোশ বিতরণ। পোস্টার প্রকাশিত হল।

মলয় রায়চৌধুরী

৫. ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ শতাধিক হাংরি বুলেটিন প্রকাশিত। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাবৃদ্ধি। অনেকে আন্দোলন ত্যাগ করলেন; অনেকে যোগ দিলেন।
৬. ১৯৬৩-৬৪: ছবি আঁকাতেও আন্দোলন প্রসারিত হল ।
৭. ১৯৬৩-৬৫: ভারতের অন্যান্য ভাষা ও পূর্ব-পাকিস্তানে আন্দোলনের প্রভাব প্রসারিত।
৭. ১৯৬৩-৬৫: ভারতের অন্যান্য ভাষা ও পূর্ব-পাকিস্তানে আন্দোলনের প্রভাব প্রসারিত।
৮. ১৯৬৪-৬৫: ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লাতিন আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার পত্র-পত্রিকায় হাংরি আন্দোলন নিয়ে আলোচনা।
৯. সেপ্টেম্বর ১৯৬৪: হাংরি আন্দোলনের বিরুদ্ধে এফআইআর। কয়েকজন গ্রেপ্তার। আন্দোলন ত্যাগ করে কয়েকজন মুচলেকা দিলেন।

মলয় রায়চৌধুরী

১০. মে ১৯৬৫: মলয় রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জশিট। জনাকয় আন্দোলনকারী রাজসাক্ষী ও সরকার পক্ষের সাক্ষীতে রূপান্তরিত। অর্থাৎ ১৯৬৫-তে হাংরি আন্দোলন ফুরিয়ে যায়।
১১. ডিসেম্বর ১৯৬৫: নিম্ন আদালতে মলয়ের সাজা।
১২. জুলাই ১৯৬৭: উচ্চ আদালতে নিম্ন আদালতের রায় নাকচ।
১৩. ১৯৭০-এর পর উত্তরবঙ্গ ও ত্রিপুরায় বিভিন্ন সময়ে তরুণ সাহিত্যিকরা নিজেদের হাংরি আন্দোলনকারীরূপে ঘোষণা করেছেন। মূল আন্দোলনের তাত্ত্বিক ভিত্তির সঙ্গে এঁদের সরাসরি পরিচয় ছিল না।