‘অপারেশন সানশাইন’-এর সময় বটতলা থানায় এক ভদ্রমহিলাকে রাত-দুপুরে বসে থাকতে দেখে ধর্নারত এক বিশিষ্ট আন্দোলনকারী কৌতূহলবশে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তিনি থানায় বসে আছেন। ভদ্রমহিলা বলেছিলেন, তিনি থানায় বসে আছেন গ্রেফতার হওয়া হকারদের মুক্তির অপেক্ষায়। এই ভদ্রমহিলা কিন্তু যথেষ্ট সম্পন্ন আর এমনটা নয় যে, তিনি রোজ থানায় গিয়ে বন্দিদের মুক্তির অপেক্ষায় বসে থাকেন। আসলে তিনি হাতিবাগানের ফুটপাতে হাঁটা অনেক মানুষের এক জন, যিনি হকারদের সঙ্গে মিতালি পাতিয়ে ফেলেছিলেন। দরদাম করে কেনাকাটায় মানুষে-মানুষে সম্পর্ক তৈরি হয়, একটা সামাজিক বোঝাপড়া তৈরি হয়।
২০০৫ থেকে ২০১০ সাল অবধি আমি কলকাতার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। এই কাজের বৃহত্তর উদ্দেশ্য ছিল বিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে কলকাতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও জনপরিসরের একটি অনুকাহিনিমূলক ইতিহাস (anecdotal history) লেখা। ২০০৭ সালে বিশিষ্ট ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অশোক ঘোষের একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তখন আমি কলকাতার ফুটপাত নিয়ে আমার পিএইচডি সন্দর্ভটি লিখছি। সেটি ছিল ওই বড় কাজের একটি ছোট অধ্যায়। ফুটপাতের ইতিহাস লিখতে গেলে হকারদের কথা আসবেই। কিন্তু, মুশকিল হল এই যে, সরকারি দলিল-দস্তাবেজে হকারদের কথা তেমনভাবে পাওয়া যায় না। শহরের ইতিহাস লেখার জন্য উপযোগী যেসব উপাদান সরকারি মহাফেজখানায় মজুত আছে, তা ব্যবহার করে রাস্তা আর ফুটপাত নিয়ে অনেক কিছু লেখা সম্ভব। কিন্তু, সেখানে সমাজের অসংগঠিত ও প্রান্তিক মানুষজনের দেখা বড় একটা মেলে না। অতঃপর, আপনি যদি শ্রমিক আন্দোলনের দস্তাবেজ থেকে হকারদের কথা জানতে চান, তো দেখবেন সেখানে কেবলই সংগঠিত শ্রমিক শ্রেণির ভিড়। প্রায় সবাই কলকারখানার শ্রমিক, কারখানায় এক ছাতার তলায় কাজ করেন, আর কারখানার পাশেই বস্তিতে একা বা পরিবার নিয়ে বাস করেন। তাই, হকারদের ইতিহাস লিখতে গেলে পুরনো কালের মানুষজনের স্মৃতির ওপর নির্ভর করতেই হবে।
‘বিগতকাল’ আমাদের প্রত্যক্ষ উপলব্ধির সীমানার বাইরে। হয় স্মৃতি, নয় নথির সাহায্য নিয়েই আমরা বিগত সময়কে খানিকটা ধরতে পারি। অশোক ঘোষের কথা এই কারণেই আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। প্রবীণ ব্যক্তি, আর হকার আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘকালের সম্পর্ক। শোনা যায় যে, বামফ্রন্টে থাকা সত্ত্বেও ‘অপারেশন সানশাইন’ তিনি কোনও দিনই সমর্থন করেননি। বরং, নিজে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হকারদের পুনরায় ফুটপাতের দখল নিতে সাহায্য করেছিলেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ! খাতা-পেনসিল নিয়ে পার্টি অফিসে চলে গেলাম। পুরনো বামপন্থী নেতাদের জীবনযাপনে কোনও চাকচিক্য থাকত না। সময় পাওয়াও দুষ্কর ছিল না। সে যা-ই হোক, অশোক ঘোষ বেশ কয়েক দিন ধরে আমাকে হকারদের কথা বুঝিয়ে বললেন। এই প্রবন্ধে আমি অশোক বাবুর থেকে শোনা তিনটি গল্প বলব, আর সেগুলির মধ্য দিয়ে বোঝার চেষ্টা করব এমন কোন বলে হকাররা বলীয়ান, যার ফলে শত উচ্ছেদের পরেও কলকাতার ফুটে হকার ফুটে ফুটে ওঠে। আমার বিশ্বাস, কেবল তোলা আর রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার বাহানা দিয়ে এই পেশার স্থায়িত্বের বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।
প্রথম গল্প
সেটা ১৯৫০ সাল। কলকাতা শহরে উদ্বাস্তু উপচে পড়ছে। সে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরই হোক বা পার্ক– সর্বত্র গৃহহীন মানুষের ভিড়। ফাঁকা জায়গার দেখা পেলেই জবরদখল। আশপাশে মুসলিমদের বসতি চোখে পড়লে সেগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। উদ্বাস্তুদের ক্রয়ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত আর সদ্যস্বাধীন শহরে চাকরিও অমিল। ঠিক এরকম এক সময়ে কিছু উদ্বাস্তু শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে, হাতিবাগান, শ্যামবাজার পাঁচ-মাথার মোড়ে, আর গড়িয়াহাটে পসরা সাজিয়ে বসলেন। উদ্বাস্তুদের চাহিদা উদ্বাস্তুরাই মেটাবেন। পাইকারি বাজার থেকে সস্তায় নিত্যব্যবহার্য পণ্য কিনে সস্তায় বিক্রি করতে হবে। কিন্তু, উদ্বাস্তুরা তো কলকাতায় নতুন। মহাজনেরা তাঁদের চেনেন না। কাজেই ‘বাকিতে’ কারবার চালানো প্রায় অসম্ভব! এ কথা বুঝতে পেরে বিশিষ্ট ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হেমন্ত বসু এগিয়ে এলেন। তাঁর কাছে এই সমস্যার একটি সমাধান ছিল। তিনি উদ্বাস্তু হকারদের ঐক্যবদ্ধ করে একটি ইউনিয়ন বানালেন, ‘বেঙ্গল হকার্স অ্যাসোসিয়েশন’। ইউনিয়নের কর্তারা মহাজনদের কাছে গিয়ে বললেন যে, সংগঠন হকারদের বাকি পরিশোধ সুনিশ্চিত করবে। পণ্য বিক্রি হওয়া মাত্র তাঁরা টাকা পেয়ে যাবেন। এই কথায় কাজও হল। বহু হকার ফুটপাতে বসে তাঁদের পরিবারের ভাত-কাপড়ের বন্দোবস্ত করতে সক্ষম হলেন।
১৯৫৩ সালের ট্রাম ধর্মঘটে হকারদের এই নতুন ইউনিয়ন শামিল হয়েছিল। অনেক সময় আন্দোলনকারী জনতা হকারদের থেকে বিনামূল্যে খাবারদাবার সংগ্রহ করেছেন। সত্য ভাদুড়ি নামে একজন হকার তো আন্দোলন চলা কালে পুলিশের গুলিতে প্রাণ বিসর্জন দিলেন। অশোক ঘোষ মনে করতেন, ট্রাম আন্দোলন কলকাতার হকারদের একটি রাজনৈতিক চেতনা জুগিয়েছিল। এই আন্দোলন ছিল ছাত্র, শিক্ষক, কেরানি, হকার, আর উদ্বাস্তুদের লড়াই। আর ট্রাম-ডিপো মানেই হকার। এইসব দোকানেই আন্দোলনকারীদের আড্ডা বসত। দেশ-বিদেশের নানা ধরনের কথা আলোচনা হত। সকালে হয়তো কোনও এক চায়ের দোকানে জটলা পাকিয়ে খবরের কাগজ পড়া হত। আন্দোলন শেষ হয়, কিন্তু ছেলেদের জটলা পাকানোর অভ্যাসটা থেকেই যায়। কলকাতার লোক মাত্রই এটা জানেন যে, ফুটপাতের দোকানে ছেলে-বুড়োদের আড্ডা আর রাজনীতি-চর্চা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। উত্তর-ঔপনিবেশিক কালে কলকাতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও জনপরিসরের ইতিহাস লিখতে গেলে তাই হকার-প্রসঙ্গ এসেই পড়ে। একদমই টানাহ্যাঁচড়া করতে হয় না।
দ্বিতীয় গল্প
১৯৫২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়ের হুকুমে কলকাতা পুলিশ কলেজ স্ট্রিট ফুটপাতের কিছু বইয়ের দোকান তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। উচ্ছেদ চালানোর প্রচেষ্টা হয়েছিল প্রেসিডেন্সি কলেজের দিকের ফুটপাতে কলেজের গেটের দু’পাশে আর উল্টোদিকের ফুটে হিন্দু স্কুল থেকে মির্জাপুর স্ট্রিটের মোড় অবধি। অনেক দিন পর এক দিন হঠাৎ কলেজ স্ট্রিট ঘুরতে এসে প্রবীণ মুখ্যমন্ত্রী নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল যে, এই হকারদের জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজের অমন মন-কাড়া সৌধটি চোখের আড়ালে চলে গেছে। অন্যদিকে, রাত্রিবেলায় আলো জ্বালালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা সুন্দর ছায়া পড়ত কলেজ স্কোয়ারের টলটলে জলে, সেটিও আর দেখা যায় না। অতঃপর মুখ্যমন্ত্রী কলেজ স্ট্রিট থেকে হকার উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেন।
সেদিন এই কাজে বাধ সেধে ছিলেন কলেজ পাড়ার ছাত্র-শিক্ষকেরা। পুলিশ আর কর্পোরেশনের লোকজন দোকান ভাঙতে আসা মাত্র কলেজ স্ট্রিটের ছাত্র-শিক্ষকেরা দোকানগুলির সামনে হাত ধরাধরি করে চটপট একটি ‘মানব-শৃঙ্খল’ বানিয়ে ফেললেন। ট্রাম-বাস থমকে গেল। কলকাতার নাগরিকেরা, বিশেষত ছাত্রেরা সেই ১৯২০-র দশক থেকে পিকেটিং-মিছিল-ব্যারিকেড-হরতালে হাত পাকিয়েছেন। কাজেই এ রকম একটি গোলযোগ সৃষ্টি করতে তাঁদের একটুও সময় লাগল না। একদল শিক্ষক মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বোঝালেন যে, কলেজ স্ট্রিটের হকাররা যেভাবে সস্তায় ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ বইয়ের জোগান দেন আর দুষ্প্রাপ্য বইয়ের হদিশ দিতে পারেন– সে রকমটি কিন্তু প্রতিষ্ঠিত পুস্তক ব্যবসায়ীরাও পারেন না। এসব শুনে প্রাজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রীর সম্বিৎ ফেরে। তিনি তৎক্ষণাৎ উচ্ছেদ বন্ধের নির্দেশ দেন আর ঘোষণা করেন যে, কাছেপিঠে কোথাও একটা হকারদের জন্য বইয়ের বাজার তৈরি করা হবে। আর সেখানেই সব বই-হকারের ঠাঁই হবে। যতদিন পর্যন্ত সরকার এমন কোনও বন্দোবস্ত না করে দিতে পারছে, ততদিন পর্যন্ত কলেজ স্ট্রিটে উচ্ছেদ স্থগিত থাকবে। যদিও সেই বাজার আজ অবধি হয়ে ওঠেনি। আর হলেও ফুটপাতের হকার ফুটপাতেই ফিরে আসবে। ইতিহাস তো অন্তত তাই বলছে।
তৃতীয় গল্প
১৯৬০ সালের কথা। হ্যারিসন রোড আর লোয়ার সার্কুলার রোডের সংযোগস্থলে সে সময় একজন হকারের চা বানানোয় বিশেষ হাতযশ ছিল। সন্ধেবেলায় অনেক রেলযাত্রীই এক ভাঁড় চা খেয়ে দৌড় লাগাতেন ট্রেন ধরতে। ওই অঞ্চলের মেস-বাড়িগুলিতে থাকা ছাত্রেরা ছিলেন ওই হকারের বাঁধা খদ্দের। কালো চা, আদা চা, লেবু চা, দুধ চা। ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেক ছাত্রের হামেশাই সর্দি-কাশি হত। তাঁরা তখন বিনাপয়সায় গরম জল নিয়ে যেতেন। কোনও কোনও খদ্দেরের সঙ্গে পয়সার বিনিময়ে গরম দুধেরও চুক্তি ছিল। জুন মাসের ২০ তারিখ সন্ধেবেলায় পুলিশ হঠাৎই ‘শ্যামদার চায়ের দোকান’-এ হামলা করল। চায়ের দোকানের ভিড় নাকি যান-চলাচলে বাধা দিচ্ছে। যেই না দোকানে হাত পড়েছে, অমনি একদল ছাত্র আর কিছু নিত্যযাত্রী ইট-পাটকেল নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হল। একটা খালি বাসের কাচ ভাঙল, ট্রামের তারে কলাপাতা পড়ল, আর কিছু পুলিশকর্মীর গায়ে ইট পড়ল। পুলিশকে ‘বাধ্য হয়ে’ লাঠি চার্জ করতে হল, আর তাতে প্রায় ৪০ জন ‘মৃদু থেকে গুরুতর’ আহত হলেন!
গোলমালের খবর পেয়ে সিপিএম-এর বিধায়ক নারায়ণ রায়, পি এস পি-র বিধায়ক সুধীরচন্দ্র দাস, আর ফরওয়ার্ড ব্লক-এর হেমন্ত বসু ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিলেন। খোঁজখবর করে জানা গেল যে, শ্যামদা কয়েক মাস ধরে পুলিশকে ‘সাপ্তাহিক নজরানা’ দিতে টালবাহানা করছিলেন। আর সেই কারণেই উচ্ছেদ!
………………………………………………………………………
পড়ুন পার্থ দত্তর লেখা: ইতিহাস কখনও সখনও প্রেমপত্রর চেয়েও প্রখর, বুঝিয়েছিলেন পি টি নায়ার
………………………………………………………………………
এই তিনটি গল্প থেকে এটা নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে যে, শহরের একটি বড় সংখ্যক মানুষ হকার উচ্ছেদ হোক, এটা চান না। তিনটি গল্পেই কিন্তু হকারদের রক্ষা করেছেন সাধারণ, পথ-চলতি মানুষ। ‘অপারেশন সানশাইন’-এর সময়েও বহু সাধারণ মানুষ তাঁদের দোকান, গুদাম, আর বৈঠকখানা খুলে দিয়েছিলেন হাজার হাজার হকারদের মালপত্র মজুত করার জন্য। কোনও হকার কোনও দিন অভিযোগ করেননি যে, তাঁদের মালপত্র মজুত অবস্থায় চুরি হয়েছে। মাদার টেরিসা যখন অভুক্ত হকারদের জন্য রেশনের বন্দোবস্ত করলেন, তখন কলকাতার হাজার হাজার নাগরিক স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ডালা উপুড় করে হকারদের জন্য চাল, আটা, আর ডাল দিয়েছিলেন। আর দিয়েছিলেন পুরনো শীতবস্ত্র। ‘অপারেশন সানশাইন’-এর সময় বটতলা থানায় এক ভদ্রমহিলাকে রাত-দুপুরে বসে থাকতে দেখে ধর্নারত এক বিশিষ্ট আন্দোলনকারী কৌতূহলবশে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তিনি থানায় বসে আছেন। ভদ্রমহিলা বলেছিলেন, তিনি থানায় বসে আছেন গ্রেফতার হওয়া হকারদের মুক্তির অপেক্ষায়। এই ভদ্রমহিলা কিন্তু যথেষ্ট সম্পন্ন আর এমনটা নয় যে, তিনি রোজ থানায় গিয়ে বন্দিদের মুক্তির অপেক্ষায় বসে থাকেন। আসলে তিনি হাতিবাগানের ফুটপাতে হাঁটা অনেক মানুষের একজন, যিনি হকারদের সঙ্গে মিতালি পাতিয়ে ফেলেছিলেন। দরদাম করে কেনাকাটায় মানুষে-মানুষে সম্পর্ক তৈরি হয়, একটা সামাজিক বোঝাপড়া তৈরি হয়। এই জনসমর্থনের কারণেই কলকাতায় হকার উচ্ছেদ অসম্ভব। পথ-চলতি জনতা আর হকারের মধ্যে একটা যোগাযোগ আছে। তাঁদের দুটো বিপরীত শক্তি হিসাবে ভাবাটা অর্থহীন।
লেখক: ইতিহাসের শিক্ষক, আইআইএসইআর মোহালি
(মতামত ব্যক্তিগত)
লেখার সঙ্গে ব্যবহৃত ছবিগুলি ‘স্ট্রিটস ইন মোশন: দ্য মেকিং অফ ইনফ্রাস্ট্রাকচার, প্রপার্টি, অ্যান্ড পলিটিকাল কালচার ইন টোয়েনটিথ-সেঞ্চুরি’ (কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস) বই থেকে সংগৃহীত।
স্পেশাল ইভেন্টগুলো খুব উপভোগ করতাম, যেমন, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সেকেন্ড চ্যানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, দিনটি ছিল ১৯ নভেম্বর, ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন। সেবারের অনুষ্ঠানে কলকাতার বহু নামী শিল্পী যেমন ছিলেন, তেমন ছিলেন বম্বের অনেক নামজাদা সঙ্গীতশিল্পী।