ময়দানে এক সময় ‘ফিক্সার’-দের একটা অদৃশ্য ‘সিন্ডিকেট’ ছিল। যাঁরা বিভিন্ন ক্লাবের কেষ্ট-বিষ্টু। কেউ কেউ আবার সিএবি-র হোমরা-চোমরা। কোন ক্লাবকে ওঠানো হবে, কাকে নামানো হবে, ওঁরা সব ঠিক করে ফেলতেন আগেভাগে। তারপর শুরু হত পয়েন্ট ছাড়াছাড়ির খেলা। ‘থ্রি ওয়ে ফিক্সিং’ কিংবা ‘চেইন ফিক্সিং’-ও চলত অবাধে। যেখানে গড়াপেটা করত দু’টো নয়, একসঙ্গে তিনটে ক্লাব! ক্রিকেট-অপরাধের সে কৃষ্ণ-জালে জড়িয়ে থাকতেন আম্পায়ার থেকে স্কোরার– প্রত্যেকে।
২২.
দৃশ্যটা এখনও চোখে ভাসে। ক্রিকেট সাংবাদিকতায় তখন আমার প্রথম আলো। গ্রীষ্মের এক কাঠফাটা দুপুরে অফিস এসে বসেছি সদ্য। দু’দণ্ড জিরোতে না জিরোতে ফোন। এক ময়দানি কর্তার। রোমহর্ষক সংলাপ-সহ।
‘কী রাজর্ষি, কোথায়?’
‘এই তো অফিসে।’
‘অফিসে বসে কী হবে, মাঠে এসো।’
‘কেন? কী আছে মাঠে?’
‘‘ফিক্সিং হচ্ছে, ফিক্সিং! দু’ঘণ্টায় পঞ্চাশ ওভার করিয়ে দেওয়া হচ্ছে!’’
অ্যাঁ, মহাশয় বলেন কী! দু’ঘণ্টায় পঞ্চাশ ওভার মানে? ক্রিকেট হচ্ছে, না মামদোবাজি? ফুটন্ত রক্তের বয়স তখন। কালবিলম্ব না করে, কলঙ্কের স্থান-কাল-পাত্র নোটবুকে টুকে, সোজা ময়দান ছুটলাম। গিয়ে আবিষ্কার করলাম, গড়াপেটার পোড়া গন্ধের ঝাপটায় মাঠে উপস্থিত আরও একজন, একেবারে ক্যামেরা-ট্যামেরা সহ! ‘মামা’। অর্থাৎ দেবাশিস সেন। যাঁর কথা পূর্বের কয়েকটা লেখায় লিখেছি। তখনও ক্রিকেট কভার করতে নিত্য হিল্লি-দিল্লি করলেও ময়দানে আসত ‘মামা’। এবং দুই সাংবাদিকের আচম্বিত হাজিরার ফাঁসে পড়ে আম্পায়ার বাবাজীবন যা করলেন সে মুহূর্তে, ইহজীবনে ভুলব না।
বেগতিক বুঝে সর্বপ্রথমে হাঁটি-হাঁটি-পা-পা। শেষে চোঁ-চাঁ দৌড়!
তা, যে দুই ক্লাবের মধ্যে গড়াপেটার ‘আমোদ’ চলছিল, তাদের মধ্যে এক ক্লাবের মহাকর্তা আবার সে সময়কার সিএবি যুগ্ম সচিব ছিলেন। নামটা আর লিখছি না, কারণ ভদ্রলোক আজ আর নেই। প্রয়াত। তারাদের দেশের, ছবিদের দেশের বাসিন্দাদের নিয়ে লেখা উচিত নয়। সেটা নিম্নরুচির পরিচয়। কিন্তু ভদ্রলোক সিএবি সচিবের চেয়ারে বসে “দু’ঘণ্টায় পঞ্চাশ ওভারের জাদুমন্ত্রের” যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, ক্রিকেট নামক মহান খেলাটার পক্ষে অত্যন্ত অসম্মানজনক।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
আসলে একটা মারাত্মক ভুল করেছিলাম উত্তেজনাবশত। সিএবি সচিবের বক্তব্য আমি রেকর্ড করিনি। প্রমাণ ছিল না আমার কাছে। সিএবি-র চিঠির প্রেক্ষিতে সব্যদা (সব্যসাচী সরকার) আমার হয়ে পাল্টা কড়া প্রতিবাদপত্র ছাপালেও তাই লাভ হয়নি। বিভাগীয় প্রধানের কাছে ফোন-টোন এসেছিল সম্ভবত। কারণ, দ্রুত আমার ‘বন্দোবস্ত’ করে ফেলা হয়। ক্রিকেট থেকে তিন মাসের ‘নির্বাসন’ হয়ে যায় আমার!
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
“ময়দানে সব ম্যাচে গড়াপেটা হয়! ক’টার খবর রাখো তোমরা?”
ভাবা যায়, দায়িত্বের চেয়ারে উপবিষ্ট এক সিএবি সচিব কি না বলছেন এ-কথা! এই সব ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার স্বাভাবিক শিক্ষা যা বলছিল, ইচ্ছে হচ্ছিল তাই করতে। হাত নিশপিশ করছিল লিখতে। আগাপাশতলা না ভেবে অফিসে এসে সোজা কাগজে লিখে দিয়েছিলাম। পরের দিন যা ছেপে বেরোয়। অচিরেও সত্যি লেখার ‘শাস্তি’ পেয়ে গিয়েছিলাম। সিএবি থেকে আমার নামে লম্বা একখানা চিঠি আসে। সে চিঠিতে প্রয়াত সচিব লিখে দেন, তিনি নাকি ও সমস্ত কিছুই বলেননি। যা ছেপে বেরিয়েছে, সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমার মনগড়া। আসলে একটা মারাত্মক ভুল করেছিলাম উত্তেজনাবশত। সিএবি সচিবের বক্তব্য আমি রেকর্ড করিনি। প্রমাণ ছিল না আমার কাছে। সিএবি-র চিঠির প্রেক্ষিতে সব্যদা (সব্যসাচী সরকার) আমার হয়ে পাল্টা কড়া প্রতিবাদপত্র ছাপালেও তাই লাভ হয়নি। বিভাগীয় প্রধানের কাছে ফোন-টোন এসেছিল সম্ভবত। কারণ, দ্রুত আমার ‘বন্দোবস্ত’ করে ফেলা হয়। ক্রিকেট থেকে তিন মাসের ‘নির্বাসন’ হয়ে যায় আমার!
অথচ এক বর্ণ মিথ্যে লিখিনি আমি, লেখায় জল ছিল না একফোঁটা। দুঃখের হল, একমাত্র সব্যসাচীদা বাদ দিয়ে আর কেউ এক ছোকরা সাব এডিটর-কাম-রিপোর্টারকে বিশ্বাস করার কোনও কারণ খুঁজে পাননি। অসম্ভব খারাপ লেগেছিল তখন। কিন্তু পরে বুঝেছি, দোষটা এক এবং একমাত্র আমার। বহু যুগ ধরে ময়দানে চলা এক অপরাধের মৌচাকে সজোর ঢিল নিক্ষেপ করে বসেছি। নিজের উপযুক্ত ‘বন্ধন’ না করে। আদুল গায়ে জতুগৃহে ঢুকে পড়লে নিরন্তর আগুনের ছ্যাঁকা খাওয়াই যে ভবিতব্য।
যা তখন না জানলেও, আজ জানি। আজ জানি যে, ময়দানে একই সঙ্গে স্বর্গ-নরকের ‘শান্তিপূর্ণ’ সহাবস্থান চলে! কলকাতা ময়দানে যেমন সিদ্ধপুরুষ ক্রিকেটার এসেছেন, কোচ এসেছেন, ঠিক তেমনই ‘অসুর’-ও এসেছেন অকাতর। কালে-কালে। যুগে-যুগে। প্রাতঃস্মরণীয় প্রতিভা যাঁরা, নিজ কর্মে নমস্য।
যাঁদের নাম ‘ফিক্সার’!
উঁহু, নামধাম পুনরায় লিখে নিজেকে বিড়ম্বনায় আর ফেলব না। আবারও আমার কাছে কোনও তথ্য-প্রমাণাদি নেই। তবে সরেস গল্প আছে, গাছা আছে। এ লেখা লেখার আগে ময়দানের এক পুরনো ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। পরে যিনি আম্পায়ারিংও করেছেন। শুনলাম, ক্রিকেটের মতো ক্রিকেট গড়াপেটাও তার ‘প্যাটার্ন’ বদলে ফেলেছে। আগে দৃষ্টিকটুভাবে সব চলত, এখন তা আর চলে না। শোনা যায়, ময়দানে এক সময় ‘ফিক্সার’-দের একটা অদৃশ্য ‘সিন্ডিকেট’ ছিল। যাঁরা বিভিন্ন ক্লাবের কেষ্ট-বিষ্টু। কেউ কেউ আবার সিএবি-র হোমরা-চোমরা। কোন ক্লাবকে ওঠানো হবে, কাকে নামানো হবে, ওঁরা সব ঠিক করে ফেলতেন আগেভাগে। তারপর শুরু হত পয়েন্ট ছাড়াছাড়ির খেলা। ‘থ্রি ওয়ে ফিক্সিং’ কিংবা ‘চেইন ফিক্সিং’-ও চলত অবাধে। যেখানে গড়াপেটা করত দুটো নয়, একসঙ্গে তিনটে ক্লাব! ক্রিকেট-অপরাধের সে কৃষ্ণ-জালে জড়িয়ে থাকতেন আম্পায়ার থেকে স্কোরার– প্রত্যেকে। পুরনো দিনে ক্লাব স্কোরার রাখত নিজেদের। ক্লাব স্কোরার খেলা শেষে যে স্কোরশিট সিএবিতে জমা দিত, তাকেই ধ্রুব সত্য বলে ধরা হত। স্কোর ওলটপালট করা যেত তাই বড় নিশ্চিন্তে। একাধিক আম্পায়ার পোস্টিং পাওয়ার ‘লালসা’-য় আশ্চর্য এমন সব আউট দিতেন, যা চোখের সামনে দেখলে স্বনামধন্য ডিকি বার্ডের টুপি খসে যেত নির্ঘাত! শুনলাম, একবার এক ম্যাচে এক ব্যাটার ‘প্রাণঘাতী’ ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষের সাড়ে বারোটা বাজাচ্ছেন যখন, গড়াপেটার টুঁটি চেপে ধরেছেন, তখন তাঁকে নাকি এক প্রখ্যাত বাংলা আম্পায়ার রান আউট দিয়ে দেন! ক্রিজে সে ব্যাটার দাঁড়িয়ে জিরোচ্ছিলেন, তবু। মাথা গরম করে সে ক্রিকেটার ঝামেলা করতে গেলে অম্লানবদনে আম্পায়ার তাঁকে বলেন, ‘নতুন নিয়ম এসেছে, জানো না? তুমি ক্রিজের ভেতরে থাকলে কী হবে? তোমার ব্যাট আছে কি? সেটা তো বাইরে!’
শুনলে পেটে খিল ধরে যাবে হাসতে-হাসতে। লিখলাম না, এক-একজন এঁরা ‘মহাপুরুষ’! এঁদের ভাবনা-চিন্তা, বাচনভঙ্গি, নিত্যকর্মপদ্ধতি, সবই তুখোড়। চোস্ত। সকালে যে ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল লিখেছি, তিনিই বললেন যে, একবার স্থানীয় ক্রিকেট খেলার সময় নাকি তাঁর ক্লাব-কর্তা এসে বলেছিলেন, ‘তুই অফিস চলে যা। খেলতে হবে না।’ ভদ্রলোক বিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন শুনে। কারণ, তিনিই ছিলেন টিমের অধিনায়ক! আর তাঁকেই না খেলে অফিস যেতে বলা হচ্ছে! কিছু করার নেই যে, তাঁর ক্লাব ম্যাচ ছাড়বে! জোগাড়-যন্ত্র সম্পন্ন। ক্যাপ্টেন খেললে আর চলবে নাকি? এ ‘শিল্প’ এখনও আছে। গড়াপেটা করতে হলে অসীম ‘নৈপুণ্যে’ টিমের প্রথম চার-পাঁচ জন প্লেয়ারকে বসিয়ে দেওয়া হয়। কখনও কখনও আরও বেশি। সমস্ত দেখেশুনেও হাত গুটিয়ে থাকতে হয় তখন। সর্বসমক্ষে ক্রিকেট কলঙ্কিত হচ্ছে দেখেও কিছু করার থাকে না। কারণ, ক্লাব কাকে খেলাবে, কাকে খেলাবে না, সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।
তবে হালফিলে গড়াপেটার চেয়েও মারাত্মক এক বস্তুর আমদানি হয়েছে ময়দানে। ‘ব্ল্যাকমেলিং’। এই যে দিন কয়েক আগে টাউন বনাম মহামেডান স্পোর্টিং ম্যাচ জাতীয় নিন্দার বিষয়বস্তু হল, মহামেডান ক্রিকেটাররা কুৎসিতভাবে পরের পর আউট হলেন, বাংলা ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী মুখ খুললেন, মিডিয়া বাঘনখ বার করে ঝাঁপিয়ে পড়ল, সিএবিতে তোলপাড় চলল কিছুদিন– অনেকের বিচারে সে ম্যাচে গড়াপেটা হয়নি। হয়েছে ‘ব্ল্যাকমেলিং’। টাউন কর্তা দেবব্রত দাস, বকলমে যিনি আবার সিএবি যুগ্ম সচিব, মহামেডান ‘বেআইনি’ ক্রিকেটার খেলাচ্ছে ধরতে পেরে ম্যাচ ছাড়তে চাপ দেন! অথচ মহামেডান বা টাউন, দুটো ক্লাবের একটারও ওঠা-নামার কোনও ব্যাপার ছিল না। দেবব্রত তবু মহামেডানকে ম্যাচ ছাড়ার নির্দেশ দিলেন, নিজ পদের আস্ফালনে। ক্ষমতার চোখরাঙানি কাকে বলে, দেখাতে!
‘ফিক্সার’-রা এক জিনিস। তারা ছিল, আছে, থাকবে। চাইলেও তাদের বিনাশ অসম্ভব। তারা টিকে থাকবে ঠিকই, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আরশোলা আছে যেমন। কিন্তু এই ‘ব্ল্যাকমেলার’-রা আরও ভয়ংকর, আরও হানিকারক। কারণ, এদের কোনও উদ্দেশ্য নেই। এরা যা করে, কারণ ছাড়া, চাহিদা ছাড়া। এবং এদের বাড়-বাড়ন্ত হলে কিন্তু একটা জিনিস এরপর থেকে নিয়মিত হবে।
বাংলা ক্রিকেট ‘বিবস্ত্র’ হবে বারবার!
…পড়ুন খেলাইডোস্কোপ-এর অন্যান্য পর্ব…
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২১: বল পিছু স্কোরবোর্ডে যারা সংখ্যা বদলায়, কিন্তু তাদের জীবন বদলায় না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২০: প্রতি গুরু-পূর্ণিমায় প্রথম ফুল দেব সব্যসাচী সরকারকেই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৯: ময়দানের ছবিওয়ালাদের কেউ মনে রাখেনি, রাখে না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৮: যারা আমার মাঠের পরিবার
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৭: অহং-কে আমল না দেওয়া এক ‘গোল’ন্দাজ
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৬: যে দ্রোণাচার্যকে একলব্য আঙুল উপহার দেয়নি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৫: সাধারণের সরণিতে না হাঁটলে অসাধারণ হতে পারতেন না উৎপল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৪: মনোজ তিওয়ারি চিরকালের ‘রংবাজ’, জার্সির হাতা তুলে ঔদ্ধত্যের দাদাগিরিতে বিশ্বাসী
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১৩: অনুষ্টুপ ছন্দ বুঝতে আমাদের বড় বেশি সময় লেগে গেল
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১২: একটা লোক কেমন অনন্ত বিশ্বাস আর ভালোবাসায় পরিচর্যা করে চলেছেন বঙ্গ ক্রিকেটের
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১১: সম্বরণই বঙ্গ ক্রিকেটের বার্নার্ড শ, সম্বরণই ‘পরশুরাম’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১০: যাঁরা তৈরি করেন মাঠ, মাঠে খেলা হয় যাঁদের জন্য
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৯: খণ্ড-অখণ্ড ভারতবর্ষ মিলিয়েও ক্রিকেটকে সম্মান জানাতে ইডেনতুল্য কোনও গ্যালারি নেই
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৮: ২০২৩-এর আগে আর কোনও ক্রিকেট বিশ্বকাপ এমন ‘রাজনৈতিক’ ছিল না
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৭: রোহিত শর্মার শৈশবের বাস্তুভিটে এখনও স্বপ্ন দেখা কমায়নি
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৬: বাংলা অভিধানে ‘আবেগ’ শব্দটাকে বদলে স্বচ্ছন্দে ‘বাংলাদেশ’ করে দেওয়া যায়!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৫: ওভালের লাঞ্চরুমে জামাইআদর না থাকলে এদেশে এত অতিথি সৎকার কীসের!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৪: ইডেনের কাছে প্লেয়ার সত্য, ক্রিকেট সত্য, জগৎ মিথ্যা!
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ৩: এ বাংলায় ডার্বিই পলাশির মাঠ
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ২: গ্যালারিতে কাঁটাতার নেই, আছে বন্ধনের ‘হাতকড়া’
খেলাইডোস্কোপ পর্ব ১: চাকরি নেই, রোনাল্ডো আছে