বেশ করেছে ছয় মেরেছে, মারবেই তো!

  • Published by: Robbar Digital
  • Posted on: August 24, 2023 8:38 pm
  • Updated: August 25, 2023 12:27 am
তিলক বর্মা

মাত্র ক’দিন তো এসেছে ছেলেটা। এখনই করুণার পাত্র বানিয়ে তোলা কেন? যে প্রতিভার ঝলক তিলক দেখিয়েছেন, তা কি টিকে থাকার জন‌্য যথেষ্ট নয় মশাই? নৈতিকতার প্রশ্ন আপনি তুলতে পারেন বইকি। কিন্তু দলের স্বার্থ, না ব‌্যক্তিস্বার্থ কোনটা আগে ধরব? তিলক বর্মা কি পান্ডিয়ার মারা ৬-এ মুষড়ে পড়েছেন? টিম জেতায় মুখ কালো করে ঘুরে বেড়িয়েছেন? তা নিশ্চয়ই নয়। আমাদের আসলে একটা পক্ষ-প্রতিপক্ষ লাগে। নইলে ব‌্যাপারস‌্যাপার জমে না।  একটা জম্পেশ করে বিপক্ষ তৈরি করে ক‌্যাঁক করে টুঁটিটা চেপে ধরে, ‘এইটা কেন করলে’ না বলা পর্যন্ত শান্তি নেই!

একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাই। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপ ফাইনাল। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ন‌্যাজেগোবরে টিম ইন্ডিয়া। এরপর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। আশ মিটিয়ে যুদ্ধ করে হেবি রেলায় দেশে ফিরবে দল– এমনটাই ভেবেছিলাম আমরা। অথচ, ওয়ান-ডে সিরিজে কোনওমতে ২-১। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দুই ম্যাচেই ছড়িয়ে লাট! অর্থাৎ, সে বড়ো সুখের সময় নয়। এমন হার-জিরজিরে মুহূর্তে, ক্যাপ্টেন হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার একমাত্র কর্তব্য– দলের জয় নিশ্চিত করা। তিনি ঠিক সেটাই করেছেন। ‘ব্যক্তি’ আমাদের ভিত্তি হতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যৎ, অলওয়েজ ‘দল’। হার্দিক সেটা ভুলে যাননি।

গুইয়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম। ৩৭ বলে ৪৯ রান। তিলক বর্মার অসামান্য ইনিংস। ভারতের জয়ের অন্যতম নায়ক। তবু, স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছেন স্বার্থপর হার্দিক– বহু মানুষ বললেন। উগড়ে দিলেন সহজলভ্য বিদ্বেষ। কেউ কেউ আবার বলে বসলেন, হার্দিকের এখনও ক্যাপ্টেন্সির পাঠ শেষ হয়নি। শিখতে হবে মহেন্দ্র সিং ধোনির থেকে! উদাহরণ হিসেবে উঠেছে, ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালের কথা। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ উইনিং শটটি খেলেছিলেন, বিরাট কোহলি। সুযোগ করে দিয়েছিলেন ধোনি। সম্মান জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষেই। এ ঘটনা সর্বৈব সত্য। কিন্তু ধোনি সে-সময় ৩৪ ছুঁই ছুঁই। প্রাজ্ঞতা চোখে-মুখে-কপালে। ঝাঁকড়া চুল নেই। উদ্দাম শট খেলার প্রবণতা কমে গেছে। মোদ্দা কথা, ‘রাঁচি এক্সপ্রেস’ ততদিনে শান্ত।

তুলনায় হার্দিক এখনও ২৯। বয়সের প্রবৃত্তিতেই, তিনি ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়েছেন। মুশকিল-আসানের মতো। বেশ করেছেন। অথচ হার্দিকের গায়ে ‘সেলফিশ’, ‘স্পটলাইট’ ইত্যাদি শব্দ গুঁজে দিয়ে খুব হনু সাজতে চেয়েছি আমরা। এই ভারতে অবশ্য সেটাই সহজাত। আর সেই তিতকুটে প্রবৃত্তিতেই বরং খানিক ফিকে পড়ে গেল তিলক বর্মার ইনিংসটা। কারণ, ট্রোল ক্রমে আসিতেছে! আসলে হাফ সেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরিকে চিরকালই আমরা ক্রিকেটমেধার অন্তর্গত করে রেখেছি। ওই ম‌্যাজিক ফিগার না ছুঁলে যেন তিনি ক্রিকেটের ম‌্যাজিশিয়ান নন। অথচ ভেবে দেখুন, ক্রিকেট ইতিহাসে এক ওভার বাকি, এমতাবস্থায় নতুন ব‌্যাটার এসে কতবারই না ‌ম‌্যাচ জিতিয়েছেন– সেক্ষেত্রে কেউ তো

মনে পড়ছে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট। ২০০৪। শচীন তেন্ডুলকর ১৯৪ রানে অপরাজিত। আর মাত্র ছ’টা রান! অথচ রাহুল দ্রাবিড়, ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন– ইনিংস ডিক্লেয়ারের সিদ্ধান্ত নিলেন। দ্রাবিড়কে নিয়ে যত ইচ্ছে বাপ-ঠাকুরদা হোক, ক্যাপ্টেন কিন্তু তিনি। দলের ভালমন্দ বাদ দিয়ে অত ব্যক্তিফ্যক্তি নিয়ে মাথা ঘামাবেন কেন? স্মৃতি হাতড়ে পেলাম বেন স্টোকসের সদ‌্য খেলা একটা অতিমানবিক ইনিংস। লর্ডসে। এই বছরই। আউট হলেন ১৫৫ রানে। অথচ, হইহল্লা ঢের বেশি হয়েছিল ২০১৯-এর হেডিংলে টেস্টের ১৩৫ নট আউট নিয়ে। কেন? যেহেতু ইংল্যান্ড সেই ম্যাচ জিতেছিল। দল জিতেছিল। ব্যক্তিগত রানের ঝুড়ে সেখানে ফক্কা!

২০১১ সাল। মায়াবী ওয়াংখেড়েতে ধোনি ছয় মারলেন! ড্রেসিংরুমে কোচ গ্যারি কার্স্টেন লাফিয়ে উঠলেন বিশ্বজয়ের আনন্দে! তখন ভারতীয় ক্রিকেটের শিরায় শিরায় ছড়িয়ে গিয়েছিল আরও এক স্বাদ। নেশার মতো। সেই স্বাদ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া– এমনটা জোর দিয়ে বলতে পারি না। কিন্তু, ধোনি-পরবর্তী সময়ে ছয় মেরে যে কোনও জেতার স্মৃতিতে ফিরে আসে ওই ২০১১-এর ঝলক, একথা সত‌্যি। এই ব‌্যাপারটা, তেমন ‘আসান’ নয়। মনে হয়, একটু মুশকিলই।

Police, media, political leader, women's' commission all came in Kusumdiha। Robbar

কুসুমডিহাতে পুলিশ, নেতা, বুদ্ধিজীবী, মহিলা কমিশন, মিডিয়ার ভিড়

মারল কারা? খেতমজুররা পাল্টা দিল? নাকি মাধাইয়ের দলবল?

কুণাল ঘোষ

15th episode of Bhoybangla by amitava Malakar। Robbar

গুষ্টিসুখের প্লেজারই অর্জি-নাল সিন

কিছু ঘটনা এমনই, যেগুলো কৌম অভিজ্ঞতার অংশ হিসেবে যতখানি আরামের, একা ততখানি নয়।

অমিতাভ মালাকার

An article about Oxford Word of the Year 2023 | Robbar

‘রিজ’ কি ইংরেজি ভাষা এতদিনে জানল?

‘রিজ’। অক্সফোর্ড ডিকশনারি বেছে নিয়েছে এই শব্দটিকে বছরের সেরা শব্দ হিসেবে।

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

Remembering food movement of Bengal in today's situation। Robbar

একদিকে খাবারের অশ্লীল প্রদর্শনী, অন্যদিকে অসহায় ভুখাপেট

৩১ অগাস্ট ছিল খাদ‌্য আন্দোলন দিবস। আন্দোলনের বিস্মৃতি ও ক্ষুধার বৈষম‌্য নিয়ে লিখছেন দ্বৈপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

দ্বৈপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়

natua by debsankar halder 6th episode। Robbar

মঞ্চে আলো এসে পড়লে সব আয়োজন ভেস্তে যায় আমার

যাত্রাপালা দেখার সময় যখন আমি আলোর কারিগরকে দেখতাম ডিমার দিয়ে আলো-ছায়া তৈরি করতে, সে-ই আলোকেই আমি সঙ্গে নিয়ে চলছি।

দেবশঙ্কর হালদার

chobithakur-episode-24-by-sushobhan-adhikary। Robbar

জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা

শিল্পের প্রতি অন্ধ ভালোবাসার মুগ্ধতা নয়, ছবি বুঝে নেওয়ার, যাচাই করে নেওয়ার মতো শিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে দর্শকের চোখ, সংগ্রাহকের দৃষ্টি।

সুশোভন অধিকারী