E-Robbar
ঘোড়া ছাড়া মানুষের আধুনিকতার ইতিহাস অসম্ভব। এবং পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে এই সম্পর্ক বিশেষ রূপ নিয়েছিল গোটা উনিশ আর বিশ শতকের প্রথমার্ধ জুড়ে।
কৌস্তুভ মণি সেনগুপ্ত ও
শহর থেকে দেশের কল্পনায় যাত্রা শুরুর প্রথম ধাপ যেন হয়ে উঠেছিল গোলদীঘি আর টাউন হল। একই সঙ্গে তৈরি হচ্ছিল ব্যক্তি আর সমষ্টির নতুন সমীকরণ, নতুন আঙ্গিক নিচ্ছিল ঘর আর বাইরের সম্পর্ক।
শহরের অতীত ও ঐতিহ্য নির্মাণের এক বিশেষ মুহূর্ত ছিল বিশ শতকের গোড়ার বছরগুলি। এই সময়ে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটছে, কলকাতা পুরসভায় ভারতীয় প্রতিনিধিদের গলার জোর বাড়ছে, বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে প্রথমবার শহরের রাস্তায় মানুষ মিছিল বের করছেন– ফলে বোঝাই যাচ্ছিল কলকাতার দাবিদার অনেক, শুধু ব্রিটিশ রাজপুরুষদের নয় এ শহর।
কোম্পানির আমলে কেল্লা বা ময়দানের যে সামরিক অর্থ ছিল, তা সাম্রাজ্যের রাজধানীতে আর বিশেষ মানে বহন করে না।
সঙের কলকাতা ও নাগরিক জীবনের ছবি।
দেশভাগের দায় স্বাধীন ভারতের সরকারকে খানিক হলেও বাধ্য করেছিল এই ছিন্নমূল মানুষগুলোর ‘অপেক্ষা করার অধিকার’কে মান্যতা দিতে।
একদিকে কলকাতার বাইরের এই অঞ্চলগুলিতে নানা পরিবর্তন আসে, আর অন্যদিকে শহরের চারিত্রিক বিন্যাসও বেশ বদলে যায়।