ওয়াজেদ আলির কলকাতা বাসের গুরুত্ব শুধুমাত্র নবাবের জীবনেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর উৎসাহ ও প্রশ্রয়ে নিঃসন্দেহে উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি এক নতুন আঙ্গিক পায় কলকাতায়। কিন্তু একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁর সঙ্গে যাঁরা এসেছিলেন এই শহরে তাঁদের অবদান। এই সাংগীতিক জগৎ মেটিয়াবুরুজের ঘেরাটোপ ছাড়িয়ে কলকাতা শহরের অন্য নানা অঞ্চলে প্রভাব ফেলে।
৩৫.
‘মেটিয়াবুরুজের নবাব’ কলকাতার ঔপনিবেশিক অতীতের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে আছেন, তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম হল ‘হিন্দুস্তানি’ সংগীতের জগৎ। লখনউ-এর শেষ নবাব, ওয়াজেদ আলি শাহ-এর জীবনের দুই পর্ব– লখনউ ও কলকাতা মিলিয়ে। লখনউ-এর জীবন রঙিন ও জমকালো; তারপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতযশে তাঁর স্থান হয় কোম্পানির ঘাঁটি কলকাতা শহরের দক্ষিণের এক কোণে। লখনউ ত্যাগের বেদনা তাঁর কলমে প্রকাশ করেছেন ওয়াজেদ আলি। তাঁর পতনের সঙ্গে সঙ্গে (এবং এক বছর পর মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের একই পরিণামের ফলে) উত্তর ভারতে মুঘল দরবারি সংস্কৃতির ওপরও যবনিকা পড়েছিল বলে মনে করা হয়। তবে এই আখ্যানে বাদ পড়ে যায় লখনউ-এর নবাবের জীবনের দ্বিতীয় পর্বের কথা। ওয়াজেদ আলির কলকাতাবাসের দিনগুলি ফিরে দেখলে বোঝা যায় কীভাবে উত্তর ভারতের সংস্কৃতির রেশ কোম্পানির শহরে এসে ঔপনিবেশিক আধুনিকতার সঙ্গে মিলেমিশে এক নতুন রূপ পেয়েছিল। ছাপাখানার প্রসার এবং পরবর্তীকালে গানবাজনা রেকর্ড করার প্রযুক্তি ‘হিন্দুস্তানি’ সংগীতকে নতুন জীবন দেয় এই শহরে। এবং একই সঙ্গে সেই আখ্যান আমাদের কলকাতা শহরের আধুনিকতা, ‘ভদ্রলোক’ সমাজ, এবং বাঙালিয়ানা নিয়ে ধারণায় নতুন মাত্রা যোগ করে।
তবে ওয়াজেদ আলির আসার আগে থেকেই কলকাতায় ফারসি ভাষায় আলাপ-আলোচনা আর হিন্দুস্তানি সংগীত চর্চার একটা পরিসর ছিল। ১৮৩৭ সালে কোম্পানি সরকারি কাজকর্মে ফারসি ত্যাগ করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কলকাতায় ‘ফারসি সংস্কৃতি’র রেশ আরও বেশ কিছুদিন রয়ে যায়। বাঙালি আধুনিকতার শহর হিসাবে কলকাতার পরিচিতি এই সাংস্কৃতিক আবহাওয়ার ইতিহাসকে খানিক আড়ালে ঠেলে দিয়েছে। মির্জা গালিব ১৮২৮ সালে কলকাতায় এসে কবিতার আলোচনা থেকে শুরু করে ধার-কর্জ মকুবের আর্জি, সবই ফারসিতে চালাতে পেরেছিলেন। রামমোহন রায়ের ফারসি প্রবন্ধ বা সংবাদপত্র (মিরাট-উল-আখবর) প্রকাশের মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে উনিশ শতকের প্রথমার্ধে কলকাতার জ্ঞানচর্চার জগতে ফার্সি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই মিশ্র ভাষা ও সংস্কৃতির নতুন শহরে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বা বিষ্ণুপুরের মতোই উত্তর ভারতের সংগীত ও গান-বাজনাও নগর জীবনের এক অন্যতম অঙ্গ ছিল এই পর্বে। ১৮১৮ সালে রাধামোহন সেন দাস প্রকাশ করেন ‘সঙ্গীত তরঙ্গ’। সংগীত শাস্ত্র নিয়ে বিস্তর খুঁটিনাটি-সহ ২৭৬ পাতার বই ছিল এটি। ১৮৪৪-এ বেরোয় জগন্নাথ প্রসাদ বসুর ‘সঙ্গীতরসমাধুরী’। এতে অবশ্য ‘শাস্ত্রীয়’ সংগীতের সঙ্গে ‘হিন্দু’ সংস্কৃতির একটা সরল রৈখিক যোগের কথা বলা হয়, যা পরবর্তীকালে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির আঙিনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
গান বাজনা, নাচ-নর্তকী, কবিতা-ঠুমরি নিয়ে সরগরম লখনউ-এর নবাবের দরবার ব্রিটিশ কোম্পানির কাছে এক দুর্বল শাসকের বিলাস-ব্যসনে অর্থ অপচয়ের বিশেষ নিদর্শন ছিল। নবাবকে হটিয়ে দিয়ে ১৮৫৬ সালে কোম্পানি আওয়াধ প্রদেশ দখল করে নেয়। পরিবার-পরিজনসহ ওয়াজেদ আলিকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেয় কোম্পানি। প্রথমে ফোর্ট উইলিয়ামে বন্দি থাকেন তিনি, তারপর ১৮৫৯ সালে হুগলির ধার ধরে কেল্লার দক্ষিণে মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলে। এর পর, ১৮৮৭ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত, মেটিয়াবুরুজকে ওয়াজেদ আলি তাঁর সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে নিয়ে ‘ছোটা লখনউ’ হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন। দিশি-বিদেশি জন্তু-জানোয়ার নিয়ে একটা চিড়িয়াখানা আর গাইয়ে-বাজিয়ে নিয়ে সংগীতচর্চা তাঁর আমলে মেটিয়াবুরুজকে এক বিশেষ পরিচিতি দিয়েছিল। এই দুই শখের জন্য ওয়াজেদ আলির প্রচুর খরচও হত। কোম্পানি বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নবাব আর তাঁর পরিবারের দেখভালের জন্য। কিন্তু চিড়িয়াখানা আর সংগীতজ্ঞদের জন্যই এই অর্থের বেশিরভাগ ব্যয় হতে শুরু করে। নাবাবের বেড়ে চলা ধারদেনা নিয়ে অচিরেই ব্রিটিশ শাসকের কপালে ভাঁজ পড়ে, কিন্তু বিশেষ জোরজারি করার পক্ষপাতী ছিলেন না তাঁরা, পাছে আবার বিদ্রোহের কবলে পড়তে হয়।
ওয়াজেদ আলির এই জীবনচর্যা কলকাতার নাগরিক জীবনে গান বাজনার এক নতুন জোয়ার আনে। হিন্দুস্তানি সংগীতের বিশেষ আঙ্গিক কলকাতায় চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। ওয়াজেদ আলি নিজে গান বানিয়েছেন; ঠুমরি, ধ্রুপদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন, নিজের মহলের মহিলাদের তালিম দিয়েছেন, বাংলা-উর্দু মিশিয়ে দু’ কলি চার কলি লিখেছেন এই সময়ে। বাংলার নিজস্ব ‘খেমটা’ আর ‘ঝুমুর’ নিয়ে আগ্রহ ছিল তাঁর; দরবারে এই নাচের তালিমের জন্য লোক রেখেছিলেন। এর থেকে বোঝা যায় যে তিনি কলকাতার জন-সংস্কৃতি নিয়েও ওয়াকিবহাল ছিলেন; উৎসাহী ছিলেন উত্তর ভারতীয় ‘উচ্চ’ সংগীতের সঙ্গে স্থানীয় বাঙালি নাচগান নিয়েও। নাস্তালিক হরফে বাংলা শব্দ লেখা নিয়ে তিনি যেমন চেষ্টা চালাচ্ছিলেন, তেমনই তাঁর দরবারে কলকাতা (আর বাইরে থেকেও) বাঙালি গাইয়ে-বাদিয়েরা উত্তর ভারতের উস্তাদদের থেকে শেখার জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেন। ধ্রুপদের বিশেষ ভূমিকা ছিল এই আদানপ্রদানে। আঠারো শতকের শেষভাগ থেকেই বিষ্ণুপুরে ধ্রুপদের এক বিশেষ আঙ্গিক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই অঞ্চলের বিখ্যাত গায়ক যদুনাথ ভট্টাচার্যের (‘যদু ভট্ট’) যোগাযোগ ছিল মেটিয়াবুরুজের সঙ্গে।
মেটিয়াবুরুজের এই আওয়াধি-সংস্কৃতি শুধু ওই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল না। কলকাতা শহরের অন্যত্রও এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা, আসর-মেহফিল হতে শুরু করে ধীরে ধীরে। সংগীতের সূত্র ধরে এক নাগরিক পরিসর গড়ে ওঠে ব্রিটিশদের শহরে, যেখানে মিলেমিশে যায় প্রাক-ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি, ঔপনিবেশিক আধুনিকতা, আর হিন্দু বাঙালি জাতীয়তাবাদ। দিল্লি-লখনউ-এর পতনের পর কলকাতাই হয়ে ওঠে উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের মূল কেন্দ্র, যেখানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ধারা বা ধারণা হিসাবে প্রাক-ঔপনিবেশিক উত্তর ভারতীয় রীতিকেই মান্যতা দেওয়া হত। বাঙালি ভদ্রলোক উচ্চবর্গের কাছে তাই এই জগতের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। লখনউ দিল্লি থেকে অনেক গায়ক, নর্তকী, বাদক কানপুর, পটনা, রামপুর, বা নেপালে চলে যান পৃষ্ঠপষোকের সন্ধানে। কলকাতা শহরে ওয়াজেদ আলির দরবার উত্তরের এই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে সরাসরি নিয়ে এসেছিল পূর্ব ভারতে। ফলে অনেকেই চলে আসেন এখানে। আর এর হাত ধরেই কলকাতার বেশ কিছু ধনী আগ্রহী হয়ে ওঠেন সঙ্গীত শাস্ত্র নিয়ে, বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করা, বা সঙ্গীত শিক্ষা বিষয়ে। পাথুরিয়াঘাটার সৌরীন্দ্র মোহন ঠাকুর এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। মেটিয়াবুরুজের দরবারি আসরের সঙ্গে তিনি পরিচিত ছিলেন। উত্তর ভারত থেকে আসা গাইয়েদের পুরস্কৃত করে আর শহরে গান-বাজনার আসর বসিয়ে তিনি কলকাতায় উচ্চমার্গের সঙ্গীতের এক অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছিলেন। ১৮৭১ সালে ‘বেঙ্গল মিউজিক স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের জগতে একটা প্রাতিষ্ঠানিক পরিসর তৈরি করে এই স্কুল। সঙ্গীত শিক্ষার ক্ষেত্রকে পারিবারিক বা দরবারি মহল থেকে বের করে সাধারণ জনগণের কাছে নিয়ে আসে। তবে একই সঙ্গে সৌরীন্দ্র মোহনের ধ্যান-ধারণায় ‘হিন্দুস্তানি’ সঙ্গীতের সঙ্গে ‘হিন্দু’ ধর্মের যোগও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটার থেকে দক্ষিণের ভবানীপুর মেটিয়াবুরুজের বেশ অনেকটাই কাছে। উনিশ শতকে এই ভবানীপুরের উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের বেশ কিছু ছেলে আগ্রহী হয়ে ওঠেন নবাবের গান-বাজনা নিয়ে। এঁরা সবাই যে পরবর্তীকালে বিখ্যাত গায়ক-বাদক হয়েছেন তা হয়তো নয়, কিন্তু এঁদের জীবনের দিকে তাকালে বোঝা যায় কীভাবে ওয়াজেদ আলির মেটিয়াবুরুজের দরবার কলকাতা শহরে হিন্দুস্তানি সংগীত নিয়ে আগ্রহ তৈরি করেছিল। যাদব কৃষ্ণ বসু আর কেশব চন্দ্র মিত্র এ রকম দু’জন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁরা ভবানীপুরে নিজেদের বাড়ি থেকে মেটিয়াবুরুজ গিয়ে ‘উস্তাদের’ কাছে তালিম নিতেন। ‘ভবানীপুর সঙ্গীত সম্মিলনী’ নামে সঙ্গীত শিক্ষার স্কুল চালু করেছিলেন তাঁরা। মুরারি মোহন গুপ্ত ছিলেন কেশব চন্দ্রে ‘গুরুভাই’। মৃদঙ্গ বাজানোয় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন তিনি। এঁরা পরবর্তীকালে নিজেরা তালিম দিতেন। কিশোরীলাল মুখোপাধ্যায় পেশায় উকিল হলেও গান-বাজনায় আগ্রহী ছিলেন। মেটিয়াবুরুজের মুরাদ আলি খানের কাছে তালিম নিয়েছিলেন তিনি এবং বেশ কিছু রাজা-জমিদারের দরবারে পেশাদার গায়ক হিসাবে অনুষ্ঠানও করেছিলেন। এ রকম অনেক ব্যক্তিই ছিলেন যারা উচ্চাঙ্গ সংগীতের জগতের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এঁদের সৌরীন্দ্র মোহনের মতো সংগীত ‘সংস্কারের’ কোনও বাসনা ছিল না, কিন্তু এঁদের মাধ্যমে এই সংগীত দরবারি জগত ছাড়িয়ে এক নাগরিক পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পেরেছিল।
ওয়াজেদ আলির কলকাতা বাসের গুরুত্ব শুধুমাত্র নবাবের জীবনেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর উৎসাহ ও প্রশ্রয়ে নিঃসন্দেহে উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি এক নতুন আঙ্গিক পায় কলকাতায়। কিন্তু একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁর সঙ্গে যাঁরা এসেছিলেন এই শহরে তাঁদের অবদান। এই সাংগীতিক জগৎ মেটিয়াবুরুজের ঘেরাটোপ ছাড়িয়ে কলকাতা শহরের অন্য নানা অঞ্চলে প্রভাব ফেলে। ব্রিটিশদের রাজধানীতে ঔপনিবেশিক আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পথ চলতে থাকে মুঘল সংস্কৃতি।
তথ্যসূত্র: Richard David Williams, The Scattered Court: Hindustani Music in Colonial Bengal (2023)
…কলিকথা–র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩৪: যে ছবির সিরিজ চিনিয়েছিল প্রান্তিক কলকাতার আত্মপরিচয়
পর্ব ৩৩: কলকাতার মাঠ যেভাবে দর্শক চেনায়
পর্ব ৩২: যে কোনও শহরের কথা বলার সময় আমরা কি নিজেদের শহরের কথাই বলি?
পর্ব ৩১: বিদেশি ট্যুরিস্টদের কাছে কলকাতা কি এখনও ‘অভাবের শহর’?
পর্ব ৩০: উপনিবেশে দেশীয় সংস্কৃতির রেশ: কলকাতার ‘জেন্টেলম্যান’দের নানা ক্লাব
পর্ব ২৯: মেসের বাঙালি ছাত্ররা ঝাঁপ দিয়েছিল সরকার-বিরোধী কর্মকাণ্ডে
পর্ব ২৮: কলকাতার রাস্তা নিয়ন্ত্রণ সহজ নয়, দেখিয়ে দিয়েছিল পালকি-বেহারাদের ধর্মঘট
পর্ব ২৭: কোনটা কলকাতা, কোনটা নয়!
পর্ব ২৬: দ্বীপের মতো করেই যেন গড়ে তোলা হয়েছিল কলকাতাকে
পর্ব ২৫: কালো ভিক্টোরিয়া ও থমথমে কলকাতা
পর্ব ২৪: ঘোড়ার কলকাতা: ট্রাম থেকে রেসের মাঠ
পর্ব ২৩: গোলদীঘি গণ আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে জেগে উঠেছিল স্বদেশি সময়ে
পর্ব ২২: স্মৃতিদের এক বিশাল সমাধিক্ষেত্র
পর্ব ২১: কলকাতার কেল্লা এবং ময়দানি মতবিরোধ
পর্ব ২০: সঙের গানে শতবর্ষের পুরনো কলকাতা
পর্ব ১৯: দেশভাগ ও উদ্বাস্তু মানুষদের শিয়ালদা স্টেশন
পর্ব ১৮: কলের গাড়ি ও কলকাতার নিত্যযাত্রীরা
পর্ব ১৭: বাবুদের শহর যেভাবে বদলে গেল আবেগের শহরে
পর্ব ১৬: ঘর-বন্দি হয়েও নাগরিক কলকাতার স্বাদ
পর্ব ১৫: গৃহভৃত্যর বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ, দু’দশকে বদলে যায় পরিস্থিতি
পর্ব ১৪: স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা সিনেমায় চাকরির ইন্টারভিউয়ের দৃশ্য সেই সময়ের আয়না
পর্ব ১৩: দাঙ্গা ও দেশভাগ বদলে দিয়েছে কলকাতার পাড়া-বেপাড়ার ধারণা
পর্ব ১২: প্রাচীন কলকাতার বোর্ডিং হাউস
পর্ব ১১: সারা বিশ্বে শ্রমিক পাঠানোর ডিপো ছিল এই কলকাতায়
পর্ব ১০: কলকাতার যানবাহনের ভোলবদল ও অবুঝ পথচারী
পর্ব ৯: বৃষ্টি নিয়ে জুয়া খেলা আইন করে বন্ধ করতে হয়েছিল উনিশ শতকের কলকাতায়
পর্ব ৮: ধর্মতলা নয়, ময়দানই ছিল নিউ মার্কেট গড়ে তোলার প্রথম পছন্দ
পর্ব ৭: সেকালের কলকাতায় বাঙালি বড়মানুষের ঠাঁটবাটের নিদর্শন ছিল নিজের নামে বাজার প্রতিষ্ঠা করা
পর্ব ৬: কলকাতার বহিরঙ্গ একুশ শতকের, কিন্তু উনিশ-বিশ শতকের অসহিষ্ণুতা আমরা কি এড়াতে পেরেছি?
পর্ব ৫: কলকাতা শহর পরিকল্পনাহীনভাবে বেড়ে উঠেছে, একথার কোনও বিশেষ ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই
পর্ব ৪: ঔপনিবেশিক নগর পরিকল্পনার বিরুদ্ধ মত প্রকাশ পেয়েছিল যখন প্লেগ ছড়াচ্ছিল কলকাতায়
পর্ব ৩: ঔপনিবেশিক কলকাতায় হোয়াইট টাউন-ব্ল্যাক টাউনের মধ্যে কোনও অলঙ্ঘনীয় সীমানা
পর্ব ২: ‘জল’ যেভাবে ‘জমি’ হল এ কলকাতায়
পর্ব ১: চেনা কলকাতাকে না পাল্টেই বদল সম্ভব, পথ দেখাতে পারে একটি বাতিল রিপোর্ট