E-Robbar
মূর্তি ভাব পায়, মূর্তি ভাবায়, মূর্তি মানস ভাবনায় বাসা বাঁধে।
দেবদত্ত গুপ্ত ও
কলকাতার মূর্তি চর্চায় এমন ধারা একেবারেই নতুন। রানির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়, সেই উজ্জলতার আলোয় আলোকিত হন ভিক্টোরিয়া অনুরাগী গৃহকর্তাও।
ভিক্টোরিয়া হলেন এদেশের মানুষের মন জয়ের অ্যাথেনা। সেই স্বপ্নই বুনে দেওয়া হল শ্বেতপাথরের শরীরে।
মূর্তি দিয়েই লর্ড বেন্টিঙ্ককে প্রতিষ্ঠা করা হল সতীদাহ প্রথার উচ্ছেদকারী হিসেবে। প্রথম খণ্ডের ‘বাংলার রাজধানী কলিকাতা’ পর্বে কাউন্সিল ভবনের উত্তরদিকের প্রাঙ্গণে বেন্টিঙ্কের ব্রোঞ্জ মূর্তি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ভাস্কর্যটি নিলামে ওঠার বদলে ১ জানুয়ারি ১৮৭৬-এ ময়দান এবং ডাফারিন রোডের কাছে উন্মোচিত হয়। ইংরেজ ভাস্কর টমাস থরনিক্রফট মেয়োর মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন।
কলকাতা হাইকোর্টের থাম অর্থাৎ ক্যাপিটালগুলির নকশা ও অলংকার নরম্যান্ডি খনি থেকে তুলে আনা ক্রিম রঙের চুনাপাথরের, যা ‘কাঁ স্তোন’ নামে পরিচিত, তা থেকেই খোদাই করা হয়েছিল।
শোভাবাজারের রাজা, নদীয়ার রাজা, ওয়ারেন হেস্টিংস, স্যর জন শোর তাঁকে পণ্ডিত হিসেবে মান্যতা দিতেন। এমন মান্যতার কারণেই হেস্টিংসের মূর্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন জগন্নাথ তর্ক পঞ্চানন। এই সংযুক্তি-ব্যতীত হেস্টিংস যে প্রাচ্য অনুরাগী, তা বোঝানো যেত না।