আধুনিক শিল্প আলোচকদের ভাষায়, হাইব্রিড আর্ট আমাদের শেখায়, শিল্প থামতে জানে না। এটা একটা অবিরাম বিবর্তনের ধারা। প্রযুক্তিকে মানবিক আবেগের সঙ্গে যুক্ত করে এমন এক ভাষা সৃষ্টি করছে এখন, যা একাধারে বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক এবং নান্দনিক।
প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়েছে শ্যামলীর গৃহস্থাপত্য। এই গোটা প্রকল্পের মতো প্রকৃতিবান্ধব নির্মাণের কথা তখন কে আর ভেবেছিলেন? সামনে কাঠগোলাপের আঁকাবাঁকা গাছটি, শ্যামলী বাড়ি আর রবীন্দ্রনাথ বসে লিখছেন– এই বিবরণ অনেকের স্মৃতিকথাতেই পাওয়া যায়।
‘অলীক মানুষ’কে অনেকেই সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে মনে করেন। বাংলা ভাষায় ‘অলীক মানুষ’ ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে। কোনও একটি উপন্যাসকে আমি এতগুলো পুরস্কার পেতেও দেখিনি। এই উপন্যাস যখন তিনি লিখছেন তখনই আমার সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল– লেখা শেষ হলে দে’জ পাবলিশিং থেকেই বইটি প্রকাশিত হবে।
‘রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র’ আঁকেন এমন মহিলা শিল্পী গোটা পৃথিবীতে বিরল। এমন দুর্লভ এক কার্টুনিস্ট ভারতের মায়া কামাথ, প্রয়াত হয়েছিলেন মাত্র ৫০ বছর বয়সেই। মায়া কামাথের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য।
তৃপ্তি মিত্রের কর্মজীবনের শুরু সহৃদয়তায়। মন দিয়ে দেখলে বোঝা যায়, শেষ-ও সেই সহৃদয়তাতেই। ক্ষণিকের জন্য অনুভূত হলেও সেই সম্মিলিত সহৃদয়তার রেশ দীর্ঘমেয়াদি– তার রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রভাব তীব্র। এই শাস্ত্রীয় কট্টরপন্থার যুগে, তাঁর কর্মজীবনের দিকে ফিরে তাকিয়ে, যদি আমরা শিখি সহৃদয়তার সংজ্ঞায়ন অন্যভাবে করতে, তাতে থিয়েটারের রাজনীতির লাভ বই, ক্ষতি নেই।
অসম্ভব প্রতিভার সঙ্গে হৃদয় ঠিকঠাক মিশে গেলে, কী হয়, তা তৃপ্তিদির সঙ্গে অল্প মিশলেই বোঝা যেত। যতটা হৃদয়বতী হওয়া সম্ভব, তিনি তাই-ই ছিলেন।
পূর্ববঙ্গীয় (আজকের বাংলাদেশ) সংস্কৃতিতে আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিতে একটি বিশেষ ধরনের ডাল রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরপর সেই বিশেষ রীতিটি এপার বাংলায় চলে এসেছে শরণার্থীদের মাধ্যমে।
ক্ষমতাকেন্দ্র না হয়ে ওঠার আদর্শকে মানবতার সঠিক চেহারা বলে নন্দিতা আজও বিশ্বাস করে। এইজন্য নিজের মতবাদ নিয়ে কোনও গোঁড়ামি নেই নন্দিতার মধ্যে, চারিপাশকে দেখতে দেখতে এক বিশ্বাসে স্থির থাকার জন্য বারে বারে নিজের বোঝাকে সে নমনীয় রেখেছে আজীবন। সত্যের চেয়ে নিজের ইমেজকে প্রধান করে তোলার পথ কখনও তার ছিল না।
পীযূষের বিজ্ঞাপনের ভিত ছিল সমস্যাহীন ভারত। খোলা মাঠে বসে থাকা পরিবার, চটি ছিঁড়ে যাওয়া মানুষ, এমনকী, ভারত পাকিস্তানের ওয়াঘা সীমান্ত– সবই ছিল তাঁর এই ‘ফেভিকল পেয়েছির দেশ’।
উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে ছাত্রীদের লিভ-ইন অর্থাৎ সহবাসের সম্পর্ক থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। সতর্কবার্তা হিসেবে মনে করিয়েছেন সহবাসে বাঁচা মেয়েদের শরীর পঞ্চাশ টুকরোয় ছিন্নভিন্ন হয়ে পাওয়ার কথা। এদিকে জাতীয় অপরাধ সূচির তথ্য বলছে, ভারতে মেয়েদের ওপর হিংসার সবচেয়ে বেশি ঘটনাই গৃহহিংসা এবং তথাকথিত বিয়ের সম্পর্কের মধ্যে হয়ে থাকে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved