Robbar

Sangbad Pratidin

সুকুমার রায়ের প্যাঁচা বড় শিশুসুলভ নয়, তার প্যাঁচালও বড় প্যাঁচময় নয় কি?

প্র্যাগম্যাটিক্স নামে ভাষার মারপ্যাঁচ, ভাবমূর্তির প্যাঁচঘোঁচ নিয়ে একটা জটিল আলোচনাক্ষেত্র ভাষাবিজ্ঞানীরা ভেবেছেন। ভেবেছেন ফেস থ্রেটনিং অ্যাক্ট বা এফ.টি.এ কাকে বলে! কীভাবে আমরা অজান্তেই সেই জটিল প্যাঁচালো ভাষিক সংবর্তনক্রিয়ায় অহরহ অংশ নিচ্ছি। সুকুমারের প্যাঁচাকে বুঝতে গেলে আগে এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে।

→

গোবর গুহর প্যাঁচ-পয়জার

কলকাতা বা ভারতে কুস্তির মূল জায়গা ছিল ধনী পৃষ্ঠপোষকদের আখড়ায় বাঁধা-মাইনের কুস্তিগিরদের লড়াই। গোবর নিজে সেরকম এক ধনী পরিবারের ছেলে, ফলে তাঁকে অন্যান্য নামজাদা কুস্তিগিরের মতো লোকে আদৌ সম্মান করবে কি না, এই নিয়ে সন্দেহ ছিল।

→

ওঠানামার আড়াই প্যাঁচে মেয়েলি মন

মেয়েরাই জানে, এই দেওয়াগুলো হাত থেকে হাতে কীভাবে যায়। জানে, কীভাবে অন্ধকার অলিন্দের বাঁকে, সিঁড়ির খাঁজে লুকিয়ে রাখা থাকে অন্তরের প্রাচুর্য। আত্ম-উপলব্ধির জন্য মেয়েদের কাছে একটা দুটো নয়, অজস্র আড়াই প্যাঁচের জিলিপি-পথরেখা থাকে, ওঠানামা করার অজস্র পাকদণ্ডী।

→

শুধু একটা হ‍্যাঁচ্চো– বলে দেবে কীভাবে বাঁচছ

আসলে হাঁচির অপয়া গল্প হাজার বছর ধরে চলছে। মেসোপটেমিয়ার দেবতার ভয়, ইউরোপের প্লেগের আতঙ্ক, ভারতের আচার ভঙ্গ, পোল্যান্ডের শাশুড়ির গুজব। প্রতিটি দেশের গল্প তার ইতিহাস আর সংস্কৃতির মধ‍্য দিয়ে দেখায় শুভ ধারণা থাকলেও, অশুভ বিশ্বাস কীভাবে টিকে আছে।

→

বাঙালি জিলিপির মতোই রসিক এবং প্যাঁচালো

বড় বাহারি পাকমারা বস্তুটি যদি অমৃতি হয়, তবে জিলিপির ভালো নাম নির্ঘাত অমৃতলাল বসু। বাঙালির ভোর মোরগডাকে হয় না, জিলিপির পাকে হয়। ধোঁয়াওঠা চায়ের পাশে গরম রসের শালপাতা আমাদের প্রাতকালীন ব্যায়াম।

→

প্রকাশের ২২ দিনের মধ্যে ছ’হাজার কপি পুনর্মুদ্রণ করতে হয়েছিল যোগীন্দ্রনাথের ‘বন্দে মাতরম্‌’

যোগীন্দ্রনাথের একটি উল্লেখযোগ্য অথচ স্বল্পালোচিত কাজ হল রবীন্দ্র-সংগীতের সংকলন। ১৯০৮ সালে যোগীন্দ্রনাথ তাঁর ‘সিটি বুক সোসাইটি’ থেকে প্রকাশ করেছিলেন এই বইখানা। সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর এ বইটিকেই রবীন্দ্রনাথের গানের প্রথম সংকলন বলে উল্লেখ করেছেন। যোগীন্দ্রনাথ সরকারের জন্মদিনে তাঁর প্রকাশক ও সংকলক সত্তাটি নিয়ে বিশেষ এই নিবন্ধ।

→

এদেশে এখনও বিয়ের পর বেশিরভাগ মেয়েদের আধপেটা খেয়ে থাকাই রেওয়াজ

গোবলয়ে যেমন কন্যা-সন্তানদের আজকাল খবর অনুযায়ী স্রেফ গলা টিপে খুন করা হয় না ডিসেন্সির খাতিরে, তেমনটা এখানকার রীতি নয়। বাপ, দাদা, ভাই ডিম তো বটেই, এমনকী মাংসও খাবে আর বোনের কপালে শুকনো রুটি-সবজি, অতটা পৌরুষ প্রদর্শন প্রায় কোনও জেলাতেই দেখিনি অদ্যাবধি।

→

বাংলার প্রাচীন মন্দিরশৈলীর উত্তরাধিকার বহন করছেন কাঠের রথকাররা

কালের করাল গ্রাসে শহর ও শহরতলিতে বাঙালির ছোট রথগুলিতে আর সেই শিল্পের মাধুরী নেই। এখন তার শরীর গোটাটাই রঙিন সেলোফেনে মোড়া। কাঠের বদলে সেখানে স্থান পেয়েছে প্লাস্টিকের ঘোড়া।

→

স্টাম্প মাইক এখন মাঠে ঢুকে পড়ার এক আশ্চর্য জানলা

স্টাম্প মাইক হিচককের ছবি ‘Rear window’-র মতো। কেবল লুকিয়ে পড়শিকে জানলা দিয়ে দেখে নেওয়া। এতে এক গোপন আনন্দ আছে। এর বাইরে আছে মাঠ। স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখার উত্তেজনা। ওই লাল বল উইলো কাঠে লাগলে যে শব্দের মূর্চ্ছনা, তাতে আমার প্রাণ রাখা আছে।

→

যুদ্ধের বিরুদ্ধে আঁকা ছবি

মৃত পুত্রকে জড়িয়ে ধরে জননীর সে আর্তিঘেরা ক্যাথের ছবির দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না। ক্যাথের অজস্র ছবির মধ্যে আরেকটি– দুঃস্বপ্নের জেগে ওঠা– অন্ধকার নিশুতি রাত্রে এক অসহায় মা, আলো নিয়ে রাশি রাশি মৃতদেহ থেকে নিজের ছেলের লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা করে চলেছে।

→