১৮৮০ থেকে ১৯২০-র মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এই ফাটকা বন্ধ করার জন্য নানা আইন আনা হয়েছিল। আধুনিক ব্যাবসায়িক রীতি-নীতির পরিপন্থী বলে মনে করা হত এই সব ফাটকাবাজিকে। কলকাতায় বর্ষা নিয়ে ফাটকা খেলা ঔপনিবেশিক সরকারের এক বিশেষ মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল উনিশ শতকের শেষ লগ্নে। জুয়ায় টাকা লগ্নি করা বা লাভ করা আধুনিক ব্যবসার জগতে কতটা নৈতিক– এই নিয়ে খবরের কাগজে তর্ক লেগে যায়। দাবি করা হল যে মাড়োয়ারিদের ব্যবসা আর ফাটকার চলনবলন এক ও অভিন্ন। এইসব বন্ধ করতে ১৮৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ‘বেঙ্গল রেন গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট’ চালু করা হয়।
৯.
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঘাঁটি হিসেবে কলকাতা পূর্ব গোলার্ধের একটা প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে উনিশ শতকে। কলকাতা বন্দর পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত বন্দর ছিল এই সময়ে। আঠারো শতকের শেষ ভাগ থেকে চিন, ভারত, আর ব্রিটেন মিলিয়ে যে আফিম বাণিজ্য শুরু হয়, সেই ত্রিভুজের একটি বিন্দু ছিল কলকাতা। শহরের এজেন্সি হাউসগুলি এই বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করত। মূলত ইউরোপীয়দের ব্যক্তিগত বাণিজ্যে সাহায্য করতে কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে এক একটি এজেন্সি হাউস গড়ে উঠেছিল। কোম্পানির কর্মচারীরা নিজেদের ব্যবসার জন্য এই এজেন্সিগুলি ব্যবহার করত। নিজেদের অর্জিত টাকা বিলেতে পাঠানো বা ভারতে ব্যবসার জন্য মূলধন ধার নেওয়া– সবকিছুই এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেত। কয়েক দশকের মধ্যে ফুলেফেঁপে ওঠে এই হাউসগুলি– ১৭৯০ সালে ১৫টি ছিল, ১৮২৮-এ ২৭, সেখান থেকে ১৮৩৫-এ ৬১ আর ১৮৪৬-এ সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৯৩-এ। আফিমের পাশাপাশি ১৮২০-র দশকে নীল চাষের সঙ্গে যুক্ত হয় এই হাউসগুলি। কিন্তু ব্যবসায়িক উত্থান-পতনের সঙ্গে বিশ্বজোড়া মন্দা একটু একটু করে এই বাণিজ্য-মডেলকে আক্রান্ত করতে শুরু করেছিল ১৮৩০-৪০-এর দশকে। ১৮৪৬ সালে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের পতনের সঙ্গে সঙ্গে এজেন্সি হাউসের জমানা শেষ হয়ে আসে।
এই এজেন্সি হাউসগুলির সঙ্গে ভারতীয়দের বেশ যোগাযোগ ছিল। ‘বানিয়ান’ বা কোম্পানির কর্তাদের ব্যক্তিগত সচিবের বিশেষ গুরুত্ব ছিল এই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে। উদাহরণ হিসেবে গোকুল ঘোষালের কথা বলা যায়। আঠারো-উনিশ শতকের কলকাতায় খিদিরপুরের ঘোষাল পরিবারের বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল। গোকুল কোম্পানির কর্তা হ্যারি ভেরেলস্টের ‘বানিয়ান’ ছিলেন। একইসঙ্গে বাংলা জুড়ে কোম্পানির নানা ব্যবসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করতেন। কোম্পানি বা ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলার অভ্যন্তরীণ বাজারের যোগাযোগের সেতু ছিলেন এই লোকগুলি। এজেন্সি হাউসগুলির কাছেও তাই এঁরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। আর অন্যদিকে, রামদুলাল দে, মতিলাল শীল, বা রামগোপাল ঘোষের মতো লোকজন এজেন্সি হাউসের সূত্র ধরে নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলেছিলেন। এই পর্বকে তাই অনেকেই ‘এজ অফ পার্টনারশিপ’ বা ‘অংশীদারিত্বের যুগ’ বলে চিহ্নিত করেন। এবং এই ক্ষেত্রে অন্যতম চর্চিত ও উল্লেখযোগ্য উদাহরণ অবশ্যই ‘কার, টেগোর অ্যান্ড কোম্পানি’।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক এবং এজেন্সি হাউসের সংকটের সময়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অনেকেই দেউলিয়া হয়ে যান। মাঝ শতকের এই অভিজ্ঞতা কলকাতার ব্যবসায়িক জগতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। পরবর্তীকালে বাঙালি ধনীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের জগত থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে জমিদারিতে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ মনে করেছিলেন। এজেন্সি হাউসের জায়গায় ‘ম্যানেজিং এজেন্সি’ নামে নতুন এক কাঠামো গড়ে ওঠে। এগুলি পুরোপুরি ব্রিটিশদের হাতে ছিল, ভারতীয় অংশীদারিত্বের বিশেষ স্থান আর ছিল না এতে। চা, পাট, কয়লা শিল্পের হাত ধরে ম্যানেজিং এজেন্সিগুলি কলকাতায় জাঁকিয়ে বসে উনিশ শতকের শেষের দশকগুলিতে।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
১৮৩৪ সালের ১ অগাস্ট উইলিয়াম কার ও দ্বারকানাথ ঠাকুর যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় এই কোম্পানি। দ্বারকানাথ নিজের ব্যবসা নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজস্ব ব্যবসা চালু করেন। বাংলা জুড়ে তাঁর বিস্তীর্ণ জমিদারি সাহায্য করে প্রাথমিক মূলধন জুটিয়ে দিতে। কলকাতার নগরায়নের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও জমিদারি ব্যবস্থা। কলকাতাকে কেন্দ্র করে এক বিশাল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড গড়ে তোলা যে সম্ভব এই বিষয়ে দ্বারকানাথ বিশদে চিঠি লেখেন তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল উইলিয়াম বেন্টিঙ্ককে। এবং এই ব্যবসার মাধ্যমে ভারতীয়দের অবস্থার উন্নতি হবে বলেও তিনি মনে করতেন। বছর দশেক বিভিন্ন ব্যবসায়ে নানাবিধ সাফল্যের পর সংকট দেখা দেয় ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের পতনের ফলে। দ্বারকানাথ দূরদর্শী মানুষ ছিলেন; নীল চাষের সংকটের ফলে ব্যাঙ্কের অবস্থা যে নড়বড়ে, তা টের পেয়ে ১৮৪৬ সালে নিজের মৃত্যুর আগে ব্যাঙ্ক থেকে নিজের শেয়ার সরিয়ে নিয়ে জমিতে বিনিয়োগ করে দেন।
কিন্তু সবাই দ্বারকানাথ ছিলেন না। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক এবং এজেন্সি হাউসের সংকটের সময়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অনেকেই দেউলিয়া হয়ে যান। মাঝ শতকের এই অভিজ্ঞতা কলকাতার ব্যবসায়িক জগতে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। পরবর্তীকালে বাঙালি ধনীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের জগত থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে জমিদারিতে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ মনে করেছিলেন। এজেন্সি হাউসের জায়গায় ‘ম্যানেজিং এজেন্সি’ নামে নতুন এক কাঠামো গড়ে ওঠে। এগুলি পুরোপুরি ব্রিটিশদের হাতে ছিল, ভারতীয় অংশীদারিত্বের বিশেষ স্থান আর ছিল না এতে। চা, পাট, কয়লা শিল্পের হাত ধরে ম্যানেজিং এজেন্সিগুলি কলকাতায় জাঁকিয়ে বসে উনিশ শতকের শেষের দশকগুলিতে। এদের কাজই ছিল একাধিক আধুনিক ব্যবসা একসঙ্গে দেখাশোনা করা, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের বিক্রিবাটার হিসেব রাখা, বিলেত থেকে মূলধন আমদানি করা, নতুন নতুন ব্যবসায়ীদের মাঠে নিয়ে আসা। কলকাতার বাণিজ্য জগতে এই পরিবর্তনের ছাপ শহরের বহিরঙ্গেও পড়ে। ডালহাউসি স্কোয়ার আর রাইটার্স বিল্ডিংয়ের চারপাশে বড় বড় ব্যাঙ্ক আর কোম্পানির সার সার অট্টালিকা পুরো এলাকাটার চেহারা বদলে দেয়।
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প-বাণিজ্যের নিরিখে উনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে কলকাতা প্রায় এক ইউরোপীয় শহরে পরিণত হয়, ভারতীয় পুঁজির উপস্থিতি যেখানে নগণ্য। আঠারো বা উনিশ শতকের গোড়ার দিকে এজেন্সি হাউসের ব্যবসা মূলত আফিম, নীল, বা কাপড়ের বাণিজ্য-কেন্দ্রিক ছিল। ১৮৬০-৭০-এর দশক থেকে বিদেশি কোম্পানিগুলি বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেসব বিদেশি সংস্থা এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অ্যান্ড্রু ইউল (চা, পাট, কয়লা), বামার লরি (ইঞ্জিনিয়ারিং, কয়লা), অক্টাভিয়াস স্টিল (চা, কয়লা, রেল, চুনাপাথর), ম্যাকনিল অ্যান্ড ব্যারি (চা, পাট)। এই সংস্থাগুলি এর আগে এশিয়ার বাণিজ্যের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত ছিল না। যদিও, দু’-একটি এজেন্সি হাউস সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের ম্যানেজিং এজেন্সি হিসেবে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
কলকাতাকে কেন্দ্র করে এই বিরাট ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্ভব হয়েছিল চা, পাট, কয়লার মতো আধুনিক শিল্প-সমৃদ্ধ বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি (‘হিন্টারল্যান্ড’) আর প্রায় শ’খানেক বছর ধরে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা বন্দর এলাকা। হুগলি নদীর দুই ধার ধরে পাটকল আর গুদোমঘর তৈরি করা, বন্দর থেকে মাল যাতায়াতের জন্য ট্রামলাইন পাতা বা নতুন রাস্তা বানানো– সবই আধুনিক শহরে পুঁজির চলাচলের পথ প্রশস্ত করতে গড়ে ওঠে।
আধুনিক শিল্পক্ষেত্রে বিদেশি পুঁজির রমরমা সত্ত্বেও কিছু এলাকা ছিল যেখানে ভারতীয়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। বিশেষত বড় শহরের বাইরে দেশের অভ্যন্তরের হাটবাজারের যে বিশাল ক্ষেত্র সেখানে বিভিন্ন ভারতীয় বাণিজ্যিক গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। বড় শহরগুলিতেও আধুনিক শিল্পজাত ব্যাবসায়িক ক্ষেত্র ছাড়িয়ে অন্যান্য পরিসরে ভারতীয়রা নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিতে পেরেছিল। কলকাতা শহরে রাজস্থানের মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা এই ভূমিকা পালন করেছিল। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতেই নয়, এর নির্দিষ্ট ছাপ পড়েছিল শহরের মানচিত্রেও। যেমন ডালহাউসি অঞ্চল বিদেশি বাণিজ্যিক কোম্পানির দখলে ছিল, তেমনই বড়বাজার ছিল মাড়োয়ারিদের বাড়ি-গদির এলাকা। আর এই নিয়ে শহরের কর্তাব্যক্তিদের চিন্তার অন্ত ছিল না। জায়গাটা ঘিঞ্জি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, আলো-হাওয়া ঢোকে না বেশিরভাগ বাড়িতে বা গলিতে, গরু-গাড়ি-মানুষে রাস্তাঘাট উপচে পড়ছে– আর এইসবের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার আদানপ্রদান হয়ে চলেছে। বাস্তুবাড়ির মধ্যেই ব্যবসাপত্তর চলছে, বিলিতি কায়দায় অফিস-বাড়ির ভাগ-বাঁটোয়ারা নেই এখানে। সব মিলিয়ে পুরোটাই যেন আলোআঁধারি জগৎ, যা আধুনিক নগর বা ব্যবসার নিয়মকানুনের বিশেষ পরোয়া করে না। এর এক অন্যতম নিদর্শন ছিল ‘রেন গ্যাম্বলিং’ বা বৃষ্টি নিয়ে ফাটকা। ১৮৮০ থেকে ১৯২০-র মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এই ফাটকা বন্ধ করার জন্য নানা আইন আনা হয়েছিল। আধুনিক ব্যাবসায়িক রীতি-নীতির পরিপন্থী বলে মনে করা হত এই সব ফাটকাবাজিকে। কলকাতায় বর্ষা নিয়ে ফাটকা খেলা ঔপনিবেশিক সরকারের এক বিশেষ মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল উনিশ শতকের শেষ লগ্নে। জুয়ায় টাকা লগ্নি করা বা লাভ করা আধুনিক ব্যবসার জগতে কতটা নৈতিক– এই নিয়ে খবরের কাগজে তর্ক লেগে যায়। দাবি করা হল যে মাড়োয়ারিদের ব্যবসা আর ফাটকার চলনবলন এক ও অভিন্ন। এইসব বন্ধ করতে ১৮৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ‘বেঙ্গল রেন গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট’ চালু করা হয়।
তবে পাট নিয়ে ফাটকা শুরু হয়ে যায় কয়েক বছরের মধ্যে, ১৯০৫-’০৬ সাল নাগাদ। প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ফাটকা, এবং বেশ কিছু লোক প্রভূত লাভ করতে শুরু করে। পাটকলগুলির ব্রিটিশ মালিকরা এই ‘স্পেকুলেশন মার্কেট’-এর কূলকিনারা করে উঠতে পারেনি। দু’দশকের মধ্যে এই পাট ব্যবসার হাত ধরেই ভারতীয় শিল্পপতির আবির্ভাব ঘটবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে প্রচুর লাভ করে ঘনশ্যাম দাস বিড়লা পাটকল চালু করে দেন ১৯২০ সালে। এর পরপরই স্বরূপচাঁদ হুকুমচাঁদ তাঁর মিল চালু করেন হালিশহরে। পাটশিল্পে একচেটিয়া ইউরোপীয় মালিকানার অবসান ঘটল।
তবে উনিশ শতকের গোড়াতে কলকাতার ব্যবসা-বাণিজ্য জগতে বাঙালির যে স্থান ছিল তা আর ফেরেনি এই সময়ে। জমিতে বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয়ে, ঔপনিবেশিক শিক্ষার দুনিয়ায় আর আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে বাঙালি ভদ্রলোক নিজেকে জড়িয়ে রাখে।
…কলিকথার অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৮: ধর্মতলা নয়, ময়দানই ছিল নিউ মার্কেট গড়ে তোলার প্রথম পছন্দ
পর্ব ৭: সেকালের কলকাতায় বাঙালি বড়মানুষের ঠাঁটবাটের নিদর্শন ছিল নিজের নামে বাজার প্রতিষ্ঠা করা
পর্ব ৬: কলকাতার বহিরঙ্গ একুশ শতকের, কিন্তু উনিশ-বিশ শতকের অসহিষ্ণুতা আমরা কি এড়াতে পেরেছি?
পর্ব ৫: কলকাতা শহর পরিকল্পনাহীনভাবে বেড়ে উঠেছে, একথার কোনও বিশেষ ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই
পর্ব ৪: ঔপনিবেশিক নগর পরিকল্পনার বিরুদ্ধ মত প্রকাশ পেয়েছিল যখন প্লেগ ছড়াচ্ছিল কলকাতায়
পর্ব ৩: ঔপনিবেশিক কলকাতায় হোয়াইট টাউন-ব্ল্যাক টাউনের মধ্যে কোনও অলঙ্ঘনীয় সীমানা
পর্ব ২: ‘জল’ যেভাবে ‘জমি’ হল এ কলকাতায়
পর্ব ১: চেনা কলকাতাকে না পাল্টেই বদল সম্ভব, পথ দেখাতে পারে একটি বাতিল রিপোর্ট