এক রাতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র স্বপ্ন দেখলেন, তাঁর ভাঁড়ার ঘরের কোণে একখানি শ্রীরাধা মূর্তি পড়ে আছে অনেকদিন। সেটিকেই পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। খবর পাঠালেন গঙ্গারামকে, একদিন মহা সমারোহে রাধার সঙ্গে কিশোরের মিলনের দিন ধার্য হল। প্রথমেই প্রভূত সংখ্যায় পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের এনে রাধিকা মূর্তির অভিষেক করা হল, তারপর লোকলস্কর, বাদ্যিবাজনা নিয়ে সেই রাইকিশোরীকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি থেকে নৌকাযোগে আনা হল চূর্ণী নদীর তীরে, যুগল মন্দিরের চত্বরে বকুল তলায়।
১৭.
হেমন্তের প্রভাত শিশিরে
ছল ছল করে গ্রাম চূর্ণী নদী তীরে।
সেই চূর্ণী নদীর তীরে এমন এক তীর্থের অবস্থান, যা এই জ্যৈষ্ঠ মাসে কত যে মানুষ আসেন তার ইয়ত্তা নেই। এই তীর্থের অধিপতির নামখানিও বড় সুন্দর, যুগল কিশোর। আরও সুন্দর তাঁর আবির্ভাব কাহিনি। গঙ্গারাম দাস নামের জনৈক বৈষ্ণব গিয়েছিলেন বৃন্দাবন, কৃষ্ণলীলায় সদা মুখরিত বৃন্দাবন। শুধু বৈষ্ণব নয়, আপামর ভারতবাসীর কাছে অতি পবিত্র তীর্থ বৃন্দাবন। গঙ্গারাম সেখান থেকে সঙ্গে নিলেন এক অসাধারণ কৃষ্ণমূর্তি। তারপর নবদ্বীপের কাছাকাছি সমুদ্রগড়ে ছোট্ট এক মন্দির তৈরি করে সেখানে রেখেছিলেন সেই বিগ্রহকে। কিন্তু খবর রাষ্ট্র হল, মারাঠা দস্যুদল বাংলা আক্রমণ করবে। যদি দস্যুরা দেব বিগ্রহের অবমাননা করে, লুটপাট করে, ধনরত্নের আশায় মন্দির তছনছ করে, সেই ভয়ে গঙ্গারাম পালিয়ে এলেন বন্ধুর বাড়ি চূর্ণী নদীর তীরে আড়ংঘাটায়। তারপর সেখানেই সেই কৃষ্ণবিগ্রহ এক নতুন মন্দিরে ঠাঁই পায়। আনুমানিক ১৭২৮ সালে এই মন্দিরটি তৈরি হয়, সম্ভবত তারও কিছুটা আগেই গঙ্গারাম তাঁর বিগ্রহ নিয়ে সেখানে চলে যান। একটু ধন্দ লাগে বইকি, ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দের আগে কি বর্গীরা বাংলায় এসেছিল? তাই বর্গী হানার সম্ভাবনাটা ঠিক বিশ্বাসযোগ্য লাগে না।
১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে এক বিরাট রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছিল। ওই সালে নদীয়ার রাজসিংহাসনে আসীন হয়েছিলেন মাত্র ১৮ বছরের এক সদ্য যুবক, পরবর্তীকালে যিনি গোটা বাংলার রাজনৈতিক পালাবদলের অতি গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র। তাঁর তো রাজা হওয়ার কথা নয়, কথা ছিল তাঁর কাকা রামগোপালের। কৃষ্ণচন্দ্রের পিতৃদেব আবার নিজের ছেলেকে নয়, আপন বৈমাত্রেয় ভাই রামগোপালকে পরবর্তী রাজা করার অনুমতি নবাব বাহাদুরের থেকে নিয়ে রেখেছিলেন। নিজের ছেলে থাকতে কেন বৈমাত্রেয় ভাইকে রাজা নির্বাচন করেছিলেন রঘুরাম? সে কথা অবশ্য জানা যায় না। অন্তত ‘ক্ষিতীশ বংশাবলী’র লেখক দেওয়ান কার্তিকচন্দ্র রায় তা জানতে পারেননি।
সে যাই হোক, রামগোপাল আবার ঘোর তামাক বিলাসী। কৃষ্ণচন্দ্রের বাবার মৃত্যু হলে তাঁরই সিংহাসনে বসার কথা, কিন্তু কৌশল করে কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগর থেকে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পথে, খানিক দূরে চৌকি বসিয়ে উৎকৃষ্ট তামাক দিয়ে বসিয়ে দিলেন একদল তামাকখোর মানুষকে। দামি তামাকের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে মৌজ নিতে বসে গেলেন তিনি, অর্থাৎ রামগোপাল। যথা সময়ে নবাবের দরবারে আর পৌঁছতে পারলেন না। আসল কারণ জেনে নবাব বললেন, যিনি রাজ্যলাভের চেয়ে তামাক খাওয়ায় অধিক গুরুত্ব দেন তাঁর রাজা হওয়ার অধিকার নেই। ফলে পরবর্তী রাজা হিসেবে কৃষ্ণচন্দ্রকে ঘোষণা করে দিলেন। চতুর কৃষ্ণচন্দ্রের জয় হল। এমন চতুরতা তিনি বারবার করে গেছেন, যেমন নাকি করেছিলেন অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের দখল নেওয়ার সময়।
বর্ধমান রাজার অধীন অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের মেলায় সেবার লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়, ভিড়ে পদদলিত হয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। রাগে ফেটে পড়েন নবাব বাহাদুর, কার রাজত্বে এমন হয়েছে জানতে চান। মাথা নিচু করে চুপ করে থাকেন বর্ধমান-রাজার প্রতিনিধি, আর সেই সুযোগে কৃষ্ণচন্দ্র বলে বসেন আশাতীত ভিড়ের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সব শুনে নবাবের মনে হল কৃষ্ণচন্দ্রই ওই অঞ্চলের অধিপতি, তিনি ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হওয়ার আদেশ দিলেন কৃষ্ণচন্দ্রকে, আর সেই থেকে কৃষ্ণচন্দ্র অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের অধিকারী হলেন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
কিশোর মূর্তির সেবা চলতে থাকলে এক রাতে গঙ্গারাম দাস স্বপ্ন দেখলেন, তাঁর কিশোর একাকিত্বের যাতনায় ছটফট করছেন। রাধা ছাড়া শ্যামের জীবন অসম্পূর্ণ, তাই এক রাধা মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার আদেশ দিলেন তিনি গঙ্গারামকে। বলেও দিলেন ওই বিষয়ে তাঁর সহায় হবেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
সেই কৃষ্ণচন্দ্রের সরকারে কাজ করতেন রামপ্রসাদ পাঁড়ে, গঙ্গারাম দাসের সেই বন্ধু, যিনি গঙ্গারাম আর তাঁর কৃষ্ণবিগ্রহকে আড়ংঘাটায় স্থান দিয়েছিলেন। রামপ্রসাদের নিজেরও একটি গোপীনাথ বিগ্রহ ছিল, বর্তমানে সেটিও যুগল মন্দিরে পূজিত হয়। রামপ্রসাদ চাইছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের মূর্তিটির জন্য একটি পৃথক মন্দির, কথাটা কানে যায় কৃষ্ণচন্দ্রের। কৃষ্ণচন্দ্র একাধারে শাক্ত, শৈব ও বৈষ্ণব ধর্মের প্রতি চিরকাল অনুরাগ দেখিয়েই এসেছেন, যদিও কথিত, তিনি চৈতন্যের গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের বিরোধী ছিলেন। সে যাই হোক, কৃষ্ণচন্দ্র বেশ অনেক টাকা ও ষোলো বিঘা জমির দানপত্র লিখে দিলেন ওই মন্দিরের জন্য। তৈরি হল মন্দির। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল অন্যভাবে। কিশোর মূর্তির সেবা চলতে থাকলে এক রাতে গঙ্গারাম দাস স্বপ্ন দেখলেন, তাঁর কিশোর একাকিত্বের যাতনায় ছটফট করছেন। রাধা ছাড়া শ্যামের জীবন অসম্পূর্ণ, তাই এক রাধা মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার আদেশ দিলেন তিনি গঙ্গারামকে। বলেও দিলেন ওই বিষয়ে তাঁর সহায় হবেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র। সবশুনে কৃষ্ণচন্দ্র কিন্তু কোনও সুরাহা করতে পারলেন না, তাঁর কাছে যত কৃষ্ণমূর্তি বর্তমান ছিল, তার প্রতিটির সঙ্গেই একটি করে রাধা মূর্তিও বিরাজিত ছিল, কোনও একক রাধা মূর্তির কথা তিনি স্মরণ করতে পারলেন না। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরে এলেন গঙ্গারাম।
কেটে গেল আরও কিছুদিন, অকস্মাৎ এক রাতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র স্বপ্ন দেখলেন, তাঁর ভাঁড়ার ঘরের কোণে একখানি শ্রীরাধার মূর্তি পড়ে আছে অনেকদিন। সেটিকেই পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। খবর পাঠালেন গঙ্গারামকে, একদিন মহা সমারোহে রাধার সঙ্গে কিশোরের মিলনের দিন ধার্য হল। প্রথমেই প্রভূত সংখ্যায় পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের এনে রাধিকা মূর্তির অভিষেক করা হল, তারপর লোকলস্কর, বাদ্যিবাজনা নিয়ে সেই রাইকিশোরীকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি থেকে নৌকাযোগে আনা হল চূর্ণী নদীর তীরে, যুগল মন্দিরের চত্বরে বকুল তলায়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন মিলনোন্মুখ কিশোর। সেইদিন থেকে আজও প্রতি বছর পয়লা জ্যৈষ্ঠ থেকে একমাস ধরে চলে কিশোর আর রাইকিশোরীর মিলন উৎসব, মেলা। স্থানীয়রা বলেন, ‘আড়ং’, কেউ বা বলেন ‘যুগল মেলা’। ওই এক মাসে প্রতিদিন কত যে ভক্তের সমাগম হয়, কত যে মনোহর বেশে, ফুলের সাজে যুগল মূর্তি সজ্জিত হয়, কত যে মানুষ আশা ভরে প্রার্থনা জানিয়ে শান্তি পায় তার লেখাজোখা নেই। আবার প্রবাদ আছে যুগলে দর্শন করলে সেই যুগলের কোনও বিচ্ছেদ ঘটে না, বিশেষ করে নারীদের বেলায় বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগের সম্ভবনা নিঃশেষ হয়। এমনকী বহু বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে দেখে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি, তাঁরা আসেন আগামী জন্মের কথা ভেবে, যদি এই জন্মে যুগল দর্শন করে প্রার্থনা করে যাওয়া যায় তবে আগামী জন্মে আর বিচ্ছেদ ঘটে না। লোকবিশ্বাসের এই ব্যপ্তি ও বিস্তার নিয়েই ভক্তের দল, বিশেষত মহিলারা জড়ো হন জ্যৈষ্ঠমাসে প্রতিটি দিনে যুগলের মন্দিরে, আড়ংঘাটায়।
যুগলের মন্দিরের পাঁচটি দ্বার, যার মধ্য দ্বারের সামনে বেদি, বেদির ওপর সিংহাসন, সেই সিংহাসনে আসীন যুগল মূর্তি। গোটা জ্যৈষ্ঠ মাস জুড়ে যুগলদ্বারে দেখা যায় দু’টি চুবড়ি বা ডালা। ডালায় থাকে– পাঁচ ফল, কিছু ধাতু, যেমন সোনা, রূপা, তামা, কিছু মুদ্রা, কাপড়, সিঁদুর, আলতা, কড়, লোহা, ঠিক যেন এয়োস্ত্রীর সিধে। শোনা যায়, এমনই করে বিয়ের তত্ত্ব সাজিয়ে রাইকিশোরীকে বিয়ের কনের রূপে পাঠিয়ে ছিলেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র। আর সেই যুগলের মিলন প্রত্যক্ষ করার দিনে শুধু হাতে যেতে মানা, তাই ভক্তেরা অমন ডালা সাজিয়ে, তবেই যুগল দর্শন করে থাকেন। মন্দিরের বাইরের দোকান থেকে ডালা সাজিয়ে মাথায় করে তাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করে ডালা নিবেদন করে যান। যার যেমন সামর্থ, সেই অনুসারে এক বা দু’টি ডালা নিয়ে যাওয়াই বিধেয়। যে বকুলের তলায় যুগল বিগ্রহের প্রথম মিলন হয়েছিল, সেই বকুল গাছটিকে লোকে কল্পতরু ভাবে, আর তাদের ইচ্ছা, কামনা জানিয়ে ওই গাছে ঢিল বেঁধে যায়। বাসনা পূরণ হলে ঢিল খুলে যাওয়ার রীতি আছে।
অলৌকিক আর নানা বিস্ময়কর ঘটনা জড়িয়ে আছে এই মন্দিরে। প্রতি বছর কার্তিক মাসে গোবর্ধন পূজা তথা অন্নকূট উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ১২৯১ সনের ঘটনা, তখন ওই মন্দিরের মোহান্ত ছিলেন রঘুনাথ দাস বাবাজি। অতি উচ্চশ্রেণির বৈষ্ণব সাধক বলেই লোকে আজও তাঁকে মনে করেন। অন্নকূট উৎসবের জন্য খোসলপুর গ্রামের গোয়ালারা দুধ, দই সরবরাহের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। সেবারে কোনও কারণে আর সব কিছুর ব্যবস্থা করা হলেও গোয়ালাদের যথাসময়ে খবর দেওয়া হয়নি, একেবারে পুজোর দিনে মনে পড়ায় পূজারী মশাইকে খোসলপুর গ্রামে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে, এমন সময় দেখা গেল গোয়ালারা মাপের মতো করেই দুধ আর দই নিয়ে হাজির।
……………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………………….
বিস্মিত মোহান্ত মহারাজের কাছে তারা হাতজোড় করে বললেন, তাদের তো মনেই ছিল, মাঝরাতে অত কষ্ট করে গোয়ালাবাড়ি যাওয়ার কী দরকার ছিল। আবারও চমৎকৃত হলেন মোহান্তজি, তিনি তো আদৌ গোয়ালাবাড়ি যাননি, তবে কে গেলেন? বিস্ময়ের আরও বাকি ছিল। পুজোর ঘরে গিয়ে দেখেন, কিশোরের বসনের প্রান্তভাগ ভিজে, আর কিছু সর্ষের ফুল লেগে, শিশির ভেজা পথে যেতে কাপড়ের প্রান্তভাগ ভিজেছে আর মেঠো পথে যেতে কাপড়ে সর্ষের ফুল জড়িয়েছে। কিশোর নিজেই তাঁর সেবার ত্রুটি, ভক্তের অকল্যাণ নিবারণে অমন করেছেন, খবর রটতে বেশিক্ষণ লাগে না, দলে দলে ভক্ত ‘জ্যান্ত বিগ্রহ’ কিশোরকে দর্শন করে ধন্য হলেন। আজও কত যে মানুষ আসেন তার ইয়ত্তা নেই। শ্রীরামকৃষ্ণের একমাত্র সন্ন্যাসী কন্যা গৌরী মা-ও এসেছিলেন এই মন্দিরে।
শীর্ণ চূর্ণী নদী, জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা রোদ সব উপেক্ষা করে নরনারীর দল কৃচ্ছ্বসাধন করে চলেন বিচ্ছেদের শঙ্কা, আর বিরহের যন্ত্রণা এড়াতে, এ জন্মে তো বটেই, সম্ভব হলে আগামী জন্মে, জন্মান্তরেও।
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১৬। যে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয় জলঘড়ির সাহায্যে
পর্ব ১৫। হেস্টিংসের নজর থেকে গুহ্যকালীর মূর্তি রক্ষা করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব