হংসেশ্বরী মন্দিরের দেবী-মূর্তি নৃসিংহদেবের সাধন উপলব্ধি প্রসূত। মহাদেবের হৃদয় থেকে বিকশিত একখানি মৃণালদণ্ড, তার উপর দ্বাদশদল রক্তপদ্মের দেবী তাঁর বাম পদখানি দক্ষিণ জঙ্ঘায় তুলে সিদ্ধাসনে উপবিষ্টা। তাঁর চার হাতের মধ্যে বাম দিকের ঊর্ধ্বহস্তে ধরা আছে এক প্রদীপ্ত খড়্গ, নিচের হাতে এক অসুর মুণ্ড। দক্ষিণ ঊর্ধ্বে অভয়মুদ্রা আর নিম্ন হস্তে বরমুদ্রা। মুখে অদ্ভুত এক স্মিতহাস্য।
২০.
ছিল ঘন বাঁশঝাড়, সব কেটে ভাগীরথীর তীরের কাছে গড় উঠল পাটুলির জমিদার দত্তচৌধুরীদের কাছারিবাড়ি। কোনও এক সময়ে তাঁদের আবাস ছিল বর্ধমান জেলার অগ্রদ্বীপে। সেখান থেকে লক্ষণ সেনের প্রাসাদে বখতিয়ার খলজির আক্রমণের সময়ে তাঁরা পালিয়ে আসেন পাটুলিতে। শোনা যায়, এক দুর্গাপুজোর দশমী তিথিতে তড়িঘড়ি প্রতিমা বিসর্জন দিয়েই সব ছেড়েছুড়ে পালিয়ে আসেন, কারণ ওইদিন নাকি আক্রমণের আশঙ্কা ছিল। তবে পালাবার আগে আরেকটি কাজ সেরে নিয়েছিলেন তাঁরা। শাক্ত পরিবারটিতে কালীপুজো হত মহা ধূমধামের সঙ্গে, হত বলিদানও। সে বছর যদি কালী মায়ের উদ্দিষ্ট বলিটি পাছে দেওয়া না হয়, তাই দুর্গা প্রতিমার সামনেই বিসর্জনের আগেই বলিকার্য সম্পন্ন করা হয়। সেই থেকে দত্তচৌধুরীদের বংশে মহাদশমী তিথিতে একট ছাগ শাবককে বলিদানের পরম্পরা চলে আসছে।
চৌধুরী অবশ্য তাঁদের উপাধি, যেটি তাঁরা লাভ করেছিলেন দিল্লির সম্রাটের থেকে। অগ্রদ্বীপ থেকে কবে তাঁরা পালিয়ে আসেন, সেই নিয়ে অবশ্য মতান্তর আছে। কেউ বলেন, দ্বারিকনাথ দত্তের সময়ে, কেউ বা বলেন দ্বারিকের নাতি সহস্রাক্ষের সময়ে। তবে পাটুলির বাড়িটি তৈরি করেছিলেন সহস্রাক্ষের বড় ছেলে উদয় দত্ত। তিনি ছিলেন অতি মাত্রায় বিদ্যোৎসাহী, তাঁর সভাপণ্ডিতরা তাঁকে ‘রাজর্ষি’ উপাধি দিয়েছিলেন। তিনি দু’টি কাছারিবাড়ি তৈরি করেছিলেন, যার একটি বাঁশবেড়িয়ায় আর অপরটি শ্যাওড়াফুলিতে। ‘ঘটক কারিকা’য় আছে ‘পাটুলিতে দত্ত উদয় সভা শোভা করে’। এতটাই সামাজিক সম্মান ছিল উদয় দত্ত ও তাঁর পণ্ডিতসভার।
উদয় দত্তের ছেলে জয়ানন্দ, ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট শাহাজাহানের কাছ থেকে ‘মজুমদার’ উপাধি লাভ করেন। তাঁর আবার এক ছেলে রাঘব ১৬৪৯ সালে শাহজাহানের থেকেই পেয়েছিলেন ‘চৌধুরী’ উপাধি। সেই রাঘবের পুত্র রামেশ্বর, তাঁর আমল থেকেই বংশবাটী বা বাঁশবেড়িয়ার শাখার শ্রীবৃদ্ধি শুরু। ইনিও অতিমাত্রায় বিদ্যোৎসাহী ছিলেন, কাশী থেকে বিখ্যাত রামশরণ তর্কবাগীশকে বাঁশবেড়িয়ায় এনে সংস্কৃত শিক্ষার জন্য টোল স্থাপন করান। ক্রমে বাঁশবেড়িয়া সংস্কৃত শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়। ঔরঙ্গজেব তাঁকে ‘রাজামহাশয়’ উপাধি দান করেছিলেন। এমনিতে শাক্ত পরিবার হলেও রামেশ্বর দত্ত প্রতিষ্ঠা করেন ‘অনন্ত বাসুদেব মন্দির’, ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে– যা হুগলী জেলার টেরাকোটা অলংকৃত মন্দিরগুলির অন্যতম। যার প্রতিষ্ঠালিপিতে লেখা আছে–
মহীব্যোমাঙ্গ শীতাংসু গণিতে শক বৎসরে।
শ্রী রামেশ্বর দত্তেন নির্ম্মমে বিষ্ণু মন্দিরং।।
কিন্তু ভক্তজনের কাছে বাঁশবেড়িয়ার মূল আকর্ষণ হংসেশ্বরী মন্দির। এটি প্রতিষ্ঠা করেন রাজামহাশয় নৃসিংহদেব। তাঁর জন্ম হয় তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে, আর নাবালকের সম্পত্তি অধিকার কেড়ে নেন বর্ধমানের জমিদার পেস্কার। ‘১১৪৮ সন থেকে বংশবাটী মৌজা বর্ধমানের দখলে আসে’। বহু চেষ্টা করেও সেই হৃত সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারেননি তিনি, হতাশগ্রস্ত হয়ে কাশীবাস শুরু করেন নৃসিংহদেব। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় ভূকৈলাশের রাজা জয়নারায়ণ ঘোষালের। তিনি তখন কাশীখণ্ডের বঙ্গানুবাদের জন্য একজন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতের সন্ধান করছিলেন। নৃসিংহদেব অমন এক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত হলেন। এই প্রসঙ্গে জয়নারায়ণ ঘোষাল লিখেছেন,
শূদ্রমণিকূলে জন্ম পাটুলিনিবাসী।
শ্রীযূত নৃসিংহদেব রায়গত কাশী।।
…………………………………………………………………………………….
সেকালের জমিদারেরা বৈকুণ্ঠের নাম শুনলেই কেঁপে উঠতেন। কৃষ্ণনগরের রাজাও একবার রাজস্ব সময় মতো দিতে না পারায় বন্দি হন। বৈকুণ্ঠবাস একপ্রকার নিশ্চিত, সেই সময় বাঁশবেড়িয়ার রাজা রঘুদেব একলক্ষ টাকা মিটিয়ে মুক্ত করেন নদীয়ার রাজাকে। তাঁর এই উদারতার কথা শুনে মুর্শিদকুলি খাঁ তাঁকে ‘শূদ্রমণি’ খেতাব দিয়েছিলেন। ১৩৩১ সনে ওই বংশের মুণীন্দ্র দেবরায় প্রকাশ করেছিলেন এক ছোট্ট পুস্তিকা, শিরোনাম ছিল ‘বাঁশবেড়িয়া বা বংশবাটী’।
…………………………………………………………………………………….
এই ‘শূদ্রমণি’ উপাধিখানি পাটুলির দত্তরা মানসিংহের কাছ থেকে লাভ করেছিলেন। ঘটনা হল, বাংলার নবাব তখন মুর্শিদকুলি খাঁ। কোষাগারে দেখলেন অনেক টাকার রাজস্ব বকেয়া পড়ে আছে। একসময় সীমা বেঁধে দিলেন বকেয়া মেটাতে। অনাদায়ে বিষ্ঠাপূর্ণ এক জলাশয়ে হাত পা বেঁধে তাদের ডুবিয়ে রাখা হত, যতক্ষণ না টাকা আদায় হয়। এর আবার নাম দিয়েছিলেন বৈকুণ্ঠ!
সেকালের জমিদারেরা বৈকুণ্ঠের নাম শুনলেই কেঁপে উঠতেন। কৃষ্ণনগরের রাজাও একবার রাজস্ব সময় মতো দিতে না পারায় বন্দি হন। বৈকুণ্ঠবাস একপ্রকার নিশ্চিত, সেই সময় বাঁশবেড়িয়ার রাজা রঘুদেব একলক্ষ টাকা মিটিয়ে মুক্ত করেন নদীয়ার রাজাকে। তাঁর এই উদারতার কথা শুনে মুর্শিদকুলি খাঁ তাঁকে ‘শূদ্রমণি’ খেতাব দিয়েছিলেন। ১৩৩১ সনে ওই বংশের মুণীন্দ্র দেবরায় প্রকাশ করেছিলেন এক ছোট্ট পুস্তিকা, শিরোনাম ছিল ‘বাঁশবেড়িয়া বা বংশবাটী’।
বাঁশবেড়িয়ার তো বটেই গোটা হুগলী জেলার টেরাকোটা ফলকে অলংকৃত মন্দিরের মধ্যে অন্যতম ‘অনন্ত বাসুদেব’ মন্দির। শম্ভুচন্দ্র দে তাঁর ‘The Bansberia Raj’ বইতে ওই মন্দির ও তার নির্মাতা সম্পর্কে লিখেছেন, ‘Rajah Rameswar was an excellent type of orthodox Hindu of older times. He had deep reverence for all the Gods and Goddesses of the Hindu pantheon, but the deity that held possession of his heart, in especial was Vishnu, otherwise Basudeb’. এই মন্দিরের গায়ের টেরাকোটা ফলক দৃষ্টিনন্দন। নানা দেবদেবীর মূর্তি, পৌরাণিক কাহিনি, শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা, নৌকাবিলাস, রাম-রাবণের যুদ্ধ, দশাবতার এমন বিচিত্র অতি অপূর্ব ফলকের দেখা মেলে এই মন্দিরে। তবে সবচেয়ে নজর কাড়ে এক অনন্য দ্বিতল জাহাজের ফলক। সশস্ত্র সেনারা পাহারাদারি করে, সঙ্গে সুঠামদেহী মাল্লারা দাঁড় টেনে চলে, আর পাটাতনের ওপর আরোহীরা আমোদ-আহ্লাদে মেতে আছেন। সুরক্ষিত এক প্রমোদতরী যাকে ‘হুগলীজেলার ইতিহাস ও বঙ্গ সমাজ’ গ্রন্থের লেখক সুধীরচন্দ্র মিত্র মনে করেছেন, ‘প্রাচীন বাংলার নৌবিতানের এক খণ্ডচিত্র’। এত প্রাণবন্ত ও মনোহর ওই ফলকগুলি যে রবীন্দ্রনাথ, নন্দলাল বসুকে আদেশ করেন সেগুলির নকল চিত্র তৈরি করতে, প্রায় একমাস বাঁশবেড়িয়ায় থেকে নন্দলাল প্রায় প্রতিটি ফলকের অনুকরণে ছবি এঁকে আনেন।
ফেরা যাক, জগজ্জননী হংসেশ্বরীর কথায়। প্রায় আট বছর কাশীতে থেকে নৃসিংহদেব প্রায় একলক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, সেই অর্থে সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য মামলা লড়বেন। কিন্তু আকস্মিক তাঁর মনের পরিবর্তন হয়, ওই টাকা দিয়ে রাজমহল থেকে পাথর কিনে নৌকাযোগে বাঁশবেড়িয়ায় পাঠিয়ে দেন। সেই পাথর দিয়ে আরম্ভ হয় হংসেশ্বরীর মন্দির নির্মাণ, ১৭৯৯ সালে। এক বিশেষ স্থাপত্যশৈলীর মন্দির, কুলকুণ্ডলিনী শক্তির প্রকাশরূপ সেই শৈলী, যা নৃসিংহদেবের সম্পূর্ণ নিজস্ব পরিকল্পনা। দেহস্থ ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না, বজ্রাক্ষ ও চিত্রিণী এই পাঁচ নাড়ির প্রতীকে মন্দিরের স্থাপত্য তৈরি। তন্ত্রের এমন শৈল্পিক স্থাপত্যের জুড়ি মেলা ভার। ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৩টি চূড়াবিশিষ্ট এই অপূর্ব মন্দিরটি নান্দনিক দিক থেকেও বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।
তন্ত্রোক্ত ষট্চক্রভেদ ধারণাকে এমনভাবে স্থাপত্য মাধ্যমে প্রকাশের কল্পনা নৃসিংহদেবের নিজস্ব তন্ত্র উপলব্ধির ফল বলেই মনে করা হয়। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভালো যে, রাজা নৃসিংহদেব ‘উড্ডীশ তন্ত্র’ নামে তন্ত্রের একখানি পুস্তক রচনা করেছিলেন। দেবী হংসেশ্বরীর মূর্তিটিও অভিনব। নিম কাঠের নীল বর্ণের, সহস্রদল নীল পদ্মের উপর অষ্টদল বিশিষ্ট রক্তকমল। ‘উচ্চবেদীর উপর ত্রিকোণ যন্ত্রে দেবাদিদেব মহাদেব যোগ নিদ্রায় শয়ান আছেন। তাঁহার নাভিকুণ্ড হইতে পদ্ম উত্থিত হইয়াছে, তদুপরি দেবী হংসেশ্বরী দক্ষিণাস্য হইয়া কল্পতরু মূলে উপবিষ্টা আছেন’।
এই মূর্তি নৃসিংহদেবের সাধন উপলব্ধি প্রসূত। মহাদেবের হৃদয় থেকে বিকশিত একখানি মৃণালদণ্ড, তার উপর দ্বাদশদল রক্তপদ্মের দেবী তাঁর বাম পদখানি দক্ষিণ জঙ্ঘায় তুলে সিদ্ধাসনে উপবিষ্টা। তাঁর চার হাতের মধ্যে বাম দিকের ঊর্ধ্বহস্তে ধরা আছে এক প্রদীপ্ত খড়্গ, নিচের হাতে এক অসুর মুণ্ড। দক্ষিণ ঊর্ধ্বে অভয়মুদ্রা আর নিম্ন হস্তে বরমুদ্রা। মুখে অদ্ভুত এক স্মিতহাস্য।
একখানি প্রতিষ্ঠালিপি মন্দিরের দেওয়ালে আঁটা আছে। তাতে লেখা–
শকাব্দে বস বহ্নি মৈত্র গণিত শ্রি মন্দিরং মন্দিরং
মোক্ষদ্বার – চতুর্দশেশ্বর – সমং হংসেশ্বরী রাজিতং
ভূপালেন নৃসিংহদেব কৃতিনারদ্ধং তদাজ্ঞানুগা
তৎপত্নী গুরুপাদ পদ্ম নিরতা শ্রী শঙ্করী নির্ম্মমে।।
পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অর্থ সংস্থান ও কাশী থেকে কারিগরদের এনে কাজ শুরু করেও দেবী প্রতিমা প্রতিষ্ঠার আগেই নৃসিংহদেব প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যু হলেও নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকেনি, ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর স্ত্রী শঙ্করীদেবী।
বাঁশবেড়িয়ার দত্ত পরিবার কিন্তু শুধু মন্দির নির্মাণেই তাদের সামাজিক কাজকর্ম সীমাবদ্ধ রাখেননি, তাঁদের অনেকেই ছিলেন অতিমাত্রায় বিদ্যোৎসাহী। বাঁশবেড়িয়াকে নবদ্বীপের মত সংস্কৃতচর্চা তথা সামগ্রিকভাবে বিদ্যাচর্চার অন্যতম কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলার ব্যাপারে নিরন্তর চেষ্টা করে গিয়েছেন। আদি ব্রাহ্ম সমাজের উদ্যোগে এখানে ১৮৪৩ সালে গড়ে ওঠে এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। ‘তত্ত্ববোধনী’ পত্রিকার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের কারণে এমনটা সম্ভব হয়েছিল, অক্ষয়কুমার দত্ত এক সময় ওই স্কুলে শিক্ষকতা করেছিলেন।
……………………………………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………………………………………
ত্রিবেণী, বাঁশবেড়িয়া সংলগ্ন অঞ্চলে বেশ কিছু নামকরা মন্দির আছে। বস্তুত, প্রয়াগ তীর্থরূপে ত্রিবেণী এক অতি পবিত্র স্থান বলেই গণ্য করেন হিন্দুরা। এখানে বহু দূর থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় দাহকার্যের জন্য, ধারণা এর ফলে তাঁদের অক্ষয় স্বর্গবাস নিশ্চিত হয়। আবার সঙ্গমস্থল থেকে সামান্য দূরে বাংলার প্রথম মসজিদ বলে পরিচিত জাফর খাঁ গাজীর মাজার ও মসজিদটিও হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে পর্যটকের আকর্ষণ করে।
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১৯। হুতোমের কথায়, মাহেশের রথের মতোই স্নানযাত্রারও ধূম ছিল সে কলকাতায়
পর্ব ১৮। কঙ্কালীতলায় বলিদানের বীভৎসতা ব্যথিত করেছিল রবীন্দ্রনাথকে
পর্ব ১৭। শ্রীরাধার মূর্তিকে কনের সাজে যুগল কিশোর মন্দিরে পাঠিয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
পর্ব ১৬। যে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয় জলঘড়ির সাহায্যে
পর্ব ১৫। হেস্টিংসের নজর থেকে গুহ্যকালীর মূর্তি রক্ষা করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব