উত্তমকুমারের মৃত্যুর এক বছরের মধ্যেই এসেছিল ‘প্লট নম্বর ফাইভ’। ‘বিচারক’-এর ধোঁয়াশামাখা উত্তমকুমার, ‘বাঘবন্দী খেলা’-র মাতাল, লম্পট, ঘিনঘিনে উত্তমকুমার, বা ‘বহ্নিশিখা’-র ডিটেকটিভ নভেলের ভিলেনমার্কা ফ্রেঞ্চকাট-কালো চশমা ও ধুতি-পাঞ্জাবির ডাবল রোলের শাণিত উত্তমকুমার, ‘অপরিচিত’-র খুনে বদমাইশ উত্তমকুমার বা ‘শেষ অঙ্ক’-র ঠান্ডা মাথার হত্যাকারী উত্তমকুমার তো ছিলেন, কিন্তু ‘প্লট নম্বর ফাইভ’-এর মতো আদ্যন্ত থ্রিলারে, হুইলচেয়ারে বসা সিরিয়াল কিলারের ভূমিকায় তাঁকে দেখে একটু হকচকিয়েই গিয়েছিল বাঙালি। মার্ডার মিস্ট্রি পড়তে যতটা অভ্যস্ত তখন বাঙালি, দেখতে ততটাও নয়। তার মধ্যে সদ্যপ্রয়াত মহানায়ককে এমন প্রকৃত অর্থেই লেডি কিলার চরিত্রে দেখে অনেকেই থমকে গিয়েছিল। স্কুলছাত্রীদের একটি দল মরণোত্তর উত্তমকুমারকে দেখার উত্তেজনায় ‘রূপবাণী-তে নুন শো-এ হাজির হয়েছিল। চল্লিশের বেশি বছর পেরিয়ে এসে, তাদের একজনের কথায়, ‘তখনও তো রোমান্টিক উত্তমকুমারকেই মনে আছে। তাই অমন ভিলেন উত্তমকুমারকে বেশ লেগেছিল!’
২৪.
‘কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদা’ শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল এক এসটিডি বুথের মালিক। গল্পটা এর প্রায় দু’দশক পরে তৈরি হওয়া অঞ্জন দত্তর গান ‘বেলা বোস’-এর মতোই, কেবল প্রেমিকটি মোটেই চাকরি পায়নি এক্ষেত্রে। কেবল, কলেজ পাশ প্রেমিকা নিজেই একটি অন্য বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিল, এই বেকার ও লোফার প্রেমিকের সঙ্গে পাল্লা না দিতে পেরে। তারপরেই দেবদাস অধ্যায় শুরু। এসটিডি বুথ থেকে মেয়েটির ‘বাপের বাড়ি’-তে ফোন করে ক্রমাগত মাতাল কণ্ঠে এই গান পরিবেশন চলত, ওদিকে মেয়ে ততদিনে শ্বশুরবাড়িতে। মেয়ের কাকা, জেঠু, বাবারা নিপাট ভদ্রলোক। তাও একদিন মেয়েটির চুপচাপ, সহিষ্ণু জেঠু থাকতে না পেরে, ‘শুয়োরের বাচ্চা, বেসুরে গান গেয়ে গেয়ে কতদিন মাথা খাবি আর!’ বলে ফোনটা নামিয়ে রেখেছিল।
‘হাম কিসিসে কম নেহি’ ১৯৭৭ সালের ছবি ছিল। কিন্তু এই গানের বুলি প্রেম-বন্ধুত্বে, হরষে বিষাদে ‘ওয়াদা’ ভাঙার বিলাপ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ১৯৮০ সালের ২৫ জুলাই এই গান গেয়ে কেউ প্রিয় মহানায়ককে বিদায় জানাবে– এটা ভাবনার কিঞ্চিৎ বাইরেই ছিল। কিন্তু মালা দিয়ে সাজানো মহানায়কের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট ঠুকে এই গানই গেয়েছিল ‘রতন পাগল’, উত্তর কলকাতার এক পাড়ায়। এই গানটাই সেই ’৭৭ সালের পর থেকেই রতন গাইত প্রতি ২৩ জানুয়ারি, নেতাজির ছবির সামনেও, এই একই ঢঙে। পাড়ার কেউ আপত্তি তো তোলেইনি, বরং এই ট্র্যাডিশন সমানে চলবে বলেই ধরে নিয়েছিল। ‘উত্তমকুমার আমরা তোমাকে ভুলছি না ভুলব না’ লেখা বড় প্ল্যাকার্ড ও তার নিচে ‘অমানুষ’-এর উত্তমকুমারের ছবি ও তার সামনে এমন একখানা মিনি জলসা দেখে এক বিহারি টানা রিকশাওলা দাঁড়িয়ে পড়ে পাড়ারই একজনকে প্রশ্ন করে, ‘ই কা হ্যায় বাবুয়া?’, পাড়ার এক ছোঁড়া গম্ভীরভাবে উত্তর দিয়েছিল, ‘শহিদ বেদি।’
উত্তমকুমারের মৃত্যুর এক বছরের মধ্যেই এসেছিল ‘প্লট নম্বর ফাইভ’। ‘বিচারক’-এর ধোঁয়াশামাখা উত্তমকুমার, ‘বাঘবন্দী খেলা’-র মাতাল, লম্পট, ঘিনঘিনে উত্তমকুমার, বা ‘বহ্নিশিখা’-র ডিটেকটিভ নভেলের ভিলেনমার্কা ফ্রেঞ্চকাট-কালো চশমা ও ধুতি-পাঞ্জাবির ডাবল রোলের শাণিত উত্তমকুমার, ‘অপরিচিত’-র খুনে বদমাইশ উত্তমকুমার বা ‘শেষ অঙ্ক’-র ঠান্ডা মাথার হত্যাকারী উত্তমকুমার তো ছিলেন, কিন্তু ‘প্লট নম্বর ফাইভ’-এর মতো আদ্যন্ত থ্রিলারে, হুইলচেয়ারে বসা সিরিয়াল কিলারের ভূমিকায় তাঁকে দেখে একটু হকচকিয়েই গিয়েছিল বাঙালি। মার্ডার মিস্ট্রি পড়তে যতটা অভ্যস্ত তখন বাঙালি, দেখতে ততটাও নয়। তার মধ্যে সদ্যপ্রয়াত মহানায়ককে এমন প্রকৃত অর্থেই লেডি কিলার চরিত্রে দেখে অনেকেই থমকে গিয়েছিল। স্কুলছাত্রীদের একটি দল মরণোত্তর উত্তমকুমারকে দেখার উত্তেজনায় ‘রূপবাণী-তে নুন শো-এ হাজির হয়েছিল। চল্লিশের বেশি বছর পেরিয়ে এসে, তাদের একজনের কথায়, ‘তখনও তো রোমান্টিক উত্তমকুমারকেই মনে আছে। তাই অমন ভিলেন উত্তমকুমারকে বেশ লেগেছিল!’ কিন্তু সেই সিনেমা শেষের পরের বিকেলে হাতিবাগানে বেরিয়ে এসে, একটুও কি বিষাদ আঁকড়ে ধরেনি সেই কিশোরীদের? প্রেম না-পাওয়ার হতাশায় তাঁর পঙ্গুত্ব নিয়ে খিল্লি করা মহিলাদের নিকেশ করা উত্তমকুমার একেবারেই নতুন আবিষ্কার ঠিকই, কিন্তু হালকা হাসি চোখের জলের বিরহী ও প্রেমিক যক্ষ, উত্তমকুমার ভালোবাসায় তাঁকে টেক্কা দেবেন তো বটেই! তাই মৃত্যুর পরে মুক্তি পাওয়া ‘রাজাসাহেব’-এও ধর্ষক জমিদারের চরিত্রে তাঁকে কেউই মেনে নেয়নি। যদিও মৃত্যুর আগে আগে ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’-তে জবরদস্ত ভিলেন হয়েছেন উত্তম। কিন্তু যে কোনও পুজো প্যান্ডেলের অবধারিত গান হয়ে যা নস্টালজিয়া ধরে রাখল এত বছর ধরে, সেই ‘আধো আলো ছায়া’-র সুরে ভেজা রোমান্টিক মিঠুনও ম্লান হয়ে যান খল উত্তমের দাপটের কাছে।
বলিউডের আরেক উঠতি প্রেমিক এই ছবিতে সন্দেহের তালিকায় ছিলেন পুলিশ-রূপী আমজাদ খানের। উত্তমকুমার ওরফে সঞ্জয় মেহরার ভাই, অজয় মেহরার চরিত্রে ছিলেন অমল পালেকর। থ্রিলারের পোশাকি ভাষায় রেড হেরিং, অর্থাৎ আসল কালপ্রিটকে আড়াল করে থাকা চরিত্রে ছিলেন তিনি। কিন্তু ততদিনে অমন পেলব প্রেমিক হয়ে ওঠা অমল পালেকরকে কাঁহাতক সন্দেহ করে থাকা যায়, এমনটাই তখন মনে করেছিল সেই ছবির অনেক দর্শকই। ঘটনাচক্রে এই বছরেই পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে তাঁর নির্মিত ছোট ডিপ্লোমা ছবি ‘মার্ডার অ্যাট দ্য মাঙ্কি হিল’ থেকে পূর্ণাঙ্গ চিত্রনাট্য বানিয়ে জীবনের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যর ছবিটি বানাবেন তখন ২৯ বছর বয়সি বিধুবিনোদ চোপড়া– ‘সাজায়ে মওত’। অভিনয়ে নাসিরুদ্দিন শাহ ও রাধা সালুজা। থ্রিলারে হাত পাকানো সেই শুরু পরবর্তীতে মুন্নাভাই দিয়ে বলিউড কাঁপানো প্রযোজক-পরিচালকের। এর কিছু বছর পরেই মুক্তি পাবে বিধুবিনোদের ‘খামোশ’, সেখানে আবার কেবলই রেড হেরিং নন, হাড়হিম করা অপরাধী হয়ে উঠবেন, কলমকারি করা ফুল শার্ট পরে, পেতে চুল আঁচড়ে, উৎপল দত্তকে লুকিয়ে বা অশোককুমারের থেকে পরামর্শ নিয়ে প্রেমিক সাজা অমল পালেকর। সেই ‘প্লট নম্বর ফাইভ’-এর শেষে, ‘যাক বাবা, অমল পালেকর ভালো বলে হাঁফ ছাড়া দর্শকদের ক’জন হলে ভিড় করে ‘খামোশ’ দেখেছিলেন, বলা শক্ত। তারপর আটের দশকের শেষে মুক্তি পায় বিধুবিনোদের হিট ও বলিউডের মোড় ঘোরানো ছবি, ‘পরিন্দা’। তবে ‘পরিন্দা’-য় পৌঁছতে আরও কিছু পথ অতিক্রম করা বাকি।
এক অধ্যাপক গল্প করেছিলেন। ‘খামোশ’ দেখতে গিয়ে এক পুরনো ছাত্রের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। ছাত্রটিকে প্রশ্ন করেন অধ্যাপক খুব স্বাভাবিকভাবেই, ‘কী করছ?’ ছাত্রের সপ্রতিভ উত্তর ছিল, ‘এই তো স্যর, টিকিট ব্ল্যাক করি। আপনার লাগবে?’ যথারীতিই গৌরব অনুভব করেননি সেই অধ্যাপক। ছাত্রটিকে খানিক এড়িয়েই তিনি কাউন্টারে টিকিট কেটে ছবি দেখতে যান। ছাত্রটি পিছু ছাড়ে না। অধ্যাপকের পাশের ফাঁকা সিটে ঠায় বসে থাকে। কিছুক্ষণ পর পর ‘চুরমুর খাবেন? ঘটিগরম খাবেন? কোল্ড ড্রিঙ্কস নিয়ে আসি স্যর’ গোছের প্রস্তাবে যখন সিনেমা দেখার পাট প্রায় চুকতে বসেছে অধ্যাপকের, তিনি বাধ্য হয়ে কিছু টাকা দিয়ে ছেলেটিকে কোল্ড ড্রিঙ্কস, ঘটিগরম ইত্যাদি আনতে বলে নিরস্ত করেছিলেন। ছেলেটি যারপরনাই খুশি হয়ে কোল্ড ড্রিঙ্কস ও ঘটিগরম নিয়ে এসে আবার ওই পাশের সিটেই বসে। এত অবধি অত্যাচারটা মেনে নিয়েছিলেন অধ্যাপক। কিন্তু এরপর যা করল ছেলেটি, তা টিকিট ব্ল্যাকের চেয়ে ঢের বড় অপরাধ। সোজা অমল পালেকরের দিকে আঙুল তাক করে বলে বসে, ‘স্যর জানেন তো, আসলে এই লোকটাই খুনি।’
অন্যদিকে, বাংলা ছবিতে উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর থেকে শুরু হয়েছিল অন্যরকমের মূলধারা নির্মাণ। ততদিনে ‘হাংরি অটম’ বানিয়ে আলোচনায় উঠে আসা গৌতম ঘোষ চেয়েছিলেন, উত্তমকুমারকে নিয়ে সমরেশ বসু-র ‘শ্রীমতী কাফে’ বানাতে। এমন অনেককিছুই উত্তমের করা বাকি থেকে গিয়েছিল। তেমনই একটি ছবি, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালায়, ‘হব ইতিহাস’। নায়ক সেখানে শুভেন্দু, খলনায়ক, উত্তমকুমার। কয়েক দিন শুটিং-ও হল সেই ছবির, তারপরেই বাঙালির সবচেয়ে বড়, ‘অকারণে ফাঁকতালে মহাপ্রয়াণ’। কিছুদিন থমকে থেকে সেই ছবি তৈরি হল অঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে। নাম, ‘শত্রু’। শুভেন্দুর বদলে, রঞ্জিত মল্লিক। বৃদ্ধ বিকাশ রায় খলনায়ক, আর উত্তমকুমার যে চরিত্রে ছিলেন, সেই চরিত্রে এলেন মনোজ মিত্র। রাজনীতিকের বেপরোয়া ছেলে, দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার সকলের সঙ্গে লড়ে সমাজের খোলনলচে বদলে দেওয়া আদর্শবাদী, প্রায় সুপারম্যান পুলিশ চরিত্র বাংলায় সেই প্রথম, এবং সেই সূত্রেই বাংলার প্রথম কপ ইউনিভার্সের সূত্রপাত। এক দশক আগে বলিউডের ভিজিল্যান্টে স্রোতের সঙ্গে সমান্তরাল টানল এই বাংলার নব্য পুলিশি স্রোত। এরপর ‘নবাব’, ‘ইন্দ্রজিৎ’-এর ট্রিলজি দিয়ে এই কপ ড্রামার বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে নয়ের দশকের শুরুতে। এর মাঝে হিন্দিতে এই ছবির দৃশ্য টু দৃশ্য রিমেক হবে, রাজেশ খান্না ব্যর্থ চেষ্টা করবেন নিজেকে অ্যাকশন জমানার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। কিন্তু ১৯৮৪ সালের ওই ছবি বাংলা ছবিতে নায়ক নির্মাণের এক নতুন প্রস্থানবিন্দু তৈরি করল। ‘মৌচাক’ থেকে ‘বহ্নিশিখা’-য় উত্তমকুমারের সহ-অভিনেতা হওয়া রঞ্জিত মল্লিক নায়ক হিসেবে নিজস্ব জমি খুঁজে পেলেন। আবার, ‘সাহেব’ বা ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’-র তাপস পালও ক্যাবলা নায়ক হিসেবে নিজেকে অন্যতর নায়ক করে তুলছেন তখন। তরুণ মজুমদারও শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিঞ্চিৎ কমিট্র্যাজিক দাদাকে দিয়ে তাঁরই ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’-এর এক প্রতিভাষ্য তৈরি করলেন বলা চলে, যা কোথাও যেন সমান্তরাল তৈরি করল বলিউডে তৈরি হওয়া সেই ‘ডিস্কো ডান্সার’-এর সঙ্গে। নায়কের অস্ত্র যেখানে পারফরমেন্স, দুর্বলতাও তাই।
সেলুনে সেলুনে যুগে যুগে ছাঁট বদলে যায়। উত্তম ছাঁট থেকে রঞ্জিত ছাঁট, সাহেব ছাঁট থেকে নবাব ছাঁট হয়তো ছিল, কিন্তু সাত থেকে আটের দশকের শেষাবধি সেলুন শাসন করেছে বচ্চন ছাঁট, তার সঙ্গে কিছুটা টেক্কা অবশ্যই দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। রবীন্দ্রনাথ বা বিবেকানন্দর ছোট ছোট ছবি তাকে তোলা থাকত, ঠাকুরঘর থাকত নিজস্ব জায়গায়, আর দেওয়াল বা আয়নাজুড়ে শোভা পেত বলিউডের সেইসব ঝকমকে নায়করা, যাদের দাক্ষিণ্যে কিছু কিছু সেলুন চলত, সঙ্গে অবশ্য পছন্দের নায়িকারাও বাদ যেতেন না, তাদের আবেদনের দিকে সেলুনের ছুরি-কাঁচির সজল দৃষ্টি ছিল। সেলুনের রেডিওতেই সময়সফর চলত। কখনও ‘মাংগ কে সাথ তুমহারা’ বাজলে কখনও আবার বাজত ‘জানু মেরি জান’, আবার কখনও ‘মৌবনে আজ মৌ জমেছে বউ কথা কও ডাকে’-র তুমুলতাস মেলডি। দশক পেরয়, শতাব্দী পেরয়। তোয়ালে বদলায়, শেভিং ফোম, রেজর বদলায়। তাও ছুটির দুপুরের ঝিম মেখে দোকানের ঝাঁপ নেমে আসা অবধি কোন সে গোডোর অপেক্ষায় থাকে একদল পাড়াতুতো আড্ডাবাজ? সুদিন? কে জানে! তবে সেদিন কাছে না এলেও কল্পনায় আসে, সিনেমায় যেমন হয়।
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল