১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন শিল্পী চিন্তামণি কর । উন্নততর শিল্প শিক্ষার জন্য বহুদিন বিদেশে বসবাস করেছিলেন চিন্তামণি কর । ১৯৩৮ সালে তিনি প্যারিসের ‘একাডেমী দে লা গ্রান্ড সমিয়ের’-এ শিক্ষা নিতে গেলেন। এরপরে কলকাতায় ফিরে আসেন, অধ্যাপনা করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লি পলিটেকনিকে। তারপর আবার ফিরে যান বিদেশে। ১৯৪৬-এ পাড়ি দিলেন লন্ডনে এবং ‘রয়েল সোসাইটি অফ ব্রিটিশ স্কাল্পটার্স’-এর সদস্য হলেন। এইখানে লন্ডনের সামার অলিম্পিকসে ভাস্কর চিন্তামণি কর অংশ নিলেন গ্রেট ব্রিটেনের পক্ষে ভাস্কর্য বিভাগে এবং জিতে নিলেন দ্বিতীয় পুরস্কার, রৌপ্য পদক। লন্ডনের শুরুর দিকে করা ওঁর এই ভাস্কর্যটির শিরোনাম ‘দ্য স্ট্যাগ’। সেই হল আমাদের ভারতের, তথা বাংলার মানুষের প্রথম অলিম্পিকে পদক জয়। আমাদের, মানে বাঙালিদের কাছে এ এক মস্ত ঐতিহাসিক ঘটনা!
আজকাল সকালে খবরের কাগজ খুললেই খেলার পাতার মাথায় দেখি বড় বড় লেখা, ‘প্যারিস ২০২৪’। সঙ্গে আইফেল টাওয়ারের চূড়া, মশাল আর পাঁচ রঙের পাঁচ রিঙের মালা। ঠিক তার নীচে লেখা, ‘কিপ শাইনিং টিম ইন্ডিয়া’। রোজ এখন খবরের কাগজ মন ভালো করে দিচ্ছে। খুব চিনি এই প্যারিস শহর। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে থেকে প্রাণভরে দেখে এসেছি কত না জগদ্বিখ্যাত শিল্পকর্মের মিউজিয়াম। চিনি অলিম্পিকের পতাকার ওই পাঁচ রঙের পাঁচ রিংয়ের মালা যেখানে গেঁথে আছে পৃথিবীর পাঁচ বাসযোগ্য মহাদেশের সম্পর্ক। জেনে গিয়েছি এই পাঁচ রঙের উৎস, নীল-কালো-লাল-হলুদ-সবুজ, পাঁচ মহাদেশের পতাকার রং। এ-ও জেনেছি এখন পৃথিবীর সমস্ত পতাকার রঙে এই পাঁচটি রঙেরই প্রাধান্য। অলিম্পিকের পতাকায় পঞ্চবলয়ের পরিকল্পনা হয়েছিল একদম শুরুতে এই ফ্রান্সেই ১৯১৩ সালে।
প্যারিসের সবচেয়ে জনপ্রিয়, আইকনিক ল্যান্ডমার্ক, আইফেল টাওয়ারও চিনি। পৌঁছে গিয়েছিলাম আইফেল টাওয়ারের এক্কেবারে টপ লেভেলে, যেখানে ফরাসি ইঞ্জিনিয়ার আইফেলের ব্যক্তিগত অফিস। লাইফ সাইজ মোমের মূর্তি, আইফেল আর আলভা এডিসন মিটিং করছেন এখন সেখানে। আর আছে গোলাকার রেলিং দেওয়া কাচে ঘেরা বারান্দা। চারিদিক ঘুরে ঘুরে সমস্ত শহরটাই দেখার ব্যবস্থা। শুধু শহর কেন আকাশের দিকে তাকিয়ে গোটা পৃথিবীটাই দেখা যায় যেন। হঠাৎ দেখলাম ওপরেও বেড়ার মতো গোলাকার বোর্ডের ওপর অনেক দেশের, জায়গার নাম। অর্থাৎ যে-জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি সেইখান থেকে আকাশের দিকে তাকালে কত নটিক্যাল মাইল দূরে দূরে কোন কোন শহরে যাওয়া যায়, তাদের নাম। সব নামের মধ্যে আমার দেশ খুঁজে বেড়ালাম খুব। ভারতের নাম খুঁজে পেলাম না। আবার খুঁজলাম। অবাক হয়ে এবারে দেখলাম– এক জায়গায় লেখা আছে ‘ক্যালকাটা’। ভারত নেই পৃথিবীর ম্যাপে, আছে কলকাতা। মনটা আনন্দে ভরে গেল। এক অন্য অদ্ভুত অনুভূতি। এক্ষেত্রে এক এক মানুষের এক একরকম অনুভূতি হয়। গলার কাছে কারও দলা পাকিয়ে উঠে কিছু। বুকে চিনচিন ব্যথা, কিংবা চোখে জল আসে অনেকের। অনেক উঁচুতে ছিলাম তাই আমার পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল।
কতবার ভেবেছি অলিম্পিকে শিল্পের প্রতিযোগিতার কোনও জায়গা নেই কেন? কেনই বা নেই নোবেল প্রাইজের বেলাতেও। অস্কারে আছে, কিন্তু অন্যভাবে। অলিম্পিক কি শুধু গায়ের জোর দেখানোর জায়গা না কি যুদ্ধ জয়ের খেলা? সৃজনশীল কাজ কি মানুষের কোনও ক্ষমতা নয়? কতদিন স্বপ্নে দাঁড়িয়েছি ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে। এক হাতে ‘ভি’ দেখিয়েছি, অন্য হাতের ফিতেয় বাঁধা মেডেল কামড়েছি দাঁতে। সেই স্বপ্ন সত্যিকারের পূরণ হল যেন পরশু দিন। হঠাৎ এই অলিম্পিকের হাওয়ায় খবরের কাগজের কোন এক কোণে কোথাও যেন ছোট্ট একটা সাদা-কালো ছবি দেখলাম, আবার হারিয়েও গেল। খুঁজে পাচ্ছি না অথচ পরিষ্কার দেখেছি অনুজ্জ্বল সাদা-কালো ছবিটাতে শিল্পী চিন্তামণি কর।
স্বপ্ন নয়, সত্যি সত্যি ঘটেছিল ঘটনাটা। অলিম্পিকে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন শিল্পী চিন্তামণি কর । সে খবর খুঁজে পাচ্ছি ইতিহাসের পাতায় । উন্নততর শিল্প শিক্ষার জন্য বহুদিন বিদেশে বসবাস করেছিলেন চিন্তামণি কর । ১৯৩৮ সালে তিনি প্যারিসের ‘একাডেমী দে লা গ্রান্ড সমিয়ের’-এ শিক্ষা নিতে গেলেন। আমাদের দেশের শিল্পী কৃষ্ণা রেড্ডি এবং অমৃতা শেরগিল এই প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষা নিয়েছেন। আলোচনায় ‘প্যারিস’ শব্দটা কিন্তু বারবার আসছে। এরপরে কলকাতায় ফিরে আসেন, অধ্যাপনা করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লি পলিটেকনিকে। তারপর আবার ফিরে যান বিদেশে। ১৯৪৬-এ পাড়ি দিলেন লন্ডনে এবং ‘রয়েল সোসাইটি অফ ব্রিটিশ স্কাল্পটার্স’-এর সদস্য হলেন। এইখানে লন্ডনের সামার অলিম্পিকসে ভাস্কর চিন্তামণি কর অংশ নিলেন গ্রেট ব্রিটেনের পক্ষে ভাস্কর্য বিভাগে এবং জিতে নিলেন দ্বিতীয় পুরস্কার, রৌপ্য পদক। লন্ডনের শুরুর দিকে করা ওঁর এই ভাস্কর্যটির শিরোনাম ‘দ্য স্ট্যাগ’। সালটা ১৯৪৮। সেই হল আমাদের ভারতের, তথা বাংলার মানুষের প্রথম অলিম্পিকে পদক জয়। আমাদের, মানে বাঙালিদের কাছে এ এক মস্ত ঐতিহাসিক ঘটনা। কিন্তু এত অস্পষ্ট কেন?
লেখাপড়া যতটা কাজের ঠিক ততটা অকাজের হল আমাদের খেলাধুলো। খেলাধুলো বিষয়ে চিরকালই আমরা ছিলাম উদাসীন। তাই বলে আমরা বাঙালিরা কি শৈশবে খেলাধুলো করিনি? দৌড়েছি বন্ধুদের সঙ্গে অনেক। পুকুরে, নদীতে সাঁতার তো কেটেছি। উঁচু গাছের ডাল থেকে পুকুরের জলে লাফিয়েছি কত শতবার। স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে রাগারাগি করে কিল-চড়-ঘুসি মেরেছি যত তার চেয়ে ধুলোয় মাটিতে লুটিয়ে কুস্তি অনেক বেশি। গুলতি দিয়ে টিপ করে ছোট ছোট শালিক চড়ুই মেরেছি তো। খেজুরের ডাঁটার বর্শা বানিয়ে ছুড়েছি কত, তবে তা ছিল আদিম শিকার শিকার খেলা। কিন্তু সেইগুলো যে পৃথিবীর আঙিনায় একদিন অলিম্পিক হয়ে দাঁড়াবে, একটা খেলাধুলোর বিশাল উৎসব হবে, জানতাম না। হয়তো বুঝতাম না বা বোঝানো হতও না।
আধুনিক অলিম্পিক গেমসের শুরুর দিকে ‘শিল্পকলা’কে প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে যোগ করা হয়। অলিম্পিক কমিটির এক কর্তাব্যক্তির মাথায় ঢুকেছিল অদ্ভুত এই আদর্শগত চিন্তা– অলিম্পিক কি শুধু দৈহিক ক্ষমতার? অলিম্পিকে মগজের শক্তি পরীক্ষা হতে পারে না? মানুষের মন ও শরীরকে একত্রিত করে শিল্প ও খেলাধুলো– উভয়কেই শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণত করার ইচ্ছা। ক্রীড়া এবং শান্তি। বিবেচিত হল শিল্পকর্মের প্রতিযোগিতা। কমিটির সেই সিদ্ধান্তও এই প্যারিস শহরে ১৯০৬ সালের মে মাসে। এই প্রতিযোগিতার শর্ত ছিল শিল্পকর্মগুলো হতে হবে খেলাধুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত। স্থাপত্য, সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা এবং ভাস্কর্য– এই পাঁচটি বিষয় প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত হল। ১৯১২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তা চালু ছিল। এরপর ১৯৫৪-র অলিম্পিকের কমিটির সিদ্ধান্তে শিল্পকলার প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়। মজার খবর, ১৯২৮ সালের আমস্টারডাম অলিম্পিকে স্থাপত্য বিভাগে শহরের মূল স্টেডিয়াম যিনি ডিজাইন করেছিলেন সেই স্থপতিকে দেওয়া হয়েছিল অলিম্পিকের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, স্বর্ণপদক। অন্যরকম উদাহরণ। নতুন স্টেডিয়ামটিই ছিল প্রতিযোগিতায় তাঁর শিল্পকর্ম।
চিন্তামণি কর ১৯৫৬ সালে ফিরে এলেন পশ্চিমবঙ্গে এবং নির্বাচিত হলেন কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট-এর প্রিন্সিপাল পদে। আমরা যখন আর্ট কলেজে ঢুকলাম উনিই ছিলেন প্রিন্সিপাল। দেখেছি একটা অন্যরকম মানুষ, বাঙালি অথচ স্যুটেড-বুটেড হয়ে হাতে কাদা মেখে মূর্তি বানাতেন। স্ত্রী আমিনা করও ছিলেন চিত্রশিল্পী। দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর মতো দু’জনেই ছিলেন প্রিন্সিপাল এবং ভাস্কর্য আর চিত্রকলায় সমান পারদর্শী। শিখেছিলেন খোদ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দ্য ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট’-এ। মনে পড়ছে কলেজে ভর্তির শুরুর পরে নিজের, মানে প্রিন্সিপালের রুমে আমাদেরকে ডেকে একটা বক্তব্য রেখেছিলেন। বলেছিলেন, মনে রাখবে এই শিল্পকলার প্রতিষ্ঠানে এসেছ সেটা জীবনের এক দারুণ অভিজ্ঞতা, কিন্তু আসলে তোমরা সবাই শিল্পী হতে পারবে না। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ শিল্পী হবে। এই কথাটা আমাদের কাছে ছিল এক মস্ত ধাক্কা! শুরুতেই আমাদের কি নিরুৎসাহিত করতে চেয়েছিলেন না অলিম্পিকের নিয়মে আমাদের উত্তেজিত করতে চেয়েছিলেন, একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চেয়েছিলেন? তোমাকে সমস্ত পরিকল্পনা ,পরিশ্রম করতেই হবে কিন্তু আসলে পদক পাবে মাত্র কয়েক জন।
আমরা তখনও কলেজে। দেখলাম ১৯৭৪-এ তাঁকে দেওয়া হল দেশের সম্মান– ‘পদ্মভূষণ’। পরে পরে আরও জানলাম, পেয়েছিলেন ফ্রান্সের উচ্চ বেসামরিক সম্মান, নরেন্দ্রপুরের তার স্টুডিও এবং বসতবাড়ি হয়ে গেল ‘চিন্তামণি কর মিউজিয়াম’। যেখানে তাঁর শিল্পকর্ম এবং কাজের সরঞ্জাম রাখা আছে। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আমিনা করের চিত্রকলা। তাঁরই নামে নরেন্দ্রপুরের পাখির অভয়ারণ্য। তিনি ছিলেন তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে। তবু কেন যেন মনে হয় চিন্তামণি কর হারিয়ে আছেন বাঙালির মন থেকে, কলকাতার শিল্পমহল থেকে। জীবনের অধিকাংশ সময়ে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতেন বলে এই সাহেব শিল্পী আলাদা? নাকি উনি নিজেই মিশতেন না স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে? কলেজেও দেখেছি অন্যান্য অধ্যাপকের থেকে উনি কেমন আলাদা আলাদা থাকতেন।
চটজলদি অলিম্পিক সংক্রান্ত আরও দু’-একটা ঘটনার কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। আমার সৌভাগ্যের ব্যাপারে ঈশ্বর সবসময় সদয়। সত্যিকারের অলিম্পিক উৎসবের ব্যাপার-স্যাপার বেইজিং অলিম্পিকের সময় চিন দেশে গিয়ে দেখে এসেছি। উন্মাদনা, উৎসাহ, উদ্দীপনার রূপ। পাখির বাসার মতো সেবারের সেই অলিম্পিকের মূল মঞ্চের স্থাপত্য-সহ সমস্ত শহরের উত্তেজনা এবং বিশালতা অকল্পনীয়। তিয়ানামেন স্কোয়ার কিংবা ঐতিহাসিক চীনের প্রাচীর, যে কোনও টুরিস্ট প্রধান জায়গায় বারবার দেখা হয়েছে নানা দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে। করমর্দনও হয়েছে। তারও আগে সেবারে প্যারিসে বসবাসের সময় প্রতিবেশী বাংলাদেশের বাঙালি শিল্পীবন্ধু শাহাবুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। যার নামও বার্সেলোনা অলিম্পিয়াডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। প্যারিসের বাড়িতে কাঁধে গামছা নিয়ে শাহাবুদ্দিন রেঁধে খাইয়েছিল বড়ি ফোড়ন দিয়ে পালং শাক আর মাছের ঝোল। আর একবার জার্মানিতে থাকাকালীন মিউনিখের অলিম্পিক ভিলেজ দেখতে গিয়েছি। সবশেষে, ছবিও এঁকেছিলাম অলিম্পিকের সময়ে। ১৯৯২ সালে মুম্বইয়ের সাপ্তাহিক ‘সানডে অবজার্ভার’ সংবাদপত্রে পুরো পাতা জুড়ে জলরঙে অনেক এঁকেছিলাম ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের প্রতিকৃতি।
আঁকা হয়নি কখনও আমাদের প্রিন্সিপাল, ভাস্কর চিন্তামণি করের ছবি। উনি যথার্থই বলেছেন– সবাই কিন্তু জিতবে না, তবে যারা জিতবে তোমরা সবাই তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড। অলিম্পিকের ইতিহাস ঘাঁটতে উঠে আসছে আরও কত ভালো ভালো মানুষের ভালো ভালো কথা। বলছেন, অলিম্পিক মানে শুধু জেতা নয়, অংশগ্রহণ করাটাই আসল। জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়া নয়, সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার নাম জীবন। মন খারাপ হয়ে যায়। মনে হয় মানুষটি বড় নিঃসঙ্গ, নির্বান্ধব হয়ে পড়েছিলেন। নিজে চলে যাওয়ার আগেই হারিয়েছেন স্ত্রী আর সন্তানকে। আজ এই খেলার মরশুমে বারবার মনে পড়ছে তাঁর কথা। হয়তো বা ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরের কাছাকাছি কোথাও কোনও পাখিরালয়ের সবুজ ছায়াঘন ফার্নের জঙ্গলে, যার নাম ‘চিন্তামণি কর বার্ড স্যাংচুয়ারি’। এই অলিম্পিকের আবহে আমাদের চিন্তার, কল্পনার, মননের, শ্রদ্ধার চিন্তামণি কর মহাশয়কে আর একবার স্যালুট।