মেসজীবনের দু’নম্বর অধ্যায়ে আমরা পেয়ে গেলাম বাঁধাকপির প্রকারভেদ। এমনিতে সোয়াবিন আর ডিম মেসের জাতীয় খাবার। বাঁধাকপিও কাছাকাছি, যুবরাজ না হলেও কাইফ। যেদিন মাঠে নামে, দু’বেলা বাজিমাত। একাই ফিল্ডিং করে কাঁপিয়ে দেয়। খাবলা খাবলা ভাত উঠে যাবে একদলা বাঁধাকপির তরকারি দিয়ে। সেদিন ক্ষুধার্ত রাত নেমেছে মেসের মেঝেতে। ঢাকনা উলটে দেখা গেল, আধ-কড়া সবুজবরণ তরকারি। মেসবাসীদের কালেকটিভ মেমরি বলল, এযাবৎ বাঁধাকপির তরকারি আমরা হলুদরঙা দেখেছি। খাওয়ামাত্র তরকারি বেশ ক্যাঁচকোচ শব্দে জানান দিল যে, সে স্বতন্ত্র। তার পৃথক পরিচিতিসত্তাকে চিবিয়ে ফেলা যায় না। রোববার.ইন-এ শুরু নতুন কলাম ‘মেসবালক’। আজ প্রথম পর্ব।
প্রচ্ছদ শিল্পী: সোমোশ্রী দাস
১.
মেস মূলত নাছোড়বান্দা বদভ্যেস, কারও কারও থাকে।
অভ্যেসের বেঁচে-থাকা জীবনে সহজ সুরের শয়তানি। কৈশোর আর গার্হস্থ্যের ফাঁকতালে ভেসে আসা পাতলুন পরা মায়ামেঘ। সবার আকাশে ধরা দেয় না। কাঁচা বয়সের প্রেমের মতো। একটু এলোথেলো, আবেগী, অপরিণত, অভিমানবিলাসী। ভাঙাভাঙির যন্ত্রণা, স্বভাবতই অনিবার্য। কাচ-বেঁধা বিচ্ছেদে মরো-মরো মরু-মরু দিন। অনেকেই এর ধারবার মাড়ায় না। বুদ্ধিমান কিংবা নেহাতই দুর্ভাগ্য– খোদায় মালুম। যারা মাড়ায়, তারা বখাটে খেতাব পায় তল্লাটে। সে-তল্লাট বদলে যায়। পুরনো রোদ্দুর বয়সের সঙ্গে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে ঢলে যায় নতুন প্রণয়ে। তখন অবসন্ন ছায়ার ভিতর ভাঙা-ভাঙা স্মৃতিতে ভিড় করে অপাপবিদ্ধ অতীত। ধার নেই, ভার আছে। বাঙ্ময় নয়, রোমন্থনমুখর। তুই ফেলে এসেছিস তারে, তবু ফেলে দেওয়ার নয়। স্মৃতির সেই ভাঙা কাচ জুড়তে ফেবিকল লাগে না, হেবি লাগে।
মেসের জীবন অনেকখানি এরকমই।
বলার মতো কী আর! জীবনের গায়ে দু-আঁজলা নস্ট্যালজিয়া। তবু, মেস কতিপয় ভাগ্যবান বাঙালিজীবনের পাঁচালিপড়া। পরিস্থিতি বললে, পরিস্থিতি; নিয়তি বললে নিয়তি; আর স্বাধীনতা বললে স্বাধীনতা; মেসজীবনের মেঘ সব আকাশে ঘন হয় না। অতএব বাদলদিনের গান আর কদমফুলের ঘ্রাণ সবাকার নহে। যাদের স্মরণে আছে, তাদের স্মৃতিবিপর্যয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ভাঙা পথের রাঙা ধুলোয় মোটের উপর পাকাপাকি সে-চিহ্ন।
স্মৃতিকাতর জল গড়ায় নিঃসাড়ে। কর্তৃপক্ষের ধমক খেয়েও পুরসভা টের পায় না। শহরের নামী অ্যাপার্টমেন্টের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থইথই। এমনকী বিদেশ-ও। বদভ্যেসের মেস পিছু ছাড়ে না। বাজার করতে গিয়ে হয়তো মনে পড়ে কী আশ্চর্যই না ছিল সেই বাঁধাকপি অভিজ্ঞান! যাহা জ্ঞাত হলে এ জীবনে আর ভুলা যায় না। হেন কালিদাস নেই যিনি পুরুষতন্ত্রের চাল খেলে মেসবাসীকে শকুন্তলা করে তুলতে পারেন। অতএব রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে যেখানে যখন থাকা, মাথার গভীরে মেসের মন্ত্রণা।
আসলে মেসে না-এলে জীবনের দশকর্মা ভাণ্ডার খালি খালি। যা যা শেখা যেত না, যেমন, গড়িয়ে জল খাওয়া; গড়িয়ে আধবেলা কাটিয়ে জলখাবারের খরচ বাঁচানো; তিরিশ দিনের মাসোহারার সিংহভাগ দশ দিনে খরচ হলে বাকি কুড়ি দিন কায়দায় কাটানোর পুয়োর ইকোনমিক্স, প্রথমবার বাজারে গিয়ে ঠকে বেওকুফ্ হয়ে ঠেকে শিক্ষা, মেসের এলাকার সব দোকানে ধার রেখেও সগৌরবে চলিতেছে-র ব্লকবাস্টার বেঁচে থাকা, মেসের ভাড়াটুকু যেনতেন প্রকারেণ মাসের এক তারিখে চুকিয়ে ক্ষমতাবানের নেকনজরে থাকার ক্রোনি ক্যাপিটালিজম, মেসের খাতায় এন্তার বাকি পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও সকলেই দু’বেলা সোয়াবিন দিয়ে সকলে ভাত সাবাড়ের কমিউনিজম ইত্যাদি ইত্যাদি-সহ এই জানা যে, বাঁধাকপি প্রধানত দু’প্রকার।
হেন সহজপাঠ হাতে এসেছিল আমাদের দু’নম্বর ঘাঁটিতে। চত্বর যাদবপুর। যে সকল বাঙালি আপন কৃৎকর্মের কারণে (পড়ুন, জয়েন্টে র্যাঙ্ক) মেসদশা প্রাপ্ত হয়ে থাকে, তাদের গরিষ্ঠসংখ্যক এসে পড়ে এই নরকে। কয়েক ঋতু যাপনের পর অবশ্য বোঝে, এই তার ভ্রমরাধিক ভ্রমর। এলাকার মানচিত্রটাই যেন মেসের জন্য নির্দিষ্ট। এদিকে মস্ত বিশ্ববিদ্যালয়। কাছেপিঠে দূরত্বে গোটা তিনেক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সরকারি-বেসরকারি। 2K যখন অনেককে বিশ্বকর্মার চ্যালা হওয়ার ছাড়পত্র দিল, কাউন্সিলিং-এর অবারিত দ্বারে লিঙ্ক স্টারলাইন পকেটে গুঁজে হাজির সারি সারি স্বপ্নেরা। বিশ্বায়নের অলৌকিক জলযান তখন তরতরিয়ে। অভিভাবকরা টের পাচ্ছেন, ডিক্টেটরশিপ অফ প্রলেতারিয়েত আসন্নপ্রায়। সেভিংস বাজি রেখে তাই সন্তানের ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ঝুঁকি।
অলক্ষে কি ঝুঁকিসাপেক্ষের সতর্কবার্তা দ্রুতলয়ে বেজেছিল, কে জানে! বোধহয় নয়, কেন-না কতিপয় সরকারি কলেজের মেধার মৌরসিপাট্টা তখন দ্রুত-ই ভাঙছে। পাড়ার কেরোসিন ডিলারের ছেলে মোটা সিটিসি-র চাকরি হাসিল করে তখন দেখিয়ে দিয়েছে, স্বর্গ আর স্যারিডনের মধ্যে দূরত্ব শুধু এক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেটের। আর বেসরকারি হলে পরিষেবা খারাপ হবে, তার কোনও মানে নেই। তাহলে চাকুরিজীবীর আচ্ছে দিন আর দূরে থাকে কেন? শিক্ষক আর অধ্যাপক হওয়ার স্বপ্নসিঁড়ি ভাঙতে-ভাঙতে যাঁরা টিউশানি মাস্টার হয়ে রয়ে গেলেন, তাঁদের শুকনো প্রেমের গল্পে চিঁড়ে তো অনেকদিন থেকেই ভিজছিল না। কেন যে ভেজে না তার একশো আটটি কারণ আছে। কিন্তু সবার চাইতে ভালো পাউরুটি আর ঝোলাগুড়। অতএব শ্রেণি-শ্রেণি খেলাটায় আপাতত ইতি। স্মরণ করো রামকৃষ্ণ, সংসারে পাঁকাল মাছ হয়ে থাকা; শ্রেণির তত্ত্ব আর ফুলে-ফলে ফলিত বাস্তবের ত্রুটিময় ঘুরঘুট্টি অরণ্যে পাঁকাল হয়ে হড়কে গেলেই আমেরিকান ক্লাসলেস হওয়ার যুক্তিটি পাকা। ভাঙা সোভিয়েতের জালে চার গোল দিয়ে অতএব চা-দোকানির ছেলে গুগলে ইঞ্জিনিয়ার; হেডলাইন পাকা খবরের কাগজে; কে বলে সংগ্রাম ছাড়া শ্রেণির জয় বৃথা!
……………………………………………………….
সমাজবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন; তবে আমরা জানি, মেসমালিকরা একটু হম্বিতম্বি করেন বটে, বাণিজ্যের স্বার্থও থাকে, তবে পরের ছেলে পরমানন্দ যত উচ্ছন্নে তত আনন্দ, এমত ধারণা পোষণ করেন না সেভাবে। করলে গল্প খানিক অন্য হত। মোটের ওপর, প্রায় অচেনা অপরিচিত ছেলেপুলেদের তাঁরা বাড়ির ছেলের মতোই দেখতেন। সম্পর্কের অম্ল-কষা স্বাদ সত্ত্বেও; আর ছিল কলেজ হস্টেলে র্যাগিং-এর ভয়। তা থেকে বাঁচা আর বাড়ির বাইরে অংশত বাড়ির স্বাদ পাওয়ার এই বিকল্প।
……………………………………………………….
অভিভাবকদের দোষ ছিল না। ছাপোষা পাটনীর স্বপ্ন বিশেষ বদলায় না। তা কৌটো হোক বা প্যাকেট, আমূল কিনতেও তো দরকার আমূল বদল। তাহলে মোটে ক’জন পড়বে আর ক’জনই ছড়ি ঘোরাবে, মেধার এমন জমিদারি, কম্পিউটার আর সদ্য মোবাইল ঢোকা আমলে চলে নাকি! মেধা পাট করে তুলে রাখো, বরং মাপকাঠি নামিয়ে বাকি সব হাট করে খুলে রাখো। এরকম একটা গণতান্ত্রিক ফয়সলা হওয়ার দরকার ছিল। হলও। পরে কোনও নেতা এসে যদি হাভার্ড আর হার্ড ওয়ার্ক গুলিয়ে দেন, আক্ষেপ করে কাজ নেই! মগজে সে-কৃষি শুরু হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। মেনে-নেওয়া নতুন ফসলে ভরভরন্ত সোনার তরী।
অতএব তোমার খেলা যখন ছিল আমার সনে, তখন কে তুমি তা কে জানত! সেদিন খেলার সাথি হয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে ঊর্ধ্বমুখে খাড়া নরনারী। কোন কলেজ নেবে হে? কোন স্ট্রিম? পছন্দের তালিকা যা হয়, তাতে দেখা যায় দূর মালদা, নদিয়া, হাওড়া, বালুরঘাট থেকে যারা আসছে, কলকাতায় তাদের বসবাসের সেরা জায়গা যাদবপুর। গড়িয়া স্টেশন কিংবা কলেজ স্ট্রিট বা বেলঘরিয়ায় যাঁদের মেস, তাঁরা এই পক্ষপাতিত্বে কুপিত হবেন। সে নয় একবার মেসপাড়ার রিয়ালিটি শো করে বুঝে নেওয়া যাবেখন, কে বিগ বস্! আপাতত যাদবপুরেই ফেরা যাক।
এলাকাটা মূলত কলোনি। একদা ছিন্নমূল হয়ে আসা মানুষের বাস। মাটির মনেই যেন আছে ইনক্লুসিভিটি, মানুষেরও। হাড়ভাঙা খাটনি আর আত্মপ্রতিষ্ঠার উত্তরাধিকার এলাকার হাওয়াবাতাসে দিব্যি খেলা করত। একজন প্রতিষ্ঠাকামী যুবক বা যুবতীর প্রোফাইল তাই এই এলাকায় চমৎকার মানিয়ে যায়। এমনকী দু-চার বছরের বেকারকেও কেউ ফেলনা জ্ঞান করে না। জীবনের হ্যাঁচকান তো থাকবেই, তবে খাদের ধারে রেলিংটাও তো ছিল। ফলত একটা কিছু করবে এবং করবেই; করবে বলেই তো দেশ ছেড়ে এসে কলকাতায় লড়ছে; পড়ে আছে, পড়ছে; দেশের বাড়ির ধারণার যে বহুমাত্রিক অর্থ বাঙালি জীবনে, বিশেষত ছিন্নমূল মানুষের কাছে, তা অনেকখানি অ্যাকোমডেট করে নিতে পেরেছিল বা পারে বাড়ি ছেড়ে আসা এইসব ছেলেমেয়ে।
সমাজবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন; তবে আমরা জানি, মেসমালিকরা একটু হম্বিতম্বি করেন বটে, বাণিজ্যের স্বার্থও থাকে, তবে পরের ছেলে পরমানন্দ যত উচ্ছন্নে তত আনন্দ, এমত ধারণা পোষণ করেন না সেভাবে। করলে গল্প খানিক অন্য হত। মোটের ওপর, প্রায় অচেনা অপরিচিত ছেলেপুলেদের তাঁরা বাড়ির ছেলের মতোই দেখতেন। সম্পর্কের অম্ল-কষা স্বাদ সত্ত্বেও; আর ছিল কলেজ হস্টেলে র্যাগিং-এর ভয়। তা থেকে বাঁচা আর বাড়ির বাইরে অংশত বাড়ির স্বাদ পাওয়ার এই বিকল্প। মেসমালিকরা লড়াই করিয়েদের জায়গা দিতে দ্বিধা করেননি। আজকাল অবশ্য ফ্ল্যাটেও মেসভাড়া দেওয়ায় বেজায় আপত্তি, সে হিন্দু হোক বা মুসলমান!
তো সেই মেসজীবনের দু’নম্বর অধ্যায়ে আমরা পেয়ে গেলাম বাঁধাকপির প্রকারভেদ। এমনিতে সোয়াবিন আর ডিম মেসের জাতীয় খাবার। বাঁধাকপিও কাছাকাছি, যুবরাজ না হলেও কাইফ। যেদিন মাঠে নামে, দু’বেলা বাজিমাত। একাই ফিল্ডিং করে কাঁপিয়ে দেয়। খাবলা খাবলা ভাত উঠে যাবে একদলা বাঁধাকপির তরকারি দিয়ে। তার উপর বাঁধাকপি কেনায় কানা বেগুনের মতো ঠকার চান্স কম। সেদিন ক্ষুধার্ত রাত নেমেছে মেসের মেঝেতে। জলখাবারহীন যে দিন শুরু হয়, সেখানে বিকেলের জন্য একটা রোল বরাদ্দ থাকে। যাদবপুর আর ‘জাইকা’ সমার্থক প্রায়। সে-গল্প পরে। তবে, রোল-অন হওয়ার গল্প প্রতিদিনের নয়। মেসের অর্থনীতিতে তার অনুমোদন নেই। ফলত রাতের খিদে একেবারে যাকে বলে গদ্যময়। ঢাকনা উলটে দেখা গেল, আধ-কড়া সবুজবরন তরকারি। মেসবাসীদের কালেকটিভ মেমরি বলল, এযাবৎ বাঁধাকপির তরকারি আমরা হলুদরঙা দেখেছি। কনফিউশনে একজন ফোন করল বাড়িতে। তখনও কারও কাছে স্মার্ট ফোন নেই যে ভিডিও কল করা যায়। কাকিমা সব শুনে জানালেন যে, তরকারিতে হলুদ দিতে হয়তো ভুল হয়েছে তাই এই অবস্থা। পরামর্শ দিলেন, খেয়ে দেখার। তাহলে রং নিয়ে মাথা না-ঘামালেও চলবে। আমরাও সায় দিলাম তাতে। রঙে কী আসে যায়, বাঁধাকপিকে যে রঙেই দেখো, সে তো বাঁধাকপি-ই। তা ছাড়া রাজ্যে তখন রংবদলের উড়ুউড়ু দিন, ঝোঁক সবুজেই। বাঁধাকপির আর দোষ কী!
খাওয়ামাত্র তরকারি বেশ ক্যাঁচকোচ শব্দে জানান দিল যে, সে স্বতন্ত্র। তার পৃথক পরিচিতিসত্তাকে চিবিয়ে ফেলা যায় না। তবে, অসাধ্যসাধন করতে পারলেই মেসজীবনের বিজয় দিবস। কাকিমা আরও দুঃখিত হয়ে বললেন, রান্নার আগে ভাপিয়ে নেওয়া হয়নি বলে এই অবস্থা। তিনি অস্ফুটে বললেন, আহা! আমরা সোচ্চারে বললাম, অহো! এ দুর্লভ জিনিস হয়তো এক জীবনে একবারই। ঢালো ডাল, মাখো ভাত, দেখাও পাকস্থলী তোমার কবজির জোর।
কাকিমার দেওয়া তথ্য পেশ হল। পরদিন মাসিকে বলা যেই না বলা তিনি কী কী ভুল করেছেন, হায় ভুল! মাসি সশব্দ ঝংকার জানালেন, যে বাঁধাকপি কিনেছে সে আসলে বাজারকানা। বাজার আনন্দময় নয় তখনও আমাদের কাছে। এই অভিযোগের ভিতর তাই এতখানি সত্যতা আছে যে, আমাদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল। নিস্তব্ধতা উটের গ্রীবা-টিবা হয়েছিল কি-না খেয়াল নেই, তবে দু’-মুহূর্ত সময় দিয়ে, পাক্কা নেতাদের ভাষণের মতো পজ্ শেষে মাসি ঘোষণা করলেন, বাঁধাকপি মূলত দু’রকমের। এক রকম রাঁধলে হলুদ, অন্যটি সবুজকে সবুজ-ই থেকে যায়।
যাকে বলে, একেবারে আখতার-ই বাউন্সার, আর আমরাই বা কে শচীন! এই সব বিষাক্ত আক্রমণে রাহুল দ্রাবিড়ের মিডল স্টাম্প ছিটকে যায়, আর হরিদাস পাল আমরা কী-ই বা জবাব দেব! নতমুখে তাই শিখে নিলাম মেসজীবনের সহজপাঠ। বাড়ি আর মেসবাড়ি এক নয়। বাড়ির যুক্তি মেসে চলে না।
মেস নিজেই একটা দেশ। অতএব আলাদা সংবিধান।
…………………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার.ইন
…………………………………………………