এক-একটি সংলাপ যে কীভাবে দৈনন্দিন ‘লিঙ্গো’-র অংশ হয়ে সমাজ ভাষাতত্ত্বে জরুরি হয়ে ওঠে, তার প্রমাণ ছিল, ওমরিশ পুরির মুখে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’ সংলাপ। স্কুলে-কলেজে, মুদির দোকান থেকে স্থানীয় পুজোকমিটি, মাইকে-অমাইকে এই সংলাপের যথেচ্ছ ও বহুল ব্যবহার হয়েছে। একবার এক বাগদত্তার বাবাকে রাজি করিয়ে তারপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’ বলাতে এক প্রেমিকের কপাল প্রায় পুড়তে বসেছিল, এমন কাহানিও শোনা যায়।
৩০.
অনেক কষ্ট, অনেক সংগ্রাম শেষে, কমল আমরোহি-মীনা কুমারী বিচ্ছেদের ঢেউ ইত্যাদি পেরিয়ে ১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘পাকিজা’। তখন নাকি কলকাতার টেলিফোন এক্সচেঞ্জের অফিসে বসে ট্রাঙ্ক কল ট্রান্সফারের নাম করে ধর্মেন্দ্র-মীনা কুমারী প্রেমালাপ শুনে ফেলেছেন সেই অফিসের মহিলা কর্মচারীরা। ‘রূপবাণী’-র একটি শো-এ ‘পাকিজা’-র মীনা কুমারীর পাশে সিংহভাগ দর্শকের প্রধান বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিলেন রাজকুমার। রাজকুমার মীনা কুমারীকে উপেক্ষা করছেন, এমন কোনও দৃশ্যের মাঝে নাকি এক দর্শক বলে উঠেছিলেন, ‘বাঁদরের গলায় মুক্তোর মালা দিলে বাঁদর থোড়াই তার মর্ম বুঝবে।’ কিন্তু ১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘উমরাও জান’-এর ফারুক শেখ সেই বিরক্তির উদ্রেক তো ঘটালেনই না, উল্টে বহু দর্শকের নয়নের মণিই হয়ে উঠলেন তিনি। সে অর্থে পরম্পরাবাহী নায়কোচিত সৌন্দর্য বা উপস্থিতি বলতে যা বোঝায়, তা ছিল না ফারুক শেখের। শাম্মি কাপুরেরও ছিল না। কিন্তু তাঁর নাচের তরিকা নিয়ে তামাশা করা পাবলিকও শাম্মি কাপুরকে এড়িয়ে যেতে পারেনি। সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র, এমন তত্ত্ব, অন্তত বলিউডের নায়কদের ক্ষেত্রে নস্যাৎ হচ্ছিলই। ‘গরম হাওয়া’-র মতো মোড়ঘোরানো ছবি, বা সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’-তে একাংশের দর্শক ফারুককে চিনেছিল। ফলে, তাঁর অভিনয়ক্ষমতা নিয়ে বহুজনেরই তেমন সংশয় ছিল না। মুজফফর আলি, অর্থাৎ যাঁর ছবি ‘উমরাও জান’, তাঁর প্রথম ছবি ‘গমন’-ও ভারতীয় নবতরঙ্গের দৃশ্যধারার শরিক হতে চেয়েছিল। সেই ছবিতে ফারুকের প্রেমিক সত্তার চেহারা একভাবে বোঝা গিয়েছিল, কিন্তু ‘উমরাও জান’ সততই সেই নম্র, দৃঢ় প্রেমিককে অন্যতর উচ্চতা দিল জনহৃদয়ে।
এই ফারুক শেখ-ই এই বছর এলেন কমেডি ও ফ্যামিলি ড্রামা ‘চশমে বদ্দুর’-এর নায়কের ভূমিকায়। এই ছবির মহিলা পরিচালক সাই পরঞ্জাপে এর আগে ‘স্পর্শ’-র মতো উল্লেখযোগ্য ছবি বানিয়েছেন। যা হোক, এই ছবি এক আশ্চর্য জুটির জন্ম দিল। এর আগে শ্যাম বেনেগালের ‘জুনুন’ বা তুমুল জনপ্রিয় ও বাণিজ্যিক ছবি ‘হাম পাঁচ’ বা ‘একবার ফির’-এর মতো ছকভাঙা সামাজিক ছবি (বিবাহিত নারীর পরকীয়া ও নিজস্ব ভাষ্য খুঁজে পাওয়ার গল্পনির্ভর)-তে দেখা গিয়েছিল দীপ্তি নাভালকে। স্মিতা পাতিলের শাণিত দার্ঢ্য বা ‘উমরাও জান’-এর পর রীতিমতো ‘ডিভা’-র মর্যাদা পাওয়া রেখার মাঝামাঝি ছিলেন দীপ্তি। কোনও স্বর্গীয় বা অতি-পার্থিব উপস্থিতি নয়, আবার একেবারে হিসেবনিকেশের বাইরে তলোয়ারের মতো ধারালো বিদ্রোহী কোনও অস্তিত্ব জাহিরও নয়। দীপ্তি ছিলেন মধ্যবিত্ত, ঘরোয়া নায়িকার আদর্শ। যাঁকে অফিস যাওয়ার জন্য পাবলিক বাসে উঠলেও চেনা যায়, একেবারেই মাঝারি সংসারেও চেনা যায়। এই জুটিকে তাই আবার যখন ফিরে পাওয়া গেল ‘সাথ সাথ’-এ, তখন মধ্যবিত্ত দম্পতি এই ছবির দর্শক হল। সদ্য বিবাহিত যে দম্পতি হয়তো একান্নবর্তীর ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে সিনেমা দেখতে যাবে, ‘সাথ সাথ’ ছিল তাদের জন্যই। আরও এক জুটি এই ছবির নেপথ্যে রয়ে গিয়েছিলেন। জগজিৎ সিং-চিত্রা সিং। ‘ইয়ে তেরা ঘর ইয়ে মেরা ঘর’ তো সেই সদ্য বিবাহিত দম্পতির একান্ত কুঞ্জ সাজানোর স্বপ্নের বাস্তবায়ন। ‘তুমকো দেখা তো ইয়ে খেয়াল আয়া’ বহু অচেনা ও হঠাৎ দম্পতির সলাজ বা গম্ভীর দূরত্ব ঘোচায়নি কি? ওই অপূর্ব সুর লেগে থাকেনি সারাদিনের অফিসে, বাড়ি ফেরার লগ্নের দিকে চেয়ে?
আলোর অন্যদিকে অন্ধকার থাকেই। ১৯৮০ সালের ১৬ আগস্ট তারিখটা তেমনই অন্ধকারের বার্তাবহ। ইডেন গার্ডেনে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি দেখতে গিয়ে যে ছেলে আর বাড়ি ফিরল না, তার শোক মাথায় নিয়েই তো ১৯৮১ সালে ‘সাহেব’ দেখতে যাওয়া তার বাবা-মা ও দিদির। ‘৭১-এ বাংলাদেশ থেকে চলে আসা উদ্বাস্তু। রিফিউজি কলোনিতে বসেই স্বপ্ন দেখা ফুটবলার হওয়ার। ওই একটা কলঙ্কিত ইডেন গার্ডেনের ডার্বি বদলে দিল কতকিছু। ‘সাহেব’-এর তাপস পালও তাই যখন পরিবার-অন্তপ্রাণ হয়ে কিডনি দান করে ফুটবল খেলার শক্তি হারায় আজীবনের মতো, তখন চোখ ফেটে জল আসে ওই শরণার্থী পরিবারের।
ওই কলোনির বাড়িতেও ঢাউস টিভি আসবে। সাদা-কালো পর্দায় ভেসে উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের খেলা, এর ঠিক পরের বছর। বিস্ময়াতুর হয়ে বাঙালি দেখবে এক কোঁকড়ানো চুলের আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে, দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। ফ্যাক্টরি শ্রমিক বাবা তার ছেলেকে পাশে নিয়ে বসে থাকবে পাড়ার ক্লাবে, ১৯৮৬ সালের ২৯ জুন। সেই সুদূর মেক্সিকোর কোন প্রান্ত থেকে এন্টালিতে ভেসে আসে গ্যালারির আর্তধ্বনি। বাঁ-পায়ের ছোঁয়ায় পশ্চিম জার্মানিকে মাটিতে মিশিয়ে ট্রফি তোলে সাদা-নীল দল। বিজয়গড়ের ফ্যাক্টরি শ্রমিকের ছেলের স্বপ্নের নাম হয় মারাদোনা। সেও তো এক গণস্বপ্নের সিনেমাই বলা চলে।
তার কয়েক বছর বাদেই তালা পড়ে বেঙ্গল ল্যাম্প কারখানায়। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখা ছেলে বেকার ও ফুটবলপ্রেমী বাবার স্বপ্ন লালন করতে পারে না আর, সে পড়াশোনা করে কষ্টে, চাকরিও পায়। আজ সেই গল্প বলতে গিয়ে তার কণ্ঠ দ্রব হয় হঠাৎ। বেঙ্গল ল্যাম্পের ওই বন্ধ কারখানা চত্বরে বসে তার কর্পোরেশন স্কুলের বন্ধুরা যখন পাতা করত, তখন দূরে কোন পুজোর মাইকে ভাসছে গান, ‘তোলো ছিন্নবীণা, বাঁধো নতুন তারে’ বা ‘ওয়ান টু কা ফোর, ফোর টু কা ওয়ান… মাই নেম ইজ লখন।’
সময় বদলাচ্ছিল। ‘মেরি জং’ ছবির পোস্টারে ছবির নামের বানান দেখে এক প্রবাদপ্রতিম সাহিত্যের অধ্যাপক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘ব্যাপারটা কী! ইয়ুংকে নিয়ে কোনও হিন্দি বায়োস্কোপ আসছে?’ (‘Jung’ বানানটি যেহেতু কার্ল ইয়ুংয়ের বানান হিসেবে ব্যবহৃত।) কিন্তু এই ছবি উল্লেখযোগ্য, এবং সেই অধ্যাপকের সঙ্গে যে সঙ্গী ছিলেন তখন, তাঁর কাছেও স্মর্তব্য হয়ে উঠেছিল, কারণ ওই ছবি দিয়েই অনিল কাপুরের যাত্রা শুরু। আর কয়েক বছরের মধ্যেই আধা সাই-ফাই, আধা-রোমান্টিক ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ অনিল কাপুরকে অচিরেই জননায়ক বানিয়ে তুলবে। তবে এক-একটি সংলাপ যে কীভাবে দৈনন্দিন ‘লিঙ্গো’-র অংশ হয়ে সমাজ ভাষাতত্ত্বে জরুরি হয়ে ওঠে, তার প্রমাণ ছিল, ওমরিশ পুরির মুখে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’ সংলাপ। স্কুলে-কলেজে, মুদির দোকান থেকে স্থানীয় পুজোকমিটি, মাইকে-অমাইকে এই সংলাপের যথেচ্ছ ও বহুল ব্যবহার হয়েছে। একবার এক বাগদত্তার বাবাকে রাজি করিয়ে তারপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’ বলাতে এক প্রেমিকের কপাল প্রায় পুড়তে বসেছিল, এমন কাহানিও শোনা যায়।
১৯৮২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ত্রয়ী’। তপন সিংহর ‘এখনই’ যদিও যৌবনের উচ্ছ্বলতার একরকম চেহারা দেখিয়েছিল, কিন্তু এভাবে মুক্ত জীবনযাপন ও ত্রিকোণ প্রেমের গল্প বাঙালি আগে বিশেষ দেখেনি। মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় ও সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত সেই ছবির চিত্রনাট্য অবশ্য ছিল পার্থপ্রতিম চৌধুরীর। ‘জানা অজানা পথে চলেছি’ বা ‘এক টানেতে যেমনতেমন’ বা খোদ হেলেনের নাচের ছন্দে ‘একটু বোসো, চলে যেও না’-র উন্মাদনা যেমন ছিল, তেমন প্রেম-বিরহের যন্ত্রণাও ছিল। ‘প্রাচী’ সিনেমায় সেই ছবি দেখে নাকি দুই ইয়ার এবং কবি বন্ধু টাওয়ারে মদ্যপান করতে করতে অঙ্গীকার করেছিল, কোনও দিন তারা এক প্রণয়ীর প্রেমে পড়বে না।
‘বেদের মেয়ে জোসনা’-র পাশাপাশি ‘নাগিনা’-ও দেখেছে লোকে। আশ্চর্য শ্রীদেবীর আগে রীনা রায় ‘নাগিন’-এ নাগিনী-নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এর ঠিক দশ বছর আগে। ‘হাওয়া হাওয়াই’ শ্রীদেবীকে যে আবেদনের চূড়ায় বসিয়েছিল, ‘নাগিনা’, গোপনে তাকে পূর্ণতা দিল। তার কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ‘টারজান’-ও (হেমন্ত বিরজে ও কিমি কাটেকর অভিনীত) আদতে ‘সাহসী’ হয়েছে খানিক। সেই কোনকালে এডগার রাইস বারোজ-এর লেখা পাল্প হলিউডেও সাড়া ফেলেছিল ১৯৮১ সালের ছবিটির মাধ্যমে। এবার এই প্রায় নগ্ন এপ-ম্যান ও নায়িকা (এখানে রুবি)-র প্রেম ‘জহর’ বা ‘বীণা’-র বি গ্রেড দর্শককে টেনে আনল হলে। ‘চাইল্ডস প্লে’ দেখে থরহরিকম্প হওয়া বা দাঁত-নখ কামড়াতে কামড়াতে স্টিফেন কিং- ‘দ্য শাইনিং’ দেখা দর্শকদের কেউ কেউ হয়তো হরেক্স ঘেঁষা ‘ড্যান্স অফ দ্য ড্যামড’-ও তখন দেখতে গিয়েছেন গ্লোব বা নিউ এম্পায়ারে।
এই বিবিধ সিনেমাহলের বৈচিত্রেই ফুরিয়েছিল আটের দশক। নয়ের দশক থেকে সিনেমাহল, দর্শক বদলাতে শুরু করল। অরুণা বাসুদেব লিখছেন, পরিবার এই আটের দশকের শেষ থেকেই সিনেমাহলের আধিপত্য তুলে দিচ্ছে বেকার ও বেপরোয়া যুবসমাজের হাতে। মাল্টিপ্লেক্স তখনও দূর কি বাত। এনএফডিসি-পুষ্ট নববসন্ত ও নতুন ধারার ভারতীয় ছবির যুগও ফুরচ্ছে। ‘সিরিয়াস’ ও তথাকথিত লোচ্চা ছবির মধ্যে দূরত্ব কমছে। দূরত্ব কমছে নায়ক-খলনায়কেরও। ভারতীয় ছবি, অরুণার ভাষায়, তখন ক্রমে হয়ে উঠছে ‘আন্ডারডেভেলপড’।
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৯। ‘ক্যায়ামত’ না আসুক, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ঠিক বুঝেছে এসটিডি বুথ, একা অ্যান্টেনা
পর্ব ২৮। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দিন জনশূন্য কলকাতায় পকেটমারি
পর্ব ২৭। মাস্টারমশাইরা কি আজও কিচ্ছু না দেখেই থাকবে?
পর্ব ২৬। ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের আপত্তি জোটেনি কিন্তু ‘উরি উরি বাবা’ নাকি অপসংস্কৃতি
পর্ব ২৫। চুল কাটলেই মাথার পিছনে জ্যোতির মতো বাজবে ‘শান’-এর গান!
পর্ব ২৪। মরণোত্তর উত্তমকুমার হয়ে উঠলেন সিরিয়াল কিলার
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল