সাহিত্যে সেন্সরশিপ এবং উত্তর ভারতের মুসলমান সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়ামির মূলে আঘাত করতে চেয়ে প্রকাশিত হয়েছিলঅঙ্গারে গল্প সংকলনটি। প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই ‘নোংরা’, ‘নির্লজ্জ’ ও ‘ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আক্রমণাত্মক’ বলে নিষিদ্ধ হয় এই বই, তার চারজন লেখকের মধ্যে দু’জনকে নিয়ে আজকের ‘দোসর’। সাজ্জাদ জাহির ও আহমেদ আলি ছাড়া আর যে, দু’জনের লেখা নিয়ে অঙ্গারে বেরিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজন রশীদ জাহান, অন্যজন রশীদার জীবনসঙ্গী ও সহযোদ্ধা মাহমুদ-উজ-জাফর।
৯.
১৯৩২ সাল। লখনউয়ের একটি মেয়েদের স্কুলের হোস্টেলে হঠাৎ খবর এল যে, অঙ্গারে নামে একটা ভয়ানক ‘অশ্লীল’ উর্দু গল্পের বই বেরিয়েছে এবং তাতে হোস্টেলবাসী ক্লাস টেন-এর খুরশীদার দিদি রশীদার লেখা গল্পও আছে। এ কথা হজম করতে না করতেই খুরশীদা শুনলেন, কে যেন বলছে তাঁর দিদির নাক কেটে নেওয়া হয়েছে ওই অপকর্মের জন্য! ব্যস! নাক-বিহীন তাঁর ‘আপাবি’র মুখটা কল্পনা করতেই সেদিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন খুরশীদা। আসলে রশীদার নাক কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু খুরশীদা শোনেন তাঁর দিদির নাক কাটা পড়েছে! যাই হোক, শেষ অবধি রশীদার নাক অক্ষতই ছিল আর বহু বছর পরে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে খুরশীদ মিরজা লেখেন (‘মাই আপাবি’) যে, তাঁরা এরপর হোস্টেলে বইটা লুকিয়ে এনে একসঙ্গে অনেকে মিলে পড়েছিলেন।
সাহিত্যে সেন্সরশিপ এবং উত্তর ভারতের মুসলমান সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়ামির মূলে আঘাত করতে চেয়ে প্রকাশিত হয়েছিলঅঙ্গারে গল্প সংকলনটি। লখনউ থেকে বেরনোর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ‘নোংরা’, ‘নির্লজ্জ’ ও ‘ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আক্রমণাত্মক’ বলে নিষিদ্ধ হয়ে যায় যে বইটা, তার চারজন লেখকের মধ্যে দু’জনকে নিয়ে আজকের ‘দোসর’। সাজ্জাদ জাহির ও আহমেদ আলি ছাড়া আর যে দু’জনের লেখা নিয়ে অঙ্গারে বেরিয়েছিল, আগেই বলেছি তাঁদের মধ্যে একজন খুরশীদ মিরজার বড়দি রশীদ জাহান, যাঁদের বাবা শেখ আবদুল্লা ও মা ওয়াহিদ জাহানের যৌথ প্রয়াসে ১৯০৬ সালে আলীগড়ে স্থাপিত হয় মেয়েদের জন্য প্রথম স্কুল, কালক্রমে যা বেড়ে ওঠে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন্স কলেজ নামে। আর অন্যজন রশীদার জীবনসঙ্গী ও সহযোদ্ধা মাহমুদ-উজ-জাফর, রামপুরের রাজ পরিবারের ব্যতিক্রমী সন্তান, যিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সব জমি-জমা ও সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রামপুরের কৃষক পরিবারগুলোকে।
অঙ্গারে বেরনোর বছর দুই পর, অর্থাৎ ১৯৩৪-এ বিয়ে করেন রশীদা ও মাহমুদ। ততদিনে রশীদার দিল্লির লেডি হারডিঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করে লখনউয়ের লেডি ডাফরিন হাসপাতালে কাজ করা হয়ে গেছে বছর দু’-তিনেক। আর মাহমুদ প্রায় ১৩-১৪ বছর বিলেতে থেকে, অক্সফোর্ডে ইংরেজি ও ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করে, দেশে ফিরে তাঁর সম্ভ্রান্ত-সামন্ততান্ত্রিক পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী আই.সি.এস পরীক্ষায় না বসে, বেছে নিয়েছেন খদ্দর পরা, দেশসেবা ও শিক্ষকতা। ডাক্তারি ও শিক্ষকতার পাশাপাশি দু’জনেরই তখন চলছে লেখালিখি এবং ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে সরব হওয়া।
এরকম সময়েই ইসমাত চুগতাই দেখা পেয়েছিলেন তাঁর রশীদ আপা-র। উর্দু ছোটগল্প ও নাটকে শরীফ পরিবারের মেয়েদের শরীর ও যৌনতার মতো বিষয় যিনি প্রথম এনেছিলেন, সেই রশীদ জাহান সম্বন্ধে ইসমাত লিখে গিয়েছেন (মাই ফ্রেন্ড, মাই এনিমি: এসেজ, রেমিনিসেন্সেস, পোর্ট্রেস), ‘যাঁরা রশীদ আপাকে দেখেছেন তাঁরা যদি আমার গল্পের নায়িকাদের দেখেন তাহলে তাঁদের মনে হতে পারে যে অনেকেই রশীদ আপার যমজ বোন, কারণ আমি আমার আফসানাগুলোয় শুধুমাত্র তাঁকে উঠিয়ে এনেছি।’
অঙ্গারে-তে (স্নেহাল সিংগাভীর ইংরেজি অনুবাদ ও সম্পাদনায় অঙ্গারে বেরয় ২০১৪ সালে) রশীদা ও মাহমুদের গল্পগুলো পড়লে বোঝা যায় তাঁদের চিন্তা-চেতনার মিল ছিল কত গভীর। বিয়ের মধ্যে ধর্ষণ এবং স্বামী সংসর্গে স্ত্রীদের যৌনরোগ হওয়ার মতো বৈপ্লবিক বিষয় ঘিরে আবর্তিত হয় ওই সংকলনে রশীদ জাহানের দু’টি ছোটগল্প ‘দিল্লি কি শেহর’ ও ‘পর্দে কি পিছে’। মাহমুদ-উজ-জাফরের গল্প ‘জওয়ানমর্দি’-তে নিজেকে বীর্যবান প্রমাণ করতে অসুস্থ স্ত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় এক উচ্চশিক্ষিত স্বামী।
অঙ্গারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর যখন পাল্টা-আওয়াজ তোলেন প্রগতিশীল লেখকরা, ইতিহাসে প্রায়-বিস্মৃত মাহমুদ-উজ-জাফর এলাহাবাদের দ্য লিডার কাগজে ‘শ্যাল উই সাবমিট টু গ্যাগিং’ (৫/৪/১৯৩৩) প্রবন্ধে প্রস্তাব দেন একটি প্রগতি লেখক সংঘ স্থাপনার, যে সংঘ ইংরেজি ও ভারতের নানা ভাষায় প্রকাশ করতে থাকবে অঙ্গারে-র মতো বিস্ফোরক সংকলন। এর দু’-বছরের মধ্যে তৈরি হওয়া প্রগতি লেখক সঙ্ঘ ও লখনউয়ে ১৯৩৬-এর প্রথম প্রগতিশীল লেখক সম্মেলনের স্থপতিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই উদ্দীপক জুটি রশীদ জাহান ও মাহমুদ-উজ-জাফর।
…………………………………………………
সাংসারিক জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য অবশ্য রশীদা-মাহমুদের পাওয়া হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছিলেন অন্যরকম জীবন। বিয়ের পর বছর তিনেক পড়ানোর চাকরি নিয়ে অমৃতসর চলে যান মাহমুদ, রশীদা সেখানে শুরু করেন প্রাইভেট প্র্যাকটিস। অমৃতসরে বসবাসকালেই ফৈয়জ আহমেদ ফৈয়জ, মহাম্মদিন তাসির প্রমুখ রশীদা-মাহমুদের সান্নিধ্যে আসেন এবং এঁদের বন্ধুত্বের সূত্রে পঞ্জাবের প্রগতিশীল লেখক আন্দোলন দানা বাঁধে। মাহমুদ অবশ্য এরপর আর বেশিদিন পড়ানোর চাকরি করেননি। তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন এবং পুরোপুরি পার্টির কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
………………………………………………..
দু’জনের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে কোনও মিল ছিল না কিন্তু। ওঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাজ্জাদ জাহির তাঁর স্মৃতিকথা রোশনাই-তে লিখেছেন যে রশীদা ও মাহমুদের মতো বিপরীতধর্মী দু’জন মানুষ কীরকম নিবিড় প্রেমের বন্ধনে জড়িয়ে ছিলেন, সেটা না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত! রশীদা নাকি ছিলেন খুবই অগোছালো আর মাঝেমধ্যেই এটা-সেটা হারিয়ে ফেলতেন, ভুলে যেতেন। আত্মীয়-বন্ধুরা অনেক সময়েই বুঝতে পারতেন না কীভাবে রশীদার ডাক্তারিতে এত নামডাক হল এরকম বিশৃঙ্খলতা সত্ত্বেও! অন্যদিকে, মাহমুদ অসম্ভব পরিপাটি একজন মানুষ, যিনি নিজের স্ত্রীর বিশৃঙ্খলাগুলো যতটা সম্ভব গুছিয়ে তুলতেন এবং বন্ধু-বান্ধবদের নানাবিধ পরিকল্পনা ও দায়িত্বের কথা তাঁদের ঠিক সময় মনে করিয়ে দিতে ভুলতেন না। কিন্তু ওঁদের একসঙ্গে দেখলে বোঝা যেত, দু’জনে দু’জনকে যেন কোন অজানা সাধনা পেয়েছে, সে সাধনার বকুলগন্ধ ওঁদের বাড়ির হাওয়ায় মিশে থাকত।
সাংসারিক জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য অবশ্য রশীদা-মাহমুদের পাওয়া হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় বেছে নিয়েছিলেন অন্যরকম জীবন। বিয়ের পর বছর তিনেক পড়ানোর চাকরি নিয়ে অমৃতসর চলে যান মাহমুদ, রশীদা সেখানে শুরু করেন প্রাইভেট প্র্যাকটিস। অমৃতসরে বসবাসকালেই ফৈয়জ আহমেদ ফৈয়জ, মহাম্মদিন তাসির প্রমুখ রশীদা-মাহমুদের সান্নিধ্যে আসেন এবং এঁদের বন্ধুত্বের সূত্রে পঞ্জাবের প্রগতিশীল লেখক আন্দোলন দানা বাঁধে। মাহমুদ অবশ্য এরপর আর বেশিদিন পড়ানোর চাকরি করেননি। তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন এবং পুরোপুরি পার্টির কাজে আত্মনিয়োগ করেন। কয়েক বছর চিঙ্গারি নামে পার্টির উর্দু পত্রিকা যৌথভাবে সম্পাদনা করতেন মাহমুদ-রশীদা।
মাহমুদ উত্তরপ্রদেশের অবিভক্ত পার্টির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর আবার দু’জনে লখনউবাসী হন। অধ্যাপক নির্মল সিদ্ধান্তের মেয়ে রঞ্জনা সিদ্ধান্ত অ্যাশ ১৯৪০-এর গোড়ার দিকে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। রঞ্জনাদির কাছে শুনেছি খুবই আকর্ষণীয় চেহারার মাহমুদ সাইকেল চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিয়মিত যেতেন বামপন্থী বইপত্র নিয়ে সেসব প্রসারের কাজে। তিনি নাকি খুব ভালো ছবিও আঁকতেন/স্কেচ করতেন। সকলেই ওঁকে দেখে মুগ্ধ হত এবং তারা রশীদার কথাও জানত। রশীদা তখন তাঁদের বাড়ির একটা ঘরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেছেন। কিন্তু খুব কম পয়সায় বা বিনামূল্যে চিকিৎসা করতেন মানুষের। ডাক্তারি করে যা রোজগার হত, তার সিংহভাগটাই দিয়ে দিতেন পার্টিকে। এই অনন্য জুটির প্রতি ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই একটা গভীর আকর্ষণ বোধ করত।
পার্টি থেকে পাওয়া মাহমুদের অতি সামান্য মাসিক ভাতা দিয়েই সংসার চালাতে হত তাঁদের। কাজেই আর্থিক অনটন তো ছিলই। সেই সঙ্গে ছিল মাহমুদের আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়ায় অনিশ্চয়তা এবং মাঝেমধ্যে দু’জনেরই কারাবাস। এসবের মধ্যেই তাঁদের বাড়িতে প্রচুর মানুষের আনাগোনা লেগে থাকত– লখনউ ও তার আশপাশের পার্টি কর্মী, লেখক-শিল্পী, নানা সমস্যা/বিপদে পড়া মেয়েরা যাদের আর কোথাও পরামর্শ/সহানুভূতি পাওয়ার জায়গা নেই। বামপন্থী বই ও পত্রপত্রিকার একটা লাইব্রেরি হয়ে উঠেছিল তাঁদের বাসা। হাতে যত কম পয়সাই থাকুক না কেন, মাহমুদ-রশীদার খাবার টেবিলে সবার জন্য খিচুড়ি-আচারের ব্যবস্থা থাকতই।
খুরশীদার লেখায় পাই তাঁর বড়দি রশীদা বছরে একবার করে সব বোনেদের বাড়ি যেতেন। দু’-একদিন সেসব বাড়িতে থেকে, বাচ্চাদের পুরনো হয়ে যাওয়া জামাকাপড়, গরম বিছানাপত্র, অল্প কিছু নগদ টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার জন্য। তবে ডাক্তারি, রাজনীতি ও কঠিন জীবন সংগ্রামের চাপে পরের দিকে হয়তো লেখালিখিতে আর ততটা মন দিতে পারেননি রশীদ জাহান। তাছাড়া মৃত্যুর বছর কয়েক আগে থেকেই তাঁর শরীরে ক্যানসার দেখা দিয়েছিল। প্রথমবার অপারেশন করানোর সময় মাহমুদ জেল থেকে প্যারল নিয়ে স্ত্রীর পাশে ছিলেন। তারপর ১৯৪৮-’৫০-এ মাহমুদ যখন আন্ডারগ্রাউন্ডে, আবার মাথা চাড়া দেয় ক্যানসার। ১৯৫০-এ দ্বিতীয়বার অপারেশন হলেও, আর কোনও লাভ হয়নি।
মাহমুদ চেয়েছিলেন তাঁকে সোভিয়েত ইউনিয়নে নিয়ে গিয়ে উন্নত মানের চিকিৎসা করাতে। কিন্তু সরকারি অনুমতি পেতে পেতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৯৫২ সালে অনুমতি মেলার পর, যখন রশীদাকে নিয়ে যেতে পারলেন মস্কোতে, ততদিনে খুব দেরি হয়ে গেছে। রশীদা জানতেন তাঁর বাঁচার আর কোনও সম্ভাবনা নেই, মস্কো যাওয়ার আগে নিজের বোনেদের ও মাহমুদের বোনকে তিনি বলে গিয়েছিলেন, ‘আমি তো বাঁচব না, কিন্তু আমাকে নিয়ে গেলে এই সুযোগে মাহমুদের অন্তত সোভিয়েত দেশটা দেখা হবে। না হলে ও ওখানে যাওয়ার অনুমতি পাবে না কোনও দিন। আমি চাই ও দেশটা দেখুক।’
শেষ অবধি তাই হয়েছিল। মস্কো পৌঁছনোর তিন সপ্তাহের মধ্যে চলে যান রশীদা, জুলাই ১৯৫২-তে। ক্রেমলিনের কাছে তাঁকে কবর দিয়ে কিছুদিন তাঁদের দু’জনের স্বপ্নের দেশ দেখেন মাহমুদ। দেশে ফেরার পর আর বছর দুই মাত্র বেঁচেছিলেন তিনি। তাঁর মধ্যে লিখে যেতে পেরেছিলেন ‘ক্যোয়েস্ট ফর লাইফ’ নামে স্মৃতিকথা, যা শুরু হয় এভাবে—
ওই তীব্র বরফ-ঠান্ডায় রশীদাকে রেখে আসতে হল, যেটা আমি কখনও চাইনি; রশীদা একদম ঠান্ডায় সহ্য করতে পারত না।
…পড়ুন দোসর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৮। হিন্দু কোড বিল-এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে খাবার টেবিলে বসে আলোচনা চলেছে সবিতা ও ভীমরাওয়ের
পর্ব ৭। সেই আলোভরা দিনের খোঁজে তিন কমরেড
পর্ব ৬। যে তিন ‘অনাত্মীয়’ মেয়ে সংসার পেতেছিলেন দিগন্ত-রেখায়
পর্ব ৫। উমাদি-চিনুদা-নিরঞ্জনবাবুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল গভীর মনের মিল ও মতাদর্শ ঘিরে
পর্ব ৪। যাঁদের ‘ইমেজ’ ধরে রাখার ব্যাপার নেই, পার্টনার-ইন-ক্রাইম হয়ে ওঠার মজা আছে
পর্ব ৩। বাণী-শ্যামলীর প্লাস্টার অফ প্যারিসে ঢালাই হওয়া বন্ধুত্ব
পর্ব ২। অমলেন্দুকে বিয়ে করেও সিঁদুর পরেননি কেন— ইন্টারভিউতে শুনতে হয়েছিল নাসিমাকে
পর্ব ১। ‘গীতাঞ্জলি’ আসলে বাংলা অনুবাদে বাইবেল, এই বলে জাপানিদের ধোঁকা দেন সুহাসিনী