Robbar

টিম রোববার.ইন

সম্বিত বসু

সম্বিত বসু। ক্যাপটেন। বুকপকেটে হাতঘড়ি রাখেন। ভাবা প্র্যাকটিস করেন এবং করান। কেতে আছেন, ক্যালিগ্রাফিতেও। ছবি ভালোবাসেন, মিনিবুকের সংগ্রহের জন্য গিনেস বুকে নাম উঠতে পারে যে-কোনও দিন। কলকাতার আনাচকানাচ থেকে দার্জিলিং-এর খাদের ধারের রেলিং— চেনেন হাতের তালুর মতো। মুশকিল আসান— রণে-বনে, জলে ও দঙ্গলে।

তিতাস রায় বর্মন

তিতাস রায় বর্মন। রোববার.ইন-এর সম্পাদকীয় বিভাগের প্রাক্‌-পুরাণিক ভুরু-কুঁচকানো চক্ষু। বিখ্যাত ডাকনামে, `পালকি`। কপি ও কফি নিয়ে মাথাব্যথা আছে, তাছাড়াও আছে মাইগ্রেন। সহকর্মীরা জানেন, পালকি একদিন গ্লোবট্রটার হবেনই, তবে শুরু করবেন শান্তিনিকেতন দিয়ে। লেখকদের গাদাবন্দুক হাতে তাগাদা দেন, যদিও নিজের লেখার ব্যাপারে কৃপণের বামমুঠি।

সোমোশ্রী দাস

সোমোশ্রী দাস। ব্যক্তিত্বে স্নেহময়ী দিদিমণি, হপ্তায় অন্তত একদিন রোববার.ইন-এর গ্রাফিক্সের দায়িত্ব সামলান। তাঁর শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণেই সম্ভবত ব্রিটিশরা দেশ ছেড়েছিল। টালিগঞ্জে থেকেও লোডশেডিংয়ের ভয়ে উজ্জ্বল সাদা পোশাক পরেন। সরল মনে বিশ্বাস করেন, আদা-কাঁচকলার তরকারি গলাধঃকরণ সম্ভব। সম্প্রতি অফিসের দুধ-চা ছেড়ে, ছাদের ঘরেই দুরন্ত লিকার চা বানিয়ে খাচ্ছেন ও খাওয়াচ্ছেন।

সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়

সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়। রোববার.ইন-এর রাহুল দ্রাবিড়। স্পোর্টস রিপোর্টার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করে সাহিত্য-সংস্কৃতি-সম্পাদকীয় ক্রিয়াকর্ম পেরিয়ে বর্তমানে কচুরির দোকানে ফুড টেস্টার হতে চান। মিষ্টির ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি ঝানু গোয়েন্দাকেও হার মানাবে। লিকার চায়ে তীব্র আপত্তি ও গদ্যের ঋজুতা দেখে বুঝবেনই না, মানুষটি আদপে নরম তুলোর পাশবালিশ।

দীপঙ্কর ভৌমিক

দীপঙ্কর ভৌমিক। রোববার.ইন-এর ডিজাইনার কাম ইলাস্ট্রেটর। ফড়িং পোষেন। কুকুরদের ভয় পান বলে রাতে রণপায় বাড়ি ফেরেন। সেলুনে নিজের পোর্ট্রেট জমা দিয়ে কীরকম ছাঁট হবে দেখিয়ে দেন। নিজে ছবি আঁকেন, ডিজাইন করেন, কিন্তু ক্রেডিট দেন সবাইকে। দরাজদিল– যেমন হৃদয় শিল্পীকে মানায়।

গৌরবকেতন লাহিড়ী

গৌরবকেতন লাহিড়ী। রোববার.ইন-এর সম্পাদকীয় বিভাগে সদ্য ল্যান্ড করেছেন। গানমাতাল, আড্ডাবাজ। জঙ্গলের পোকা থেকে বেলতলার বোকা, বিচিত্র সব ব্যাপারে তুমুল আগ্রহ! সূর্যকে কান ধরে পুব আকাশে তুলে, তবে ঘুমতে যান। পুষতে চান অ্যানাকোন্ডা, বাদামি ঘোড়া। স্থানাভাবে, আপাতত কুকুর-বিড়াল ও ব্যক্তিগত লাইব্রেরি নিয়ে দিব্যি আছেন।

রমা দাস

রমা দাস। রোববার.ইন-এর বর্ণসংস্থাপক। উত্তমকুমারের বিপুল ভক্ত। ডাকনাম `রমা` বলেই এহেন ব্যাপার কি না, সম্ভবত গবেষণা চলছে ম্যাসেচুসেটসে। বেলা নাগাদ ‘আজ খুব চাপ’ বলে, বহু সময় বিকেলের মধ্যেই লেখা ফটফট টাইপ করে দেন। দীর্ঘদিন সংবাদপত্রে কাজ করার সূত্রেই সংগ্রহে রাখেন লেখকদের পাণ্ডুলিপি। সাঁতারের প্রতিভা আড়াল করতে চেয়েও পারেননি, বহুবার, চরম বৃষ্টিদিনেও, নাগেরবাজার থেকে নির্ভুল সময়ে তাঁকে অফিস আসতে দেখা গেছে।

সুপ্রতিভ দেব রায়

সুপ্রতিভ দেব রায়। রোববার.ইন-এর ‘এসইও’ তাঁরই বদান্যতায়। সুবিনীত আদ্যপান্ত ছিপছিপে স্পোর্টসম্যান। অফিস টুর্নামেন্টে বলে ও ফুটবলে নাম কিনেছেন।

অর্ঘ্য চৌধুরী

অর্ঘ্য চৌধুরী। রোববার.ইন-এর গ্রাফিক্সের প্রথমপুরুষ, বর্তমানে এই দায় থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে ব্র‍্যান্ডের ঝাণ্ডা ধরেছেন। অফিশিয়াল যাযাবর, অফিসের এক ঘরে মাস তিনের বেশি তাঁকে থাকতে দেখা যায়নি। বাংলা বিজ্ঞাপনের হেস্তনেস্ত করে হাঁপিয়ে উঠলে, রেস্ট না নিয়ে পাহাড়চূড়ায় আত্মানুসন্ধানে বেরন। লোকবিশ্বাস: প্রেস ক্লাবের মাঠে তাঁর নামে একটি মর্মরমূর্তি হবে।

সৈকত মাজি

সৈকত মাজি। রোববার.ইন-এর সাইট ডেভলপার। সময়ে-অসময়ে-দুঃসময়ে মাঝদরিয়া থেকে রোববার.ইন-কে উদ্ধার করেন তিনিই। কথিত আছে, গম্ভীর বদনে তাঁকে সচরাচর দেখা যায় না।