বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে অবশ্য রবীন্দ্রনাথ কেবলমাত্র তাঁর বই প্রকাশের কারখানা হিসেবেই ব্যবহার করতে চাননি, দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। শিক্ষার বিকিরণে বিদ্যাকেন্দ্রগুলির দায়িত্ব যে গভীর, তা জেনেই রবীন্দ্রনাথ গ্রহণ করেছিলেন ‘বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহ’ ও ‘লোকশিক্ষা গ্রন্থমালা’। বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ থেকে প্রকাশিত হত বইগুলি।
রবীন্দ্রনাথকে তো আমরা বইয়ের সুবাদেই চিনি-জানি। রবীন্দ্র রচনাবলি বাঙালি পড়ুন বা না-পড়ুন, তা একসময় বাঙালি ভদ্রলোকের গৃহসজ্জার অঙ্গ হয়ে উঠেছিল তাঁর রচনাবলির সুঠাম-সুদৃশ্য খণ্ডগুলি। এই যে ছাপা বই, তার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক টানাপড়েনের সম্পর্ক– অপ্রেমের ও প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের মধ্যেই তো মিশে থাকে অপ্রেম যেমন অপ্রেমের মধ্যে লুকিয়ে থাকে প্রেমের চোরা টান। রবীন্দ্রনাথ মাঝে মাঝেই ভাবতেন, তিনি যদি ছাপাখানার কবি না হয়ে ছাপাখানা-পূর্বযুগের কবি হতেন! ‘পুনশ্চ’ কাব্যগ্রন্থের ‘পত্র’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ এক কবির জবানিতে জানিয়েছেন, ‘ছাপাখানার কবি’ হিসেবে তাঁর বেদনার কথা। বিক্রমাদিত্যের সভায় যিনি কবিতা শোনাতেন তাঁর ছিল অবকাশ– ছাপাখানার কবি সেই অবকাশের জগৎ হারিয়েছেন। ‘ছাপাখানার দৈত্য’, ‘কবিতার সময়াকাশকে’ কালি মাখিয়ে লেপে দেয়। ‘হাইড্রলিক জাঁতায় পেষা কাব্যপিণ্ড’ হল কবিতার ছাপা বই। ‘এক-বই-ভরা কবিতা/ তারা সবাই ঘেঁষাঘেঁষি দেখা দিল/ একই সঙ্গে এক খাঁচায়।’ এই খাঁচা ভর্তি কবিতা বিক্রি হয় ‘বিশ্ব-বেনের দোকানে’। এককালের কানে শোনার কবিতা এই নতুন যুগে পরল চোখে দেখার শিকল। জটলা-পাকানোর যুগ এটা। কবিতা ‘পাব্লিশরের হাটে হল নাকাল’। আধুনিক মালবিকারা ‘আরাম-কেদারায় বসে’ কিনে পড়ে কবিতা। চোখ বুজে কান পেতে শোনে না। কবিতাকে ভালোবেসে কবিকে পরিয়ে দেয় না তারা বেলফুলের মালা, দোকানে পাঁচ সিকে দিয়েই খালাস। বোঝা যায়, ছাপাখানার জগৎ কবির সঙ্গে শ্রোতার প্রত্যক্ষ সংযোগ নষ্ট করছে বলে মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের– তাঁর মতে একটি একটি করে কবিতা শোনার অবসর হরণ করেছে এই ছাপাখানার সংস্কৃতি।
যে মুদ্রিত গ্রন্থসংস্কৃতির প্রতি রবীন্দ্রনাথের এই অভিযোগ সেই গ্রন্থসংস্কৃতির প্রতিই আজীবন সহযোগী সাহচর্যে থাকতে হল তাঁকে। কানে শোনার অভিজাত দরবার থেকে যে বইপড়ার লোকতন্ত্রেই যেতে হবে আমাদের, আর এই বইপড়ার লোকতন্ত্রের প্রতি যে গভীর দায়িত্ব ও মমত্ব থাকা চাই, শেষ অবধি সে-সত্য রবীন্দ্রনাথ অস্বীকার করলেন না। শুধু তাই নয়, বইয়ের অর্থনীতির সঙ্গেও যোগ ঘটাতে হল তাঁকে যুগের নিয়ম মেনেই। ‘প্রবাসী’ ও ‘মডার্ন রিভিউ’– এই দুই পত্রের সম্পাদক-পরিকল্পক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে চিঠিতে বই-ছাপার নানা দিক নিয়ে কথা বিনিময় করেছেন তিনি। ১৯১১ সালের অক্টোবর মাসের চিঠিতে লিখছেন, ‘হিন্দুবিশ্ববিদ্যালয় প্রবন্ধটি সংশোধন করিয়া পাঠাইলাম। বোধ করি সবসুদ্ধ এক ফর্ম্মার অধিক হইবে না। আমার ইচ্ছা প্রবাসীতে এই প্রবন্ধটি ছাপা হইলে সেই সঙ্গে চটি আকারে ইহাকে বাহির করিয়া চার পয়সা দামে বিক্রয় করা হয়। ছাপিবার খরচ বোধ করি বেশি হইবে না– সে খরচটা বিক্রয়ের মূল্য হইতে তুলিতে পারিবেন।’ চিঠিতে কেবল একটি চটি বইয়ের কথাই লিখছেন না, প্রস্তাব দিচ্ছেন সাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে তাঁর এমন নানা লেখা চটি বই আকারে ছাপালে বেশ লাভজনক হতে পারে। নভেম্বর মাসে যে চিঠি লিখছেন রামানন্দকে, তাতেও আবার এসেছে পূর্ব-পুস্তিকা প্রসঙ্গ। তবে এবার খানিক সাবধানতা অবলম্বন করলেন, জানালেন পুস্তিকার বিষয়ে রামানন্দ যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই শেষ কথা।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
যে মুদ্রিত গ্রন্থসংস্কৃতির প্রতি রবীন্দ্রনাথের এই অভিযোগ সেই গ্রন্থসংস্কৃতির প্রতিই আজীবন সহযোগী সাহচর্যে থাকতে হল তাঁকে। কানে শোনার অভিজাত দরবার থেকে যে বইপড়ার লোকতন্ত্রেই যেতে হবে আমাদের, আর এই বইপড়ার লোকতন্ত্রের প্রতি যে গভীর দায়িত্ব ও মমত্ব থাকা চাই, শেষ অবধি সে-সত্য রবীন্দ্রনাথ অস্বীকার করলেন না।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
বইয়ের টাকা অবশ্য রবীন্দ্রনাথ নিজের জন্য নয়, অধিকাংশ সময়েই ব্যয় করতেন তাঁর আশ্রম-বিদ্যালয়ের জন্য। রামানন্দকে লিখছেন, ‘ইংরেজি গীতাঞ্জলি আশাকরি কোনো ব্যবসাদার ইংরেজ প্রকাশক গ্রহণ করিবার প্রস্তাব করিবে’– করলে রবীন্দ্রনাথের সুবিধে হয়। সুরুলে সিংহদের বাড়ি বিদ্যালয়ের কাজে লাগানোর জন্য ৮০০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। সেই ‘ধার’ গীতাঞ্জলির টাকায় শোধ করা সম্ভব হতে পারে। পরে রামানন্দকে ১৯২৮-এর ৮ ডিসেম্বর একটি চিঠিতে লিখেছেন, ‘চেষ্টা করবেন যদি গীতাঞ্জলির কোনো কবিতার সঙ্গে ছবি এঁকে কন্গ্রেস উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্যে পাঠাতে পারেন। একটু বড়ো সাইজে দেয়ালে ঝোলাবার মতো।’ ‘পত্র’ কবিতায় কানে শোনার উপরে দিয়েছিলেন গুরুত্ব, এ-চিঠিতে কবিতাকে করে তুলতে চাইছেন চোখে দেখার, দেয়ালে ঝোলাবার নান্দনিক সাংস্কৃতিক পণ্য। মধ্যবিত্ত সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নির্মাণ করতে হবে রবীন্দ্রকবিতার চিত্ররূপ– ঘরের দেয়ালে ঝোলানো থাকবে তা।
বিদ্যাসাগরের মতো রবীন্দ্রনাথ অবশ্য ‘বই-ব্যবসায়ী’ হয়ে উঠতে চাননি– বিদ্যাসাগরের দয়াধর্মের অর্থ কেবল চাকরি থেকে নয়, বই-ব্যবসা থেকেও সংগৃহীত। রবীন্দ্রনাথ যে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন, সেই ব্রহ্মচর্যাশ্রম ও বিশ্বভারতীর ব্যয় নির্বাহের জন্য তাঁর লেখক সত্তাকে বন্ধক রাখতে হয়েছিল বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগের কাছে। রামানন্দকে লিখছেন, ‘জমিদারী ছাড়া প্রায় আমার সমস্ত আয় বিশ্বভারতীর। সেইজন্যে শেষ কালটায় লেখার ব্যবসা ধরতে হোলো।’ ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থপ্রকাশের ভার গ্রহণ করেছিলেন ইন্ডিয়ান প্রেসের মালিক চিন্তামণি ঘোষ। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ব্যবস্থার বদল হল। চিন্তামণি ঘোষকে ১৯২২-এর ২৮ ডিসেম্বরের চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন ‘আমার সমস্ত বাংলা বইগুলির স্বত্ব লেখাপড়া করিয়া বিশ্বভারতীর হাতে দিয়া আমি সম্পূর্ণ লইয়াছি। এক্ষণে এই অধিকারের হস্তান্তর উপলক্ষ্যে আমার গ্রন্থপ্রকাশের কোনো একটি সন্তোষজনক ব্যবস্থা হইতে পারিলে আমি অত্যন্ত নিশ্চিন্ত হইতে পারিব। আশা করি বিশ্বভারতীর মঙ্গলের প্রতি দৃষ্টি করিয়া আপনি যথোচিত বিধান করিয়া দিবেন।’ বিশ্বভারতীর মঙ্গল অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠানের খরচ এই প্রতিষ্ঠানের প্রকাশনা সংস্থা থেকে অনেকটাই উঠে আসুক এমনই চাইছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আর সেই প্রকাশনা সংস্থার প্রধান পুঁজি লেখক রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় গ্রন্থ। চিন্তামণি ঘোষের সঙ্গে আলোচনার জন্য নেপালচন্দ্র রায়, সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশকে পাঠানো হল। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের মুদ্রিত মজুত বইয়ের দাম নির্ধারিত হল ৭৮,০০০ টাকা। চিন্তামণি ঘোষ রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল সাধনের জন্য ২৬,০০০ টাকায় সমস্ত বই বিশ্বভারতীকে দিয়ে দিলেন। কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের মন্দিরের কাছে যেখানে পুরনো সঙ্গীতসমাজ ছিল, সেই বাড়ির ভিতর দিকে ১০০ বছর আগে প্রকাশনী বিভাগের অফিস স্থাপিত হল। দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন শৈলেন্দ্রনাথ সিংহ।
বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে অবশ্য রবীন্দ্রনাথ কেবলমাত্র তাঁর বই প্রকাশের কারখানা হিসেবেই ব্যবহার করতে চাননি, দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। শিক্ষার বিকিরণে বিদ্যাকেন্দ্রগুলির দায়িত্ব যে গভীর, তা জেনেই রবীন্দ্রনাথ গ্রহণ করেছিলেন ‘বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহ’ ও ‘লোকশিক্ষা গ্রন্থমালা’। বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ থেকে প্রকাশিত হত বইগুলি। বিশেষ বিদ্যায়তনিক পরিসরে যাঁরা প্রবেশ করেননি, কিংবা একটি বিষয়ে জ্ঞানলাভ করলেও অন্য বিষয়ে জ্ঞানচর্চায় আগ্রহী তাঁদের জন্য বইগুলি পরিকল্পিত। রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠান এক অর্থে যে, সকলের জন্য। সহজ বাংলায় বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণের জন্য বই লিখতেন বিশিষ্টজনেরা। মিতায়তন এই পেপারব্যাকগুলি বাংলা ভাষায় বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সংযোজন। এ-কাজে রবীন্দ্রনাথের সহযোগী ছিলেন চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য। রাজদরবারের কাব্যবিলাসের থেকে দূরে সাধারণের মধ্যে শিক্ষার বিকিরণের জন্য রবীন্দ্র-পরিকল্পিত এই আয়োজন বুঝিয়ে দেয়, ছাপাখানার কারখানাকে সকলের জন্য খুলে দেওয়ার আধুনিকতায় শেষ অবধি তাঁর আর কোনো দ্বিধা ছিল না। মালবিকার মালার চাইতে সাধারণের চিত্তে জ্ঞানের আলোর বিকিরণই রবীন্দ্রনাথের কাছে শ্রেয় বলে মনে হয়েছিল।
…………………ছাতিমতলা অন্যান্য পর্ব……………………..
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি