Robbar

মিনি সিরিজ

বিজ্ঞাপনে দেখানো উজ্জ্বলতা না পেলে আপনার জীবন বৃথা?

জবাকুসুম চুলের তেলের বিজ্ঞাপনে তেলের গুণাগুণ বিষয়ে প্রায় কোনও কথাই খরচ না করে ব্যবহার করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘নিদ্রিতা’ কবিতার সেই অংশটি, যার মধ্যে একটি পঙ্‌ক্তিতে রয়েছে, ‘মেঘের মতো গুচ্ছ কেশরাশি শিখান ঢাকি পড়েছে ভারে ভারে’। কখনও আবার ব্যবহার করা হয়েছে ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’, ‘বধূ’ ইত্যাদি কবিতার চিরকালীন পঙ্‌ক্তিগুলি।

→

কলকাতায় প্রথম নাপিত ধর্মঘট হয়েছিল ১৪৬ বছর আগে!

১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দ ইংরেজ কোম্পানির রাজত্বে ক্ষৌরকারদের উপরে মাথা পিছু ১২ টাকা বাৎসরিক ট্যাক্স ধার্য করা হয়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং চুল-দাড়ি কাটার মজুরি বৃদ্ধির করার দাবিতে ধর্মঘট করেন। এদের ধর্মঘটকে সমর্থন জানালেন শ্রদ্ধেয় কেশব সেনের ‘সুলভ সমাচার’ পত্রিকা।

→

ইতিহাসে অনুপস্থিত ও কাব্যে উপেক্ষিতাদের নিজস্ব বৌদ্ধিক চর্চার আস্তানা ‘সাঁল’ থেকে উঠে আসে উলটপুরাণ

সালঁ শুধু মহিলাদের নিয়ে নতুন করে ভাবায় না। আরও ভাবায় কী করে কাব্য শোনা ও ছবি দেখার ইন্দ্রিয়বত্তা, গায়কি ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার, কফির স্বাদ, সোফায় বসার ভঙ্গি, পোশাকের ফ্যাব্রিক ও ফ্রিল– সালঁতে উপস্থিত ও অনুষ্ঠিত এই ঘনিষ্ঠ উপাদানগুলি থেকে ইতিহাস লেখা যায়।

→

গুরু এই সেলুনেই চুল কাটতেন

আধা সি-থ্রু কাচ, নিয়ন্ত্রিত ফিনফিনে তাপ, স্টুডিও-সম আলো, বাবুইবাসা-ফুলঝাড়ু-জাম্বু কাট খোকাদের ছবি। আধুনিক কেশ স্যালোঁদের কথা বলছি না। খুঁজছি  এমন কিছু সেলুন, যা রয়ে গিয়েছে শহরের পুরনো পাড়ায় পাড়ায়। উত্তম চরিত্রের মতোই তারা রিট্রো, এগজটিক। সাইনবোর্ডে হাতে রং করা বা কাঠের অক্ষর উঠে থাকা নাম।

→

নিরন্নরা সর্বত্র হানা দিচ্ছে, দখল করছে এলাকা

যদ্দিন না সমস্ত শিশুকে খাদ্যসুরক্ষার আওতায় আনা যাচ্ছে, তদ্দিন মধ্যবিত্তের আদরের দুলালরাও যে নিরাপদ নয়, তা মেনে নিতে হবে।

→

তোমার আছে বন্দুক, আর আমার কেবল ক্ষুধা

খেতে না দেওয়ার এই মডেলটাই সর্বত্র জনপ্রিয়– এমন একটি নিয়ন্ত্রণের ধাঁচা, যা বাঙালির অন্দরমহল থেকে গাজা অবধি এক। খেতে না দিয়ে শরীরের ওপর একছত্র আধিপত্য কায়েম করো, তারপর মনের ওপর দখলদারি সময়ের অপেক্ষা।

→

এদেশে এখনও বিয়ের পর বেশিরভাগ মেয়েদের আধপেটা খেয়ে থাকাই রেওয়াজ

গোবলয়ে যেমন কন্যা-সন্তানদের আজকাল খবর অনুযায়ী স্রেফ গলা টিপে খুন করা হয় না ডিসেন্সির খাতিরে, তেমনটা এখানকার রীতি নয়। বাপ, দাদা, ভাই ডিম তো বটেই, এমনকী মাংসও খাবে আর বোনের কপালে শুকনো রুটি-সবজি, অতটা পৌরুষ প্রদর্শন প্রায় কোনও জেলাতেই দেখিনি অদ্যাবধি।

→

না খেতে পাওয়ার দিনলিপিতে সকলেই ‘উদ্বাস্তু বাঙাল’

প্রায় তেল ছাড়া চুনো মৌরলা লাউপাতায় মুড়ে ভাজাপোড়া নিভু উনুনের আঁচে বসিয়ে চচ্চড়ি রান্নার তরিকাটির সঙ্গে পঞ্চাশ তেল কেনার সামর্থ, টালির চালে লাউডগা লতিয়ে ওঠা এবং আঁচের শেষটুকুতে ‘যেটুকু যা হয়’ জড়িত, অন্য কোনও ‘ঐতিহ্য’ নয়।

→

পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে বসন্ত চৌধুরী পরিষ্কার করতেন নিজের সংগ্রহের গণেশ মূর্তিগুলি

আমার ঠাকুরদা সিদ্ধেশ চৌধুরী। খুব বেশি বাঁচেননি তিনি। ‘সিদ্ধেশ’ মানে সিদ্ধি বা সাফল্যের দেবতা, তার মানে তো গণেশই। বাবার হয়তো এই সূত্র ধরেই গণেশ সংগ্রহের প্রতি এক ধরনের ঝোঁক গড়ে উঠেছিল। বসন্ত চৌধুরীর ২৫-তম প্রয়াণ দিবসে বসন্ত পঞ্চমীর শেষ পর্ব।

→

ছবি বিশ্বাসের মাহজং খেলার নেশা ধরিয়েছিলেন বসন্ত চৌধুরীই

বসন্তপঞ্চমীর এই পর্বে বসন্ত চৌধুরীর থিয়েটারের কথা। এসেছে খেলাধুলোর কথাও। মাহজং নামের এক আশ্চর্য চিনা খেলায় আসক্ত ছিলেন তিনি ও ছবি বিশ্বাস। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় থেকে শুরু করে বসন্ত চৌধুরীর কালানাক্রমিক থিয়েটার করার কথা রইল এই পর্বে।

→