যে বছর সত্যজিৎ রায় প্রয়াত হচ্ছেন, সেই বছরেই বাংলা গানে আসছে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবাম। যেটুকু বৈদগ্ধ্য বাংলা সিনেমা খোয়াচ্ছে, গান তা পুষিয়ে দেবে– এই ভাবনায় মজছে বাঙালি। পাশাপাশি গ্যাট চুক্তির ফলে পশ্চিমি গোলকায়নের বেলুন ভাসতে থাকল বঙ্গমানসের আকাশে। খুলে গেল দক্ষিণ খোলা জানলা। বাড়ির ছাদে ছুটির দুপুরের ভোমায় পায়রার উড়ান একদিকে, অন্যদিকে ফ্ল্যাটের ‘বেডকভারের প্রান্তে’-ই জঙ্গল, পাগলা হাতির দঙ্গল, পাহাড় তৈরি হচ্ছে নাগরিক গীতিকারের পঙক্তিমাফিক। বাঙালির জীবন নিউক্লিয়ার হতে শুরু করেছে, কৌম ভাঙার শব্দ আসছে। সেই অষ্টাদশ শতকের শেষে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রামপতনের শব্দ বয়ে এনেছিল, বিশ শতকের শেষ জানান দিচ্ছে, এবার আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা।
৩৩.
সোভিয়েত ভেঙেছিল। ‘সোভিয়েত দেশ’, ‘সোভিয়েত নারী’-র মতো পত্রিকা ঘরে ঘরে যাওয়া বন্ধ হল। অঞ্জন দত্তর ‘দেওয়াল’ নিয়ে মৃণাল সেন বানিয়েছিলেন ‘মহাপৃথিবী’। বার্লিন দেওয়াল ভেঙে পড়াকে ইতিহাসের অবধারিত বাঁক হিসেবে যেখানে দেখতে চাইছিলেন অঞ্জন, মৃণাল সেন সেখানে নিয়ে এলেন বিলাপ। কমিউন বা সংঘ হয়ে উঠল সেই পরিবার, সোভিয়েতের মতোই যা ভাঙনোন্মুখ। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় যাঁকে বলবেন, বাঙালি মধ্যবিত্তর অন্দরে বার্লিন দেওয়ালের পতন। চোরাগোপ্তা সেই বিষাদ খাচ্ছে মগজ, মনন। হাওয়ায় ভাসছে ‘তুমসে মিলকে, অ্যায়সা লাগা তুমসে মিলকে, আরমা হুয়ে পুরে দিলকে’, খুনখারাপি ছাপিয়ে যে গান উড়ে বেড়াচ্ছে পালকের মতো। সঙ্গতে মাধুরী দীক্ষিত, কেউ কেউ বলছেন, বম্বের নতুন সুচিত্রা সেন। ‘সদমা’-র অ্যামনেসিয়াক নেহালতার চরিত্রে শ্রীদেবীর শিশুতোষ নারী উপস্থিতির সঙ্গে কমল হাসানের পরিণত পুরুষ উপস্থিতির টানাপোড়েন দেখে কেউ আন্দাজই করেনি, কয়েক বছরের মধ্যে ‘হাওয়া হাওয়াই’-এর শ্রীদেবীর পোস্টার এমনকী কলেজ ইউনিয়ন রুমের দেওয়ালেও ঠাঁই পাবে। সঙ্গে কোথাও শার্টহীন অনিল কাপুর, তো কোথাও ‘অঙ্কুশ’-এর দুষ্ট দমনকারী লুম্পেন রবীন্দ্র কেলকর থেকে ভয়াল কিংপিন হয়ে ওঠা নানা পটেকরদের নকলনবিশি চলছে। ওদিকে বিশ্বব্যবস্থা পাল্টে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। তার অভিঘাত, প্রজাপতির ডানা ওড়ার ফলে টাইফুন ডেকে আনার মতো না হলেও, অন্তঃসলিলা এবং চুপিসার।
১৯৯২ সালে এল ‘খিলাড়ি’ আর ‘মি. বন্ড’। ‘হামারি চাহাথো কা, মিট না সকেগা ফসানা’ বাজতে থাকল ক্যাসেটে ক্যাসেটে। আব্বাস-মস্তান জুটির সেই পদার্পণ বলিউডের বারোয়ারি প্রাঙ্গণে। আর নয়া নায়ক হিসেবে জনমনে ঢুকে পড়ছেন, অক্ষয় কুমার। ছন্নছাড়া, বেপরোয়া তরুণ সমাজকে নিয়ে বানানো সেই থ্রিলার ইঙ্গিত দিচ্ছে, সামাজিক নায়কদের দিন শেষ। ‘মি. বন্ড’-এও অক্ষয়কুমার ডিটেকটিভ, একেবারে স্বপনকুমারীয় পাল্পের ভিলেন ড্রাগনের সঙ্গে মোকাবিলা করছেন। রজার মুর পেরিয়ে টিমোথি ডালটন ততদিনে জেমস বন্ড হয়ে গিয়েছেন, সুপুরুষ এবং, ক্লাসিক পেরিয়ে নতুন পৃথিবীর প্রতিনিধি হয়ে ওঠা, সোভিয়েতহীন বিশ্বে নতুন শত্রু ধাওয়া করা পিয়ার্স ব্রসনান তখনও এসে পৌঁছননি। ব্রসনানের নায়িকা, ওরফে জিরো জিরো সেভেনের বিশ্বে যারা ‘বন্ড গার্ল’ বলে পরিচিত, তাঁরাও আগের বন্ড গার্লদের থেকে বেশি প্রতিরোধী, ফেমে ফাতাল বা ছলনাময়ী কুহেলিকা নন, সরাসরি বন্দুক ধরতে জানেন। ১৯৯৫ সালের ‘গোল্ডেন আই’-তে ইসাবেলা স্করকুপো অভিনীত নাতালিয়া সিমানোভা-ই যেমন, ‘বয়কাট’ চুলে, কেবলই যৌন আবেদনের পৌত্তলিকতা ছাপিয়ে প্রায় হাতা গুটিয়ে পাশে দাঁড়ালেন। ততদিনে অক্ষয় কুমার ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’, ‘সবসে বড়া খিলাড়ি’– ইত্যাদিতেও অভিনয় করে ফেলেছেন। আয়েশা ঝুলকা বা মমতা কুলকার্নি-রা তাঁর নায়িকা। এরপরেও ‘খিলাড়িয়োঁ কা খিলাড়ি’, ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’– খেলাধুলো আর থামছিল না অক্ষয়ের। এক রসিক বলেছিলেন, ‘খিলাড়ি’ উপাধি দেওয়া হোক অক্ষয়কে।
প্রসঙ্গত, সেই বছরেই সত্যজিৎ রায় প্রয়াত হচ্ছেন, বাংলা গানে আসছে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবাম। যেটুকু বৈদগ্ধ্য বাংলা সিনেমা খোয়াচ্ছে, গান তা পুষিয়ে দেবে– এই ভাবনায় মজছে বাঙালি। পাশাপাশি গ্যাট চুক্তির ফলে পশ্চিমি গোলকায়নের বেলুন ভাসতে থাকল বঙ্গমানসের আকাশে। খুলে গেল দক্ষিণ খোলা জানলা। বাড়ির ছাদে ছুটির দুপুরের ভোমায় পায়রার উড়ান একদিকে, অন্যদিকে ফ্ল্যাটের ‘বেডকভারের প্রান্তে’-ই জঙ্গল, পাগলা হাতির দঙ্গল, পাহাড় তৈরি হচ্ছে নাগরিক গীতিকারের পঙক্তিমাফিক। বাঙালির জীবন নিউক্লিয়ার হতে শুরু করেছে, কৌম ভাঙার শব্দ আসছে। সেই অষ্টাদশ শতকের শেষে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রামপতনের শব্দ বয়ে এনেছিল, বিশ শতকের শেষ জানান দিচ্ছে, এবার আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। সেই বিশ্বগ্রামে প্রেম থেকে রক্তপাত, সবকিছুরই কানুন সরে যাচ্ছে মেনলাইন থেকে কর্ডলাইনে। উত্তর কলকাতার টিমটিম করে জ্বলতে থাকা যৌথ পরিবারের বাল্বের আলোর পাশে ঝলমলে হোর্ডিং এসে জুড়ছে। একটা ছোট্ট রং নাম্বারের গল্প এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না। ল্যান্ডফোনে কেউ ফোন করেছে বাগবাজারের কোনও বাড়িতে, ‘বাজাজ কা নম্বর হ্যায়?’, উত্তরে ফোনের এপারের জন বলেছিলেন, ‘বাজাজ-ফাজাজ শ্যামবাজারমে মিলেগা, ইয়ে বাগবাজারকা বহুত পুরানা মহল্লা হ্যায়’।
দক্ষিণ অবধিও যেতে হয়নি, উজ্জ্বল হোর্ডিংয়ে ঢাকা শ্যামবাজার মোড়ের ওপরেই বাগবাজারের সে কী অভিমান! প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতায়, ‘স্লেট রঙের বিকেলের ওপর আলো’ লিখে দেওয়া, লগি হাতে এ-গলি ও-গলি ঘুরে একটা একটা করে তারা জ্বালিয়ে দেওয়ার মতোই জ্বলে ওঠে সেই মেলানকোলিয়া, আবার শেতলাপুজোতে পালাও হচ্ছে, শনিমন্দিরে বাজছে ভোজপুরি ভক্তিগীতি। আলো-আঁধারের মনখারাপ, নিচে কখনও চটকদার, কখনও বা তামসিক কার্নিভাল। যেসব ‘শাম’ সত্যিই ‘আজিব থি’, তাতে একটু একটু করে ধুলো জমছে। ‘৯৪-এর বিশ্বকাপে আর খেলতে নামছেন না মারাদোনা, কিন্তু ততদিনে ভারত নতুন খেলায় মজেছে। টেলিভিশন ঘরে এনে দিচ্ছে টেস্ট-ওয়ান ডে-র ময়দানি আমেজ। শচীন তেন্ডুলকর ততদিনে ঘরের ছেলে হয়েছেন, মধ্যবিত্তর মন রাখতে তিনি মদ-সিগারেটের বিজ্ঞাপন করবেন না। অন্যদিকে ততদিনে বাজারে এসেছে কামসূত্র (বাৎসায়ন নয়, ব্র্যান্ড), আলেখ পদমসির কন্ডোমের বিজ্ঞাপনও চেখে দেখা হয়ে গেছে। বাজারে বা স্টেশনে যতই চাচা চৌধুরী আর অমর চিত্রকথা চলুক, রংচঙে ইরোটিকাও তো চলছিল নির্বিঘ্নে। ততদিনে ভিসিআর-ও এসে পড়েছে, পাড়ায় পাড়ায় ক্যাসেট লাইব্রেরি হয়েছে, ক্যাসেট যেখানে ভাড়া দেওয়া হয়। জহর বা প্রদীপ-এ যারা সাহস করে যাচ্ছে না, তাদের জন্য মাল্লু ওরফে মালয়ালি বি গ্রেডের দুনিয়া খুলছে, সিল্ক স্মিতারা ঢুকে পড়ছেন অনায়াসে অন্দরমহলে।
সত্যজিতের মৃত্যুর পর, ১৯৯৫ সালে ‘ফেলুদা ৩০’ এল ছোটপর্দায়, সন্দীপ রায়ের নির্দেশনায়। এর মধ্যে, ‘বাক্স রহস্য’ প্রদর্শিত হয়েছিল নন্দনে। ‘সোনার কেল্লা’ বা ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ বড়পর্দায় দেখার অভিজ্ঞতা যাঁদের জীবন্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে সেই অভিজ্ঞতা ছিল একরকম, কিন্তু অনেকের কাছেই বড়পর্দায় ফেলুদা দেখার অভিজ্ঞতা সেই প্রথম। আটের দশকের শেষে ‘সত্যজিৎ রে প্রেজেন্টস’ হয়ে গেছে, খোদ অমিতাভ বচ্চন সেখানে ফেলুদা হতে হতে হননি, তাঁর পরিবর্তে এসেছেন কিঞ্চিৎ স্থূলকায় শশী কাপুর, মগনলাল ছিলেন সেই একমেবদ্বিতীয়ম উৎপল দত্তই। সেই ‘কিসসা কাঠমান্ডু কা’ থেকে ‘ফেলুদা ৩০’-এর ‘যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে’-তে এসে ‘মগনলাল লালমোহন সব লালে লাল’ অবশেষে সার্থক হল, কারণ হিন্দির জটায়ু মোহন আগাসে বাংলায় সরাসরি মগনলাল। যা হোক, এরপরেও ‘সত্যজিতের গপ্পো’-সহ নানা সিরিজ এসেছে দূরদর্শনে, ‘ছুটি ছুটি’-র শৈশব অক্ষুণ্ণ রইল। কিন্তু ১৯৯৭ সালে ‘শক্তিমান’ একেবারে অন্য মাত্রা আনল ‘ছোটদের’ বিনোদনে। শঙ্খ ঘোষরা দূরদর্শন ভবনের সামনে হিন্দি সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছিলেন বটে, কিন্তু মুকেশ খান্নার শক্তিমান যে প্রভাব বিস্তার করল, তা বাঁটুল দি গ্রেটের সঙ্গে তুলনীয় না হলেও, একেবারেই অভিনব। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী থেকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল– সকলেই সেই প্রভাব স্বীকার করল। ‘ব্যাটম্যান’, ‘ব্যাটম্যান রিটার্নস’, ‘ব্যাটম্যান ফরএভার’, ‘ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন’ ততদিনে হয়ে গেছে। কিন্তু ব্যাটম্যানের অ্যানিমেটেড টিভি সিরিজ দেখা যাবে আর কিছুদিন পর, স্প্যানিশ ‘জোরো’-ও ছোটপর্দায় তখনও পর্যন্ত হাজির হয়নি। শক্তিমান একেবারে নিজস্ব সুপারহিরো হয়ে উঠল, কাঁচা চিত্রনাট্য, চড়া দাগের ভাঁড়ামো, তরলায়িত নির্দেশনা ছাপিয়েই। আরও কিছু পরে পর্দায় আসবে টোবি ম্যাগুয়ার অভিনীত স্পাইডারম্যান। বড়পর্দায় ‘কৃশ’ তারও পরে।
……………………………………………………………………………..
শচীন তেন্ডুলকর ততদিনে ঘরের ছেলে হয়েছেন, মধ্যবিত্তর মন রাখতে তিনি মদ-সিগারেটের বিজ্ঞাপন করবেন না। অন্যদিকে ততদিনে বাজারে এসেছে কামসূত্র (বাৎসায়ন নয়, ব্র্যান্ড), আলেখ পদমসির কন্ডোমের বিজ্ঞাপনও চেখে দেখা হয়ে গেছে। বাজারে বা স্টেশনে যতই চাচা চৌধুরী আর অমর চিত্রকথা চলুক, রঙচঙে ইরোটিকাও তো চলছিল নির্বিঘ্নে। ততদিনে ভিসিআর-ও এসে পড়েছে, পাড়ায় পাড়ায় ক্যাসেট লাইব্রেরি হয়েছে, ক্যাসেট যেখানে ভাড়া দেওয়া হয়। জহর বা প্রদীপ-এ যারা সাহস করে যাচ্ছে না, তাদের জন্য মাল্লু ওরফে মালয়ালি বি গ্রেডের দুনিয়া খুলছে, সিল্ক স্মিতারা ঢুকে পড়ছেন অনায়াসে অন্দরমহলে।
……………………………………………………………………………..
১৯৯৩-এ ‘জুরাসিক পার্ক’ ও ১৯৯৭-এ ‘দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড’ অবশ্য ছোটবড় মিলিয়ে অনেককেই চমকে দিয়েছিল। সাই-ফাই ও অ্যাডভেঞ্চারের ককটেলে যে উপন্যাস মাইকেল ক্রিকটন লিখেছিলেন, তাতে বি মুভি জাতীয় উপাদান ছিল ঠাসা। কিন্তু স্টিভেন স্পিলবার্গ সেখান থেকে বের করে আনলেন এক অবিশ্বাস্য কাল্ট। জুরাসিক পার্ক গ্লোব থেকে দেখে বেরনোর সময় এক বঙ্গজন শুনেছিলেন, দু’জনের আলোচনা। এক দর্শক খুব গম্ভীরভাবেই অপরজনকে বলছিলেন, ‘উও সব বড়া বড়া কাঙ্গারু হ্যায়।’ বদ্রিলার্ডীয় নন ইভেন্টের দশকে ডাইনোসর হয়তো ক্যাঙারু হয়ে যায়, কিন্তু বিবর্তনের গতি বদলে যাওয়া ওই ঘটনা যতই সিনেমার অন্দরে ঘটুক, ইভেন্ট একখানা ছিল বটে। তখন তরুণ ইরফান খান অর্থাভাবে জুরাসিক পার্কের টিকিট কাটতে পারেননি। পরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির পুনর্জন্ম যখন ঘটল ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’-এ, তখন ইরফান রইলেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। একে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ ছাড়া আর কী বলা চলে?
এই দশকের শুরুর দিকে বাংলার নিজস্ব শিশুসাহিত্যকে পর্দায় এনেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, ‘হীরের আংটি’-র সূত্র ধরে। তা মুক্তি পায়নি। মুক্তি পেল ‘উনিশে এপ্রিল’। কেউ বলল বাংলা ছবি সাবালক হল, কেউ বলল আঁতেল মেলোড্রামা, কেউ বলল রাজনীতিহীন, কেউ বলল বাংলা ছবির নতুন ভাষা। মোদ্দায়, বিশ্বায়িত বাঙালি দর্শক একটি ছবি নিয়ে কথা বলেছিল, হলমুখীও হয়েছিল এই ছবির হাত ধরেই। ‘পাশে দাঁড়ান’ মার্কা আহ্বান ছাড়াই।
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩১। নব্বইয়ের শুরু থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ঢাকা পড়ল বলিউডের তাজমহলে
পর্ব ৩০। ফুলন দেবীর বন্দুক ও ‘মির্চ মসালা’-র প্রতিরোধ
পর্ব ৩০। স্কুল থেকে শ্মশান, সর্বত্র শোনা গেছে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’
পর্ব ২৯। ‘ক্যায়ামত’ না আসুক, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ঠিক বুঝেছে এসটিডি বুথ, একা অ্যান্টেনা
পর্ব ২৮। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দিন জনশূন্য কলকাতায় পকেটমারি
পর্ব ২৭। মাস্টারমশাইরা কি আজও কিচ্ছু না দেখেই থাকবে?
পর্ব ২৬। ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের আপত্তি জোটেনি কিন্তু ‘উরি উরি বাবা’ নাকি অপসংস্কৃতি
পর্ব ২৫। চুল কাটলেই মাথার পিছনে জ্যোতির মতো বাজবে ‘শান’-এর গান!
পর্ব ২৪। মরণোত্তর উত্তমকুমার হয়ে উঠলেন সিরিয়াল কিলার
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল