চাকরিসূত্রে বিদেশে যাওয়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে গর্ব তখন মধ্যবিত্ত ঘরে ঘরে, সঙ্গে অল্প বিষাদও, কারণ উনিশ শতকের মতো বিলেতফেরতের কলার তোলা তো আর নেই, ছেলেমেয়ে প্রবাসী। শাহরুখ তাও ভরসা দিচ্ছেন, ভালবাসার টিকিট অমূল্য, বিদেশের ফ্লাইটের টিকিট তাকে টেক্কা দেবে কোন মর্মে? টেস্টের পর তিনমাস টিভি নেই, রেডিও বা টেপ নেই, পাশের বাড়ির নিউ জার্সিতে থাকা দাদাকে করতে হবে রোল মডেল। কিন্তু শাহরুখ খান মাথার ওপর আছেনই, ভূগোলের ফাঁকেও উঁকি মারছেন, ‘চন্দ্রবিন্দু’-র লিরিকমাফিক। কিন্তু শাহরুখ যে ভূগোল ছাপিয়ে যাচ্ছেন তখন! সেই সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে গানও। শিষের শব্দ শুনলেই মন উতলা হয়ে উঠছে। হয়তো বিদেশের রাস্তায় জুহি চাওলাকে প্রোপোজ করছেন শাহরুখ খান, কিন্তু কে বলল, হাতিবাগানের প্রেমিক মন ‘ম্যায় কোই অ্যায়সা গীত গাও’-এ নেচে উঠতে পারবে না?
৩৬.
ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘দহন’ যে মহলে সাড়া ফেলল, তার কয়েক বছর আগের ছবি ‘দামিনী’-র প্রভাব কিন্তু তার চেয়ে কিছুটা বিস্তৃত পরিসরেই ছিল। ‘দহন’ যে শীতলতায় একটি ভয়াবহ যৌন নিগ্রহের ঘটনার পরবর্তী অধ্যায় দেখায়, তা হজম করা কঠিন ছিল অনেক দর্শকের পক্ষেই। কিন্তু ‘দামিনী’-তে ধর্ষণের প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় আইন-আদালত সংক্রান্ত যে হতাশা সানি দেওল অভিনীত গোবিন্দের ‘তারিখ পে তারিখ’ সংলাপে প্রকাশ পায়, তা সহজেই অনেককে মজিয়েছিল, যা আজও, এই ২০২৪ সালে, একের পর এক শুনানি শুনে চলা ও ‘জাস্টিস’-এর দাবি করে চলা হতাশ জনমনের তারে কোথাও বেজে উঠছে।
এরপর ‘ঘাতক’ গোছের নানা ছবির মাধ্যমে সানি দেওল তাঁর জমি হয়তো প্রস্তুত করছিলেন, কিন্তু তাঁর লেবেল সেঁটে গেল পেশিবহুল ও উগ্র জাতীয়তাবাদী নায়কের, ‘গদর’-এ পৌঁছে। অন্যদিকে, ‘রকি’ বা ‘নাম’-এর সঞ্জয় দত্ত রোমান্টিক নায়ক হয়ে উঠতেই পারতেন ‘সড়ক’-এর সূত্রে, কিন্তু ‘খলনায়ক’ থেকে ‘বাস্তব’-এ সঞ্জয় হয়ে উঠলেন সেইসব লুম্পেন প্রলেতারিয়েত ও লোফারদের সম্পদ, যারা ঝলমলে নায়কদের আড়ালে অ্যান্টি হিরোদের খুঁজে বেড়াচ্ছিল। এইসব ছবিতে যে অপরাধের বাস্তব একভাবে উঠে আসছিল, তা আরও খুল্লমখুল্লা হল ১৯৯৮ সালে, ‘সত্যা’ ছবিতে এসে। বলিউড যখন একুশ শতকের দোরগোড়ায় এসে আরও ঝলমলে হবে ঠিক করছে, এই ছবি তাকে দিল কাঙ্ক্ষিত এক গাঢ় অন্ধকার। এর আগে ‘শিবা’, ‘গোবিন্দা’ থেকে ‘রঙ্গিলা’– নানা ছবিতে নিজের সম্ভাবনা টের পাইয়েছিলেন রামগোপাল ভার্মা, রোড মুভি ও কমেডি গোত্রের ছবির নাম রেখেছেন ‘দাউদ’, বোঝাই যাচ্ছিল, কিঞ্চিৎ বদমাইশি করতেই এসেছেন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু ‘সত্যা’ এক অন্য ধাক্কা দিল বলিউডকে। এক সমান্তরাল ইন্ডাস্ট্রির সেই সূত্রপাত টিনসেল টাউনে। এই ছবিতে চিত্রনাট্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন, সৌরভ শুক্লার পাশাপাশি, অনুরাগ কাশ্যপ। এই ছবির সুরকার পরবর্তীতে পরিচালক হিসেবেই পরিচিত হয়েছেন, কিন্তু তার আগে গুলজারের ‘মাচিস’-এর মতো ছবিতে তিনি কাজ করেছেন সুরকার হিসেবেই, নাম, বিশাল ভরদ্বাজ। এই ছবিতে যেসব অভিনেতা ঘাপটি মেরে থাকেন তাঁরা এক একজন ঘুমন্ত দৈত্য। দক্ষিণী নায়ক জে ডি চক্রবর্তী বা উর্মিলা মার্তণ্ডকরের পাশাপাশি এই ছবির বাঘেদের নাম মনোজ বাজপেয়ী, শেফালি শাহ, সৌরভ শুক্লা, গোভিন্দ নামদেব, আদিত্য শ্রীবাস্তব, পরেশ রাওয়াল, মকরন্দ দেশপান্ডে, সঞ্জয় মিশ্র।
মুম্বই নিয়ে একটি স্বপ্নালু ভয়েসওভার দিয়ে শুরু হয়েছিল ছবি। বাণিজ্যনগরীর বৈষম্য, নিষ্ঠুরতা, উদাসীনতার গল্প যেমন ছিল, তেমনই ছিল এই শহরের অন্ধকার পাকস্থলীর আখ্যান। এই শহরে বহিরাগত হয়ে আসা সত্য সেই আদিম হিংস্রতার জগতে, ধূর্ত চতুরতার জগতে মেশে, প্রাতিষ্ঠানিক অপরাধের বাইরে, প্রতিস্পর্ধী এক অন্ধকারে সে, ভিখু মাত্রেরা থাকে। ভিখু মাত্রে কোন মুম্বইয়ের কিং? যে মুম্বই স্বপ্নালু প্রবাসপিয়াসী ভারতীয়কে আশকারা দিচ্ছে, না যে মুম্বইয়ে সুপারি হাসিল করার আগের প্রাতরাশে চেনা যায় খুনির যাপন? এক প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক একবার চোখের সামনে একটি খুন দেখেন সকাল সকাল, মুম্বইয়ের রাস্তায়। আতঙ্কিত অবস্থায় সেই সমালোচক জানতে পারেন, আদতে শুটিং হচ্ছে। হিংসা ও খুনখারাপিতে বলিউড ছুঁয়ে ফেলছিল বাস্তবের সীমারেখা। ‘সত্যা’ তার হাড়মজ্জা আরও দগদগে করে তুলল।
গল্পের ছক চেনা। এক গ্যাংস্টারের জন্ম ও মৃত্যু, তার না-ক্ষমতা থেকে ক্ষমতার দিকে অভিযাত্রা, সাফল্য, ব্যর্থতা, প্রেম এবং স্বপ্নের গল্প। তার বীরগাথা এবং ট্র্যাজেডির গল্প। এবং সর্বোপরি, অপরাধের উন্মুক্ত কাঠামোর বাইরে রাষ্ট্র, প্রশাসন, সিস্টেমের সর্পিল গতির গল্প। এই ধরনের গল্পে নায়কের খুন করতে হাত কাঁপে না, তার কোনও আদর্শ থাকে না। সে আদৌ নায়কই নয়, অন্তত নায়কোচিত কোনও জীবনের দায় তার কাঁধে নেই। কিন্তু তার চোখ দিয়ে দর্শক স্বপ্ন দেখে। চতুর পুলিশ কমিশনার হয়তো তখন পরিকল্পনা করছে, যে এইসব খতরনাক অপরাধীরা নিজেদের ইগোর ঝাল মেটাতে মারপিট করুক, একে অপরকে খালাস করতে করতে ওরা অর্ধেক হয়ে গেলে তখন প্রশাসন মাথা গলাবে। রাষ্ট্র আদতে এখানে থার্ড পার্সন, পুতুল নাচানোর সুতো আদতে যার হাতে। এই ছবিতে আদতে সত্য, ভিখু, কাল্লুমামারা দাঁড়িয়ে থাকে এই পুতুলখেলার বিরুদ্ধে। ‘সত্যা’-র গানও ছিল উত্তেজনায় টগবগে, যৌনতায় রগরগে, হিংসায় ঝলমলে। এই ছবির বছরপাঁচেক পর ব্রাত্য বসু বাংলায় বানিয়েছিলেন, ‘রাস্তা’। এই ছবি ছিল ‘সত্যা’-কে বাঙালি এক নির্দেশকের খোলা চিঠি। এই ছবির খুনে প্রোমোটার কথায় কথায় বলে ‘লাদেন, লাদেন’, খেদ প্রকাশ করে, ছোটা রাজন গ্যাংয়ের মতো মুম্বই বা দুবাইতে থাকলে কত সহজ হত ক্রাইমের কড়চা! প্রসঙ্গত, দুবাই তখন ছোটখাটো মস্তান থেকে মাঝারি মাপের ওয়াগন ব্রেকার- অনেকেরই স্বপ্ন। তাই দুবাইও ঘুরেফিরে এরপর উঠে আসবে বলিউডের এই নতুন অন্যধারায়, যার সূচিমুখ হয়ে উঠল ‘সত্যা’।
‘মাচিস’ ছবিতে দ্রোহকালের এক অন্য রূপ দেখা গিয়েছে, যা ‘দিল সে’ জাতীয় ছবির মতোই, উগ্রপন্থাকে একপেশে চোখে দেখতে না চেয়ে, তাকে দিয়েছে প্রেক্ষিত। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কীভাবে ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন তৈরি করতে পারে, তার আদত চেহারা এসব ছবিতে ছিল সরাসরি। এছাড়াও এই দশক জুড়ে সেই সত্তরের নবতরঙ্গের ‘রেসিডুয়াল’ বয়ে যাচ্ছিল। তবে শ্যাম বেনেগালের ‘সুরজ কা সাতভা ঘোড়া’ হোক বা গোবিন্দ নিহালনির ‘দ্রোহকাল’– একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠছিল ক্রমেই, সাতের দশকের কিষাণ-মজদুর ক্রান্তির সেই রাজনৈতিক তির-মুখ আস্তে আস্তে পথ বদলাচ্ছে। আধুনিক বাংলা গানের লিরিকও সেসময় বলছে, ‘ধারা পাল্টায় মাও সে তুংয়ের চিন’। এই বাংলায় সেসময় রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা। পাড়ায় পাড়ায় পার্টি অফিস, শহিদ বেদি, কাগজের স্ট্যান্ডের পাশেই শনিমন্দির তার জায়গা করে নিচ্ছে, গণেশ দুধ খাচ্ছে। তার মধ্যে কাশ্মীরের উত্তাপ এসে হয়তো পৌঁছত না, কিন্তু বাগবাজার-আহিরীটোলা বা বিজয়গড়-বাঘাযতীনের মন্টু-রন্টু-বাবাইদের কাশ্মীরের ওপর কোনও দখলিস্বত্ত্ব জন্মায়নি। তারা হয়তো জানত, পয়সা জমলে কাশ্মীরে ফ্যামিলি নিয়ে বেড়াতে যায় লোকে, কিন্তু এসব ছবি দূর থেকে যে সমব্যথীর মন তৈরি করছিল, তা গ্রহণ করতে কিন্তু অসুবিধে হয়নি দর্শকের। কোথাও না কোথাও মধ্যপন্থী রাজনীতির ঝোঁক তো ছিলই, ছিল শেষাবধি উদার জাতীয়তার প্রতি একনিষ্ঠ সমর্পণ, কিন্তু এইসব ছবিতে রাষ্ট্রের সেনা যখন ধর্ষণ করে বা খুন করে বিনা বিচারে, তখন টগবগ করে ওঠেনি কি কারও মন?
১৯৯৯-এ এল ‘সরফরোশ’, আমির খান-সোনালি বেন্দ্রে জুটির অপূর্ব দৃশ্যগুলোর নেপথ্যে নাসিরুদ্দিন শাহ বসে, হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাইছেন ‘হোশওয়ালো কো খবর ক্যায়া/ বেখুদি কেয়া চিজ হ্যায়’- কণ্ঠে জগজিৎ সিং- প্রেমের আবহের বাইরে আর সবকিছুর অস্তিত্ব যেন তখন অস্বীকার করা যায়। তাই ‘জিন্দেগি মওত না বন যায়ে’ যত কানে বেজেছিল, তার চেয়ে বেশি হৃদয় উদ্বেল হয়েছিল ‘খুলতি জুলফো নে শিখায়ে’-র আশ্চর্য উচ্চারণে। সেই ছবিতে অমন ঝিম ধরানো গজল গাওয়া নাসিরুদ্দিন শাহ-ও, শেষমেশ দেখা গেল, সন্ত্রাসবাদী। কিন্তু সেই চরিত্র আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও পেয়েছিল। এর মাঝে মহেশ ভাটের ‘জখম’-এর মতো ছবি হয়তো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিল। সেই ছবি থেকে কেউ কেউ চিনল অজয় দেবগণকে, কেউ বা সোনালি বেন্দ্রেকে দেখে উদ্বেল হয়ে উঠল খানিক। কিন্তু পূজা ভাট ও নাগার্জুনার রসায়ন, বা ‘তুম আয়ে তো আয়া মুঝে ইয়াদ/ গলি মে আজ চাঁদ নিকলা’ সন্ধে চুঁইয়ে নেমে এসেছে ছাতিমের গন্ধমাখা শরৎশেষের গলিতে। ‘দো দিল মিল রহা হ্যায়/ মগর চুপকে চুপকে/ সবকো হো রহি হ্যায়/ খবর চুপকে চুপকে’– সুরে ডুবে থেকে কতজন আটকেই গিয়েছে নব্বই শেষের কোন সে সন্ধেবেলায়, হেমন্ত আসার আগে। গোপন সেসব মোহব্বতের ইস্তেহার বিলি করতেন গিটার হাতে শাহরুখ খান, ক্লাস টুয়েলভের টেস্টপেপার অবহেলায় পড়ে থাকত, ঘরের দেওয়ালের পোস্টারে আটকে যেত মন। কিন্তু ‘পরদেস’ কেবলই মেলডি পৌঁছে দিচ্ছে, না কি এনআরআই নায়কের বিরুদ্ধে জিতিয়েও দিচ্ছে উদাস এক আশিককে? চাকরিসূত্রে বিদেশে যাওয়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে গর্ব তখন মধ্যবিত্ত ঘরে ঘরে, সঙ্গে অল্প বিষাদও, কারণ উনিশ শতকের মতো বিলেতফেরতের কলার তোলা তো আর নেই, ছেলেমেয়ে প্রবাসী। শাহরুখ তাও ভরসা দিচ্ছেন, ভালবাসার টিকিট অমূল্য, বিদেশের ফ্লাইটের টিকিট তাকে টেক্কা দেবে কোন মর্মে? টেস্টের পর তিনমাস টিভি নেই, রেডিও বা টেপ নেই, পাশের বাড়ির নিউ জার্সিতে থাকা দাদাকে করতে হবে রোল মডেল। কিন্তু শাহরুখ খান মাথার ওপর আছেনই, ভূগোলের ফাঁকেও উঁকি মারছেন, ‘চন্দ্রবিন্দু’-র লিরিকমাফিক। কিন্তু শাহরুখ যে ভূগোল ছাপিয়ে যাচ্ছেন তখন! সেই সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে গানও। শিষের শব্দ শুনলেই মন উতলা হয়ে উঠছে। হয়তো বিদেশের রাস্তায় জুহি চাওলাকে প্রোপোজ করছেন শাহরুখ খান, কিন্তু কে বলল, হাতিবাগানের প্রেমিক মন ‘ম্যায় কোই অ্যায়সা গীত গাও’-এ নেচে উঠতে পারবে না? মধ্যবিত্ত ভীরু মন তাতেও রাজি, ‘আগর তুম কহো’। ‘শুধু তুমি চলে যাবে, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি’– অঞ্জন দত্তর গানের এই বিরহজ্বালা মিলিয়ে যাচ্ছে, ‘একদিন আপ ইউ হি হামকো মিল যায়েঙ্গে… ম্যায়নে সোচা না থা’-র স্বপ্নও তো আছে।
তখন গোবিন্দ নিহালনি ছেড়ে আসছেন সমান্তরাল ধারা, বানাচ্ছেন ‘তক্ষক’-এর মতো ছবি, অজয় দেবগণ ও টাবুকে নিয়ে। ‘শূল’-এর মতো ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন অনুরাগ কাশ্যপ, কেন্দ্রে মনোজ বাজপেয়ীর মতো অভিনেতা। এক হেমন্ত থেকে আরেক হেমন্তে ভেসে চলে যে দিওয়ানা দিল, তার পাশাপাশি অন্য মনের খোরাকও তখন জোগাচ্ছে বলিউড। দ্রুত বদলাচ্ছে সময়। প্রেমের সংজ্ঞাও বদলাবে, চেনা লিঙ্গছক পাল্টে যাবে। মুম্বইতে থেকে যুগল স্বপ্ন দেখে হয় সুইৎজারল্যান্ড, নয় দুবাইয়ের। দু’জায়গাতেই দু’রকম মঞ্জিল। রোমান্সের আলো আছে, তলায় জমাট বাঁধছে অন্ধকার।
শেষ হয়ে আসছে শতাব্দী।
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩৫। অ্যাংরি ইয়ংম্যান থেকে বিলেতফেরত মাচো নায়ক, বদলাচ্ছিল নব্বইয়ের হিরোরা
পর্ব ৩৪। বিস্ফোরণ আর বিভেদের নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন মহব্বত ম্যান
পর্ব ৩৩। অমর চিত্রকথা, চাচা চৌধুরী ও ইরোটিকার পৃথিবীতে এসে পড়ল তরুণ বেপরোয়া নায়কদের দিন
পর্ব ৩২। নব্বইয়ের শুরু থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ঢাকা পড়ল বলিউডের তাজমহলে
পর্ব ৩১। ফুলন দেবীর বন্দুক ও ‘মির্চ মসালা’-র প্রতিরোধ
পর্ব ৩০। স্কুল থেকে শ্মশান, সর্বত্র শোনা গেছে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’
পর্ব ২৯। ‘ক্যায়ামত’ না আসুক, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ঠিক বুঝেছে এসটিডি বুথ, একা অ্যান্টেনা
পর্ব ২৮। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দিন জনশূন্য কলকাতায় পকেটমারি
পর্ব ২৭। মাস্টারমশাইরা কি আজও কিচ্ছু না দেখেই থাকবে?
পর্ব ২৬। ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের আপত্তি জোটেনি কিন্তু ‘উরি উরি বাবা’ নাকি অপসংস্কৃতি
পর্ব ২৫। চুল কাটলেই মাথার পিছনে জ্যোতির মতো বাজবে ‘শান’-এর গান!
পর্ব ২৪। মরণোত্তর উত্তমকুমার হয়ে উঠলেন সিরিয়াল কিলার
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল