প্যারিস থেকে লন্ডন, বার্মিংহাম, বার্লিন, ড্রেসড্রেন, কোপেনহেগেন, মস্কো, বোস্টন, নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ইত্যাদি শহরে দেখানো হল রবীন্দ্রনাথের ছবি। পরের বছর জানুয়ারি পার করে রবীন্দ্রনাথ দেশে ফিরলেন বটে, কিন্তু ছবি রয়ে গেল বিদেশেই। তাঁর ছবির ট্রাঙ্ক ফিরিয়ে আনবার দায়িত্ব দেওয়া হল ‘দা আমেরিকান এক্সপ্রেস কোম্পানি’র ওপরে। আর গোলমালটা পাকিয়ে উঠল তারপর।
১৬.
১৯৩০-এর মে মাসে সেই যে প্যারিসে শুরু হল রবি ঠাকুরের ছবির প্রদর্শনী, তা পশ্চিমের নানা শহর ঘুরে দেশে ফিরতে লেগে গেল প্রায় একটা বছর। প্যারিস থেকে লন্ডন, বার্মিংহাম, বার্লিন, ড্রেসড্রেন, কোপেনহেগেন, মস্কো, বোস্টন, নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ইত্যাদি শহরে দেখানো হল তাঁর ছবি। পরের বছর জানুয়ারি পার করে রবীন্দ্রনাথ দেশে ফিরলেন বটে, কিন্তু ছবি রয়ে গেল বিদেশেই। তাঁর ছবির ট্রাঙ্ক ফিরিয়ে আনবার দায়িত্ব দেওয়া হল ‘দ্য আমেরিকান এক্সপ্রেস কোম্পানি’র ওপরে। আর গোলমালটা পাকিয়ে উঠল তারপর।
রবি ঠাকুরের ছবির সেই গোছা নিয়ে কাস্টমস অফিসের সঙ্গে চললো প্রচণ্ড ধ্বস্তাধস্তি। তাদের দৌরাত্মে জড়িয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং, তিনিও ছাড় পেলেন না। আজকের এপিসোডে রইল সেই টানাপোড়েনের গল্প।
বিদেশ থেকে রবি ঠাকুরের ছবির বাক্স ফেরেনি। এদিকে, ১৯৩১-এর ডিসেম্বরে ঘটা করে কলকাতার টাউন হলে তাঁর ৭০ বছরের জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তিন দিন ধরে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অন্যতম অঙ্গ হতে চলেছে রবীন্দ্রচিত্রের প্রদর্শনী। কলকাতাবাসীর সামনে সেই প্রথম রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি দেখানোর উদ্যোগ। আগেই বলেছি, ছবির বাণ্ডিল তখনও বিদেশে। দেখতে দেখতে পাঁচ-ছ’মাস অতিক্রান্ত, অথচ ছবির খোঁজ নেই। সকলেই দুশ্চিন্তায়, রবীন্দ্রনাথ তো বিশেষ রকমে চিন্তিত– কারণ বছরের শেষে সেই ছবির প্রদর্শনীর দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। ‘আমেরিকান এক্সপ্রেস কোম্পানি’র সঙ্গে কথা হয়েছিল ছবিগুলো ওরা ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেবে, অথচ তা দেয়নি। সে কাজের দায়িত্ব ছিল হ্যারি টিম্বারসের ওপর। হ্যারির চিঠিও আসেনি বেশ কিছুদিন। অবশেষে অনেক টালবাহানার পর খবর এল– রবীন্দ্রনাথের ছবির সেই ট্রাঙ্ক এবং হ্যারি উভয়েই বোম্বেতে পৌঁছেছেন। এবার বোম্বের কাস্টমস হাউস থেকে সেটা কেবল ছাড়িয়ে নেওয়ার পালা। কিন্তু অচিরেই হ্যারি বুঝতে পারলেন, ব্যাপারটা যত সহজ ভাবা হয়েছিল আদৌ ততটা নয়।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
হ্যারি ভেবেছিলেন, আমেরিকা থেকে আসা ব্যাগপত্তরের অফিসিয়াল কাগজ দেখিয়ে ছবির ট্রাঙ্ক নিয়ে দ্রুত শান্তিনিকেতনে ফিরে আসবেন। কিন্তু ওদের দপ্তরে গিয়ে বুঝলেন, কাস্টমস হাউস বেশ সমস্যা পাকাতে চাইছে, সহজে নিষ্কৃতি মিলবে না। ট্রাঙ্ক খুলে ভিতরের জিনিসপত্র দেখাতে বলা হল। ভেবেছিলেন, সব জিনিস যখন ঠিকঠাক আছে তখন ট্রাঙ্কের মধ্যে সুন্দর করে প্যাক করে রাখা ছবি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ঝামেলা শুরু হল সেখান থেকেই।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
দিনের পর দিন কাস্টমস অফিসে গিয়ে ধরনা দিয়ে পড়ে থেকেও কাজ কিছুতে এগচ্ছে না। কাস্টমস অফিস থেকে নিত্যনতুন ফ্যাঁকড়া তুলছে। সহজে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার কোনো আশাই নেই। এই খবরের সবটুকু রবীন্দ্রনাথকে খুলে বলাও যাচ্ছে না, যথেষ্ট রেখেঢেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। কাস্টমসের টানাহ্যাঁচড়া বিষয়ে হ্যারির যাবতীয় কথা হচ্ছে রথী ঠাকুরের সঙ্গে। বেচারা হ্যারি, তার করুণ অবস্থা ধরা পড়েছে খাণ্ডালার হোটেল থেকে রথী ঠাকুরকে লেখা একখানা দীর্ঘ চিঠিতে।
এদিকে, কাস্টমসের হালহকিকৎ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ যতটুকু জেনেছিলেন– তার ওপরে নির্ভর করেই অসিত হালদারকে চিঠিতে লিখেছেন– ‘আমেরিকার একজিবিশন থেকে আমার ছবিগুলো দেশে ফিরেছে। বোম্বাইয়ের কষ্টম হৌসে কাপালিকের হাতে পড়েচে। কিছু রক্ত বের করে তবে ছাড়বে’। এখানে দেখি, রবীন্দ্রনাথের অনুমান একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে। “কষ্টম হৌসে’র কাপালিক” প্রকৃত অর্থেই প্রবল রক্তপাত করে ছেড়েছে। ঠিক কি ঘটেছিল সেই সময়ে, একবার দেখে নেওয়া যাক।
হ্যারি ভেবেছিলেন, আমেরিকা থেকে আসা ব্যাগপত্তরের অফিসিয়াল কাগজ দেখিয়ে ছবির ট্রাঙ্ক নিয়ে দ্রুত শান্তিনিকেতনে ফিরে আসবেন। কিন্তু ওদের দপ্তরে গিয়ে বুঝলেন, কাস্টমস হাউস বেশ সমস্যা পাকাতে চাইছে, সহজে নিষ্কৃতি মিলবে না। ট্রাঙ্ক খুলে ভিতরের জিনিসপত্র দেখাতে বলা হল। ভেবেছিলেন, সব জিনিস যখন ঠিকঠাক আছে তখন ট্রাঙ্কের মধ্যে সুন্দর করে প্যাক করে রাখা ছবি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ঝামেলা শুরু হল সেখান থেকেই। বাক্সের ডালা খুলতে তাদের কৌতূহলী দৃষ্টি পড়ল ছবির প্যাকেটের দিকে। হ্যারির মুখে সবটা শুনে কাস্টমসের কর্মী বললে, যে ছবি বিদেশে আঁকা এবং যেহেতু সেগুলো এই প্রথম দেশে ফিরছে, তাই যথাযথ নিয়মে তার জন্যে আমদানি শুল্ক লাগবে। কর্মী আরও জানালো, বিভিন্ন পত্রপত্রিকার খবরাখবরে তার জানা আছে যে, এই ছবির অনেকটা অংশ আঁকা হয়েছে বিদেশের মাটিতে। কেবল তাই নয়, বিভিন্ন প্রদর্শনীতে এগুলো বিক্রির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তাই চড়া শুল্ক না পেলে এই ট্রাঙ্কের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া যাবে না।
এসব কথা শুনে হ্যারির মাথায় হাত। একে ছবির একজিবিশন থেকে বিশ্বভারতীর তহবিলে প্রায় কিছুই জমা পড়েনি, তার ওপর কাস্টমসের থলিতে যদি মোটা টাকা দিতে হয়– তার চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কী হতে পারে? বোঝানোর প্রাণপণ চেষ্টা করলেন তিনি, কিন্তু ‘কাস্টমস সাহেব’ কিছুতেই ছাড়বার পাত্র নন। তাঁর জায়গায় তিনি অনড়, ভাবখানা ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’। এই ভাবে কাস্টমস হাউস আর হোটেল দৌড়দৌড়ি করে বেশ কয়েকটা দিন নষ্ট হল হ্যারির।
অবশেষে বিপুল ধ্বস্তাধস্তির পরে কাস্টমস অফিস থেকে দু’ধরনের ছবির তালিকা পেশ করার নির্দেশ এল। যার একটা লিস্ট হবে দেশে আঁকা ছবির, অন্যটা বিদেশে। একি সহজ কথা! আবার সে যেমন তেমন লিস্ট হলে চলবে না। প্রত্যেকটি ছবির নাম, মাধ্যম, তারিখ ও স্থান-সহ ডিটেইল তালিকা চাই, যাকে বলে খাঁটি ডকুমেন্টেশন। এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে বিদেশযাত্রার তারিখ, জাহাজের কোম্পানির নাম ইত্যাদি ইত্যাদি। সব মিলিয়ে কবির বিদেশ সফর এবং রবীন্দ্রচিত্রের ড্রেসকিপটিভ ক্যাটালগ তৈরির এক প্রোজেক্ট বানিয়ে দিতে হবে। বাধ্য হয়ে হ্যারি লেগে পড়লেন কাজে। সব তথ্য তাঁর জানাও নেই, আর ঝামেলাটা একাই তাঁকে সামলাতে হচ্ছে।
ঠাণ্ডা মাথায় কাজ শুরু হল। রবি ঠাকুরের ছবির কোনও নাম নেই, ফলে বিষয় হিসেবে সাজিয়ে দিতে হল সমস্ত ছবি। রবীন্দ্রনাথের সেই পর্বের সেক্রেটারি অমিয় চক্রবর্তীর কাছ থেকে জাহাজের কোম্পানির নাম ইত্যাদি তথ্য পাওয়া গেল। অবশেষে, বিদেশে আঁকা ছবির আমদানি শুল্ক বাঁচাতে আন্দাজে গোটা পনেরো ছবি তুলে নিয়ে হ্যারি বললে যে, ‘এইগুলো মনে হচ্ছে বিদেশে আঁকা’। অন্যদের থেকে সেগুলো আলাদা করে বিবরণ ইত্যাদির কাজে সেদিনটাও কাবার। আবার পরের দিন অফিসে এসে তাগাদা দেওয়ার পালা। শেষ পর্যন্ত সব মিলিয়ে কাস্টমস অফিস থেকে রবীন্দ্রনাথের ছবি বাবদ এক হাজার টাকা ধার্য করা হল! তার মধ্যে দেশে আঁকা ছবির জন্যে ৮০০ টাকা, বাকি ২০০ টাকা বিদেশের ছবিতে! এরপরেও চল্লিশ পারসেন্ট ট্যাক্স বসিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হেসে বললেন, পুরোটা একেবারে জলের দরে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
পুরো ঘটনাটা একেবারে যেন মাছের বাজারে দর কষাকষি চলেছে। এই বিপুল হয়রানির পরেও কাস্টমসের বড়বাবুর সম্মতি না পেলে যে কিছুই হবে না– এমনটা জানানো হল হ্যারিকে। চিঠিতে তিনি রথী ঠাকুরকে জানালেন, তাঁর সম্মতি এবং টাকা পৌঁছলে তা জমা দিয়ে তিনি ছবির বাক্স ছাড়িয়ে নেবেন। অন্যথায় আরও দেরির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে কেটে গিয়েছে প্রায় দুটো সপ্তাহ। ধৈর্য হারিয়ে বিরক্ত, ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ শেষমেশ কাগজ-কলম নিয়ে বসলেন বোম্বের কাস্টমস অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে কড়া ভাষায় একখানা চিঠি লিখতে। তিনি লিখলেন–
‘Dear Sir, / With regard to the detention of my pictures brought by Dr. Harry Timbres from Europe to bombay, I am extremly sorry that such needless trouble should have been created about them by your department, compelling us to pay duties for them and involving futile wast of time. These pictures most of which were taken with me to Europe from India, were greatly appreciated in the Continental Countries and I have never had any occasion to pay duties in any Coustoms office in Europe, neither have these pictures been ever held up in their transit from one country to another. It is unfortunate that only in my own country, India, I should be troubled and harassed in this manner with regard to my own pictures…’
সেই চিঠিতে আরও লিখেছেন, শীঘ্রই কলকাতায় তাঁর ৭০ বছরের জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সেই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ছবির প্রদর্শনীতে তাঁর এই ছবি প্রদর্শিত হওয়ার কথা। তাই তিনি চান– কাস্টমস বিভাগ তাদের কাজ যথাযথ সেরে, যত শীঘ্র সম্ভব সেই ছবির বাক্স ‘আমেরিকান এক্সপ্রেস কোম্পানি’র কাছে দিয়ে দিক। কারণ বিদেশ থেকে তাঁর ছবির বাক্স দেশে আনবার জন্যে ওই কোম্পানিকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ইংরেজিতে টাইপ করা এই চিঠির তারিখ ১১ অক্টোবর, ১৯৩১। বলাবাহুল্য, স্বয়ং কবির এই চিঠিতে কাস্টমস বিভাগ নড়েচড়ে বসে এবং তড়িঘড়ি সেই ট্রাঙ্ক ‘আমেরিকান এক্সপ্রেস’ মারফত রবি ঠাকুরের কাছে এসে পৌঁছয়। এদিকে, টাউন হলের অনুষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। ৭০ বছরপূর্তি উপলক্ষে অমল হোম, বিধান রায় প্রমুখের আয়োজনে কবির সেই জন্মোৎসব ডিসেম্বরের শেষে, শান্তিনিকেতনের পৌষ উৎসব পার করে। ২৫ ডিসেম্বর ১৯৩১ তারিখে রবি ঠাকুরের ছবির প্রদর্শনী দিয়ে উৎসবের সূচনা হল। স্বদেশের মাটিতে এই প্রথম সবার সামনে বিশেষ ভাবে উন্মোচিত হল রবীন্দ্রনাথের চিত্রসম্ভার। উদ্বোধন করলেন ত্রিপুরার মহারাজা বিক্রমকিশোর মাণিক্য বাহাদুর। জন্মোৎসবের ঝলমলে আলোয় দুঃস্বপ্নের মতো পিছনে পড়ে রইল কাস্টমস বিভাগের সেই ছায়াময় স্মৃতি।
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি