‘আতঙ্ক’-তে অ্যাসিড আক্রমণের মতো ঘটনার সরাসরি উল্লেখ ছিল, আরও বেশ কিছু পরের ছবি ‘হুইলচেয়ার’-এর শুরুতে সুস্মিতা (লাবণি সরকার) তাঁর কর্মক্ষেত্রেই ধর্ষকদের হামলার সম্মুখীন হয়, তারপর শুরু হয় তার জীবনের অন্য অভিযাত্রা। মাঝে ‘অন্তর্ধান’-এ এল নারী পাচারচক্রর সত্য, যার নেপথ্যে দিব্যেন্দু পালিতের কাহিনি ছিল, এবং সেই কাহিনি ছিল বাস্তব থেকে উঠে আসা। তপন সিংহ নানাভাবে তাঁর শেষদিকের এই ছবিগুলিতে চারপাশে দেখতে পাওয়া নারীলাঞ্ছনা, লিঙ্গরাজনৈতিক শোষণকে প্রকট করে তুলছিলেন। ‘অন্তর্ধান’ দেখে বেরিয়ে রঞ্জিত মল্লিক অর্জুন চক্রবর্তীর (এই ছবিতে যিনি হিমশীতল অপরাধীর চরিত্রে) কাঁধ আঁকড়ে বলেছিলেন, ‘ভয় পাইয়ে দিলে ভাই, আমার ঘরেও একটা মেয়ে আছে।’
২৭.
আটের দশকে বাংলা ছবিতে অন্যধারাতেও কিঞ্চিৎ সর্বভারতীয় নবতরঙ্গের ছোঁয়া লেগেছিল। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ‘গৃহযুদ্ধ’ বা উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর ‘চোখ’-এর মতো ছবি সেই ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে অপর্ণা সেন প্রায় ফ্রয়েডীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক অন্তর্গত আখ্যানকে দেখতে চাইছেন তাঁর ‘থার্টিসিক্স চৌরঙ্গী লেন’-এ। গৌতম ঘোষ ‘দখল’-এর পাশাপাশি ‘পার’ বানাচ্ছেন। মৃণাল সেনের ক্যামেরাও মধ্যবিত্ত অন্দরমহলে ঢুকে পড়তে শুরু করল, ‘চালচিত্র’, ‘খারিজ’, ‘একদিন প্রতিদিন’-এর সূত্র ধরে। এই সমান্তরালের মধ্যে যে অন্তর্গত স্বর, তা অপুর বিশ্ববীক্ষা ও নবজাগৃত মন, ‘নাগরিক’-এর রামু-উমার ছিন্নমূল চেতনার জীবনসংগ্রাম, বা ‘বাইশে শ্রাবণ’-এ মধ্যবিত্ত উনুনের আঁচের প্রেক্ষিত বৃহত্তর ও রাজনৈতিক ছিল, আশির অন্যধারায় সামাজিক মোচড় জরুরি হয়ে উঠল। অপর্ণা সেনের দ্বিতীয় ছবি ‘পরমা’ যেমন, পরকীয়া সম্পর্ক, বিবাহিত নারীর শরীরের স্বাধীনতার রাজনীতিকে সরাসরি ছুঁয়ে গেল, এবং তা নিয়ে আলোড়ন উঠল।
ভিন্নধারার ছবি, যা তখনও পর্যন্ত আর্ট ফিল্ম বলে পরিচিত, তার স্রোতের মধ্যে তথাকথিত ‘মিডল রোড’ ছবির জোয়ারও অল্প অল্প ধাক্কা মারছিল। সেই ধারাতেই জরুরি হয়ে উঠল তপন সিংহ-র নাগরিক বিবেক জাগানোর ছবি-ত্রয়ী, ‘আদালত ও একটি মেয়ে’, ‘আতঙ্ক’ ও ‘অন্তর্ধান’, বা কিছুটা ‘হুইলচেয়ার’-ও- নারী নির্যাতনের বিভিন্ন সামাজিক মাত্রাকে চিহ্নিত করল। এর মধ্যে ‘আদালত ও একটি মেয়ে’ ধর্ষিতাকে নিয়ে গণস্টিগমা-য় আলো ফেলল, কিন্তু ‘আতঙ্ক’ ও ‘অন্তর্ধান’ নারীনিগ্রহ, নারী পাচারের মতো অপরাধে সংযুক্তদের বিরুদ্ধে একরকমের জেহাদ ঘোষণা করল, চিহ্নিত করল, এই ধরনের সামাজিক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও প্রশাসনের সমীকরণও এইসব ছবি প্রকাশ্যে আনতে দ্বিধা করল না। ‘আদালত ও একটি মেয়ে’-তে আদর্শবাদী পুলিশ অফিসারের চরিত্রে মনোজ মিত্রর লড়াই যেমন ব্যবস্থার অন্তর্ঘাত, তেমনই এই ছবির প্রধান চরিত্র উর্মিলার (মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়) সমাজের অজস্র তেরচা চোখ ও তির্যক মনের বিরুদ্ধে লড়াইও সামাজিক অন্তর্ঘাতের চোরাস্রোত হয়ে উঠল।
এই ছবির ঠিক দু’বছর আগে মুক্তি পাওয়া মৃণাল সেনের ‘একদিন প্রতিদিন’ (অমলেন্দু চক্রবর্তীর উপন্যাস অবলম্বনে) যে নিষ্ঠুর নীরবতায় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বাসরঘরে লিঙ্গরাজনীতির ছিদ্রটুকু চিনিয়ে দিয়েছিল, তা সকলের চেনা হয়েও অচেনা থেকে গিয়েছিল। একরাতে চিন্ময়ী ওরফে চিনু (মমতা শঙ্কর) বাড়ি না ফেরায় যে ভয় সঞ্চারিত হয়েছিল পর্দা জুড়ে ও দর্শকের অন্তরেও, তা তো আদতে খুব পরিচিত, দৈনন্দিনের। কিন্তু ওই চলচ্চিত্রভাষ্যর নির্লিপ্তি সকলের কাছে ততটা পৌঁছল কি, যতটা পৌঁছে গেল তুলনায় মাঝারিমানের ছবি ‘আদালত ও একটি মেয়ে’-র বার্তা? আরও কিছু বছর পরে, ‘আতঙ্ক’ আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠল। এই ছবিতে সুমন্ত মুখোপাধ্যায় অভিনীত মিহিরের চরিত্রের হাড়হিম সংলাপ, যা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত মাস্টারমশাইয়ের চরিত্রের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেওয়া, সেই ‘মাস্টারমশাই, আপনি কিন্তু কিছুই দেখেননি’, দর্শকমহলে অমোঘ হয়ে উঠল অচিরেই। এই সংলাপ মুখে মুখে ফিরে লব্জ হয়ে গেল। মধ্য কলকাতার এক স্কুলের পাশের গলিতে লুকিয়ে সিগারেট খেতে গিয়ে স্যরের মুখোমুখি হয়ে এক ছাত্র এই সংলাপ আওড়ে উত্তমমধ্যম প্রহারও পায়। যা হোক, মিহিরের মতো শিক্ষিত বেকার সমাজবিরোধীদের প্রতি এই ছবির সহমর্মিতা ছিল না, কিন্তু এই ছবির শেষে যখন প্রশাসনের ঘুঘুর বাসা ভাঙে, এবং তাদের ব্যবহার করে সিঁড়ি চড়া নেতার সামনে দাঁড়িয়ে মিহির যখন হুমকি দেয়, জেল থেকে বেরিয়ে সে ঠিক দেখে নেবে তাদের, তখন আরও স্পষ্ট হয়, ছবির আসল নিশানা এই ঘুণ ধরা ব্যবস্থাই।
‘আতঙ্ক’-তে অ্যাসিড আক্রমণের মতো ঘটনার সরাসরি উল্লেখ ছিল, আরও বেশ কিছু পরের ছবি ‘হুইলচেয়ার’-এর শুরুতে সুস্মিতা (লাবণি সরকার) তাঁর কর্মক্ষেত্রেই ধর্ষকদের হামলার সম্মুখীন হয়, তারপর শুরু হয় তার জীবনের অন্য অভিযাত্রা। মাঝে ‘অন্তর্ধান’-এ এল নারী পাচারচক্রর সত্য, যার নেপথ্যে দিব্যেন্দু পালিতের কাহিনি ছিল, এবং সেই কাহিনি ছিল বাস্তব থেকে উঠে আসা। তপন সিংহ নানাভাবে তাঁর শেষদিকের এই ছবিগুলিতে চারপাশে দেখতে পাওয়া নারীলাঞ্ছনা, লিঙ্গরাজনৈতিক শোষণকে প্রকট করে তুলছিলেন। ‘অন্তর্ধান’ দেখে বেরিয়ে রঞ্জিত মল্লিক অর্জুন চক্রবর্তীর (এই ছবিতে যিনি হিমশীতল অপরাধীর চরিত্রে) কাঁধ আঁকড়ে বলেছিলেন, ‘ভয় পাইয়ে দিলে ভাই, আমার ঘরেও একটা মেয়ে আছে।’ এই উচ্চারণ পিতার, এবং সেই জনমানসের, যাদের মনে এই ভয় ধরাতে চেয়েছিলেন তপন সিংহ, অর্জুন চক্রবর্তীর নির্মম অভিনয় যার হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।
লক্ষণীয়, এই তপন সিংহ-ই ‘আপনজন’, ‘এখনই’ বা ‘রাজা’-র মতো ছবি নির্মাণ করেছেন সাতের দশক জুড়ে, যেখানে এই বাঁধনছাড়া, তথাকথিত লুম্পেন তারুণ্যের প্রতি তাঁর সহানুভূতি ছিল। কিন্তু এক থেকে দেড় দশকের মধ্যে সেই তারুণ্যের বিদ্রোহ যে আদতে সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এই বদল তাঁর ছবির আঙিনা এড়িয়ে যায়নি। এবং ক্রমশ পুরুষপ্রধান ওইসব ছবির বিদ্রোহী, প্রতিবাদী নায়কদের থেকে নীরব, দৃঢ়চেতা, লড়াকু মেয়েদের দিকে ক্যামেরা ঘুরছিল। যেজন্য বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর শ্রমিক রাজনীতি-নির্ভর ‘গৃহযুদ্ধ’-তেও অঞ্জন দত্ত অভিনীত বিজনের চরিত্র বিপ্লব ভুলে স্বার্থান্বেষী হয়, কিন্তু মমতা শঙ্কর অভিনীত নিরুপমা শেষাবধি খুনে পুঁজিপতিদের বিপক্ষে তার লড়াই জারি রেখে থেকে যায় রাস্তায়। ‘মহানগর’-এর আরতির থেকে নিরুপমা বা চিন্ময়ীদের সংলাপ তীব্র হয়, কারণ চাকরির জন্য আরতির লড়াইও যেমন ঘরে-বাইরে, এই দুই মেরুতেই ছিল, এদেরও তাই থাকে, শুধু এদের লড়াইয়ের ময়দানটা আরও বিস্তৃত হয়।
অন্যদিকে, অপর্ণা সেনের নারী-দৃষ্টির লেন্স ঢোকে পরিবারের ভিতরমহলেও। তাই পরমা (রাখি গুলজার) পিতৃতান্ত্রিক নিগড় ভেঙে নিজের শরীরকে মেলে ধরতে চায়, যার পরিণামে কোথাও তাকে গিয়ে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গেই সরাসরি মোকাবিলা করতে হয়। এর পাঁচ বছর পরে কমলকুমার মজুমদারের কাহিনি অবলম্বনে ‘সতী’-ও নারী-প্রশ্নের জ্বলন্ত চেহারা ধরল বটে, কিন্তু ‘পরমা’ শহুরে দর্শকাম চরিতার্থ করেও যে অস্বস্তি তৈরি করেছিল, তার অভিঘাত বেশি, একথা নিঃসংশয়ে উচ্চারণ করা যায়। ‘সতী’-র বছরেই যেমন বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘কমলা কি মওৎ’ মুক্তি পেয়েছে। বিবাহ-পূর্ব যৌনতার ট্যাবু ভাঙা ও অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থার সঙ্গে জড়িত সামাজিক দেওয়াল তোলার বিরুদ্ধে ছিল পঙ্কজ কাপুর, সুপ্রিয়া পাঠক, ইরফান খান, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত সেই ছবির বয়ান।
এক পাড়ার গুন্ডাজাতীয় ছোঁড়ার প্রিয় ছবি ছিল ধর্মেন্দ্র অভিনীত ‘জুগনু’, ‘লোফার’ বা অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘ফারার’। ‘আতঙ্ক’ সে নেহাতই ঘটনাচক্রে বা দুর্ঘটনাবশত দেখেছিল, তার মধ্যবয়সে পৌঁছে। দেখে তার উপলব্ধি ছিল, মিহিরদের মতো অ্যান্টিসোশ্যাল তৈরি করে হিন্দি সিনেমা-ই। যদিও বা এহেন তত্ত্বর নেপথ্যে বাম রাজনীতি-প্রসূত চেতনার পরিবর্তন ছিল কি না বলা মুশকিল, তবে সমাজবিরোধী ও অপরাধমূলক নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এসব ছবির সরাসরি স্বর ছিল, যা অনেককেই বিচলিত করেছিল। ‘হুইলচেয়ার’, ‘অন্তর্ধান’-এর মতো ছবির সঙ্গে জুড়ে ছিল সত্য ঘটনা অবলম্বনে-র মতো বিবৃতি, সোচ্চার অথবা অন্তরালে, কিন্তু আজও এই ছবিগুলোর আড়ালে এই বিবৃতি কোথাও থেকে যাবে না তো? মাস্টারমশাইরা কি আজও কিচ্ছু না দেখেই থাকবে?
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৬। ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের আপত্তি জোটেনি কিন্তু ‘উরি উরি বাবা’ নাকি অপসংস্কৃতি
পর্ব ২৫। চুল কাটলেই মাথার পিছনে জ্যোতির মতো বাজবে ‘শান’-এর গান!
পর্ব ২৪। মরণোত্তর উত্তমকুমার হয়ে উঠলেন সিরিয়াল কিলার
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল
স্পেশাল ইভেন্টগুলো খুব উপভোগ করতাম, যেমন, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সেকেন্ড চ্যানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, দিনটি ছিল ১৯ নভেম্বর, ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন। সেবারের অনুষ্ঠানে কলকাতার বহু নামী শিল্পী যেমন ছিলেন, তেমন ছিলেন বম্বের অনেক নামজাদা সঙ্গীতশিল্পী।