খুব নির্দিষ্টভাবে কল্যাণেশ্বরী মন্দির ঠিক কবে তৈরি হয়েছিল জানা যায় না, কীভাবেই বা দেবীর আবির্ভাব হয়, তাও জানা যায় না। স্থানীয় আদিবাসীরা হয়তো বহুকাল ধরেই ওই স্থানে দেবীর আরাধনা করত। আদিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃকা পূজার চল সারা বিশ্ব জুড়েই বহুকাল যাবৎ চলে আসছে। আর সেই মাতৃকা পূজার আদিম কালের কোন মূর্তি এখানে প্রতিষ্ঠিত ছিল, তাও নির্দিষ্ট ভাবে জানার উপায় নেই।
২২.
জনশ্রুতি অনুযায়ী, কুষাণদের তাড়া খেয়ে তৃতীয় শতকে হরিগুপ্ত আশ্রয় নেন হ্যাংলা পাহাড়ে। সেখানে হয়তো দেবীর থান বলে পরিচিত ছিল কোনও এক স্থান, আর সেই সুবাদে হরিগুপ্ত নির্মাণ করেন এক মন্দির। আদিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃকা পূজার প্রচলন ছিল অনেক দিন ধরেই। বাংলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে মাইথন অতি পরিচিত নাম। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের বাঁধ এবং সরকারী পর্যটন আবাসের থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে কল্যাণেশ্বরী মন্দির ঘিরে জড়িয়ে আছে অজস্র লোকশ্রুতি আর রহস্য।
হরিগুপ্তের মন্দির গড়ে দেওয়ার কাহিনি যেমন প্রচলিত, তেমনই আরেক মতে, গোপভূমের রাজা ইছাই ঘোষের আরাধ্যা শ্যামরূপার মূর্তিই নাকি কল্যাণেশ্বরী নামে পূজিতা হন। পাল বংশের রাজত্ব তখন অন্তিম পর্যায়ে, গোপভূমে পাল বংশের প্রতিনিধি রূপে রাজত্ব করছেন কর্ণসেন। তাঁকে যুদ্ধে হারিয়ে রাজত্বের দখল নেন সোম ঘোষের পুত্র ঈশ্বর ঘোষ ওরফে ইছাই ঘোষ।
কর্ণসেন পালিয়ে আশ্রয় নিলেন গৌড়েশ্বরের কাছে। তাঁর সাত ছেলে যুদ্ধে মারা গেলে রানি পুত্রশোকে আত্মহত্যা করেন। গৌড়েশ্বর নিজের শ্যালিকা রঞ্জাবতীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিলেন, উপহার দিলেন এক অন্য রাজ্য। রঞ্জাবতীর একটিই দুঃখ, তাঁদের কোন সন্তান ছিল না। এমন সময় রঞ্জাবতীর সঙ্গে দেখা হল ধর্ম ঠাকুরের একান্ত সেবক রামাই পণ্ডিতের। রামাই পণ্ডিত ‘শূণ্যপুরাণ’ নামে ধর্ম ঠাকুরের মাহাত্ম্য প্রকাশ করে এক পুঁথি রচনা করেন, সে অবশ্য ত্রয়োদশ শতাব্দীর ঘটনা। সেই রামাই পণ্ডিত রঞ্জাবতীকে পরামর্শ দেন ‘শালে ভর’ দিয়ে আত্মোৎসর্গ করতে। স্ত্রী-বধের পাপের আশঙ্কায় ধর্ম ঠাকুর রঞ্জাবতীকে পুত্র লাভের আশীর্বাদ করেন। সেই পুত্র লাউসেন, আর তার দোসর কালু রায়। পরবর্তীতে দু’জনে গেলেন ইছাই ঘোষের সঙ্গে লড়াই করতে গোপভূমে। ইছাই আবার ঘোর তান্ত্রিক, নিত্য নরবলি দিয়ে দেবী শ্যামরূপাকে পূজা করে। মায়ের পুজো সেরে যুদ্ধে গেলে, মায়ের বরে সে অজেয়। কিন্তু সেদিন বিধি বাম! ঘনরাম চক্রবর্তী তাঁর ‘ধর্মমঙ্গল’-এ লিখেছেন– দেবী সেদিন নিষেধ করেন ইছাইকে যুদ্ধে যেতে,
সম্মুখে সপ্তমী শণিবার বারবে…
আজি রণে যেও না গো ইছাই গোয়ালা।।
কিন্তু শত্রু যদি দুয়ারে আসে, প্রাণ ভয়ে লুকিয়ে থাকে কোন বীরপুরুষ? তাই যুদ্ধে গেলেন ইছাই ঘোষ, আর মারাও পড়লেন। লোকে বলে সেই যুদ্ধের পরিণতি দেখে দেবীর পূজারী পুরোহিত মতান্তরে ইছাই ঘোষের কন্যা দেবী শ্যামরূপার মূর্তি নিয়ে পালাতে সচেষ্ট হন। কিন্তু বরাকর নদীর জলে সে মূর্তি ভেসে যায়। আর তার বেশ অনেক বছর বাদে দেবীর আদেশেই সে মূর্তি তুলে নিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন পঞ্চগড়ের রাজারা।
কল্যাণেশ্বরী মাতার মন্দির নির্মাণের আরেক গল্প মেলে ‘শ্রী শ্রী মাতা কল্যাণেশ্বরী মাতার মাহাত্ম্য ও ইতিকথা’ নামের পুস্তিকায়। বৌদ্ধধর্মের রমরমার দিনে সনাতনী হিন্দুধর্মের একাংশ ক্রমেই ঝুঁকে পড়ে তন্ত্রের সাধনায়। তাদের মধ্যে ক্রমে প্রবেশ করে বীভৎস কাপালিকরা। নরবলি-সহ নানা কদাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে তারা। এমনই এক কাপালিক দেবীদাস চট্টোপাধ্যায়ের উত্তর পুরুষ কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের বর্তমান পান্ডারা। দেবীদাস দীর্ঘদিন কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পূজা ও দেবীর সাধনা করে সিদ্ধ হয়ে পুরুষানুক্রমে মন্দিরের পান্ডাগিরির বর লাভ করেন। তাঁর আমলেই মায়ের মন্দির তৈরি হয়। আবার শোনা যায়, কাশীধাম থেকে এসেছিলেন শিবচৈতন্য নামের এক দ্রাবিড় বৈষ্ণব। অপূর্ব মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে গভীর সাধনায় প্রবৃত্ত হয়ে তিনি মাতৃ আদেশে মায়ের সাধনা করতে থাকেন। সেই সময় দেবীর প্রধান পান্ডা ছিলেন কুলদা ঠাকুর। একই রাত্রে মায়ের স্বপ্নাদেশ লাভ করেন শিবচৈতন্য ও কুলদা ঠাকুর, মায়ের মন্দির বানাতে হবে। দু’জনে মিলে সেই কাজ শুরু করলে অযাচিত ও অপ্রত্যাশিতভাবে সাহায্য আসতে থাকে এবং অচিরেই মায়ের মন্দির নির্মিত হয়।
………………………………………………………………………………
শত্রু যদি দুয়ারে আসে, প্রাণ ভয়ে লুকিয়ে থাকে কোন বীরপুরুষ? তাই যুদ্ধে গেলেন ইছাই ঘোষ, আর মারাও পড়লেন। লোকে বলে সেই যুদ্ধের পরিণতি দেখে দেবীর পূজারী পুরোহিত মতান্তরে ইছাই ঘোষের কন্যা দেবী শ্যামরূপার মূর্তি নিয়ে পালাতে সচেষ্ট হন। কিন্তু বরাকর নদীর জলে সে মূর্তি ভেসে যায়। আর তার বেশ অনেক বছর বাদে দেবীর আদেশেই সে মূর্তি তুলে নিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন পঞ্চগড়ের রাজারা।
………………………………………………………………………………
আরেক কাহিনি শোনা যায়, যে বল্লাল সেনের দ্বিতীয়া মহিষীর কন্যা সাধনা, তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পঞ্চকোটের রাজা কল্যানেশ্বরের। বিয়ের যৌতুক হিসেবে কল্যানেশ্বর লাভ করেছিলেন সেন বংশের কুলদেবী শ্যামরূপাকে। দেবীর মূর্তি নিয়ে যেতে গিয়ে বরাকর নদীর তীরে এক প্রশস্ত জায়গায় রাতে শিবির স্থাপন করেন কল্যানেশ্বর। পরদিন সেখান থেকে দেবীকে তুলে নিয়ে যেতে গেলে দেবীকে স্থানচ্যুত করা যায়নি। স্বপ্নপুরের সাধক দেবনাথ চট্টোপাধ্যায়কে আহ্বান করেও দেবীকে তোলা যায়নি। বাধ্য হয়েই রাজা কল্যানেশ্বর সেইখানেই দেবীর মন্দির স্থাপন করেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, বিয়ের যৌতুক হিসেবে কেউ তাঁদের কুলদেবীকে উপহার দেবেন কি না। তাছাড়া যতদূর জানা যায়, বল্লাল সেনের সঙ্গে বিবাহ হয় চালুক্য বংশের রাজকন্যা রমাদেবীর সঙ্গে। তাঁর দ্বিতীয় বিবাহের কথা কিছু জানা যায় না। বল্লাল সেনের পুত্র লক্ষণ সেনের রাজ্যলাভের প্রায় ১১২ বছর বাদে ১২৯১ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চকোটের সিংহাসনে বসেন কল্যানেশ্বর। সুতরাং, সব মিলিয়ে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলির সঙ্গে বাকি কাহিনির সাযুজ্য থাকছে না। তবে কল্যানেশ্বরের এই মন্দিরে অনেক দানধ্যান ছিল, এবং এখানকার চট্টোপাধ্যায় পদবির পুরোহিতদের ‘দেওঘড়িয়া’ উপাধি তিনিই দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
লক্ষণীয় বিষয় হল, খুব নির্দিষ্টভাবে মন্দির ঠিক কবে তৈরি হয়েছিল জানা যায় না, কীভাবেই বা দেবীর আবির্ভাব হয়, তাও জানা যায় না। স্থানীয় আদিবাসীরা হয়তো বহুকাল ধরেই ওই স্থানে দেবীর আরাধনা করত। আদিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃকা পূজার চল সারা বিশ্ব জুড়েই বহুকাল যাবৎ চলে আসছে। আর সেই মাতৃকা পূজার আদিম কালের কোন মূর্তি এখানে প্রতিষ্ঠিত ছিল, তাও নির্দিষ্ট ভাবে জানার উপায় নেই। এখানেও দেবীর মূর্তি কিছু নেই, আছে এক শিলা, যার মধ্যে আছে গহ্বর, সেই গহ্বরের মধ্যে নাকি এক দক্ষিণা কালীর মূর্তি আছে।
তবে অন্য মতে, আদতে কল্যাণেশ্বরীতে একটি ‘লজ্জা গৌরী’ মূর্তি আছে। লজ্জা গৌরী মূর্তিখানি আদিম মাতৃকা পূজার ভাবনা থেকেই সঞ্জাত। দেবী এখানে তাঁর যোনিদেশ বিস্তৃত করে প্রকট করেন, শরীরের সেই অংশই প্রকট, প্রজনন ও উর্বরতার প্রতীক এই মূর্তি। মিশর থেকে আয়ারল্যান্ড পর্যন্ত নানা দেশেই এই মূর্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি স্থানেও এই মূর্তির পূজা প্রচলিত আছে।
প্রতিদিন দিনভর দেবীর পুজো চলে, তবে সন্ধ্যার আগেই রুদ্ধ হয়ে যায় মন্দিরের দ্বার। নানা অলৌকিক কাহিনি ছড়িয়ে আছে এই মন্দির ও দেবীকে ঘিরে। যেমন দেবীর শাঁখা পরার কাহিনিটি। অবশ্য বাংলার আরও বেশ কয়েকটি মন্দিরেই ওই একই কাহিনি প্রচলিত আছে। জনৈক শাঁখারি এক আসন্ন সন্ধ্যাকালে দেবীর থানের পাশ দিয়ে যেতে গেলে এক সধবা রমণী তাকে শাঁখা পরাতে অনুরোধ করে। নাম জিজ্ঞেস করলে বলে তার নাম কাত্যায়নী, দেবী মন্দিরের পূজারী রোহিণী ঠাকুরের কন্যা।
শাঁখারি শাঁখা পরিয়ে পয়সা চাইলে কাত্যায়নী বলে তার বাবা স্বপনপুরে আছেন, তাঁর কাছ থেকে শাঁখারি যেন পয়সা নিয়ে নেন। শাঁখার দাম কুলুঙ্গীতে রাখা আছে। শাঁখারি পুরোহিত রোহিণী ঠাকুরের কাছে ঘটনা ব্যক্ত করলে প্রথমে তিনি শাঁখারিকে বিশ্বাস করতে পারেননি, কেন না তাঁর কোন কন্যাসন্তানই ছিল না। কিন্তু ঘরের কুলুঙ্গিতে পয়সা পেয়ে তিনি আশ্চর্য হয়ে যান। এবারে শর্ত করেন শাঁখারি যদি সেই কন্যাকে দেখাতে পারেন তবেই তিনি শাঁখার মূল্য পাবেন, নতুবা নয়। শাঁখারি নদীর কাছে এসে কাত্যায়নীর নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকেন, অবশেষে মিথ্যা ভাষণের অপবাদ থেকে তাকে মুক্ত করতে কান্নাকাটি শুরু করেন, দয়া পরবশ হয়ে দেবী তখন নদীর জলের মধ্যে থেকে শাঁখা পরা হাতদুটি ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। রোহিণী ঠাকুর দেবীদর্শন পেয়ে ধন্য হয়ে যান।
আরও এক অলৌকিক ঘটনা কথিত আছে, যার জন্যে সন্ধ্যা হলেই মন্দির চত্বর ছেড়ে সবাই চলে যান। কোনও এককালে মন্দিরের এক পুরোহিত তাঁর একমাত্র কন্যাসন্তানকে রেখে কোন এক জরুরি কাজে চলে যান। ফিরতে ফিরতে বেশ অনেকটাই দেরী হয়ে যায়। ফিরে এসে কোথাও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে দেবীর কাছে গেলে দেখা যায় মেয়েটির শাড়ি আঁচল মাত্র দেবীর মুখ গহ্বর থেকে বেরিয়ে আছে। দেবী পুরোহিতের কন্যাকে খেয়ে ফেলেছেন বুঝতে পেরে ক্রোধে, অভিমানে পুরোহিত দেবী মূর্তিকে মাটির মধ্যে পুঁতে ফেলেন, শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য সামান্য এক ছিদ্র রেখে দেন। সেই সামান্য ছিদ্র পথেই দেবীর পূজা অর্চনা সম্পন্ন হয়। লোকবিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্রত, তাঁর কাছে শুদ্ধ মনে কোন প্রার্থনা জানালে অবশ্যই তা সফল হয়।
……………………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………………..
বাংলার পুণ্যার্থীরা তো বটেই, পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডের অধিবাসীরা দেবীর পূজার জন্য নিয়মিত এখানে আসেন। প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবারে অসম্ভব রকমের ভিড় হয়। দীপান্বিতা কালী পুজোর দিনে অসংখ্য ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। তান্ত্রিক মতে দেবীর পূজা হয়ে থাকে এবং নিত্যদিন বলিদান হয়।
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২১। এক কুমোর পণ্ডিতদের নাজেহাল করেছিল বলে জায়গাটির নাম ‘কুমারহট্ট’
পর্ব ২০। মামলার টাকায় হংসেশ্বরী মন্দির গড়েছিলেন রাজা নৃসিংহদেব
পর্ব ১৯। হুতোমের কথায়, মাহেশের রথের মতোই স্নানযাত্রারও ধূম ছিল সে কলকাতায়
পর্ব ১৮। কঙ্কালীতলায় বলিদানের বীভৎসতা ব্যথিত করেছিল রবীন্দ্রনাথকে
পর্ব ১৭। শ্রীরাধার মূর্তিকে কনের সাজে যুগল কিশোর মন্দিরে পাঠিয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
পর্ব ১৬। যে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয় জলঘড়ির সাহায্যে
পর্ব ১৫। হেস্টিংসের নজর থেকে গুহ্যকালীর মূর্তি রক্ষা করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব