নবীনচন্দ্র সেন সেখানে বাওড়টিকে পানীয় জলের জন্য নির্দিষ্ট করে প্রহরার ব্যবস্থা করেন, স্নানের জন্য অন্য একটি পুকুর নির্দিষ্ট করেন এবং নারী-পুরুষের স্নানের জন্য পৃথক ঘাটের ব্যবস্থা করেন। যত্রতত্র শৌচ যাতে লোকে না করতে পারে, তার জন্যও ব্যবস্থা করেন। সর্বোপরি একজন চিকিৎসক এবং ওষুধপত্রেরও ব্যবস্থা করেন। সেই মেলায় তিনি যেমন সাধুবাদ লাভ করেছিলেন, তেমনই কুড়িয়েছিলেন গালিগালাজের সম্ভার।
২৫.
শ্রীচৈতন্যে মহাপ্রভুর জীবনের প্রাথমিক পর্বে নবদ্বীপ-লীলায় এমন সব ঘটনা ঘটে যেগুলি তাঁর সাধন পথের নানা অন্তরায়, প্রতিবন্ধকতাকেই প্রকট করে। কীভাবে সেই নানা বাধা-বিপত্তিকে পরাভূত করে তিনি এগিয়েছিলেন, গড়ে তুলেছিলেন এক অন্তরঙ্গ ভক্তদল, সে-কথাই যেন ছত্রে ছত্রে তুলে ধরে তাঁর সাধন-জীবনের প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে শ্রীচৈতন্যের ভারত ভ্রমণ, তারপর নিরন্তর নীলাচল বাস, তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তির প্রকাশ কাহিনি বিবৃত করে সর্বসমক্ষে।
ভারত-ভ্রমণ কালে তিনি আবারও একবার বঙ্গদেশে এসেছিলেন। সেই পর্বে তিনি আধ্যাত্মিক অলৌকিক শক্তির নানা পরিচয় রেখে যান, সংগ্রহ করেন একাধিক অনুগত ভক্তকে, যাঁরা পরবর্তী জীবনে গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলনের পুরোধা হয়ে ওঠেন। তাঁর সেই অসামান্য আধ্যাত্মিক শক্তির প্রভাবে এমন সব ঘটনার উল্লেখ তাঁর জীবনীকারেরা করেছেন, যা তাঁর ক্ষমাসুন্দর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকেই তুলে ধরে।
তখনও তিনি সন্ন্যাস নেননি, কিন্তু গয়া থেকে ফিরে তাঁর কৃষ্ণ উন্মাদনার শুরুর দিনে তিনি শুরু করেন কীর্তন, শ্রীবাস পণ্ডিতের ঘরের ভিতর, নিভৃতে, হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন অন্তরঙ্গ ভক্তদের নিয়ে। নবদ্বীপের পণ্ডিত ও সাধারণ সমাজ এই পরিবর্তন খোলা মনে মেনে নিতে পারেনি। নিমাইয়ের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা আর অপপ্রচার তাঁরা শুরু করেন। রটিয়ে দেন, নিমাই আর তাঁর দলবল নাকি রাতের অন্ধকারে মহিলাদের নিয়ে বন্ধ ঘরে নানা কুকর্ম করে! ঠিক কী করেন নিমাই পণ্ডিত? সেই খোঁজ নিতে উৎসাহী হয়ে পড়ে ‘চাপাল গোপাল’ নামে জনৈক নবদ্বীপবাসী। বহু চেষ্টা করে উঁকিঝুঁকি মেরে কিছু দেখতে না পেরে শেষে শ্রীবাসের বাড়ির দোরগোড়ায় একটি কলাপাতায় খানিক মাংস, সিঁদুর আর এক ভাঁড় মদ রেখে আসে। পরদিন নিমাই-সহ সকলের চোখে পড়ে সেসব। শোনা যায়, ভক্তের অপমানে নিমাই পণ্ডিত মর্মাহত ও উত্তেজিত হয়ে অভিশাপ দেন গোপালকে। অল্প দিনের মধ্য তার সারা দেহে কুষ্ঠ রোগের চিহ্ন প্রকাশ পায়। কৃষ্ণদাস কবিরাজ লিখেছেন,
‘একদিন বিপ্র নাম গোপাল চাপাল।
পাষণ্ডী প্রধান সেই দুর্মুখ বাচাল।।
ভবানী পূজার সব সামগ্রী লইয়া।
রাতে শ্রীবাসের দ্বারে স্থান লেপাইয়া।।
কলার পাতের পরে থোয় ওড়ফুল।
হরিদ্রা সিন্দুর আর রক্তচন্দন তণ্ঢুল।।
মদ্যৎভাণ্ড পাশে ধরি নিজ ঘর গেলা।
প্রাতঃকালে শ্রীবাস তাহাতে দেখিলা।।’
কুষ্ঠরোগী গোপালের গায়ে দগদগে ঘা, পুঁজ গড়াতে থাকল। দুর্গন্ধে কেউ তার কাছে যেতেও পারে না, ছোঁয়াচের ভয়ে সকলে তাকে অস্পৃশ্যবোধে ত্যাগ করল। এমনকী তার স্ত্রী পর্যন্ত তাকে বাড়িতে রাখতে সাহস না পেয়ে বাড়ির বাইরে করে দিল। সেই সময় একদিন নিমাই পণ্ডিতকে পথের ধারে পেয়ে তার নিরাময়ের জন্য আবেদন করল গোপাল। শুনে ক্রোধে জ্বলে ওঠলেন নিমাই পণ্ডিত। বললেন,
‘পাষণ্ডী সংহারিতে মোর এই অবতার।
পাষণ্ডী সংহারিতে ভক্তি করিমু সঞ্চার।।’
তারপর সন্ন্যাস নিয়ে নিমাই শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য নাম নিয়ে চলে যান নীলাচলে। সামান্য কিছুদিন সেখানে বাস করে আবার ফিরে আসেন গৌড়দেশে।
‘তথা হৈতে যবে কুলিয়া গ্রামেতে আইলা।
তবে সেই পাপী হইল প্রভুর শরণ।।’
‘চৈতন্যচরিতামৃত’ মতে শ্রীচৈতন্য কিন্তু গোপালের অপরাধ মার্জনা করেননি, বরং বলেছিলেন,
‘শ্রীবাস পণ্ডিত স্থানে আছে অপরাধ।
তথা যাহ তিঁহো যদি করেন প্রসাদ।।
তবে তোমার হবে এই পাপ বিমোচন।’
বস্তুত একদল চৈতন্য গবেষক মনে করেন, সেই কুলিয়া নগরের অবস্থান ছিল নদীয়া নগরের বিপরীত গঙ্গাতীরে, পরে গঙ্গার ভাঙনে সেই গ্রাম জলের মধ্যে তলিয়ে যায়। অনেকেই মনে করেন যে, কুলিয়াতেই চাপাল গোপালের শাপমুক্তি হয়, শ্রীচৈতন্যের পুণ্য পাদস্পর্শে। বর্তমানে যে কুলিয়া অপরাধ ভঞ্জন তীর্থরূপে পরিচিত, তার অবস্থান প্রায় মজে যাওয়া যমুনা নদীর তীরে, কল্যাণী রেলস্টেশন থেকে আড়াই কিমি দূরে।
……………………………………………………..
অপরাধ ভঞ্জন তীর্থের সঙ্গে আরেকটি নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে, পণ্ডিত দেবানন্দ। নিজেকে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তর্কবাগীশ বলে মনে করতেন। নিমাই পণ্ডিত যে যৌবনকালে, বিশেষ করে প্রাক্ সন্ন্যাসকালে ধুরন্ধর তার্কিক ছিলেন, নানা শাস্ত্রে ছিল অগাধ পাণ্ডিত্য, সে-কথা জেনেই দেবানন্দ পণ্ডিত তাঁর সঙ্গে তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শ্রীচৈতন্যকে পরাজিত করলে তাঁর নাম আরও বিখ্যাত হবে এই অভিপ্রায়ে। কিন্তু ঘটনা ঘটল বিপরীত, পরাজিত হলেন দেবানন্দ। অনুভব করলেন চৈতন্যের পাণ্ডিত্য যতই থাক, তার প্রকাশ বা প্রচারের ইচ্ছা নেই, কিন্তু প্রয়োজনে তিনি বিপরীত মত অনায়াসে খণ্ডন করতে পারেন।
……………………………………………………..
অপরাধ ভঞ্জন তীর্থের সঙ্গে আরেকটি নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে, পণ্ডিত দেবানন্দ। নিজেকে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ তর্কবাগীশ বলে মনে করতেন। নিমাই পণ্ডিত যে যৌবনকালে, বিশেষ করে প্রাক্ সন্ন্যাসকালে ধুরন্ধর তার্কিক ছিলেন, নানা শাস্ত্রে ছিল অগাধ পাণ্ডিত্য, সে-কথা জেনেই দেবানন্দ পণ্ডিত তাঁর সঙ্গে তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শ্রীচৈতন্যকে পরাজিত করলে তাঁর নাম আরও বিখ্যাত হবে এই অভিপ্রায়ে। কিন্তু ঘটনা ঘটল বিপরীত, পরাজিত হলেন দেবানন্দ। অনুভব করলেন চৈতন্যের পাণ্ডিত্য যতই থাক, তার প্রকাশ বা প্রচারের ইচ্ছা নেই, কিন্তু প্রয়োজনে তিনি বিপরীত মত অনায়াসে খণ্ডন করতে পারেন। তাছাড়া শ্রীচৈতন্য ছিলেন ভক্তিপথের পথিক, তিনি জ্ঞানমার্গে চলা, তাঁর চেয়ে বয়সে বড় হওয়া সত্ত্বেও শ্রীনিবাস আচার্যকে তিরস্কার, এমনকী প্রহার করেছিলেন, তাঁকে ভক্তিপথে আনতে। তাই দেবানন্দ যতই পণ্ডিত হোন, তাঁর মধ্যে ভক্তিভাবের লেশমাত্র নেই জেনে প্রখরতর যুক্তিজালে তাঁকে বিদ্ধ করে হারিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্য। আর পরাজিত দেবানন্দ তাঁকে মহাপ্রভু বলে স্বীকার করে তাঁর চরণে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
কেউ বলেন, পৌষ মাসের কৃষ্ণা-একাদশী তিথিতে প্রয়াত হয়েছিলেন দেবানন্দ পণ্ডিত। আবার কেউ বলেন ওই তিথিতেই উদ্ধার পেয়েছিলেন চাপাল গোপাল। আর ওই তিথিতে অপরাধ ভঞ্জন শ্রীপাটে এক মেলার আয়োজন করা হয়। বহু বৈষ্ণব, ভক্ত সেদিন ওই মন্দিরে সমবেত হয়ে জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত পাপ মোচনের প্রার্থনা করেন। কবি নবীনচন্দ্র সেন এক সময় নদীয়া জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। নদীয়া জেলার নানা মেলা ও উৎসবের নানা তথ্য তাঁর লেখা থেকে পাওয়া যায়। তাঁর সময়েই ‘মেলায় ত্রিশ-চল্লিশ হাজার যাত্রীর সমারোহ হইয়া থাকে এবং সমস্ত দিন রাত্রি কলিকাতা ও কাঁচরাপাড়ায় স্পেশাল ট্রেন যাতায়াত করিতে থাকে’।
স্টেশন থেকে মেলাস্থল পর্যন্ত রাস্তাটি ছিল অপরিচ্ছন্ন এবং ঘোড়া বা গরুর গাড়ি যাওয়ার অনুপযুক্ত। মন্দিরের পাশে শুষ্ক যমুনার এক বাওড়, আগত যাত্রীরা তারই জলে শৌচ, স্নান এবং পান করত। ‘এজন্য এই মেলাটিও ওলাওঠার একটা উর্বর ক্ষেত্র’ হয়ে ওঠে। মেলার অধিকারীরা ছিলেন অবাঙালি, তাঁরা মেলার দিনে যাত্রীদের থেকে প্রণামী আদায় করে তাদের ধন্য করতেন, যাত্রী বা স্থানের সুবিধা নিয়ে তাদের কোনও মাথাব্যথা ছিল না।
নবীনচন্দ্র সেন সেখানে বাওড়টিকে পানীয় জলের জন্য নির্দিষ্ট করে প্রহরার ব্যবস্থা করেন, স্নানের জন্য অন্য একটি পুকুর নির্দিষ্ট করেন এবং নারী-পুরুষের স্নানের জন্য পৃথক ঘাটের ব্যবস্থা করেন। যত্রতত্র শৌচ যাতে লোকে না করতে পারে, তার জন্যও ব্যবস্থা করেন। সর্বোপরি একজন চিকিৎসক এবং ওষুধপত্রেরও ব্যবস্থা করেন। সেই মেলায় তিনি যেমন সাধুবাদ লাভ করেছিলেন, তেমনই কুড়িয়েছিলেন গালিগালাজের সম্ভার।
‘নদীয়া কাহিনী’র লেখক কুমুদনাথ মল্লিক কুলিয়া প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, ‘কথিত আছে প্রায় ৭৬ বৎসর পূর্বে এই স্থানে এক উদাসীন বৈষ্ণব বাস করিতেন। তিনি এখানে নিতাই, চৈতন্য ও অন্যান্য বিগ্রহমূর্তি স্থাপন করিয়া পরমভক্তি সহকারে পূজার্চনা করিতেন। এই সময় খড়দহের এক গোস্বামী এখানে শিষ্যগৃহে আসিয়া এই উদাসীনের ক্রিয়াকর্ম দেখিয়া তাহার প্রতি ভক্তি ও প্রীতির উদয় হইলে তিনিও তাহার সহিত মিলিত হইয়া এখানে রহিয়া যজন যাজন করিতে থাকেন এবং ঐ উদাসীনের মৃত্যু হইলে তাহার স্থলাভিষিক্ত হইয়া বিগ্রহাদির যথা নিয়ম সেবা চালাইতে থাকেন। পরে তাহারও পরলোক প্রাপ্তি ঘটিলে তাহার দৌহিত্রেরা আসিয়া তাহার ত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকার করেন।’ প্রসঙ্গত, ‘নদীয়া কাহিনী’র প্রথম প্রকাশ হয় ১৩১৭ বঙ্গাব্দে। মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই তার দ্বিতীয় সংস্করণও প্রকাশিত হয়।
শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি এই অঞ্চলে অনেক জায়গাতেই আজও উজ্জ্বল হয়ে রয়ে গেছে। ১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে বিজয়া দশমী তিথিতে নীলাচল থেকে বৃন্দাবন যাবেন বলে রওনা হয়ে শ্রীচৈতন্য গৌড়দেশে এসে পিছলদা থেকে নৌকাযোগে সোদপুরের কাছে পানিহাটি গ্রামে রাঘব পণ্ডিতের বাড়িতে পৌঁছলেন। সেখান থেকে কুমারহট্টে গুরু ঈশ্বরপুরীর জন্মভিটেয়, আবার সেখান থেকে কাঁচরাপাড়ায় শিবানন্দ সেনের বাড়ি। শিবানন্দ সেন ছিলেন সেকালে বাংলা থেকে নীলাচল যাত্রীদের যাত্রাপথের ব্যবস্থাপক, আজকে যাকে বলা হয় ‘ইভেন্ট ম্যানেজার’। ইচ্ছা ছিল নবদ্বীপের কাছে কোথাও থাকার, তাই নবদ্বীপের কাছে বিদ্যানগরে সার্বভৌমের ভাই বাচস্পতির বাড়িতে উঠলেন। কিন্তু–
‘মনুষ্যে হইল পরিপূর্ণ সর্ব্বগ্রাম।
নগর চত্বরে প্রান্তরেও নাহি স্থান।।
দেখিতে সবার পুনঃ পুনঃ ইচ্ছা বাঢ়ে।
সহস্র সহস্র লোক একো বৃক্ষে চড়ে।।’
লোক সংঘাত এড়াতে অত্যন্ত গোপনে নিত্যানন্দের মতো গুটিকয়েক অন্তরঙ্গ অনুচরকে সঙ্গী করে পালিয়ে এলেন কুলিয়ায় মাধব দাসের বাড়ি। ‘চৈতন্য চরিতামৃত’-এ কৃষ্ণদাস কবিরাজ লিখেছেন,
‘কুলিয়া গ্রামেতে প্রভুর শুনি আগমন।
কোটি কোটি লোক আসি কৈল দরশন।।
কুলিয়া গ্রামেতে কৈল দেবানন্দের প্রসাদ।
গোপাল বিপ্রের ক্ষমাইল শ্রীবাস অপরাধ।।’
আজও ভক্তদের বিশ্বাস কুলিয়ার সেই অপরাধ ভঞ্জন পাটে করজোড়ে দাঁড়িয়ে মহাপ্রভুর বিগ্রহের সামনে নিজকৃত পাপ নিজমুখে স্বীকার করলে তার প্রায়শ্চিত্ত হয়। শুধু পৌষ মাসের কৃষ্ণা-একাদশী তিথিতে নয়, সারা বছরের যেকোনও দিনেই সেখানে ভক্তেরা গিয়ে সেই কর্মটি করে থাকেন।
(সমাপ্ত)
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৪। বাহাত্তরটি পোড়ামাটির মন্দির আজও আকর্ষণ মলুটির
পর্ব ২৩। তারাশঙ্করের লেখায় উল্লেখ রয়েছে অট্টহাস শক্তিপীঠের কথা
পর্ব ২২। মূর্তি নয়, শিলাখণ্ডেই পুজো পান দেবী কল্যাণেশ্বরী
পর্ব ২১। এক কুমোর পণ্ডিতদের নাজেহাল করেছিল বলে জায়গাটির নাম ‘কুমারহট্ট’
পর্ব ২০। মামলার টাকায় হংসেশ্বরী মন্দির গড়েছিলেন রাজা নৃসিংহদেব
পর্ব ১৯। হুতোমের কথায়, মাহেশের রথের মতোই স্নানযাত্রারও ধূম ছিল সে কলকাতায়
পর্ব ১৮। কঙ্কালীতলায় বলিদানের বীভৎসতা ব্যথিত করেছিল রবীন্দ্রনাথকে
পর্ব ১৭। শ্রীরাধার মূর্তিকে কনের সাজে যুগল কিশোর মন্দিরে পাঠিয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
পর্ব ১৬। যে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয় জলঘড়ির সাহায্যে
পর্ব ১৫। হেস্টিংসের নজর থেকে গুহ্যকালীর মূর্তি রক্ষা করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব