Robbar

পাশে থাকা, পাসে থাকা

Published by: Robbar Digital
  • Posted:October 7, 2025 9:13 pm
  • Updated:October 7, 2025 9:14 pm  

পেপের প্রথম দুটো মাইলস্টোনের একটি, চোটপ্রবণ লিও মেসির খেলার ধরন বদল এবং দুই, জাভি-ইনিয়েস্তা নামের টুপি থেকে লাল-নীল রুমালের অন্তহীন জোগান। ‘জাভি অর ইনিয়েস্তা?’ কে আজ? টিম ম্যানেজমেট, মিডিয়া, পেপের কাছে এই প্রশ্ন করলে একটিই উত্তর আসত, ‘জাভি অ্যান্ড ইনিয়েস্তা’। আন্দ্রেজের বায়োগ্রাফি ‘দ্য আর্টিস্ট: বিয়িং ইনিয়েস্তা’-য় পেপের সহকারী লরেঞ্জো বুয়েনাভেঞ্চুরা লিখছেন, ‘বোথ অফ দেম। নট ওয়ান অর দ্য আদার। টুগেদার অলওয়েজ। পিপল সেইড দে কুড নট প্লে টুগেদার। বাট, দে শুড নট বি প্লেইড অ্যাপার্ট।’

অনির্বাণ ভট্টাচার্য

১.

২০১৪-’১৫। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। সেমির ফার্স্ট লেগ। বায়ার্ন মিউনিখ। ৮২ মিনিটে রাকিটিচের পরিবর্তে মাঠে নামলেন জাভি। পাঁচ মিনিট। পাঁচ-পাঁচটা মিনিট। তারপর রাফিনহা নামলেন। কার পরিবর্তে? আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তা। জাভি হার্নান্ডেজ এবং আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তার একসঙ্গে খেলা শেষ ম্যাচের আয়ু মাত্র পাঁচ মিনিট। যে-পাঁচ মিনিটে নিজেদের ভেতর একটিও কমপ্লিট পাস নেই। ম্যাচ বার্সার পকেটে ২-০, অথচ কোথাও নেই জাভি-ইনিয়েস্তার ‘দ্য লাস্ট ফেয়ারি টেল’।

Iniesta: "Xavi está preparado para entrenar al Barça"
বন্ধু চল: আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তা-জাভি হার্নান্ডেজ

তাহলে শেষ পাস কোথায়? কবে?

২০১৫-র ১১ এপ্রিল। বিপরীতে সেভিয়া। প্রেক্ষাপট এস্তাদিও সাঞ্চেজ পিজুয়ানে সাড়ে ৮৪ মিনিট। ম্যাচ সেভিয়ার সঙ্গে ২-২ ড্র। এবং শুরুটা ২০০২-এর ২১ ডিসেম্বর। মায়োরকা ম্যাচ। ৪-০-তে জেতা বার্সার শরীর, দু’-দুটো লাংস– জাভি-ইনিয়েস্তা। হ্যাঁ, জাভি-ইনিয়েস্তার প্রথম পাস, প্রথম বড় ম্যাচ। ‘দ্য কার্টেন রেইজার’। প্রথমজনের জার্সি নম্বর ৬, দ্বিতীয়জনের ৮।

জাভি হার্নান্ডেজ-আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তার ডুওলজি। ছোট-বড় মিলে ৪৮৬টি ম্যাচ একসঙ্গে খেলা। আরও ছোট, ক্ষুদ্রতর টাইম অ্যান্ড স্পেসে ভাবলে ৩০,৩৪১ মিনিট! এই ৩০ হাজারি স্মৃতির শুরুটা নাইকি কাপ, ১৯৯৯। ইয়ুথ টুর্নামেন্ট। রোজারিও সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য সেই ক্যাম্প ন্যু। পেরে গুয়ারদিওলা মুগ্ধ ১৫ বছরের একটি ছেলেকে দেখে। পেরে, থাকতে না-পেরে দেখালেন ভাই পেপকে। বছর চারেকের বড় ১৯ পেরনো আরেক কিশোর জাভির খেলা দেখে পিঠ চাপড়ালেন পেপ। বললেন, ‘ওয়ান ডে ইউ উইল রিপ্লেস মি।’ একটু থামলেন। চোখ গেল ১৫ বছরের পায়ে-হাঁটুতে-বুকে বল জড়ানো এক কিশোরের দিকে। পেপ জাভিকে বাকি কথাগুলি সম্পূর্ণ করেছিলেন, ‘বেস্ট ওয়াচ আউট দিজ ইয়ং গাই, বিকজ ওয়ান ডে হি উইল রিটায়ার আস অল…’। জাভি অনেক পরে বলেছিলেন, ‘আই কানেক্ট বেস্ট উইথ দ্য প্লেয়ার হু হ্যাভ টেকনিকাল কোয়ালিটি, নট দ্য ফিজিকাল প্লেয়ার…’।

Clock Is Ticking on Xavi's Storied Career at Barcelona - The New York Times

আই কানেক্ট। এবং ঠিক এখানেই অন্য এক সম্পর্কের সুতো। না, আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তা জেভি হার্নান্ডেজকে রিপ্লেস করেননি কখনও। বরং, পায়ে পা মিলিয়ে পৃথিবীকে চিনিয়েছেন, দেখো, এভাবে ফুটবল খেলতে হয়। জাভি বলছেন, ‘হি অলওয়েজ টোল্ড, লুক আই অ্যাম হিয়ার। বাট হি ডিড নট টেল ইট টু মি বাই স্পিকিং’। কথা না-বলে কথা বলা। জাভির অসীম বল নিয়ন্ত্রণ, দু’পায়ের ক্ষিপ্রতা, প্রেসিশনের মাঝে আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তার টাচে, দৌড়ে একের পর এক মানুষ ছিটকে যাওয়া! কঠিনতম কাজকে সহজ করে দেওয়ার গল্প। জাভির কথায়, ‘হি ডাজ এভরিথিং উইথ সাচ ইজ দ্যাট ইউ থিঙ্ক এনিওয়ান ক্যান ডু ইট। বাট নো ওয়ান ক্যান ডু ইট’। এবং ভাইসে ভার্সার গল্প। কৃতজ্ঞতার গল্প।

অগ্রজ বন্ধুর শেষ ম্যাচ। ২০১৫-র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ২-১। জুভেন্টাসের জালে রাকিটিচের গোলে সেই আন্দ্রেজের পাস। কিন্তু কিছু একটা নেই, কেউ একটা নেই। আন্দ্রেজ সাইডলাইনে তাকালেন। নিজে উঠে গেলেন, নামলেন জাভি। হোক না তা খেলা শেষের সামান্য আগে, শেষ বাঁশিতে থাকুন মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো। ২-১ বদলে ৩-১, অন্যতম পা জাভি হার্নান্ডেজের।

এক এক করে ক্রনোলজিতে আসি। সিনিয়র টিমে প্রথম তিন বছর। বার্সায় তখন রাজকীয় হাঁটাচলা রাইকার্ড-রোনাল্ডিনহোর। জাভি-ইনিয়েস্তার প্রথম তিন বছরে বার্সার ট্রফি দু’টি, ২০০৪-’০৫-এর ‘লা লিগা’ এবং ‘স্প্যানিশ সুপার কাপ’। ২০০৫-’০৬। দু’জনে একসঙ্গে খেললেন মাত্র দু’টি ম্যাচ। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রনি-ম্যাজিক। রাইকার্ড ইনিয়েস্তাকে বললেন, ‘গিভ আউট দ্য সুইটস ইন দ্য পিচ’। পরিণতি চেনা, খুব চেনা। তবু, ওই একসঙ্গে দু’টি, মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলার স্মৃতি থেকে বেরিয়ে, বেশ কিছু খাদ আর খাদের কিনারা ছুঁয়ে, তিন তিনটে বছর পর, ২০০৮। ন্যু ক্যাম্পে কোচ হয়ে মাঠে নামলেন সেই পেপ গুয়ারদিওলা। জাভি সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘উই ওয়্যার নক্ড আউট অফ দ্য ক্যানভাস হোয়েন পেপ অ্যারাইভড অ্যান্ড উই নিডেড হিম টু টিচ আস হাউ টু ডু থিংস প্রপারলি এগেইন’।

পেপের প্রথম দুটো মাইলস্টোনের একটি, চোটপ্রবণ লিও মেসির খেলার ধরন বদল এবং দুই, জাভি-ইনিয়েস্তা নামের টুপি থেকে লাল-নীল রুমালের অন্তহীন জোগান। ‘জাভি অর ইনিয়েস্তা?’ কে আজ? টিম ম্যানেজমেট, মিডিয়া, পেপের কাছে এই প্রশ্ন করলে একটিই উত্তর আসত, ‘জাভি অ্যান্ড ইনিয়েস্তা’। আন্দ্রেজের বায়োগ্রাফি ‘দ্য আর্টিস্ট: বিয়িং ইনিয়েস্তা’-য় পেপের সহকারী লরেঞ্জো বুয়েনাভেঞ্চুরা লিখছেন, ‘বোথ অফ দেম। নট ওয়ান অর দ্য আদার। টুগেদার অলওয়েজ। পিপল সেইড দে কুড নট প্লে টুগেদার। বাট, দে শুড নট বি প্লেইড অ্যাপার্ট।’

আন্দ্রেজের বায়োগ্রাফি ‘দ্য আর্টিস্ট: বিয়িং ইনিয়েস্তা’

এপিক শুরু। জাভি ডানদিকে, ইনিয়েস্তা বাঁ-দিকে। ফ্রি-ফ্লোয়িং, বল পজেশন দখল করার ড্রিম-ফুটবল, আদি-অনন্ত টিকিটাকা। ২০০৮-এর ইউরোয় পেপের রাস্তায় হাঁটা স্প্যানিশ জাতীয় দলের জাদু-প্রশিক্ষক লুই আরাগোনেস। মার্কোস সেনা, ফারনান্ডো টোরেসের স্বপ্নের ফর্মে তবুও সেই দুই লাংস জাভি-ইনিয়েস্তার মাঝমাঠ। গোটা ইউরোপ বলে উঠল: ওয়াও। অপেক্ষা, অপেক্ষায় থাকল বাকি পৃথিবী। থাকল, আফ্রিকা। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১০ বিশ্বকাপ, সামনেই। প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ স্প্যানিশ ব্রিগেডের। অবশ্য এ দেওয়াল সামান্য ঠেললেই পাওয়া যেতে পারে আস্ত একটি নার্নিয়ার ওয়ার্ড্রোব। যেখানে গোটা টুর্নামেন্টের বাকিটায় জাভির অন্যান্য অ্যাসিস্টের ভেতর অন্যতম দু’টির ফিনিশিং টাচ আন্দ্রেজের, একটি চিলি ম্যাচ অন্যটি দ্য ফাইনাল। হ্যাঁ, সেই ফাইনাল, নেদারল্যান্ডের বরাবর রাফ অ্যান্ড টাফ ফুটবল এবং ওই ১১৬ মিনিট। জাভি বলছেন, ‘দেয়ার ইজ অনলি ওয়ান পার্সন হু লজিকালি কুড হ্যাভ স্কোর্ড দ্য উইনিং গোল’।

বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলের পর ইনিয়েস্তাকে আলিঙ্গন জাভির

পাস, পাস এবং পাস। পেপের সময়ে ডান-বাঁয়ের কম্বিনেশন পেরিয়ে এনরিকে আমলে দু’জনকেই বাঁ-দিক ঘেঁষে ব্যবহার করে রাকিটিচকে ডানদিকে খেলানো। এই পাস-উৎসবের পরিণতি নতুন কিছু নয়। ঠিক লিনিয়ারও নয়। কারণ এসব অলৌকিক পাসের শ্রেষ্ঠ ফিনিশিং যিনি করতেন, সেই লিও মেসি নিজেই বাড়িয়েছেন অসামান্য হাজারও থ্রু, যেখান থেকে জাল ছিঁড়েছেন খোদ সেই ৬, সেই ৮ নম্বর। ছিলেন আশ্চর্য সুন্দর পায়ের নায়ক সেস ফ্যাব্রেগাস। ছিলেন সাইলেন্ট কিলার সার্গিও বুস্কেটস।

২০১১-র ওয়েম্বলির ৩-১ ম্যাচ, স্যর আলেক্স ফার্গুসনের কণ্ঠে জাভি-ইনিয়েস্তা, সলিলোকি,  ‘দে ক্যান কিপ দ্য বল অল নাইট লং’। এই সমস্তের ভেতর, দু’জনের নিজেদের ভেতর পাস এবং গোলের স্ট্যাটিস্টিক্স কীরকম? বার্সায় জাভির ৮৫টি গোলের ভেতর ১৪টির অ্যাসিস্ট আন্দ্রেজের, অন্যদিকে আন্দ্রেজের ৫৭টি গোলের ভিতর ৫টি অ্যাসিস্ট জাভির। অবশ্য এই তথ্যে অলৌকিককে মাপা যায় না। কারণ গোটা ন্যু ক্যাম্প, কখনও ওয়েম্বলি জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পেপ-টিটো-এনরিকেদের পাসিং জালের জাভি-ইনিয়েস্তা অন্যতম দুটো নাম, যাঁরা স্বতন্ত্রভাবে ঠিক ফিনিশার ছিলেন না, বল-প্লেয়ার, নিখুঁত বল-প্লেয়ার, শরীরে না ছুঁয়েও বলকে সারাক্ষণ কাছাকাছি রাখা। এই দলে কোনও বিশেষ পাসার, বিশেষ ফিনিশার আদৌ ছিলেন কি? লিও মেসিকে ধরেই বলছি। সবার সবার বন্ধু, কামারাদেরি। তাই, কারও দু’বার কারও পরপর তিনবার ব্যালন ডি’অরের শ্রেষ্ঠ তিনে নাম, তবু কোথাও আত্ম-অহমিকা নেই, সতীর্থ ম্যাজিশিয়ানকে মঞ্চেই জড়িয়ে ধরেন অগ্রজ ডুও। চোখ চকচক করে ওঠে কোচ পেপের।

এবং সেই অলৌকিক দিন ফুরয়। নায়কদের বয়স বাড়ে। স্টয়িক দার্শনিক সেনেকার চিঠির পাতা ওড়ে ‘হি ওয়াজ ডুয়িং এভরিথিং পসিবল, বাট দ্য হাউস ওয়াজ ওল্ড’। কোচ জেভির শুরুর সাফল্য দেখেও তা পরে আর সেইভাবে দানা না বাঁধার কাঁটায় ছলছল চোখে আন্দ্রেজ বলেন, ‘আই সাফার উইথ জাভি’। এবং জাভি নিজে? ২০১৮-র ২১ মে। রিয়েল সোসিয়েদাদকে এক গোলে হারিয়ে লিগ ট্রফি ধরে সতীর্থদের কাঁধে আন্দ্রেজ। সমস্ত উৎসব শেষে ফিরে গেলেন মাঠে। রাত একটা অবধি ন্যু ক্যাম্পে শেষবার বসে থাকা একা হন্টিং আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তা। ডেভিড রামোসের তোলা সেই এপিক ছবি, রাতের জনশূন্য ন্যু ক্যাম্প এবং গোটা ফ্রেমে একা একজন মানুষ, ফোন হাতে নিয়ে বসে, পাতা পড়লেও হয়তো শব্দ হতো ঘাসে। ’২৪-এর অক্টোবরে প্রিয় বন্ধুর আনুষ্ঠানিক অবসরে জাভি শুধু একটাই কথা বলেছিলেন, ‘আনসারপাসড হিউম্যান কোয়ালিটি’।

একাকী ইনিয়েস্তা, ক্যাম্প ন্যু-তে। বিদায়ী ম্যাচের পর

২০২৫ ছাড়াচ্ছে। লামিনে ইয়ামালের দাপুটে স্পেন-বার্সায় রিজুভেনেশনের গন্ধ। আসতে আসতেও না আসা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এখনও একইরকম কষ্ট পান, সুখে উদ্বেল হন জার্সি নম্বর ছয়, আট? নিজস্ব অ্যাকাডেমিতে ‘ইনিয়েস্তা মেথডোলজি’ দিয়ে ছোটদের বড় করা হয়‌। বলা হয়, বড় ফুটবলার হতে গেলে আগে বড় মানুষ হও। ৪১ ছোঁয়া আন্দ্রেজের নিজের কথায়: ‘আই থিঙ্ক ফুটবল ইজ আ স্পেক্টাকুলার ওয়ে টু ডু ইট।’ জাভি হার্নান্দেজ ৪৫ পেরোচ্ছেন। এখন, এই সময়ে আপনার ফুটবল দর্শন কী, জানতে চাইলে মানুষটার স্পষ্ট কথা, ‘মাই ফিলোজফি ইজ বেসড অন ফোর এলিমেন্টস– প্রেশার, পোজেশন, পারসেপশন অ্যান্ড প্যাশন।’

ন্যু ক্যাম্পে আবার কখনও ফিরবেন প্রশিক্ষক জেভি? ইনিয়েস্তা অ্যাকাডেমিতে বড় হবেন পরবর্তী কোনও আন্দ্রেজ? একসঙ্গে সেই কিশোর, প্রৌঢ় জেভির পাশে হাঁটবেন, শিখবেন ‘ফিলোজফি অফ দ্য ফোর’? আবার একটা ওয়েম্বলিতে আরেকটু বড় হওয়া, পরিণত হওয়া পেদ্রি-ইয়ামালদের সঙ্গে উন্মত্ত নাচতে পারবে সেই কিশোর? সাইডলাইনে চকচক করবে প্রশিক্ষকের চোখ, নস্টালজিক চোখ? সলিলোকি করবেন, স্যর আলেক্স ফার্গুসনের মতো অন্য কোনও ভেটেরান রুপোলি রেখা?

‘দে ক্যান কিপ দ্য বল অল নাইট লং। দে ক্যান কিপ দ্য বল অ্যানাদার অল নাইট লং…’

………………………….

রোববার.ইন-এ পড়ুন অনির্বাণ সিসিফাস ভট্টাচার্য-র লেখা

………………………….