মধু কে দিতে পারে আর কে পারে না তাই দিয়ে তোমরা মানুষেরা আমাদের বিচার করবে– একথা ভাবতে কষ্ট হয়। তোমরা যে টম্যাটো, বেগুন, লংকা খাও– কোনওদিন দেখেছ কারা এদের ফুলে এসে পরাগমিলন করে? জানো আপেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরাগমিলনকারী কে? মধু-মৌমাছি নয় কিন্তু। বেগুন, লংকা, টম্যাটোর ফুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে ঝাঁকিয়ে নাড়িয়ে তার থেকে পরাগ বার করতে হয়, না হলে হয় না। মধু-মৌমাছি এই কাজ পারে না। আমাদের মধ্যে কয়েকরকম ভোমরা আর পাতা-কাটা মৌমাছি এই কাজটা পারে। অর্থাৎ সবাই সব পারে না, কিন্তু সবাই মিলে সবটা পারে।
নমস্কার প্রিয় মানুষেরা। আমরা মৌমাছি। তোমাদের অনেক আগে, সেই ডায়নোসরদের সময়ে আমরা জন্মেছি। সেদিন থেকে আজ অবধি অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বেঁচে আছি। সারা পৃথিবীতে আজ ২০,৪০০ রকমের মৌমাছি আছে।
জঙ্গলে যে গাছ হয়, তোমরা যে গাছ লাগাও, সেই গাছেরা তো হাঁটতে পারে না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাহারি ফুল ফোটায়। তাহলে গাছ থেকে গাছের চারা হয় কী করে? আমরা উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে সারাদিন ধরে স্ত্রী ও পুরুষ ফুলকে মেলাই। পুরুষ ফুলের পরাগ নিয়ে যাই স্ত্রী ফুলে। একে বলে ‘পরাগমিলন’। এরপর ফুল থেকে ফল হয়, ফলের মধ্যে সুরক্ষিত থাকে বীজ আর সেই বীজ থেকে জন্মায় নতুন গাছ। এই করেই তো গাছেরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকেও দিকবিদিক ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে।
শুধু কি বড় গাছ? না। ঘাস, লতা, গুল্ম সবার কথা বলছি। ফুল তোমাদের ভালো লাগে আমরা জানি। ফুল দেখতে, ফুলের গন্ধ নিতে তোমরা ভালোবাসো। ফুল কুড়িয়ে মালা গাঁথো, উপহার দাও, কত গান কবিতা লেখো আবার ছিঁড়ে বিক্রিও করো দেখেছি। এসব তোমরা করো বা না-করো, ফুল কিন্তু ফুটবে। একদিন তোমরা কেউ ছিলে না। তখনও ফুল ফুটেছে। তোমরা না-থাকলেও ফুটবে। ফুল ফোটে নতুন প্রাণের আশায়। তারা আমাদের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। নানা ফুলের নানারকম সুগন্ধে তোমরা খুশি হও। এই গন্ধ দিয়ে আসলে তারা আমাদের ডাকে। সকালে দুপুরে বিকেলে রাতে প্রহরে প্রহরে তাদের ফুটে ওঠার খবর পাঠায়।
ফুল ফুটলে আমাদের যেতেই হবে, না হলে অপেক্ষা করে থেকে থেকে তারা ঝরে যায়। ফুলেরা আমাদের জন্য সেজে ওঠে নানারকম, নানা রঙের পাপড়িতে। পাপড়িতে তোমরা যে এত রকমের নকশা দেখতে পাও তা হল আমাদের মানচিত্র। ওই মানচিত্র দিয়ে ফুল আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় তার ভেতরে। সেখানে মিষ্টি রসের ভাণ্ড আছে। আমরা প্রাণভরে সেখান থেকে রস সংগ্রহ করি। সংগ্রহ করি পরাগ। গায়ে লেগে যায় ফুলের সুগন্ধ। আমরা এই রস থেকে শর্করা আর পরাগরেণু থেকে প্রোটিনের চাহিদা মেটাই।
এত বছর ধরে ফুল আর আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। একটু একটু করে একে অন্যকে চিনেছি, জেনেছি, বুঝেছি। নিজেদের গড়েছি নিজেদের মতো করে। ফুল তার পাপড়ি এমন করে মেলেছে, যাতে আমরা গিয়ে ভালো করে বসতে পারি। এত রং, গন্ধ, মিষ্টি রস, রেণু এইসব কিছু রচনা করেছে তারা শুধু আমাদের ডেকে আনবে বলে। আমাদের শরীরে প্রচুর লোম আছে, পায়ে রয়েছে পরাগসাজি। শরীরের ভিতরে আছে এমন একটা কুঠুরি যেখানে ফুলের রস সংগ্রহ করে আমরা রাখতে পারি অথচ সেই রস হজম হয়ে যায় না। আমাদের তো আর বালতি, গামলা, মগ বা বোতলে করে রস বয়ে আনার উপায় নেই। তাই উপায় করতে হয়েছে শরীরের ভিতরে ওই বিশেষ কুঠুরি দিয়েই। আঠালো পরাগরেণু যাতে শরীরে জড়িয়ে যেতে পারে, তাই আমাদের গায়ে এত লোম। পায়ের পরাগসাজিতে মণ্ড করে আমরা রেখে দিই পরাগ। তারপর উড়তে উড়তে ফিরে আসি চাকে।
আমাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন ঘরসংসার করে একসঙ্গে থাকে, যেমন মধু-মৌমাছি। তোমরা এদেরকেই বেশি চেনো। এদের অনেক বড় ঘরসংসার। চাকে পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ মৌমাছি থাকতে পারে। ভাবতে পারো! এত বড় সংসারে সবার খাবার জোগাড় করা চাট্টিখানি কথা! একটা সংসার চালাতেই কত ফুল লাগবে ভাবো। ওই ফুলের রস দিয়ে মধু-মৌমাছিরা মধু বানায়। মধুর সঙ্গে পরাগ মিশিয়ে বানায় মৌ-রুটি। সকলে মিলে খায়। বাচ্চাদের খাওয়ায়।
কিন্তু বেশিরভাগ মৌমাছি একা, মাটির নীচে থাকে। তোমাদের কত গানে শুনি ভোমরাদের কথা। ‘অলি’, ‘ভ্রমর’, ‘ভোমরা’। এরা কোথায় থাকে দেখেছ? তোমাদের ঘরে কাঠের আসবাবেও ছোট ছোট গর্ত করে থাকে। কেউ আবার পাতা কেটে এনে ঘর সাজায়। আমাদের মধ্যে মধু-মৌমাছিরাই শুধু তোমাদের মধু দেয়। তাই কি তোমাদের কাছে শুধু তাদের গুরুত্বই বেশি? ভালোবাসা পেতে গেলে মধু দিতে হবে? না হলে ভালোবাসা নেই? আমাদের আর কোনও মৌমাছিকে চেনার প্রয়োজন নেই?
তোমরা যে টম্যাটো, বেগুন, লঙ্কা খাও– কোনও দিন দেখেছ কারা এদের ফুলে এসে পরাগমিলন করে? জানো আপেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরাগমিলনকারী কে? মধু-মৌমাছি নয় কিন্তু। বেগুন, লঙ্কা, টম্যাটোর ফুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে ঝাঁকিয়ে নাড়িয়ে তার থেকে পরাগ বার করতে হয়, না হলে হয় না। মধু-মৌমাছি এই কাজ পারে না। আমাদের মধ্যে কয়েকরকম ভোমরা আর পাতা-কাটা মৌমাছি এই কাজটা পারে। অর্থাৎ সবাই সব পারে না, কিন্তু সবাই মিলে সবটা পারে। তাহলে শুধু মধু-মৌমাছি নিয়ে, মধু নিয়ে কথা বললে হবে?
মধু কে দিতে পারে আর কে পারে না তাই দিয়ে তোমরা মানুষেরা আমাদের বিচার করবে– একথা ভাবতে কষ্ট হয়। তোমাদের একটা দেশ অঙ্ক কষে জানিয়েছে সারা বছরে আমরা যে পরাগমিলনের কাজ করি তার জন্য আমাদের নাকি কুড়ি বিলিয়ন ডলার প্রাপ্য। কিন্তু টাকা দিয়ে আমরা কী করব? আমাদের টাকা লাগে না। আমরা রোজকার কাজের বিনিময়ে সরাসরি খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেয়ে যাই। এত পরিশ্রমের জন্য আমরা তোমাদের কাছে টাকা চাওয়ার কথা তাই ভাবতেও পারিনি। তোমরা বুড়ো হলে ঘরে বসে বিশ্রাম নাও। আমরা বুড়ো বয়সেই ফুলের রস সংগ্রহে বেরোই। এক চামচ মধু তৈরি করতে পাঁচ থেকে ছয় হাজার ফুলে আমাদের যেতে হয়। পরিশ্রমটা ভাবতে পারছ?
এই ফুলে ফুলে তোমরা বিষ দাও। তোমাদের ছাদবাগানে বিষ দাও। ঘাস মারবে বলে উঠোনে বিষ ছড়াও। চাষিরা তাদের খেতে বিষ দেয়। আমরা তোমাদেরই ফল-সবজি গাছের ফুলে কাজ করতে গিয়ে বিষ টেনে নিই শরীরে। বড় জ্বালা যন্ত্রণা হয়। অনেকেই আর বাসায় ফিরতে পারে না। ফিরতে পারলেও বাকিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখের সামনে কত মৌমাছি ছটফট করতে করতে মরে। এ দৃশ্য আর সহ্য হয় না। আমরা কী দোষ করেছি যে আমাদেরকে তোমরা এভাবে মারছ? যে বিষে আমরা মরে যাচ্ছি সেই বিষ তোমাদের খাবারে, পোশাকে নেই? তোমরা তো জল, খাবার, পরনের কাপড় সবকিছুই টাকা দিয়ে কেনো। তবে? কিছু মনে হয় না? চোখের সামনে নিজের সন্তানকে ওই খাবারই খেতে দেখো। ভয় হয় না? মায়া লাগে না?
দিনকে দিন কীটপতঙ্গনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। তোমাদের বাড়ির সামনের উঠোন, পুকুর খাল বিল দিঘির পাড় থেকে খেতখামারে সর্বত্র প্রচুর বিষের ব্যবহার। এই বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে জলে মাটিতে বাতাসে, সমস্ত প্রাণী-উদ্ভিদের শরীরে শরীরে।
আমরা যারা মাটির নীচে একা বাসা করে থাকি তাদের বাঁচার জন্য দূষণমুক্ত মাটি, জল, বাতাস একান্তই দরকার। মাটির নীচে বাসা করি বলে মাটিটা অনেক ফুরফুরে থাকে। হাওয়াবাতাস চলাচল করে। কিন্তু মাটি যদি দূষিত হয়ে ওঠে ক্রমশ, যদি বারবার ট্রাক্টর, পাওয়ার-টিলারের মতো মেশি চালানো হয় আমরা বাঁচব? আমাদের বাচ্চারা বাঁচবে? সবাই একেবারে শেষ হয়ে যাবে। মাটির নীচে যন্ত্রের চাপে আমাদের বাসা, ডিম, লার্ভা সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মধু-মৌমাছিদের মতো গাছে ঝুলে থাকলে তবু মন্দের ভালো হত। মাটি আর জলদূষণ চট করে গায়ে লাগত না। কিন্তু মাটির নীচে কি শুধু আমরা থাকি? আরও অনেকে থাকে। বোলতা, গুবরে, পোকার দল, কেঁচো, কত ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া। মাটির অবস্থা এমন হলে তোমাদের ফসল ফলবে?
এদিকে আরেক সমস্যা হয়েছে আমাদের পুষ্পপঞ্জিকা নিয়ে। সারা বছর আমরা একটা হিসেবে চলি। কখন কোন ফুল ফোটে সেই হিসেব আমাদের জানা। সেই হিসেব ভেঙে আগে বা পরে ফুল ফুটছে বলে আমাদের ভাঁড়ারে বড় টানাটানি পড়েছে। ভালো করে রস, রেণু পাওয়া যাচ্ছে না অনেক সময়ে। অসময়ে বৃষ্টি, গরম এসব তো আছেই। তোমাদের কি চোখে পড়ছে না এসব কিছু? বসন্তের অনেক আগে কোকিল ডাকছে, শীতের অভাবে আমের ফুল, মুকুল সব এসে যাচ্ছে অনেক আগে। সেই অব্যবস্থা সামলাতে আমচাষিরা পাগলের মতো বিষ দিল এবার আমের ফুলে, গুটিতে। আমাদের বংশ উজাড় হয়ে যেতে বসেছিল একেবারে। এই আম আবার তোমরা বাড়িসুদ্ধ লোক তারিয়ে তারিয়ে খাবে!
তোমরা যেমন ভাত ডাল শাক মাছ মাংস ফল বাদাম কন্দ ইত্যাদি খাবার থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করো আমাদেরও তেমন নানারকম ফুলের প্রয়োজন হয়। চারিদিকে আজকাল দেখি ঝোপঝাড়, জঙ্গল, ঘাস সব কেটে ফেলছে। মুখে বলতে পারি না বলে তোমরা আমাদের চিৎকার শুনতে পাও না, না? হঠাৎ দেখি বাসা নেই। হঠাৎ দেখি গতকাল অবধিও যেখানে অনেক খাবার ছিল, আজ তা একেবারে ধূ ধূ মাঠ। দেখতে ভালো লাগবে বলে সাফ করে ফেলেছ তোমরা সব। দেখতে ভালো লাগবে বলে এমন সব গাছ এনেছ যাতে তোমরা ফুল ফুটতে দাও না। ফুল ফুটলেও অনেক সময় আমাদের কাজে লাগে না। সবাই মিলে যেন আমাদের গলা টিপে দম আটকে ধরেছ একেবারে। পেটের খাবার নেই, তেষ্টার জল নেই। তবুও দেখো, যেখানে যেটুকু আশ্রয় পেয়েছি বাসা করে গাছের কোটরে, দেওয়ালের ফাটলে, কার্নিশে, আরও নানা জায়গায় আছি।
তবে এখানে থাকলে আমরা আর বাঁচব না বুঝতে পারছি। আমরা তাই ক্রমশ ছেড়ে যাচ্ছি তোমাদের গাঁ-গঞ্জ, শহর। চলে যাচ্ছি যেখানে যেটুকু জঙ্গল আছে সেইখানে। এভাবে বিষের জ্বালায়, ক্ষিধের জ্বালায় আর মরব না। আর বাচ্চাদের মরতে দেখতে পারব না। মাত্র কয়েকটা দিন বা বছর আমরা বাঁচি। জন্ম থেকে মৃত্যু কঠোর পরিশ্রম করে চলি। যারা চাকে থাকে তারাই যত্নআত্তি করে তাদের রানিকে বানায় আবার রানির আচরণ ভালো না লাগলে চাক থেকে সরে যেতে বাধ্য করে, নাহলে মৃত্যুদণ্ড দেয়। কেউ কারও ক্ষতি করে না। অকারণে কখনও আক্রমণ করে না। এরকম সৎ, পরিশ্রমী, নিয়মানুবর্তী জীবনযাপন করার পরেও যখন দেখি আমাদের ঘরে ঘরে এত রোগ-মড়ক লাগছে, সেই দুর্বলতার সুযোগে অন্য পোকারা এসে আমাদের বাসস্থান দখল করে ফেলছে, সাথীরা উড়ে পালাচ্ছে– তখন দুঃখকষ্টে ক্লান্তিতে মন ভেঙে যায়।
এতদিন পৃথিবীতে আছি কিন্তু এমন যেন আর কখনও ঘটেনি। মানুষও বেশ কিছুদিন আছে কিন্তু তারাও যেন খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে।
তোমাদের গানে আমাদের নিয়ে কত কথা। আগে তোমাদের সময় ছিল ভাবার। এখন নেই। কে তোমাদের এত সময় চুরি করে নিচ্ছে বলো তো? কীসে এত সময় খরচ হয়ে যাচ্ছে তোমাদের? সে কথা তোমরা কি ভেবেছ?
ঘরের আশপাশে চাক বেঁধে দেখতে থাকলেই পেস্ট কন্ট্রোল ডেকে আমাদের মারার ব্যবস্থা কোরো না। চাক পুড়িয়ে দিয়ে আমাদের জ্যান্ত মেরে ফেলো না। আমরা কেউ কামড়াই না কথায় কথায়। কীসের এত ভয় তোমাদের? এত ভয় তো আগে ছিল না! সবকিছুকে এত ভয় পেলে ভয় দেখিয়েই যে তোমাদের বশ করে ফেলবে যে কেউ! খুব সমস্যা মনে করলে কোনও মৌ-পালককে ডেকে আমাদের সযত্নে সরিয়ে দিতে বোলো। যে মুখে মৌমাছি, ফুল, ভোমরার নামে এত সুন্দর গান গাও সেই মুখে আমাদের অনায়াসে মারার হুকুম দাও কী করে? সেই মুখ আমাদের এই দুর্দশা নিয়ে কিছু বলবে না? কিছু ভাববে না?
চোখ বুজে একবার ভেবো, সারা পৃথিবীর সব গাছে ঘাসে গুল্ম লতায় শত সহস্র ফুল ধরে আছে, শুধু আমরা কেউ আর নেই। ভাবতে পারছ কী হবে? কেমন লাগবে সেই পৃথিবী?
সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আজ বিশ্ব মৌমাছি দিবসে আমাদের একটা অনুরোধ, একবার তোমরা নিজেদের দিকে তাকাও, একবার তাকাও প্রকৃতির দিকে, আর একবার অন্তত মনে করো পৃথিবীর সুপ্রাচীন ইতিহাস।
আর একবার ভেবে দেখো কেমন ছিল মৌমাছি ও মানুষের শত-সহস্র বছরের সম্পর্ক!
আমরা তোমাদের দিকে রইলাম তাকিয়ে।
বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদের শিল্পী হ্যারল্ড শ্যাপিনস্কিকে আবিষ্কার করেছিলেন এ দেশের আকুমল রামচন্দ্র। আকুমলের বহু চেষ্টার পর লন্ডনে প্রথম প্রদর্শনী হয় শ্যাপিনস্কির। বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ এই আবিষ্কারের গল্প নিয়ে ২০ পৃষ্ঠা জুড়ে বিশাল লেখা প্রকাশ করে।