‘* ক্ষয় হলেই সব্বোনাশ’– ১৯৯৬ সালে দেখা গড়িয়া-যাদবপুর রুটের এই অটোলিপিতে বক্তব্য প্রকাশে খানিক আড়ালের আশ্রয় নিয়েছেন লিপিকার লোকলজ্জার ভয়ে। ‘*’ চিহ্নিত স্থানে ‘বীর্য’ হওয়ার সম্ভাবনাই নিরঙ্কুশ। লেখার লক্ষ্য যে পুরুষসমাজ তথা ছেলেরা, তা বলাই বাহুল্য। এহেন পর্দানসীন অটোলিপিবিশেষ ইরোটিক স্বপ্নের পাল্লায় পড়ে কিশোর যুব-র বস্তুধন হারিয়ে অতল বিমর্ষতায় আচ্ছন্ন হওয়ার কথা বলে। ‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিরিজের আজ প্রথম পর্ব।
১.
মানুষ ভেদে বদলে যায় একে-অপরের সম্পর্ক। একই মানুষ কখনও বাবা, কখনও ছেলে কিংবা শালা অথবা জামাই ইত্যাদি। অন্যের দৃষ্টিতেও বদলে বদলে যায় তার ভূমিকা। কোথাও সে জেঠু, কোথাও-বা কাকা, মামা, দাদা বা দাদু ইত্যাদি। লিঙ্গ-নির্বিশেষে এ এক অমোঘ সত্য।
এই সত্যই প্রতিফলিত হতে দেখা যায় অটোপৃষ্ঠে। অটোলিপি রূপে। সমাজভাষ্য হিসাবে যার মূল্যকে অস্বীকার করা এককথায় অসম্ভব! মার্কেসের জীবনীকার সিলভানা পেটারনোস্ত্রো-র মতো এক মরমিয়া যেদিন অটাে-র জীবনী লিখবেন; তিনিও হয়তো বাহনকুলে কর্ণস্বরূপ এই ত্রিচক্রযানের গায়ে লেখা এহেন লিপির সূত্রে বাহনলিপির দুনিয়ায় আসা বাঁক-বদলকে, বি.সি. ও এ.সি. যুগের অনুকরণে চিহ্নিত করবেন ‘বি.অ.’ ও ‘এ.অ.’ হিসাবে। বি.অ. হল ‘বিফোর cien años de অটোলিপি’ আর এ.অ. ‘আফটার cien años de অটোলিপি’!
গৌরচন্দ্রিকা নেহাত কম হল না, এবার, ‘Be Practical’, লেখা ছিল নিউ দিল্লির শহিদ স্মৃতি-র সামনে দিয়ে হুস করে বেরিয়ে যাওয়া অটোপৃষ্ঠে। সে-ও প্রায় এক দশক আগের কথা। আজকের ভারতের অদৃষ্টলিপি লেখা হয়ে গিয়েছিল তখনই। আমরা শিক্ষিত মানুষ পাত্তা দিইনি দলিত বাহনের কথায়। কে জানে, সেদিন শিল্পী দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী-র গড়া জীবনের অন্তিম ভাস্কর্যটির পুরোভাগে থাকা গান্ধীজিও ক্ষণিকের তরে হয়তো মুচকি হেসেছিলেন তাঁর সামনে দিয়ে নীরবে চলে যাওয়া অটোলিপিটি দেখে।
জামাই ও শ্বশুরের আন্তঃসম্পর্কের একটি সংস্করণ অন্তত ধরা আছে এই অটোলিপিতে– ‘ শ্বশুরের কামাই, খাচ্ছে জামাই/ একবেলা ভাত, দুইবেলা লাথ।’
এর ঠিক নিচেই ছিল এই অ্যানেকডোট: ‘মা ভগবান বৌ শয়তান’!
অটোলিপিটির প্রথম পর্বে পাই, শ্বশুরের ঘাড়ে বসে খাওয়া ঘরজামাই সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতায় জারিত মূল্যায়ন। আর পরেরটুকুতে যেন রয়েছে সেই চিরচেনা চেতাবনি– যা একই দেহে দ্বৈত সত্তার কথা বলে। সবটাই দেখার, বোঝার সৌজন্যে। জীবনের পথে নানা স্টপে বদলে যায় দেখার দৃষ্টিভঙ্গি, সম্পর্কের গভীরে বাসা বাঁধে স্বার্থ। কতকটা সিস্টের মতো বেড়ে ওঠে গোকূলে সে নীরবে, কোনওরকম উপস্থিতির জানান ছাড়াই। যখন ধরা পড়ে সচেতনে, ততক্ষণে সংশ্লিষ্ট সম্পর্কের ভাগ্যনির্ধারণ হয়ে যায় প্রায়শ। এরকম এক পরিস্থিতিরই লিপিরূপ পূর্বোক্ত অটোলিপি।
চেনা সম্পর্কের রাগ-রং চমৎকার ধরা পড়েছে নিম্নোক্ত অটোলিপিগুলোতে–
১.‘জন জামাই ভাগনা তিন সাথ দেয়না’ (২০০৭)
২.‘ভাইবোন চিরোন্তন’ (২০০৮)
৩. ‘শালী আধি ঘরওয়ালী’ (২০০৯)
৪. ‘সুন্দরী দেখলেই তেড়ে গালী/ বোয়ের বেলায় অভাবী হলি’ (২০০৯)
৫.‘শালী আপন শালা পর/ শাশুড়ী-বোয়ের হাত ধরে ঘোর’ (২০১১)
উপরোক্ত অটোলিপিগুলোর মধ্যে প্রথমটি প্রবাদমূলক নঞর্থক মূল্যায়ন হলেও বাকিগুলোর মধ্যে একটা ইতিবাচক ন্যারেশন রয়েছে। শেষোক্ত তিনটি তো বর্ণময় কৌতুকপূর্ণ। চতুর্থটিতে একটু অনুযোগের সুরে খানিক পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত রয়েছে। পঞ্চমটিতে তো রাখঢাকের কোনও বালাই নেই। একটাই অপশন। ইদার ‘Accept or Go to Hell’ (সৌজন্যে: জয়পুরের অটো, ২০০৬)।
‘ছেলে মানুস কোরো, কিচ্ছু আশা কোরো না’– ডায়মন্ড হারবারে দেখা (২০০৫) এই অটোলিপি তো সাক্ষাৎ সমকালের গভীর পর্যবেক্ষণলব্ধ সারকথা। সন্তানের ওপর বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা’রা ভরসা হারাচ্ছেন– এ শুধু গভীর উদ্বেগেরই নয়, চরম হতাশারও কথা, সামাজিক-নৈতিক অবক্ষয়ের জ্বলন্ত নমুনা। ‘বিবাহিত ছেলে নিজের হয়না’ জাতীয় অটোলিপিও একই ভাবনা থেকে লেখা হয়ে থাকে।
নিজ পুত্রসন্তান সম্পর্কে যে-ভাব ব্যক্ত হয়েছে বাহনপৃষ্ঠে বাক্ রূপে, তাতে ব্যক্ত হয়েছে আমাদের ঘিরে থাকা দেশ-কাল-সমাজ। বাস্তব সত্য এভাবেই প্রকাশিত হয় তার অব্যক্ত অবস্থা থেকে। এহেন চলমান লিপি আগামীর উপসর্গ মাত্র। সম্পর্কের অসুখ আরও গভীরে। অর্থাৎ, ব্যক্তি ও সম্পর্ক সম্পর্কিত অটোলিপি অবশ্যই দেশ-কালের কাঠামোয় আধারিত।
লক্ষণীয়, কন্যা সন্তান সম্পর্কে অটোলিপির বয়ান যেন প্রকৃতি নির্ধারিত। ‘বিয়ের পর মেয়েরা পর হয়ে যায়’– এই মেদিনপুরি অটোলিপি (খড়গপুর, ২০০৬) তার নমুনা বলা যেতে পারে। এই বলার মধ্যে একটা ফল্গু করুণ সুরের ধারা রয়েছে, রয়েছে হারানোর ব্যথা-বেদনা, হাহাকার। এক ধরনের ধূসর একাকিত্ব ঘিরে রয়েছে লিপিটিকে।
‘* ক্ষয় হলেই সব্বোনাশ’– ১৯৯৬ সালে দেখা গড়িয়া-যাদবপুর রুটের এই অটোলিপিতে বক্তব্য প্রকাশে খানিক আড়ালের আশ্রয় নিয়েছেন লিপিকার লোকলজ্জার ভয়ে। ‘*’ চিহ্নিত স্থানে ‘বীর্য’ হওয়ার সম্ভাবনাই নিরঙ্কুশ। লেখার লক্ষ্য যে পুরুষসমাজ তথা ছেলেরা, তা বলাই বাহুল্য। এহেন পর্দানসীন অটোলিপিবিশেষ ইরোটিক স্বপ্নের পাল্লায় পড়ে কিশোর যুব-র বস্তুধন হারিয়ে অতল বিমর্ষতায় আচ্ছন্ন হওয়ার কথা বলে। যুবসত্তায় কাম ও রুদ্রের একসঙ্গে জেগে ওঠার লোকপ্রজ্ঞার এই লিখিত রূপ নাগরিক লোকসংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে ছড়িয়ে পড়তে চায় যুবমানসে।
অটোর গায়ে যখন দেখবেন ‘শাশুড়ি জ্ঞানের ভান্ডার শশুড় নীরব অবতার’ (হিলকার্ট রোড, শিলিগুড়ি, ২০০৪), তখন গোমরাথেরিয়ামের পক্ষেও হাসে চেপে রাখা মুশকিল, একথা হলফ করে বলা যায়, ব্যক্তি-সম্পর্ক নিয়ে হাস্যরসে বিদ্ধ আরও কিছু অটোলিপি সেবন করুন তবে–
‘শালী আপন সালা পর যত পারিস শালী ধর’ (টালিগঞ্জ, ২০০২)
‘বেটা তেরা বেটী সুহানা মেরে পাস রাখ যানা’ (হিন্দিতে লেখা, পাটনা, ২০০০)
‘ভাবিজী, ভাবিজী, ম্যায় তেরা লেড়কীকা গোবিন্দজী’ (হিন্দিতে, লক্ষ্মৌ, ২০০৩)
‘বউ আসবে বউ যাবে বন্ধু তোমার পাশে থাকবে’ (বেলেঘাটা, ১৯৯৯)
‘পাত্র চাই? পাত্রী চাই? আমাকে বলুন।’ (সোদপুর, ২০০১)
‘অ্যাই ভাই, বউদি ডাকছেন’ (রথতলা, মালদা, ২০০৮)
ব্যক্তি এবং সম্পর্ক বিশেষ নিয়ে দার্শনিকসুলভ অটোলিপিও রচিত হতে দেখে থাকবেন। নমুনা: ‘ভালো সামী হওয়া যায় না’ (WB04 5376)। হতে পারে, মানুষের মধ্যে সুপ্ত নিঃসঙ্গ সত্তার তার অর্ধাঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পৃক্তির ধরনধারণ বোঝাতে চেয়েছেন লিপিকার। এই লিপিতে একদিকে উদ্বেগ অর্থাৎ ‘anxious hyper activation’; অন্যদিকে এড়িয়ে চলা অর্থাৎ ‘avoidant deactivation’– এই দুই লক্ষণই রয়েছে। অ্যাটাচমেন্ট থিয়োরির প্রবক্তারা নিঃসঙ্গ মানুষের সম্পৃক্তির প্রকৃতি বুঝতে এই দুই লক্ষণের কথাই তো বলে থাকেন।
‘বৌয়েরা ভালো, স্বামিরা সবসময় খারাপ’ (বেলঘরিয়া, ২০০১)– স্পাইর্যাল গ্যালাক্সির মতো অচিন্তনীয় একপেশে এহেন অটোলিপির মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ, শ্বাস রুদ্ধকর অভিজ্ঞতা এবং তীব্র শ্লেষ-এর কোলাজ; নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং/অথবা খুব কাছ থেকে দেখা ঘটনা যার ভিত্তি।
প্রবাদের আদলে লেখা আটোলিপিতে রম্যের মোড়কে পাওয়া গিয়েছে (নৈহাটি, ২০০১) জামাইকে– ‘আম কাঁটালের গন্ধে জামাই আসে আনন্দে’। এক্ষেত্রে ‘কাঁটাল’ শব্দে ‘ঠ’, ‘ট’ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়ায় লিপিতে এক ধরনের আটপৌরে ভাব এসেছে।
সামাজিক চরিত্র সম্পর্কিত প্রবাদ সরাসরি অটোপৃষ্ঠে উৎকীর্ণ হয়েছে, এমন নজিরও রয়েছে। এরকম তিনটি নমুনা পেয়েছি: ‘বাপ সসুর সে তানা, বন্দ হুআ মায়কে জানা’। এই হিন্দিভাষী অটোলিপিটি পেয়েছি (২০০৯) ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে পুরনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে। অর্থ: বাপ-শ্বশুরের মধ্যে আড়াআড়ি সম্পর্কের জন্য বন্ধ হল মেয়ের বাপের বাড়ি যাওয়া। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা একটা রাজ্যে সেই সময় এহেন অটোলিপি লেখানোটা লিপিকারের উদার মনের পরিচায়ক।
ওড়িয়া লিপিতে লেখা ওড়িয়া প্রবাদ ‘সবতো পুঅর সবু ওহ’, ২০০৪ সালে দেখেছিলাম বালেশ্বরে। অর্থ: সতীনের পুত সবটাই গু-মুত। এই বাক্য চয়ন লিপিকার ও সংশ্লিষ্ট সমাজে সতীন সম্পর্কে সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচয় বহন করছে।
রাজস্থানের যোধপুরে ক্লক টাওয়ার সংলগ্ন ত্রিপোলিয়া বাজারে ঘুরছি একাকী। তখনই পেয়েছিলাম এই রাজস্থানী প্রবাদকে অটোগাত্রে: ‘বহুরা লখন বারনৈসুঁ ওড়খীজৈ’ (২০০৬)। বস্তুত স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে ফুটপাতের এক দোকানদারই বিষয়টি আমার নজরে আনেন। মধ্য পঞ্চাশের উচ্চমাধ্যমিক পাশ সেই ভদ্রলোকের নাম সুশীল মগরা। একথা-সেকথায় বাহনলিপির প্রসঙ্গও উঠেছিল। সেই সূত্রেই সহসা দেখা মাত্র তিনি বিষয়টির প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং অর্থও বলে দেন। অটোলিপিটির মর্মার্থ: দোরগোড়া থেকেই বোঝা যায় পুত্রবধূ কেমন ধারার মেয়ে! এক্ষেএেও মহিলাদের সন্দেহ ও খাটো চোখে দেখার মানসিকতা চাপা থাকেনি। অটোলিপিতে নানা সময়ই এ জিনিস খুব প্রচলিত, এবং ব্যঙ্গের তীরখানাও গিয়ে লাগে মেয়েদের গায়েই।
‘Fathers Are Always Great’– এই গর্বের কথা লেখা ছিল কেরলের কোচিতে এক অটোর গায়ে (২০১০)। বাবাকে নিয়ে শ্রদ্ধামিশ্রিত অটোলিপি দেখা গিয়েছে মুম্বই (১৯৯৮) এবং কলকাতার (২০০৪) অটোতেও। যথা: ‘FATHER THE SUPER HERO’ এবং ‘বাবা ই সেরার সেরা’।
এ রাজ্যে কলকাতা-সহ শহরতলি ও অন্যত্রও প্রায়শই চোখে পড়ে: ‘কাকার আশীর্বাদ’, ‘দাদু-দিদার আশীর্বাদ’, ‘মায়ের দোয়া’, ‘দাদার দান’, ‘কাকুর ভালোবাসা’। এসব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অটোচালক বা মালিক উল্লিখিত সম্পর্কের ব্যক্তির কাছ থেকে আর্থিক (সম্পূর্ণ বা আংশিক) সাহায্য-সহায়তা পেয়েছেন। লিপিগুলো তাঁদের প্রতি ঋণস্বীকারের ঘোষণা স্বরূপ।
অটোপৃষ্টে আয়তাকার কাচের ওপর রঙিন হরফে শুধুই লেখা রয়েছে মামা, কাকা, জেঠু, ছোড়দা, মেজকা, দাদান, দাদুভাই, বড়মামা, বড়দা– এমনটাও দেখা গিয়েছে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে। এই উচ্চারণ সম্পর্কের অন্তর্বয়ন। নিখাদ ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতার নমুনা। এসব লিপিতে যেটা অনুক্ত থাকে তা হল ‘আয়, আরো বেঁধে বেঁধে থাকি মোরা’ (WBOI C2947)।
সম্পর্কের উল্লেখে ইয়ার্কি-ফাজলামিও চোখে পড়ে বইকি! যেমন– ‘মামার বাড়ি নয়, গাড়ি’ (WB04 B8120); ‘কাকা, কোথায় যাচ্ছো?’ (WB 04 B9124); ‘Hey Bhai Tera Nam to Bata’ (WB19 B4859); ‘ও দাদা’; ‘জামাই বাবাজী’ (পাশের হাসির ইমোজি)।
এভাবে অটোলিপিতে সম্পর্কের উল্লেখের মধ্যে রয়েছে সময়ের দাগ। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির দৌলতে সেদিন আর খুব বেশি দূরে নেই যখন এসব স্মৃতি হয়ে যাবে। অটোলিপিতে উদ্ভাসিত এহেন আঁচড় সন্তর্পণে পাঠক-দর্শককে এক জীবনসত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় সহসা। আমার-আপনার লব্জে যা আপাত তুচ্ছ, সেটাই অটোলিপিকারের দৌলতে বিস্ময়ের স্তোত্র হয়ে ভেসে বেড়ায় পথে-পথে।
খেলিফের প্রতি নেটিজেনের বিরুদ্ধতার কারণ তাই, আর যাই হোক, তা ‘মেয়েদের সমানাধিকারের’ দাবিতে নয়। সমস্যা অবশ্যই খেলিফের লম্বা, পেটানো পেশিবহুল চেহারা– যা বহু মানুষের মতে ‘নারীসুলভ’ নয়। অর্থাৎ, অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করা ক্রীড়াবিদ পাশ করতে পারেননি আমাদের বিউটি প্যাজেন্টে। দুইক্ষেত্রেই লজ্জা আমাদের। তবুও খেলিফ জিতলেন, সোনা ছাড়া আর কীই বা পেতে পারতেন তিনি?