Robbar

Ritwik Ghatak

ফুলের রং শেষ পর্যন্ত মিশে যায় নন্দিনীর বুকের রক্তের ইমেজে

পাঞ্জাব, বিহার, বাংলা ১৯৪৬-’৪৭ সালে খুনে লাল হয়ে ছিল। দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন জয়নুল আবেদিন, চিত্তপ্রসাদ, সোমনাথ হোড়। দাঙ্গায় অবিরাম রক্তস্রোত আঁকলেন না কেন? যাঁরা এঁকেছেন, আগুন জ্বেলেছেন, রক্তের দিকটা ধুয়ে দিয়েছেন।

→

জীবনানন্দেরই বিড়ালের মতো তাঁর সঙ্গে আমাদের দেখা হয় নৈশ সড়কে, ইতিহাসে

এখন খানিকটা বুঝতে পারি জীবনানন্দ দাশ কেন তাঁর মাতৃভাষায় ‘জল’ নামের একটি অতিব্যবহৃত শব্দের নিকট ও সুদূর অর্থ বিষয়ে চিন্তিত হয়ে উঠেছিলেন।

→

প্রথম যুগের মেয়েরা কি আদৌ চাকরিতে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলেন?

প্রথম যুগের চাকুরিরতারা চিরাচরিত সাংসারিক নিয়ম নীতিকে প্রশ্ন করেছিলেন, ছক ভেঙেছিলেন, একটু হলেও বাড়তি গুরুত্ব আদায় করেছিলেন ঘরে বাইরে। উত্তরকন্যাদের চৌকাঠ পেরনো মসৃণ হয়েছিল তাঁদের মা, দিদিমা, ঠাকুমাদের জন্য।

→

কেষ্ট একাই এক-শো

তিনি অভিনেতা হিসেবে সবসময় পার্শ্ব কিন্তু তীক্ষ্ণ। প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাধারণের, কিন্তু প্রতিনিধিত্ব করেছেন অসাধারণ। তিনি টলেছেন কম, টলিয়েছেন বেশি। ভারতীয় সিনেমায় তিনি একটা যুগ, যেখানে ক্ষুদ্র ভূমিকা তুচ্ছতার সঙ্গে পরিকল্পিত হত না।

→

দেশভাগের পর স্মৃতিই হয়ে উঠেছিল রণেন রায়চৌধুরীর গানের খাতা

কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে, ১৯৪৮ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার হন রণেন রায়চৌধুরী। ১১ মাস কারাবাস আর ৭ মাস নজরবন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়ে, আটক করা বইপত্র ফেরত পেলেও, তার মধ্যে থাকা গানের খাতাগুলি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরে ছিন্নমূল হয়ে দেশ ছাড়ার কারণে শুধু স্মৃতিতে থেকে যাওয়া গানগুলিই হয়ে উঠেছিল তাঁর ‘নির্ধনিয়ার ধন’।

→

ধূমপান নিষেধের নিয়ম বদলান, আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন ঋত্বিক ঘটক

আকাশবাণীতে ঋত্বিক ঘটক স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন, ‘আমি স্বদেশি লোক। সিগারেট নয়, বিড়ি খাই। আপনারা আপনাদের নিয়ম পাল্টান। আর্টিস্টরা বিড়ি খাবে না– এটা হতে পারে না।’

→

ঋত্বিকের ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’ রুক্ষ বাস্তবের, শিব্রামের ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’ অনাবিল শিশুসাহিত্য

বইয়ের পাতার কাঞ্চন যখন সেলুলয়েডের কাঞ্চন হয়ে ওঠে, তখন তা আর শিব্রামের কাঞ্চন থাকে না, তা হয়ে যায় ঋত্বিকের কাঞ্চন। সেই কাঞ্চন দেখে এক কাঞ্চন দেশের স্বপ্ন, যার নাম এল ডোরাডো।

→

‘কোমল গান্ধার’ এক প্রেমের ছবিই, যা ভবিষ্যৎ অর্থনীতির দলিল হয়ে উঠেছিল

৬০ বছর পরের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির দলিল হয়েও কোমল গান্ধার অপূর্ব প্রেমের ছবি। একটি ব্যক্তিগত ছবি। ব্যক্তিগত দলিল। ঋত্বিক ঘটকই ভৃগু।

→

জগদ্দল মানুষ হয়, বিমল হয়ে যায় যন্তর, যার পোড়া পেট্রোলের গন্ধে নেশা লাগে

একটা ভাঙাচোরা লড়ঝড়ে গাড়ি’র মনুষ্যত্ব– নেহাতই উন্মাদ না হলে এই ছবির উদ্ভট প্লট কেউ বিশ্বাস করবে না, ‘অযান্ত্রিক‌’ প্রসঙ্গে বলেছিলেন ঋত্বিক।

→

শালবনে মাতাল নীলকণ্ঠের যে গমনাগমন– তা আসলে শ্মশানের পরপারে বসে থাকা মানুষের

এই হলাহল পান করার অধিকার তো একমাত্র তাঁর। একমাত্র তিনিই, নীলকণ্ঠ বাগচি ওরফে ঋত্বিক ঘটক।

→