সদা ব্যস্ত, অসংখ্য মানুষের ভিড়, ব্রাহ্মণরা নিত্যদিন দানধ্যান, পূজাপাঠে রত। হাটে কেনাবেচার বিরাম ছিল না। আদিতে নাকি কুমারহট্ট ছিল রাঢ়ীয় শাকদ্বীপী ব্রাহ্মণ ও বৈদ্যদের এক অতি প্রাচীন সমাজ স্থান। তাঁরা নানা বিধান দিয়ে সমাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন, আরও ভালো করে বললে বশে রাখতেন। তবে তাঁরা যে দিকপাল পণ্ডিত ছিলেন, সে বিষয়েও সন্দেহ নেই। বস্তুত কুমারহট্ট নামের সঙ্গেও ওই পণ্ডিতদের এক গপ্পো জুড়ে আছে।
২১.
কুমারহট্টের অন্তর্গত হালিশহর, না হালিশহরের অন্তর্গত কুমারহট্ট– এই নিয়ে যতই বিতর্ক থাক, অঞ্চলটি যে অতি প্রাচীন, তা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। কবি কঙ্কণ মুকুন্দরাম তাঁর চণ্ডীমঙ্গলকাব্যে লিখেছিলেন, ওই ১৫৪৪ থেকে ১৫৭৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ–
‘বাম ভাগে হালিশহর দক্ষিণে ত্রিবেণী
দুকুলের কোলাহলে কিছুই না শুনি।’
সদা ব্যস্ত, অসংখ্য মানুষের ভিড়, ব্রাহ্মণরা নিত্যদিন দানধ্যান, পূজাপাঠে রত। হাটে কেনাবেচার বিরাম ছিল না। আদিতে নাকি কুমারহট্ট ছিল রাঢ়ীয় শাকদ্বীপী ব্রাহ্মণ ও বৈদ্যদের এক অতি প্রাচীন সমাজ স্থান। তাঁরা নানা বিধান দিয়ে সমাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন, আরও ভালো করে বললে বশে রাখতেন। তবে তাঁরা যে দিকপাল পণ্ডিত ছিলেন, সে বিষয়েও সন্দেহ নেই। বস্তুত কুমারহট্ট নামের সঙ্গেও ওই পণ্ডিতদের এক গপ্প জুড়ে আছে। কুমারহট্টের পণ্ডিত-সমাজের কথা শুনে একবার নবদ্বীপ থেকে একদল পণ্ডিত এলেন ন্যায়শাস্ত্র নিয়ে তর্ক জুড়তে। নবদ্বীপের পণ্ডিতদের খ্যাতি তখন তুঙ্গে, তাই কুমারহট্টের পণ্ডিতরা কৌশল করে তাঁদের তাড়িয়ে দিলেন।
এক কুম্ভকার যুবককে মেয়ে সাজিয়ে সঙ্গে এক ছোট্ট ছেলেকে পাঠানো হল পণ্ডিতদের গৃহকর্মে সাহায্য করার জন্য। ভোরবেলায় কাকের দল কা কা রবে ডেকে উঠল, আর তাই দেখে ছোট্ট ছেলেটি পণ্ডিতদের জিজ্ঞেস করে বসল কাকেরা অমন কেন করছে। এর নির্দিষ্ট কোনও উত্তর পণ্ডিতদের কাছে ছিল না, তখন ছেলেটি তার সাজানো মাকেই জিজ্ঞেস করতে সেই কুমোরের পো এক সংস্কৃত শ্লোক আউড়ে উত্তর দিলেন, যার অর্থ ছিল– সূর্য উদিত হলে সমস্ত কালো বিনষ্ট হয়, কাকেরা আশঙ্কা করছে পাছে সূর্যদেব তাদেরও অন্ধকার ভেবে বিনাশ করে বসেন, তাই তারা কা কা রবে নিজেদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দিচ্ছে। নবদ্বীপের পণ্ডিতেরা স্ত্রীবেশী কুমোরের পো-কে জিজ্ঞেস করলেন, এসব কোথা থেকে সে শিখেছে। সেই যুবক বললেন, লেখাপড়া তিনি আদৌ শেখেননি, কেবল পণ্ডিতদের বাড়ির আলোচনা শুনে শুনে এইটা শিখেছেন। নবদ্বীপের পণ্ডিতেরা ভাবলেন সামান্য পরিচারিকা যদি এমন কথা সব শিখে থাকে, তবে পণ্ডিতেরা কী না কী জানেন, তর্ক করে তাঁদের কাছে মান খোয়ানোর চেয়ে পালিয়ে যাওয়া অনেক শ্রেয়। সামান্য এক কুমোর পণ্ডিতদের অমন নাজেহাল করেছিল বলে তাঁর সম্মানেই অঞ্চলের নাম হয় ‘কুমারহট্ট’।
………………………………………………………………………………………………….
এখানে এসেছিলেন শ্রীচৈতন্য, তাঁর মন্ত্রগুরু ঈশ্বরপুরীর শ্রীপাট এই কুমারহট্টেই। গুরুর জন্মভিটা থেকে একমুঠো মাটি তুলে নিয়ে আঁচলে বেঁধে নিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্য। তাঁর দেখাদেখি তাঁর অনুগামীরাও প্রত্যেকে এক খাবলা করে মাটি তুলে তুলে নিলে ছোটখাট একটি ডোবা তৈরি হয়ে যায়, যেটি আজও ‘চৈতন্যডোবা’ নামে পরিচিত, যা বৈষ্ণবদের এক অতি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।
………………………………………………………………………………………………….
অবশ্য এই নামকরণের সঙ্গে জুড়ে আছে এক ঐতিহাসিক চরিত্রও। যশোরের অধিপতি প্রতাপাদিত্য সপরিবারে মাঝেমধ্যেই এখানে আসতেন, আর তাঁর পুত্র উদয়াদিত্য মাঝেমধ্যেই বন্ধুবান্ধব নিয়ে কয়েক দিন আড্ডা গাড়তেন এখানে। লোকলস্কর অনেক আসত তাঁর সঙ্গে, আর সেই উপলক্ষে হাট বসে যেত– কুমারের হাট, তাই কুমারহট্ট। আবার কেউ কেউ দাবি করেন, এখানকার কুমোর ও তাদের মাটির তৈজসপত্রের নামডাকের কারণেই এলাকার নাম হয় কুমারহট্ট বা কুমোরের হাট।
এখানে এসেছিলেন শ্রীচৈতন্য, তাঁর মন্ত্রগুরু ঈশ্বরপুরীর শ্রীপাট এই কুমারহট্টেই। গুরুর জন্মভিটা থেকে একমুঠো মাটি তুলে নিয়ে আঁচলে বেঁধে নিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্য। তাঁর দেখাদেখি তাঁর অনুগামীরাও প্রত্যেকে এক খাবলা করে মাটি তুলে তুলে নিলে ছোটখাট একটি ডোবা তৈরি হয়ে যায়, যেটি আজও ‘চৈতন্যডোবা’ নামে পরিচিত, যা বৈষ্ণবদের এক অতি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। তবে হালিশহর তথা কুমারহট্টের প্রধান পরিচিতি অবশ্যই কবিরঞ্জন রামপ্রসাদের জন্মস্থানের কারণে। সম্ভবত ১৭২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই হালিশহরেই জন্মেছিলেন রামপ্রসাদ সেন। ছোট্টবেলা থেকেই ভাষাশিক্ষার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। বাংলা সংস্কৃত তো জানতেনই, সঙ্গে ফারসি ও হিন্দি ভাষাতেও তাঁর বুৎপত্তি ছিল বলে জানা যায়। ২২ বছর বয়সে তাঁর বিবাহ হয়ে গেলেও সংসারে তেমন আসক্তি ছিল না, কিন্তু আকস্মিকভাবে পিতার মৃত্যু হলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই রোজগারের আশায় কলকাতায় আসতে হয়।
কলকাতায় এসে কোনও এক বড় মানুষের সেরেস্তায় মুহুরির কাজ জুটে যায়। কোন মানুষের সেরেস্তা, সেটা নিয়েও বহু বিতর্ক আছে। কেউ বলেন গরণহাটার দুর্গাচরণ মিত্র, কেউ বা বলেন ভূকৈলাসের গোকুলচন্দ্র ঘোষাল আবার কেউ বা বলেন তাঁর মনিব ছিলেন বাগবাজারের মদনমোহন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা গোকুলচন্দ্র মিত্র। তবে যিনিই হন না কেন, তিনি যে ভক্ত ছিলেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। কেননা হিসেবের খাতার পাতায় পাতায় রামপ্রসাদ যখন মায়ের নামে গান রচনা করে চলেছিলেন, তখন সেই ভদ্রলোকের চোখে পড়ার পর তিনি বুঝতে পারেন রামপ্রসাদ এক অতি উচ্চমানের মাতৃসাধক ও কবি। তাই তিনি তাঁকে হিসেবরক্ষার কাজে অব্যাহতি দিলেও তাঁর মাস মাইনে থেকে বঞ্চিত করেননি আজীবন। এরই মাঝে রামপ্রসাদের জীবনে আসেন তাঁর তান্ত্রিক দীক্ষাগুরু কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। একজন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের কথা জানা যায়, যিনি ছিলেন শ্রীচৈতন্যের সমসাময়িক এবং নবদ্বীপেরই বাসিন্দা। সমস্ত তন্ত্রশাস্ত্র ঘেঁটে তার সারোৎসার সংকলন করে রচনা করেছিলেন ‘বৃহৎ তন্ত্রসার’ নামে এক গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক। আরও শোনা যায়, তাঁর ধ্যানলব্ধ কালী মূর্তিই আপামর বঙ্গে দেবী কালিকা রূপে আজও পূজিত হয়ে চলেছেন। কিন্তু তিনি রামপ্রসাদের তান্ত্রিক গুরু হতে পারেন না, কেননা শ্রীচৈতন্য ও রামপ্রসাদের মধ্যে পার হয়ে গেছে প্রায় সোয়া দুশো বছর। সুতরাং তাঁরা দু’জনে অবশ্যই পৃথক ব্যক্তি।
হালিশহরে রামপ্রসাদের সাধনস্থলে অনেক আগে থেকেই সাধনা করতেন সাবর্ণ চৌধুরী বংশের রাজা রামকৃষ্ণ। ওখানে পঞ্চমুণ্ডির আসনে তিনি সিদ্ধ হয়েছিলেন বলেও জানা যায়। উপযুক্ত ব্যক্তি ভিন্ন ওই সিদ্ধ আসনে বসার চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয় বলেও জানা যায়, আবার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি জঙ্গলে পরিণত হচ্ছিল। এমন সময় রামকৃষ্ণের পুত্রবধূ রামপ্রসাদকে উপযুক্ত মনে করে সেটি ১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দে দানপত্র করে দিয়ে যান। রামপ্রসাদ সেখানে নির্জনে বসে মাতৃনামে বিভোর হয়ে সাধন করতে থাকেন, লিখতে থাকেন একের পর এক অপূর্ব মাতৃসঙ্গীত, সেগুলির মধ্যে বহু গানেই বীরাচারী সাধনার নিগূঢ় তত্ত্ব সন্নিবিষ্ট আছে বলে জানা যায়। আর ‘প্রসাদী সুরের’ পরশে সেইসব গানগুলি আজও ভক্ত হৃদয়ে অনন্য আবেশ তৈরি করে। ঠিক সেই সময়েই ওই হালিশহরেই বাস করতেন আর এক বৈষ্ণব ও ব্যঙ্গপটু কবি আজু গোঁসাই। কেউ বলেন তাঁর আসল নাম নাকি অযোধ্যারাম গোস্বামী, আবার কেউ বলেন অচ্যূতানন্দ গোস্বামী। রামপ্রসাদ গান লিখলে ইনি তাঁর পাল্টা ব্যঙ্গ গান লিখতেন বলে শোনা যায়। যেমন রামপ্রসাদ লিখলেন,
‘এই সংসার ধোঁকার টাটী, ও ভাই আনন্দ বাজারে লুটি
ওরে ক্ষিতি জল বহ্নি বায়ু শূন্যে পাঁচে পরিপাটী’
আজু গোঁসাই পাল্টা লিখলেন,
‘এই সংসার রসের কুটী ওরে খাই দাই আর মজা লুটি
যার যেমন মন, তার তেমন মন করবে পরিপাটি’
রামপ্রসাদ সম্পর্কে, তাঁর আরাধ্যা কালী মায়ের সঙ্গে জড়িয়ে নানা অলৌকিক কাহিনি ছড়িয়ে আছে। যেমন একদা ঘর ছাওয়ার সময় মা কালী নাকি ছোট্ট মেয়ে সেজে হাতে হাতে দড়ি-দড়া জুগিয়ে দিয়েছিলেন। সদাই নাকি ‘মায়ে-পোয়ে’ কথোপকথন চলত। প্রায় ৬১ বছর বয়সে রামপ্রসাদ এক প্রত্যুষে গঙ্গা স্নানে গেলেন, যেমন নিত্যদিন যেতেন। তবে সেদিনটা ছিল ভিন্ন, সেদিন প্রসাদ তাঁর পূজিত মায়ের মূর্তিখানি মাথায় করে নিয়ে গেলেন, আর সেই অবস্থাতেই গঙ্গায় ডুব দিয়ে অন্তর্হিত হলেন মা আর তাঁর আদরের সন্তান। ‘ডুব দে রে মন কালী বলে’ গানখানিকে আক্ষরিক করে তুললেন সেই দিন।
তবে হালিশহর শুধু ঈশ্বরপুরী আর রামপ্রসাদ পুণ্যেই তীর্থস্থল হয়ে ওঠেনি, এক মহীয়সী নারী, যিনি একাধারে তেজস্বিনী, ভক্তিমতী, করুণাময়ী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন, সেই রানি রাসমণির জন্মস্থলও এই হালিশহর। বস্তুত তাঁর ইচ্ছা ছিল এই হালিশহরেই এক মাতৃমন্দির স্থাপন করার। স্থানীয় কট্টর ব্রাহ্মণদের বাধায় তিনি বাধ্য হয়ে সেই মন্দির স্থাপন করেন দক্ষিণেশ্বরে। সাবর্ণ রায়চৌধুরী বংশের বিদ্যাধর রায় গঙ্গা থেকে এক পাথর পেয়ে তাই দিয়ে গড়িয়েছিলেন এক অনিন্দ্যসুন্দর কালীমূর্তি, প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেবী সিদ্ধেশ্বরীকে এক মন্দির গড়ে। আর সেই পাথরের বাড়তি অংশ দিয়ে গড়িয়েছিলেন এক শিব ও কৃষ্ণমূর্তি। এই সিদ্ধেশ্বরী মাতাই ছিলেন হালিশহরের অধিষ্ঠাত্রী। দুঃখের বিষয়, সেই অপূর্ব কালীমূর্তিখানি ১৯৫৬ সালে চুরি হয়ে যায়।
আজও রামপ্রসাদের ভিটায় গেলে চোখে পড়বে এক স্মিতহাস্য দিক উজ্জ্বল করে দাঁড়িয়ে আছেন জগদম্বা ভবানী মূর্তি। কিন্তু সেটি রামপ্রসাদের পূজিত মূর্তি নয় জেনেও ভক্তেরা রামপ্রসাদ আর তাঁর ভক্তিরসে মজে আধ্যাত্মিক আনন্দে পূর্ণ হয়ে ওঠেন। এই মূর্তি স্থাপিত হয়েছে ১৯৫৭ সালে ‘গুড উইল ফ্রেটারনিটি’র সৌজন্যে, তারাই কবিরঞ্জনের সাধনস্থল ও মাতৃমন্দিরের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে সুচারুরূপে সেটি পরিচালনা করে আসছেন বেশ অনেক বছর। হালিশহরে দেখার মতো আরেক অন্যতম আকর্ষণ টেরাকোটা কারুকার্যে মহিমান্বিত বারেন্দ্র গলির মন্দিরগুচ্ছ। ১৭৪৩ সালে সেগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মদনগোপাল রায়, তাঁর পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে। মদন রায় মুর্শিদাবাদের নবাবের দেওয়ান ছিলেন এবং সাবর্ণ রায়চৌধুরী বংশের সন্তান। এখানে জমিদারি লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক কীর্তি গড়েছিলেন।
কলকাতা থেকে সামান্য দূরে এই তীর্থস্থলে প্রত্যহই অনেক মানুষ আসেন বাঙালির গরিমা পরিচয়ের নিদর্শনগুলিকে প্রত্যক্ষ করতে, কবিরঞ্জন রামপ্রসাদের গানের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গাইতে,
‘মায়ের ভাব কি ভেবে পরাণ গেল
যার নামে হরে কাল, পদে মহাকাল
তার কেন কালোরূপ হল।’
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২০। মামলার টাকায় হংসেশ্বরী মন্দির গড়েছিলেন রাজা নৃসিংহদেব
পর্ব ১৯। হুতোমের কথায়, মাহেশের রথের মতোই স্নানযাত্রারও ধূম ছিল সে কলকাতায়
পর্ব ১৮। কঙ্কালীতলায় বলিদানের বীভৎসতা ব্যথিত করেছিল রবীন্দ্রনাথকে
পর্ব ১৭। শ্রীরাধার মূর্তিকে কনের সাজে যুগল কিশোর মন্দিরে পাঠিয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
পর্ব ১৬। যে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয় জলঘড়ির সাহায্যে
পর্ব ১৫। হেস্টিংসের নজর থেকে গুহ্যকালীর মূর্তি রক্ষা করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব