১৯৮৮ সালে বি. আর. চোপড়া নিয়ে এলেন ‘মহাভারত’। সে আর-এক মহা সেনসেশন তৈরি করল। কিন্তু এসবের নেপথ্যে কি কেবলই হিন্দু সংবেদন? তাহলে তৎকালীন বাম বাংলার রাজধানী কলকাতা জনশূন্য হয়ে যেত কেন ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’-এর সম্প্রচার শুরু হলেই। প্রশ্নও সহজ নয়, উত্তরও তেমনভাবে জানা নেই হয়তো। কিন্তু কিছু কিসসা বুঝিয়ে দেয়, পাবলিক কী পরিমাণ উত্তেজিত ছিল এই দুই টিভি সিরিজ ঘিরে, এবং পুরাণের আখ্যান একেবারে আধুনিক প্রগতির ধ্বজাধারী একটি যন্ত্রের ভেতর দিয়ে ঠিক কীভাবে পৌঁছে যাচ্ছিল বঙ্গজনের কাছে।
২৮.
মাঝসত্তরে টেলিভিশন ঢুকে পড়ার পর থেকেই অবস্থা বদলাচ্ছিল। আশি থেকে ঘরে ঘরে ওই চৌকো বাক্স প্রবেশ করার পর সিনে-বিনোদনের ধারাপাত বদলাল। হলমুখী জনতা ঘরে বসে এমন মালমশলা পেতে শুরু করল, যা একেবারে নতুন, কাঁচা ও টাটকা। সেসময় বহু ছবিরই ঘুরেফিরে রি-রিলিজ করার চল ছিল। ‘গুমনাম’ থেকে ‘শোলে’, ‘তিসরি মঞ্জিল’ থেকে ‘মুঘল এ আজম’– এসবের মজাই ছিল রিপিটে। হয়তো বিকেলে বসন্ত কেবিন বা মালঞ্চ-তে কাটলেট-কবিরাজি আর নাইট শো-এ টিকিট কাটা ‘শক্তি’-র, মাঝে একটা রি-রিলিজ করা ‘সঙ্গম’-এর শো । হয়তো ‘কালা পাত্থর’ হাউজফুল, কুছ পরোয়া নেহি, ‘আরাধনা’ আবার রিলিজ করেছে তো! এই হলে ফের শুভমুক্তির রিপিট ভ্যালুতে কিঞ্চিৎ চোনা ফেলল জাতীয় দূরদর্শন ও মেট্রো চ্যানেল। বাংলা দূরদর্শনও বাংলা ছবি দেখার ভরসাস্থল হয়ে উঠল অচিরেই। ভিসিআর তখনও সবার ঘরে ঢোকেনি। ক্যাটালগ, বুকলেট, গানের বই এতদিন ঘরে জমানো যেত সিনেমার স্মৃতি বা আংশিক সঞ্চয় হিসেবে। এবার গোটা সিনেমাটাই ক্যাসেটবন্দি করে রাখার সুযোগ চলে এল অনেকের কাছে।
বাংলার পাশাপাশি জাতীয় দূরদর্শনের প্রথম যুগটাও কম জরুরি ছিল না। সত্যজিৎ রায়ের ‘সদগতি’ এর মধ্যে জরুরি, কারণ ভারতীয় ছবির নববসন্তের সঙ্গে খুব একটা একমত হননি সত্যজিৎ। কিন্তু ‘সদগতি’ তাঁর চলচ্চিত্রভাষ্যেই এই নববসন্তের সঙ্গে খানিক পত্রালাপ ছিল বলা চলে। ওম পুরি, স্মিতা পাতিল, মোহন আগাশে অভিনীত এই ছবিই সফলভাবে ‘টেলিফিল্ম’ নামক একটি বর্গ নির্মাণ করল ভারতীয় দর্শকের জন্য। কিন্তু কোন দর্শক? আশিস নন্দী ‘ডিপ ফোকাস’ পত্রিকায়, তাঁর ‘ইন্টেলিজেন্ট ফিল্ম ক্রিটিকস গাইড টু ইন্ডিয়ান সিনেমা’ প্রবন্ধে সরাসরি অন্যধারার ছবির বিপ্রতীপেই দাঁড় করিয়েছেন জনপ্রিয় ছবিকে, ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ (সত্যজিৎ রায়) ও ‘কলযুগ’ (শ্যাম বেনেগাল)-এর দৃষ্টান্ত ধরে তিনি দেখাতে চাইলেন, পুরাণ ও ইতিহাসকে এই পরিচালকরা যে সামাজিক অবস্থান থেকে নির্মাণ করছেন (‘কলযুগ’ মহাভারতের আধুনিকীকরণ), তা জনগ্রাহ্য নয়। বরং, নিম্নবর্গের মানুষ মুক্তি খুঁজে পাচ্ছে জনপ্রিয় সিনেমার কল্পবাস্তবে, কারণ আধুনিকতার অস্বস্তি তাদের সহ্য হচ্ছিল না। কিন্তু টেলিভিশন কি সেই বিভাজনরেখা বজায় রাখল আদৌ? ‘সদগতি’ দেখার জন্য উদগ্রীব জনগণ রাস্তা ফাঁকা করে ফেলল, কেন?
এতদিন ‘গরম হাওয়া’, ‘অঙ্কুশ’ ‘নিশান্ত’ বা ‘আক্রোশ’-এর মতো ছবি নিম্নবর্গের রাজনৈতিক বয়ানের প্রতিনিধিত্ব করে হলে এসেছে। হয়তো সুধীর কাকরের কথামাফিক অমিতাভ বচ্চনের মধ্যেই কর্ণের মতো উপেক্ষিত পৌরাণিক নায়কের ছায়া খুঁজে পেল ভারতের সমষ্টিগত অচেতন বা কালেকটিভ আনকনশাস, কিন্তু তাও, এই নবতরঙ্গের দরজা তো খোলা ছিল সব দর্শকের জন্যই। যেজন্য ‘মন্থন’ তৈরি হয়েছিল কৃষকদের সম্মিলিত পুঁজিতে। টেলিভিশন, দূরদর্শন এই দরজা কি কোথাও বন্ধ করল? না কি দেওয়ালটাই ভেঙে দিল? শহুরে মধ্যবিত্তর একান্ত বৈঠকখানায় ঢুকে পড়া ঢাউস বাক্সের মালিকানা হয়তো এক বাড়ির ছিল, কিন্তু সেই বাক্সের সামনে ঢল নামত গোটা পাড়ার। এভাবে বস্তির ভেতরেও একটি করে পাকা বাড়ি তৈরি হল, সেখানে জায়গা পেল টিভি নামক যন্ত্রটি। গ্রামের একটিমাত্র বর্ধিষ্ণু বাড়িতে আগন্তুক হল সেই টিভি। কোনও যন্ত্র রুপোলি, কোনওটা ছিমছাম, কোনওটা বিশালবপু। সিনেমাহল জনতারই, শুধু তা প্রেক্ষাগৃহ, টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকার, প্রোজেক্টর ইত্যাদির তামঝাম ছাপিয়ে গেল। একটামাত্র রিমোটের চাপে দূরদর্শন হয়ে উঠল জনদর্শন।
মৃণাল সেনের ‘কভি দূর কভি পাস’, তপন সিংহর ‘আদমি অউর অওরৎ’, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী স্টেটমেন্ট দেওয়া গোবিন্দ নিহালনির ‘তামস’, শ্যাম বেনেগালের ট্রাভেলগনির্ভর সিরিজ ‘যাত্রা’, যেমন অন্যধারার উপস্থিতি জোরালো করল দূরদর্শনে (সম্পূর্ণ নতুন এই মাধ্যমের স্বাধীনতাও তাঁরা চেখে দেখতে চাইছিলেন), তেমনই কুন্দন শাহ-সৈয়দ আখতার মির্জা-র ‘নুক্কড়’ বা ‘মালগুড়ি ডেজ’, ‘মুঙ্গেরিলাল কে হাসিন স্বপ্নে’ (পঙ্কজ কাপুর অভিনীত), ‘উড়ান’ জনপ্রিয়তা আদায় করল অনায়াস ভঙ্গিতে। কিন্তু জনপ্রিয়তার সব দৃষ্টান্ত ভেঙেচুরে তার যে নতুন সংজ্ঞা নির্মাণ হতে চলেছে, তার আভাস চট করে মেলেনি তখনও। অনিল চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, মহুয়া রায়চৌধুরী থেকে অমল পালেকর, নীনা গুপ্তা, মোহন গোখলেদের মতো অভিনেতারা সমান্তরাল সংস্কৃতির যে ধারা নির্মাণ করছিলেন টেলিভিশনে, তাতে এক বড়সড় বিচ্যুতি প্রথমেই আনল রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’। চারপাশে রামরথযাত্রার সলতে পাকছে, রামজন্মভূমি আন্দোলনের সূত্র ধরে ভারত ঝুঁকে পড়ছে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির আবহে। তনিকা সরকার ‘হিন্দু ওয়াইফ, হিন্দু নেশন’-এর শেষতম প্রবন্ধে দেখাবেন, কীভাবে সাধ্বী রিতাম্ভরার, ওঁর প্রাবন্ধিক ভাষায় ‘সিডাকটিভ’ কণ্ঠস্বরে, রামজন্মভূমির জন্য খুনখারাপি ও রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ায় দ্বিধাবোধ না করার বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে অযোধ্যা থেকে গোটা দেশে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ভিডিও ক্যাসেট মারফত। ভিস্যুয়ালের সেই নির্মাণ আরও মজবুত হল ১৯৮৭ সালে, ‘রামায়ণ’-এর সম্প্রচারের সূত্রে। বহু পরে ওয়েব সিরিজ ‘সেক্রেড গেমস’-এ ডন গণেশ গাইতোন্ডে নিঃসংকোচে বলবে, শাহবানো মামলায় মৌলবিতন্ত্রের পক্ষ নেওয়ায় অসন্তুষ্ট হিন্দুদের এই ললিপপ তুলে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী।
১৯৮৮ সালে বি. আর. চোপড়া নিয়ে এলেন ‘মহাভারত’। সে আর-এক মহা সেনসেশন তৈরি করল। কিন্তু এসবের নেপথ্যে কি কেবলই হিন্দু সংবেদন? তাহলে তৎকালীন বাম বাংলার রাজধানী কলকাতা জনশূন্য হয়ে যেত কেন ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’-এর সম্প্রচার শুরু হলেই। প্রশ্নও সহজ নয়, উত্তরও তেমনভাবে জানা নেই হয়তো। কিন্তু কিছু কিসসা বুঝিয়ে দেয়, পাবলিক কী পরিমাণ উত্তেজিত ছিল এই দুই টিভি সিরিজ ঘিরে, এবং পুরাণের আখ্যান একেবারে আধুনিক প্রগতির ধ্বজাধারী একটি যন্ত্রের ভেতর দিয়ে ঠিক কীভাবে পৌঁছে যাচ্ছিল বঙ্গজনের কাছে। প্রথম গল্পটা ‘রামায়ণ’-এর। রাবণের সীতাহরণের দিন। পাড়ার একটি ক্লাবে চলছে টিভি, পাড়ার ছেলেছোকারারা ‘শিভালরি’ দেখিয়ে বাইরে, ভেতরে বিভিন্ন টিভিহীন বাড়ির মহিলা ও শিশুরা অগ্রভাগে, পুরুষরা খানিকটা কষ্ট স্বীকার করে, কৃচ্ছ্রসাধন করে পিছনে বা দাঁড়িয়ে, বয়স্করা এবং কিঞ্চিৎ কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা দু’পাশের লাল চেয়ারে বসে বা দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে। এর মধ্যেই পাড়ার এক ছোঁড়া ভিড়ে বিশেষ সুবিধে করতে না পেরে জানলা দিয়ে একটু মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করেছে, ‘কী দেখাচ্ছে?’ উত্তর ছুটে গেছে সপাট এক ক্লাবকর্তা দাদার তরফ থেকে, পানমশলামুখর উচ্চারণে, ‘রাবণ সীতাকে ইলোপ করছে। তুই যেমন টুম্পাকে করতে চাস।’ ছেলেটির মুখ থমথমে তো বটেই, ত্রস্ত টুম্পাও (নাম অবশ্যই পরিবর্তিত)। গোপন সম্পর্ক রবে না গোপনে, তবু তো এইটুকু চেপে রাখা গিয়েছে এতদিন। আজ হাটে হাঁড়ি ভাঙল? কিন্তু কী আশ্চর্য! টুম্পার দাদু-দিদিমা, বাবা-মা সহ প্রতিবেশীদের গুষ্টির কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। ওই দাদাটির কথা কোনওভাবেই কানে ঢোকেনি কারও। উল্টে এক বয়স্ক লোক খানিক ধমকেই বলেছিলেন, ‘সাইলেন্স!’ আবার, ‘মহাভারত’-এর দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দিন নাকি কলকাতায় বাস-ট্রামও বসে বসে মাছি মারছিল। সবাই কোনও না কোনও টিভিওয়ালা বাড়ির মধ্যে সেঁধিয়ে গিয়েছিল। এমন দিনে থানায় পিকপকেটের অভিযোগ জানাতে যান এক ভদ্রলোক। থানাতে একটি টিভি ভাড়া করে এনে বসানো হয়েছিল। একজন কনস্টেবলকে অত্যন্ত বিরক্তি সহকারে ওসি বলেন অভিযোগ নিতে। কনস্টেবল ততোধিক বিরক্তি সহকারে টিভির সামনে থেকে উঠে এসে ভদ্রলোকের কাছে জানতে চান, ‘কীসের কমপ্লেন?’ পকেটমারি শুনে নাক কুঁচকে বলেন, ‘বাজে কথা বলার জায়গা পান না? রাস্তায় জনমনিষ্যি নেই, পকেটমারিটা করল কে?’
সীতাহরণ বা বস্ত্রহরণের এই শহরজোড়া দর্শকাম কি সুধীর কাকারের সেই ‘লাভার্স ইন দ্য ডার্ক’-এ উল্লিখিত হলের অন্ধকারে লুকনো দর্শকামের সঙ্গে মিলবে? না কি সিনেমাহল থেকে, বড়পর্দা থেকে দৃশ্যের বিচ্যুতির সেই শুরু?
জোছন দস্তিদার ‘তেরো পার্বণ’ দিয়ে বাঙালি বায়োস্কোপের দর্শককে যেমন ধরতে পেরেছিলেন, তেমন বাদল সরকারকে নিয়ে সিরিজ করে, বা ‘পিকনিক’-এর মতো টেলিছবি বানিয়ে অপর্ণা সেনও তাঁর ছবির দর্শকদের টিভি-মুখী করছিলেন। আর এসবের ফাঁকেই রাজকুমার কাপুর পরিচালিত ‘ফৌজি’ আর কুন্দন শাহ-আজিজ মির্জা পরিচালিত ‘সার্কাস’-এ দেখা গেল এক বেঁটেখাটো অথচ ছিপছিপে নায়ককে, যে আগামী দশকে আসমুদ্রহিমাচল সিনেমাহলের ব্যবসার ব্যকরণ বদলে দেবে। ছেলেটির নাম– শাহরুখ খান।
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৭। মাস্টারমশাইরা কি আজও কিচ্ছু না দেখেই থাকবে?
পর্ব ২৬। ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের আপত্তি জোটেনি কিন্তু ‘উরি উরি বাবা’ নাকি অপসংস্কৃতি
পর্ব ২৫। চুল কাটলেই মাথার পিছনে জ্যোতির মতো বাজবে ‘শান’-এর গান!
পর্ব ২৪। মরণোত্তর উত্তমকুমার হয়ে উঠলেন সিরিয়াল কিলার
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল