জ্ঞানদা কাদম্বরীর মুখে রবি ডাক শুনে মনে মনে বলল, কী মিষ্টি! রবির থেকে দু’বছরের বড়, রবিকে নাম ধরে ডাকতেই পারে। সম্পর্কে কাদম্বরী আরও অনেক বড়। সে রবির নতুন দাদার বউ। রবির নতুন বউঠান। একশোবার রবিকে তার নাম ধরে ডাকার অধিকার আছে. কাল হয়তো ছিল না। কিন্তু আজ সে এ বাড়ির বউ। স্বয়ং জ্যোতিরিন্দ্রর স্ত্রী। তবু জ্ঞানদার মনে হল ন’বছরের মেয়ের মুখে ‘রবি’ ডাকের মধ্যে এমন একটা টান আছে যা খটকা জাগায়।
২৪.
১৮৬৮-র ৫ জুলাই শেষ পর্যন্ত এসে পৌঁছল। মধ্য আষাঢ়ের সকাল হল মেঘলা আকাশে। ক’দিন ধরেই সারা বাংলা জুড়ে আকাশ থমথমে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টির ঝাপটা। আর জোলো বাতাস।
তারই মধ্যে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি সেজে উঠেছে। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পঞ্চম পুত্র, রূপে-গুণে ঠাকুরবাড়ির মধ্যমণি– জ্যোতিরিন্দ্রর বিয়ে বলে কথা!
কিন্তু যার বিয়ে তারই যেন সবচেয়ে গা-ছাড়া ভাব। কোনও কিছুতেই আগ্রহ নেই। আবার আপত্তি যে আছে কিছুতে, তাও তো বলা যায় না। সবেতেই নিরুৎসাহ যান্ত্রিক ‘হ্যাঁ’! জ্ঞানদার মনে হচ্ছে, যা কিছু ঘটছে এবং ঘটতে চলেছে, তা নীরবে মেনে নেওয়ার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যোতি। সে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করছে এই অবিচার। কোনওরকম প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের আভাসটুকুও ফুটে উঠছে না জ্যোতির এই নিরুত্তাপ মেনে নেওয়ার গায়ে। এমনকী, এতটুকু অসন্তোষের ছায়াও নেই কোথাও নতুনের মসৃণ ব্যবহারে, লক্ষ করে জ্ঞানদা।
জ্ঞানদার চোখে পড়েছে আরও একটি ব্যাপার। তার ছোট ননদ বর্ণকুমারী না হয় বড্ডই শিশু, সবে গত বছর জন্মেছে সে। সত্যি, বাবামশায়ের বছর-বছর, একটা না একটা হচ্ছেই, মনে মনে বিড়বিড় করে জ্ঞানদা। তারপর মৃদু উচ্চারণে নিজের মনেই বলে, কিন্তু সৌদামিনী, সে তো আমার থেকে বছর তিনের বড়, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে বর সারদাপ্রসাদকে নিয়ে দিব্যি এই বাড়িতেই আছে, সে কি কনে সাজাতে একটুও সাহায্য করতে পারত না! তা না করে, নিজেই সাজতে ব্যস্ত। আর এক ননদ স্বর্ণকুমারী, সে-ও তো খুকি নয়, ১২ বছরে পড়েছে, বার তিনেক আমাকে কথা শুনিয়েছে, ওই কালো খ্যাংরাকাটিকে আর সাজিয়ে কী হবে মেজবউঠান! জ্যোতিদাদার পাশে ওই বউ? নতুনদাদার গায়ের রঙের কাছে আমাদের সব ভাইবোনের রঙই চাপা মনে হয়।
–নতুন তো তোমার থেকে মাত্র এক বছরের ছোট্ট তা-ই না? হঠাৎ প্রশ্ন করে জ্ঞানদা।
–ওই আর কী, এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সৌদামিনী।
তাই ভাবছিলাম, নতুন ঠাকুরপো তো উনিশে পড়েছে। তাহলে তুমিও তো গিন্নিবান্নি।
–তা ছেলেমেয়ের মা যখন, তখন গিন্নিবান্নি তো বটেই। তা তোমার বয়েসও তো নেহাত কম হল না বউঠান।
–তা তো বটেই। আমি আঠেরো আর নতুন উনিশ। বলে জ্ঞানদা। এবং এমনভাবে নতুনের নামটা বলে, সৌদামিনীর কানে খটকা লাগে।
–তোমার নতুনের বিয়ে হয়ে গেলে তুমি কিন্তু বেশ একলা হয়ে যাবে মেজবউঠান। মেজদাদা তো সারাক্ষণ কাজে ব্যস্ত। এবং বিদেশেই পড়ে থাকে।
জ্ঞানদা সৌদামিনীর কথার বাঁকা ইঙ্গিতটি বুঝতে পারে। এবং তখনই কিছু বলে না। সৌদামিনী হঠাৎ বলে, কালো মেয়েকে অমন ক্যাটকেটে লাল বেনারসি পরালে? তোমার নতুনের রুচি নিশ্চয়ই তুমি বোঝো?
সৌদামিনীর ঠেস দিয়ে কথা আর সহ্য করতে পারে না জ্ঞানদা। বলে, ওইটুকুন কনে, তার গায়ের রং একটু চাপা হয়েছে তো কী? রাঙা বেনারসি পরতেই পারে!
–একশোবার পারে। কিন্তু আমার ভাই জ্যোতিকে তো আমি চিনি।
পান থেকে চুন খসলেই তার সূক্ষ্ম রুচিতে ধাক্কা লাগে।
জ্ঞানদার সামনেই বসে আছে কাদম্বরী। একটু একটু করে তাকে সাজাচ্ছে জ্ঞানদা। আর ভাবছে, নতুনের কতটা ভাল লাগবে, কতটা খারাপ লাগতেও পারে।
হঠাৎ সৌদামিনী কাদম্বরীর মুখটা হাত দিয়ে তুলে সামান্য হেঁট হয়ে বলে, রং কালো হলে কী হবে, মুখটি কিন্তু খাসা। আর চোখ দুটো দ্যাখো মেজবউঠান। এ-মেয়ে কিন্তু ‘লক্ষ্মী মেয়ে’ নয়।
–মানে? অবাক হয়ে প্রশ্ন করে জ্ঞানদা।
–তোমার-আমার কী লাভ মানে বুঝে? মানে বুঝবে তোমার নতুন। তা, এ-মেয়ের কোনও ডাক নাম নেই? এইটুকু মেয়ের নাম কাদম্বরী? কাদম্বিনী হলে তবু চেনাজানা নাম মনে হত, কাদম্বিনী মানে মেঘ, সেটা জানি। কিন্তু কাদম্বরী? মানে কি বউঠান? বলে সজোরে হেসে উঠল সৌদামিনী।
–মদ!
–কী বললে?
–কাদম্বরী মানে মদ।
–তাই! কে বলেছে তোমাকে?
–নতুন।
–কী বলছ তুমি!
–নতুন ঠাকুরপো তা-ই বলেছে আমাকে।
–জ্যোতি ভুল বলবে না। আমাদের বাজার সরকার আর নাম পেল না? তারপর হঠাৎ হো হো করে হেসে বলল, শ্যাম গাঙ্গুলি কি আর মানে জেনে মেয়ের নাম রেখেছে? তা মন দিয়ে এই কালো মেয়েকে সাজাও মেজবউঠান যাতে জ্যোতির নেশা ধরাতে পারে তার কনে বউ।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
জ্ঞানদা কূলকিনারা পায় না রবির কথার। কাদম্বরী রবির হাতটা খপ করে চেপে ধরে বলে, ‘‘বাবামশায় আমাকে অনেক পুতুল দিয়েছেন। আমি এমন পুতুল কখনও দেখিনি। ওই পুতুলরা আমাদের দু’জনকে নিয়ে যাবে চেনাশোনার বাইরের দেশে। আমার সঙ্গে পুতুল খেলবে তো রবি?’’
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
সৌদামিনী বিদায় নেওয়ার পরে কাদম্বরীর দিকে ভাল করে তাকায় জ্ঞানদা। একফোঁটা মেয়েটাকে দেখে তার কেমন যেন মায়া হয়। মেয়েটাকে তার পরিবারের কাছ থেকে উপড়ে নিয়ে আসা হয়েছে ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলে। এখানে তার চেনা পরিবেশ, আত্মীয়স্বজন, কেউ কোথাও নেই। ঠাকুরবাড়ির উপরতলার অন্তরমহলের এক কোণে তাকে একটি পিঁড়ির ওপর বসিয়ে সাজানো হচ্ছে। সারাদিন উপোস করেছে মেয়েটা। মাঝে মাঝে ঢুলছে। তার শ্যামলা মুখটি নিজের দিকে তুলে কপালে চন্দন পরাতে-পরাতে জ্ঞানদা ভাবল, বাঃ, বেশ দেখাচ্ছে তো। মেয়েটার চোখ দু’টি খুব ভাল করে নিরীক্ষণ করল জ্ঞানদা। সৌদামিনী নেহাত ভুল বলেনি। কে বলবে এই মেয়ে নিরক্ষর! বুদ্ধিতে ঝলমল করছে তার চোখ। জ্ঞানদার হঠাৎ মনে হয়, এমন মায়াবী অথচ দুষ্টুমিভরা চোখ সে খুব কম দেখেছে। কেমন যেন একটা টান আছে এই মেয়ের চাউনিতে। জ্ঞানদার বুকের শিরায় দেখা দেয় অচেনা ব্যথা। কাদম্বরীর চোখ থেকে চোখ সরিয়ে নেয় জ্ঞানদা। ছোট্ট রবি যে কখন পাশে এসে বসেছে, জ্ঞানদা খেয়াল করেনি।
–কী সুন্দর, না! রবির কথায় চমকে ওঠে জ্ঞানদা।
–রবি তুই! কখন এসেছিস?
–অনেকক্ষণ।
–একে চিনিস? কাদম্বরীকে দেখিয়ে প্রশ্ন করে জ্ঞানদা।
–চিনি। অনেক দিন।
–বারান্দা থেকে। আমি দেখতুম। নীচে খেলা করত। আর আমাকে দেখত। আজ থেকে ওপরে?
–হ্যাঁ রবি, আজ থেকে আমাদের বাড়িতেই থাকবে।
–নতুন বউঠান?
জ্ঞানদা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে রবির দিকে। কে বলবে, রবির বয়েস মাত্র সাত। কী সুন্দর করে বলল, নতুন বউঠান! মাত্র তো দুটি শব্দ। কিন্তু নিমেষে কী আপন করে নিল রবি এই নীচের তলার মেয়েটাকে। আমরা কেউ কিন্তু পারিনি এই কঠিন কাজটা করতে!
–হ্যাঁ রবি, তোর তো নতুন বউঠান! ঠিক তো!
–আমার নতুন দাদার বউ। আমার নতুন বউঠান।
কাদম্বরী তাকায় রবির দিকে। রবিও। জ্ঞানদা দেখে, ওরা পরস্পরের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে। চোখে-চোখে যেন কতদিনের কত কথা!
কাদম্বরী হাসে। এ-বাড়িতে এসে এই প্রথম মেয়েটা হাসল, মনে মনে বলে জ্ঞানদা।
–তুমি খুব সুন্দর নতুন বউঠান, কী সহজে তার মনের কথা জানায় রবি।
কাদম্বরী লজ্জা পায় যেন। রবির কথায় মাথা নীচু করে। তারপর কী মিষ্টি করে বলে, তুমিও খুব সুন্দর ঠাকুরপো।
জ্ঞানদার মনে হয়, ছোট্ট কাদম্বরীর অন্তর থেকে বেরিয়ে আসে তার মনের খাঁটি কথাটা, কোথাও কোনও মিথ্যে নেই।
–তুমি আজ সকালে কখন উঠেছ নতুন বউঠান? যেন কোনও স্বপ্নের ঘোর থেকে রবি জিজ্ঞেস করল।
জ্ঞানদার বিস্ময় আরও গভীর হল। সে কাদম্বরীকে সাজাবে না রবি আর তার নতুন বউঠানের প্রথম পরিচয়ের আলাপ শুনবে?
–আমি আজ সকালে কখন উঠেছি? দাঁড়াও দাঁড়াও। সে তো অনেক ভোরে। তখন তো সূয্যি ওঠেনি। সেই যখন প্রথম সানাই বাজল, তখন। তখনই আমার ঘুম ভাঙল!
–আমারও ঘুম ভেঙেছে সানাইয়ের সুরে। কী সুর বাজাচ্ছিল জানো তুমি নতুন বউঠান?
–না তো! তা জানি না? তুমি জানো রবি?
জ্ঞানদা কাদম্বরীর মুখে রবি ডাক শুনে মনে মনে বলল, কী মিষ্টি! রবির থেকে দু’বছরের বড়, রবিকে নাম ধরে ডাকতেই পারে। সম্পর্কে কাদম্বরী আরও অনেক বড়। সে রবির নতুন দাদার বউ। রবির নতুন বউঠান। একশোবার রবিকে তার নাম ধরে ডাকার অধিকার আছে. কাল হয়তো ছিল না। কিন্তু আজ সে এ বাড়ির বউ। স্বয়ং জ্যোতিরিন্দ্রর স্ত্রী। তবু জ্ঞানদার মনে হল ন’বছরের মেয়ের মুখে ‘রবি’ ডাকের মধ্যে এমন একটা টান আছে যা খটকা জাগায়।
–সানাইয়ের যে-সুরে আজ আমাদের ঘুম ভেঙেছে, সে সুরটা বারোয়াঁ।
–বারোয়াঁ? তুই কী করে জানলি রবি? বলে জ্ঞানদা।
–নতুনদাদার কাছে অনেক সুর চিনতে শিখেছি আমি। নতুনদাদা বলেছে, আমার নাকি সুরের কান খুব ভাল। ওই সুর আজ সকালে আমাকে কানে কানে এমন কথা বলে গেছে, যেটা কাউকে বলব না।
–কী কথা? জানতে চায় কাদম্বরী।
–বলছি তো, বলব না, বলে রবি।
রবির কথাগুলো মোটেও ভালো লাগে না জ্ঞানদার। বয়েসের তুলনায় বেশি পেকে যাচ্ছে রবি, নিশ্চিত জ্ঞানদা। সামান্য ধমকের সুরে বলে, বল কী বলেছে তোকে সানাইয়ের সুর।
জ্ঞানদার চোখে চোখ রেখে বলে রবি, সানাইয়ের বারোয়াঁ সুর আমাকে একটা গোপন কথা জানিয়ে গেছে।
–গোপন কথা? অবাক জ্ঞানদা।
কাদম্বরী নতুন উৎসাহে তাকায় রবির দিকে।
রবি কাদম্বরীর চোখে চোখ রেখে বলে, ‘নতুন বউঠান, ওই সানাইয়ের সুর আমাকে জানিয়ে গেল ভোরবেলায়, তুমি আমার চেনাশোনার বাইরের দেশের মানুষ, আমার মতো ছেলেমানুষ কি কোনও দিন পারবে সেই মায়াবী দেশে যেতে?’
–মায়াবী দেশে যেতে?
জ্ঞানদা কূলকিনারা পায় না রবির কথার। কাদম্বরী রবির হাতটা খপ করে চেপে ধরে বলে, ‘‘বাবামশায় আমাকে অনেক পুতুল দিয়েছেন। আমি এমন পুতুল কখনও দেখিনি। ওই পুতুলরা আমাদের দু’জনকে নিয়ে যাবে চেনাশোনার বাইরের দেশে। আমার সঙ্গে পুতুল খেলবে তো রবি?’’
(চলবে)
…মেজবউঠাকরুণ-এর অন্যান্য পর্ব…
মেজবউঠাকরুণ ২৩: ঠাকুরপো, তোমাকে সারা বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি, আর তুমি ছাদে একা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে!
মেজবউঠাকরুণ ২২: কাল থেকে আমিও রবির মতো একা হয়ে যাব না তো ঠাকুরপো?
মেজবউঠাকরুণ ২১: জ্ঞানদার মধ্যে ফুটে উঠেছে তীব্র ঈর্ষা!
মেজবউঠাকরুণ ২০: স্বামী সম্বন্ধে জ্ঞানদার মনের ভিতর থেকে উঠে এল একটি শব্দ: অপদার্থ
মেজবউঠাকরুণ ১৯: কাদম্বরী ঠাকুরবাড়িতে তোলপাড় নিয়ে আসছে
মেজবউঠাকরুণ ১৮: নতুনকে কি বিলেত পাঠানো হচ্ছে?
মেজবউঠাকরুণ ১৭: চাঁদের আলো ছাড়া পরনে পোশাক নেই কোনও
মেজবউঠাকরুণ ১৬: সত্যেন্দ্র ভাবছে জ্ঞানদার মনটি এ-বাড়ির কোন কারিগর তৈরি করছে
মেজবউঠাকরুণ ১৫: জ্ঞানদার কাছে ‘নতুন’ শব্দটা নতুন ঠাকুরপোর জন্যই পুরনো হবে না
মেজবউঠাকরুণ ১৪: জ্যোতিরিন্দ্রর মোম-শরীরের আলোয় মিশেছে বুদ্ধির দীপ্তি, নতুন ঠাকুরপোর আবছা প্রেমে আচ্ছন্ন জ্ঞানদা
মেজবউঠাকরুণ ১৩: বিলেতে মেয়েদের গায়ে কী মাখিয়ে দিতে, জ্ঞানদার প্রশ্ন সত্যেন্দ্রকে
মেজবউঠাকরুণ ১২: ঠাকুরবাড়ির দেওয়ালেরও কান আছে
মেজবউঠাকরুণ ১১: ঠাকুর পরিবারে গাঢ় হবে একমাত্র যাঁর দ্রোহের কণ্ঠ, তিনি জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ১০: অসুস্থ হলেই এই ঠাকুরবাড়িতে নিজেকে একা লাগে জ্ঞানদানন্দিনীর
মেজবউঠাকরুণ ৯: রোজ সকালে বেহালা বাজিয়ে জ্ঞানদার ঘুম ভাঙান জ্যোতিঠাকুর
মেজবউঠাকরুণ ৮: অপ্রত্যাশিত অথচ অমোঘ পরিবর্তনের সে নিশ্চিত নায়িকা
মেজবউঠাকরুণ ৭: রবীন্দ্রনাথের মায়ের নিষ্ঠুরতা টের পেয়েছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ৬: পেশোয়াজ অন্দরমহল আর বারমহলের মাঝখানের পাঁচিলটা ভেঙে দিল
মেজবউঠাকরুণ ৫: বাঙালি নারীশরীর যেন এই প্রথম পেল তার যোগ্য সম্মান
মেজবউঠাকরুণ ৪: বৈঠকখানায় দেখে এলেম নবজাগরণ
মেজবউঠাকরুণ ৩: চোদ্দোতম সন্তানকে কি ভুল আশীর্বাদ করলেন দেবেন্দ্রনাথ?
মেজবউঠাকরুণ ২: তোমার পিঠটা কি বিচ্ছিরি যে তুমি দেখাবে না বউঠান?
মেজবউঠাকরুণ ১: ঠাকুরবাড়ির বউ জ্ঞানদাকে ঘোমটা দিতে বারণ দেওর হেমেন্দ্রর
তত্ত্ববিদ, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার কাজ নিয়েছে মস্কো রেডিয়োতে, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ‘মির’ বা ’প্রগতি’তে অনুবাদক হয়েছে, কেউ বা সাংবাদিকতায় পি.এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করে সংবাদপত্রের দফতর খুলে তার অন্তরালে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছে।