মমতা শঙ্করের বক্তব্য একটি সময়ের, একটি শ্রেণির, একটি পুরুষতান্ত্রিক শিক্ষার প্রতিফলন– যেখানে নারীর স্বাধীনতা মানেই অশ্লীলতা, দরিদ্র মানুষের কৌশল মানেই ষড়যন্ত্র, আর প্রান্তিক লিঙ্গ পরিচয়ের মানুষদের জায়গা শুধুই করুণার, অধিকারের নয়।
উত্তরবাংলায় কৃষক আন্দোলন করেছেন। সেই জীবন-অভিজ্ঞতার নানা দিক কাজে লেগেছে ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসে। ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ যখন টুকরো-টুকরো অংশ হিসাবে বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে, তখন থেকেই তা বিদগ্ধজনের নজরে আসে।
ঘুমপাড়ানি গান থেকে শুরু হয়ে বেডটাইম স্টোরি, ছবির বই হয়ে বেডসাইডে রাখার মতো বই বা অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসে মানুষকে উপনীত হতে হয় জীবনের গতির সঙ্গে। এই গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়েই এসেছে এমপিথ্রি, অডিও বুক। কিন্তু মা-ঠাকুমার ঘুমপাড়ানি গান, সুরে বা বেসুরে গুনগুনিয়ে ওঠা লুলাবাই কিংবা বাবার কোল ঘেঁষে শুয়ে গল্প শোনার আরাম অগ্রাহ্য করা যায় না এখনও।
রুটি ক্রমশ চাপাটি হতে চলেছে। ছোলা হয়ে যাচ্ছে চানা। হলুদ হয়ে যাচ্ছে হলদি। এগুলো হিন্দি প্রভাব বটে, কিন্তু এই হীনম্মন্য বাঙালি সমাজে এই পরিবর্তন প্রমোশনের মতোই প্রায়।
হয়তো হরর সেই জঁর, যা আমাদের কিছুক্ষণের জন্য হলেও এই দার্শনিক প্রত্যয়টাকে সামান্য নাড়িয়ে দেয় যে, যে বাস্তবতায় আমরা বাঁচি তাকে আমরা সম্পূর্ণ চিনি, অথবা তা সুস্থিত কিছু। হয়তো আমাদের এটাতেই সবচেয়ে বড় ভয় যে, আমাদের চেনা বাস্তবতা পালটে যেতে পারে।
এই প্রশ্ন করে লাভ নেই যে অ্যানড্রেয়া কি তাহলে সম্পূর্ণ মিডিয়া স্ট্রাটেজি ব্যবহার করেছেন? এছাড়া আর কীভাবেই বা আমেরিকার বাজারে কবি ও আন্দোলনকর্মী টিকে থাকবেন এখন? এটা যদি আমরা আগেভাগে বুঝে নিই, তাহলেই ভালো।
থিয়েটারকে আমরা জেনে এসেছি সর্বশিল্পের সমন্বয় বলে। রতন থিয়াম ছিলেন তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। কী জানতেন না তিনি? আধুনিক কালে বিদেশের যেসব বিদেশি নাট্য প্রযোজকের নাম আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করি, তাঁদের দলে এই মণিপুরী মানুষটিও পড়েন– একথা ভেবে বুক আনন্দে, গর্বে, ভরে ওঠে।
২৫ জুলাই, দুপুরবেলায় রাহুল, রাহুল পুরকায়স্থ কোথায় একটা যেন চলে গেছে। ওর শাসন, তর্জনগর্জন, আক্রমণ ও আদরের মুঠি আলগা করে দিয়ে চলে গেছে।
দ্বিজেন্দ্রলাল বা অতুলপ্রসাদ রজনীকান্তের তুলনায় অনেক বেশি নাগরিক পরিমণ্ডলে থেকেছেন, নব্য আধুনিক সংস্কৃতির সংসর্গ করেছেন, আধুনিক মনস্তাত্ত্বিক জটিলতাও তাঁদের স্পর্শ করেছে বেশি। রজনীকান্তের কাব্যে বা গীতবাণীতে যে পুরাতনের আমেজ, যে সারল্যের আনন্দ, সত্যি কথা বলার যে স্বস্তি, তা তাঁর একান্ত নিজেরই।
রাহুলের মতো প্রেমিক আমি খুব কমই দেখেছি। শব্দে-অক্ষরে-ধ্বনিতে মজে থাকতে দেখতাম সারাক্ষণ। আমাদের সখ্য ছিল প্রশ্নাতীত। বহু কর্মশালায় একসঙ্গে কাটিয়েছি– কবিতা ও ছবি নিয়ে। অনেক নেশাতুর রাত কাটিয়েছি একসময় চৈতালি আমি ও রাহুল। ত্রয়ী ছিলাম। পরে আমি, রাহুল ও অরুণাভ নতুন ‘ত্রয়ী’ হই। পার্বতী মুখুজ্জের সান্ধ্য আড্ডায়, উৎপলকুমার বসুর আড্ডায়, ডা. ভূমেন গুহর আড্ডায়, রণজিৎ দাশের আড্ডায়– আমি ও রাহুল জুড়ে যেতাম। সে বড় মধুর সময় ছিল।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved