Robbar

ব্রাহ্মণ মেয়ের হাতে অনশন ভাঙবেন– দুকড়িবালাকে জেলের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে শর্ত দিয়েছিলেন ননীবালা

কখনও ইশারায়, চিরকুটে অন্য বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে, কখনও পুলিশি নির্যাতনের আহত কমরেডকে নজরদারি এড়িয়ে গার্ডদের ফাঁকি দিয়ে কোনও কমরেডের মন ভালো করতে রুটিতে কিছুটা চিনি মাখিয়ে চমকে দেওয়ার মাধ্যমে, তো কখনও একসঙ্গে বসে সুখ দুঃখ বৃষ্টি বজ্রপাত ভাগ করে এই নিরন্তর অপেক্ষা কাটানোর মাধ্যমে, প্রতিদিন নানাভাবে সংগঠিত হতে থাকে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ।

→

শিল্পীদের হাতে ঘন ঘন ‘লুক’ বদলেছেন ঘনাদা

প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায় আমৃত্যু দেব সাহিত্য কুটীরের বার্ষিকীগুলিতে ঘনাদার ছবি এঁকে গেছেন। মাঝে দু’বছর বলাইবন্ধু রায় ঘনাদার ছবি আঁকেন কিন্তু তিনি সম্পূর্ণভআবে প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুসারী। তাঁর ঘনাদার চুল সমকালীন অভ্যাস অনুযায়ীই সম্ভবত, ঘাড়ের কাছে নির্মমভাবে চাঁছা। পরের দিকে প্রায় সর্বত্রই অজিত গুপ্তর প্রভাব প্রকট। শিল্পীরা নিজস্ব কল্পনা অনুযায়ী সেই চেহারাকেই ঘষে মেজে নিয়েছেন। বিমল দাস, সুবোধ দাশগুপ্ত, নারায়ণ দেবনাথ, ধীরেন বল প্রমুখ যশস্বী শিল্পীরাও ঘনাদা অলংকরণ করেছেন বিভিন্ন সময়ে, নিজের মতো করে।

→

‘দ্য হেটফুল এইট– এখন ওয়েস্টার্ন যেরকম হতে পারত

তারান্তিনো আমাদের টিজ করছেন– যে দেখো দর্শক, এই নারী ভিক্টিম, কিন্তু সে রেসিস্ট– দর্শক, তুমি কি এর সঙ্গে আইডেন্টিফাই করবে?

→

দেবতার চেয়ে মানুষের বাহন হিসেবেই কুকুর বেশি জনপ্রিয়

কুকুর প্রভুভক্তির পরাকাষ্ঠা। সে পথ চেনায়, দুর্গম পথে সঙ্গ দেয়, যেমনটা দিয়েছিল মহাপ্রস্থানের পথে যুধিষ্ঠিরদের। তারপর মানুষের হাতে পড়ে সে মহাকাশেও পাড়ি দেয়।

→

সংগ্রামে ‘আধ্যাত্মিক’ সংহতিরও প্রয়োজন, বুঝিয়েছিলেন জুডি কলিন্স

সংগীত-জগতের পুরুষপ্রধান মহলে, পরপর পুরুষ-শিল্পীদের গেয়ে আসা গানও তিনি পুনরায় গেয়ে, তাতে একজন্মের মতো নিজের গায়নশৈলীর ছাপ রেখে দিয়েছেন। এমনকী বিটলস-এর গান, উডি গাথরির গানও। জনতার মন জিতে নিয়েছেন, তাদের সূক্ষ্মতর অনুভূতিগুলোর সামনে আরশি ধরেছেন অনায়াসে। পিট সিগার, বব ডিলান, আর্লো গাথরি ওঁর পারদর্শিতার কাছে, বাহাদুরির কাছে নতজানু হয়ে, মঞ্চে ঠিক পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

→

সত্যজিতের ‘নো-ওয়ান’-রা চিরকাল এক যুদ্ধবিরোধী রূপকথার গল্প শোনান

সত্যজিৎ জানতেন অতীতে যুদ্ধের চেহারা-চরিত্র যা ছিল বর্তমানে আর তা নেই। তাই গুপী-বাঘার রূপকথার পুনরাবৃত্তি করা অসম্ভব। আকাশের থেকে নেমে আসা খাবারের স্বপ্নে রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ থামবে না।

→

জন্মগত দুর্দশা যাদের নিত্যসঙ্গী, ভাঙা আয়নায় ভাগ্যবদল তাদের কাছে বিলাসিতা

তাদের ঘরে আয়না ভেঙে গেলে ওমনিই ঝুলে থাকে। তারা তাতে মুখ দেখে, চুল বাঁধে, দাঁড়ি কামায়, ক্রিম মাখে আর কাঁচের ভাঙা ফাটলগুলো মিলে-জুলে ঘর করে ভাঙা দেওয়াল আর ফুটো চালের সঙ্গে।

→

আটঘণ্টার কাজ আটপৌরে মেয়েদের জীবনে ইউটোপিয়া

ইটভাটার শ্রমিক মেয়েটি হোক, চা বাগানের পাতি তোলাই হোক, সরকারি আধিকারিক বা পুলিশকর্মী, সমাজের তরফে এখনও মেয়েদের কাছে সুচারুভাবে সংসার পরিচালনার দাবি অগ্রাধিকার পায়। আর সেটা করতে গিয়ে আট ঘণ্টা কেন, আঠারো ঘণ্টা সময়েও মেয়েরা সবকিছু কুলিয়ে উঠতে পারে না।

→

শ্রমজীবী মেয়েদের অবসরের দাবি শুধু বিশ্রাম নয়, নিজের জীবন, শরীর ও স্বপ্নের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা

‘আট ঘণ্টা কাজ, আট ঘণ্টা বিশ্রাম, আর আট ঘণ্টা অবসর’-এর শেষ অংশটুকু সবথেকে ‘বিপজ্জনক’। সেখানে লুকিয়ে এক অন্য স্বপ্ন– যেখানে শ্রমিক শুধু ঘুমাবে না, ক্লান্তি মেটাবে না, নিজের সময় দিয়ে কী করবে, সেটাও সে নিজে ঠিক করবে। শ্রমিক শুধুই কারখানার এক্সটেশন নয়, মুনাফা তৈরির যন্ত্র নয়, বরং বিপুল সম্ভাবনাময় রক্তমাংসের মানুষ।

→

কাঁধে ঝোলানো ল্যাপটপে কাজ আসে অকস্মাৎ আততায়ীর মতো

কোভিডকালের পরে অনেক সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য ইন্ধন দিচ্ছে। অফিসের ভাড়া, বিদ্যুৎ খরচ বাঁচছে প্রভূতভাবে। বেঁচে যাচ্ছে ‘আনপ্রোডাক্টিভ’ চা কফি-র খরচও।

→