E-Robbar
অকাজের ইঁদুর বিজ্ঞানীদের খুব ভরসার। পরীক্ষাগারে জীবনদানের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। দু’-একটা কুকুর-বিড়ালের মূর্তি বসেছে বটে, তবে ইঁদুরদের স্মৃতি তর্পণের কোনও ইতিহাস নেই। শুধু তাদের মতো গর্ত করার প্রক্রিয়া রপ্ত করলে খনি লুঠ করা যায়, আবার ভূগর্ভে আটকে পড়া শ্রমিকের প্রাণ বাঁচানো যায়।
পার্থ দাশগুপ্ত ও
মানুষ পাপাচারী। সে সদাই বেঁচে থাকার অর্থে নানাবিধ পাপে লিপ্ত থাকে। লোভে পাপ, পাপই জীবন। ফলে সে সংশয়ী আর ভীত। তাই শনিতে আমাদের বড়ই ভয়। তার বাহনের ওই কদাকার রূপ সেই ভয়কে ভয়াবহ করে তোলে।
বাংলায় হাঁস শিল্প, সাহিত্য থেকে শুরু করে দামি কল, বই প্রকাশনা সংস্থার নাম– সর্বত্রগামী। হাঁসকে প্রতীক করে নিয়ে সবচেয়ে ভালো ব্রান্ড ডাকব্যাক। হাঁসের তৈলাক্ত পাখায় যেমন জল দাঁড়ায় না, রেনকোটও তেমন জল প্রতিরোধ করে। অপূর্ব মিল। সবচেয়ে মজার হল ডাকব্যাকের লোগোতে কোনও হাঁসের ছবি নেই।
কুকুর প্রভুভক্তির পরাকাষ্ঠা। সে পথ চেনায়, দুর্গম পথে সঙ্গ দেয়, যেমনটা দিয়েছিল মহাপ্রস্থানের পথে যুধিষ্ঠিরদের। তারপর মানুষের হাতে পড়ে সে মহাকাশেও পাড়ি দেয়।
হাতি চারপেয়ে বিশালকায় জীব। পর্বতের মতো। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার বাহন। তবে বিশ্বকর্মা এখন থার্ড বেঞ্চের ঠাকুর। প্রথম বেঞ্চে হাতিমুখো সিদ্ধিদাতার অধিষ্ঠান।
লক্ষ্মী সমৃদ্ধির প্রতীক। আর মা লক্ষ্মীর বাহন প্যাঁচা। মা লক্ষ্মীর সঙ্গেই গৃহস্থের পুজো পায় সে। তাকে নিয়েই বাহনকাহনের পঞ্চম পর্ব।
আজকের 'স্বচ্ছ ভারত' অভিযানের আদি প্রতীক মা শীতলা। পুজো মিটলেও তাঁকে চোখে হারাতে চাই না আমরা। তাই পুকুর-নদী-ঘাটের গাছতলায় ঠাঁই হয় ঠাকুরের। রোদবৃষ্টির ছোঁয়ায় অর্ধগলিত প্রতিমার শব ওই গাধাই পিঠে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।