নিরঞ্জন পাল। বিপিনচন্দ্র পালের পুত্র। স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ার পর প্রাণের আশঙ্কায় তাঁকে লন্ডনে পাঠিয়ে দেন তাঁর বাবা। সেখানে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আলাপ হয় বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের ভাই সুখসাগর দত্তের সঙ্গে। ডাক্তারি ছেড়ে নাটক, এবং আরও পরে সিনেমা, বম্বে টকিজ। সে এক স্বপ্নের যাত্রা!
বিখণ্ডিত বাঙালি জাতির জন্য কি মিলনান্তিকতা আশা করেছিলেন ঋত্বিক? ‘কোমল গান্ধার’-এ অবুঝ অনসূয়া তো শুরুতে চেষ্টা করেছিল দুই দল একসঙ্গে একটা প্রোডাকশনের ব্যবস্থা করতে, ঋত্বিকের নিজের চিত্রনাট্যেই কি তার পরিণতি শুভ হয়েছিল। মহাকাল যে আরও নির্মম এক চিত্রনাট্যকার।
এই ছবির যে কেন্দ্রীয় চরিত্র, সেই নধর সমসময়ে থাকে না, সে থাকে অনন্ত সময়ে, অসীম চরাচরে এবং চিরায়ত আকাশের নিচে। তার অভিজ্ঞতাকে কিছুটাও স্পর্শ করতে হলে আপনাকে সময় ও পরিসরের সেই বৃহত্তরের অবলম্বন পেতে হবে।
ভারতে তথ্যচিত্র নির্মাণের আদি যুগের ক্যামেরাম্যান, পরিচালক ও প্রযোজক ফলি বিলিমোরিয়া– ভারতে তথ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রসারের একজন পুরোধা-পুরুষ তিনি। তাঁর সৌজন্যেই সাড়ে পাঁচ দশক আগে প্রথম কোনও ভারতীয় তথ্যচিত্র পা রেখেছিল অস্কারের আর্ন্তজাতিক আঙিনায়।
ছবিটি তার সকল চরিত্র আর তাদের হতাশা নিয়ে নিরাপদ একটি দূরত্বে গড়ে উঠেছে। চরিত্ররা দুঃখ পায়, কিন্তু দুঃখের কারণকে প্রশ্ন করে না, চরিত্ররা হতাশ হয়, হতাশার উৎসকে জানার চেষ্টা করে না।
ক্রাইটেরিয়ান কালেকশন, জেনাস ফিল্মস এবং ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ডিজিটাল উপায়ে রিস্টোর করা ‘দো বিঘা জমিন’-এর প্রিমিয়ার হতে চলেছে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে, ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। সেই উপলক্ষেই এই বিশেষ নিবন্ধ।
‘দ্য পিয়ানিস্ট’, ‘চায়না টাউন’ কিংবা ‘নাইনথ গেট’ যতটা আলোচিত, ততটা আলোচিত নয় এই ট্রিলজির ছবিগুলি। ‘রোজমেরিস বেবি’ অবশ্য ব্যতিক্রম। কিন্তু বাকি দু’টি ছবি নিয়ে সেভাবে কথা হয় না। তবু নবতিপর পোলানস্কির শিল্পকৃতির মননকে বুঝতে হলে এই ছবিগুলিকে বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ এই ছবিগুলির নেপথ্যেই লুকিয়ে রয়েছে তাঁর নির্জন ‘অপর’ বোধ।
গল্পের প্রবাহে ছেলে বা মেয়েটি এখানে নিজেরাই সব সিদ্ধান্ত নেয়, কাউকে কম বেশি মনে হয়নি। দিলওয়ালের কাজলের মতো নায়িকাকে অপেক্ষা করতে হয়নি যে, কখন ট্রেন স্টেশনে বাবা হাতটা ছাড়বে আর প্রেমিক হাতটা ধরে নেবে।
১৫ বছর আগে, ‘হারবার্ট’ করার পর থেকেই ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে ছবি করার ইচ্ছে ছিল পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের। একাধিকবার চেষ্টা করেছেন; বদলে গেছে প্রযোজক, কলাকুশলী। অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
এ-ছবিতে, ব্যক্তি ইন্দ্রাশিস সিনেমার সঙ্গে সংলাপ জারি রেখেছেন শেষতক। প্রথমে মনে হয়েছিল, বহু এপিসোডে ভাঙছেন বুঝি। ক্রমে ক্রমে স্পষ্ট হয়, এ-আসলে পরিচালকের স্বগতোক্তি। একটা ফেরত আসার দ্বন্দ্ব তৈরি করা। দ্বন্দ্ব তৈরি করা বাস্তব ও স্বপ্নের। অথবা, ইমোশনের রাশ টেনে ধরা। কখনও চরিত্রদের। কখনও আমাদেরও। যে কারণে শুধুই গ্যাদগ্যাদে ইমোশনাল ছবি হয়ে যায় না ‘গুড বাই মাউন্টেন’।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved