পূর্ব-পশ্চিম নাট্যদলের প্রযোজনায় ‘আ-শক্তি’র প্রথম শো হয়ে গেল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ। এই ধরনের নাটক দেখতে গিয়ে একটা আশঙ্কা মনে কাজ করে। আমরা যারা শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে আমাদের শহরের এখানে-ওখানে দাপটে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি, যারা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মুগ্ধ ভক্ত হিসেবে প্রতিটি লাইন পড়েছি তাঁর রচনার, যারা ক্যাসেটে তাঁর স্বকণ্ঠে কবিতাপাঠ শুনেছি বারবার, তাদের সেই রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা কোথাও ধাক্কা খাবে না তো?
এ ছবি শেষ অবধি কেমন, নির্দেশনা-চিত্রগ্রহণ-সম্পাদনা-অভিনয় কত উৎকৃষ্ট অথবা নিকৃষ্ট, আদৌ তা বাংলা সিনেমার জগতে গেমচেঞ্জার কি না– ইত্যাকার প্রশ্নে না গিয়েও বলা যায় প্রায় পরস্পরবিরোধী দুই ধরনের প্লট ডিভাইসকে এমন মজাদারভাবে ব্যবহার করার জন্য অন্তত ছবিটি আমাদের মনে থেকে যাবে।
মকরন্দ দেশপান্ডে অভিনয় করেন মকরন্দের ভূমিকায়, তাঁর স্মৃতির চরিত্রগুলিকে তিনিই জীবন দেন একক অভিনয়ে। অতি নিরাভরণ নাট্যভূমিতে থাকে অকিঞ্চিৎকর সব উপকরণ– একটি আসব-বোতলের আভাস, ঝুলতে থাকা দুটো দড়ি, বাতিল কিছু প্যাকিং বাক্স আর ছোট উঁচু একটা মঞ্চের মতো– এইমাত্র।
আজ রিলিজ করছে ‘রাপ্পা রায় অ্যান্ড ফুলস্টপ ডট কম’। বাংলায় প্রথম কমিকস থেকে ফিল্ম। সেই কমিকস চরিত্র রাপ্পা রায়ের স্রষ্টা সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন তাঁর রাপ্পা রায়ের নানা চরিত্রের নির্মাণ নিয়ে।
সুমনের ‘পাগল’ বিধাতার সঙ্গে সাপ-লুডো খেলছিল– আমরা সবাই খেলছি। গদার হেরে-যাওয়া খেলায় শেষ পর্যন্ত ‘ছায়ার সঙ্গে কুস্তি’ লড়েননি– তিনি ‘এই মাত্র! আর কিছু নয়’-কে ডিঙিয়ে যেতে চেয়েছেন। বোর্ড উল্টে দিয়েছেন অতর্কিত ‘কাট্’-এ।
‘দেখা’ বা ‘দর্শন’ শব্দটির মধ্যে যে গভীর ছানবিনের দ্যোতনাটি আছে, নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়াসের বিষয়টি আছে; তা ক্রমাগত বিঞ্জ-ওয়াচে হারিয়ে যাচ্ছে না কি? তাৎক্ষণিক ধাক্কা মারার মতো দু’-একটি মুহূর্তই কি আমাদের শিল্প থেকে পাওয়ার কথা ছিল? এর দায় কার, দর্শকের না নির্মাতার না উভয়পক্ষের?
নিরঞ্জন পাল। বিপিনচন্দ্র পালের পুত্র। স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ার পর প্রাণের আশঙ্কায় তাঁকে লন্ডনে পাঠিয়ে দেন তাঁর বাবা। সেখানে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আলাপ হয় বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের ভাই সুখসাগর দত্তের সঙ্গে। ডাক্তারি ছেড়ে নাটক, এবং আরও পরে সিনেমা, বম্বে টকিজ। সে এক স্বপ্নের যাত্রা!
বিখণ্ডিত বাঙালি জাতির জন্য কি মিলনান্তিকতা আশা করেছিলেন ঋত্বিক? ‘কোমল গান্ধার’-এ অবুঝ অনসূয়া তো শুরুতে চেষ্টা করেছিল দুই দল একসঙ্গে একটা প্রোডাকশনের ব্যবস্থা করতে, ঋত্বিকের নিজের চিত্রনাট্যেই কি তার পরিণতি শুভ হয়েছিল। মহাকাল যে আরও নির্মম এক চিত্রনাট্যকার।
এই ছবির যে কেন্দ্রীয় চরিত্র, সেই নধর সমসময়ে থাকে না, সে থাকে অনন্ত সময়ে, অসীম চরাচরে এবং চিরায়ত আকাশের নিচে। তার অভিজ্ঞতাকে কিছুটাও স্পর্শ করতে হলে আপনাকে সময় ও পরিসরের সেই বৃহত্তরের অবলম্বন পেতে হবে।
ভারতে তথ্যচিত্র নির্মাণের আদি যুগের ক্যামেরাম্যান, পরিচালক ও প্রযোজক ফলি বিলিমোরিয়া– ভারতে তথ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রসারের একজন পুরোধা-পুরুষ তিনি। তাঁর সৌজন্যেই সাড়ে পাঁচ দশক আগে প্রথম কোনও ভারতীয় তথ্যচিত্র পা রেখেছিল অস্কারের আর্ন্তজাতিক আঙিনায়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved