জ্যোতিরিন্দ্র হঠাৎ পিয়ানো বাজাতে বাজাতে কাদম্বরীর দিকে তাকিয়ে হাসতে-হাসতে গাইতে শুরু করে: ‘গোপনে দেখেছি তোমার ব্যাকুল নয়নে ভাবের খেলা। উতল আঁচল এলোথেলো চুল, দেখেছি ঝড়ের বেলা।’ বারবার গাইতে থাকে জ্যোতি এই দু’টি লাইন। জ্যোতি লক্ষ করে, গানটা শোনামাত্র কেমন যেন শিউড়ে ওঠে কাদম্বরী। তাড়াতাড়ি বুকের আঁচল টেনে গুছিয়ে নেয় নিজেকে।
৩০.
দৃশ্যটা এই রকম। জ্যোতিরিন্দ্রর শোওয়ার ঘর। সে পিয়ানোতে টুংটাং করছে। এবং সেই টুংটাং মাঝেমধ্যে নতুন নতুন সুরের শরীর গ্রহণ করে মূর্ত হয়ে উঠছে। কখনও উৎফুল্ল। কখনও বেদনাময়। পিয়ানোর পাশে একটি শ্বেতপাথরের টেবিল। বিকেলবেলার সোনালি আলো এসে পড়েছে শ্বেতপাথরের টেবিলে উপবিষ্ট ঝলমলে কাটগ্লাসের পানপাত্রে। আজকাল সন্ধ্যালগ্নে থিয়েটার পাড়ার মশগুলে যাওয়ার আগে টুকটুকে লাল শেরিতে চুমুক দেয় জ্যোতি। আর নতুন নতুন সুর বসায় গানে। অধিকাংশ গানের লেখক রবি। আর বেশিরভাগই ভালোবাসার গান।
কাদম্বরী একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে ঘরে ঢোকে। ঘরের দৃশ্য যায় পাল্টে। সে শেরির গ্লাসের পাশে ফুলদানিতে গোলাপগুচ্ছ সাজাতে-সাজাতে বলে, বিলেতে গেল এক রবি, আর ফিরল আর এক রবি।
জ্যোতি– পরিবর্তনটা ভালো, না মন্দ?
কাদম্বরী– পরিবর্তনটা আকাশ-পাতাল। যে যেভাবে নেবে।
জ্যোতি– তা তুমি নিচ্ছ কেমনভাবে?
কাদম্বরী– কেমন যেন লাগছে আমার। বিলেত কি বাঙালিকে বেহায়া করে?
জ্যোতি– বিলেত তো কোনও দিন যাইনি। আর যাব বলেও মনে হয় না। ঠিক করে বলো তো, বিলেত থেকে রবি বেয়াড়া হয়ে ফিরেছে, না বেহায়া?
কাদম্বরী জ্যোতির বুক সেলফ ঝাড়তে-ঝাড়তে ঘরের অন্য কোণ থেকে প্রশ্ন করে, বেয়াড়া আর বেহায়ার মূল পার্থক্য?
জ্যোতি– বেয়াড়া হল গিয়ে বিশ্রীরকমের বেমানান।
কাদম্বরী– আর বেহায়া হল গিয়ে বিশ্রীরকমের নির্লজ্জ? বলেই হাসে।
জ্যোতি– বিলেত ফেরত রবি কি বেয়াড়া আর বেহায়ার মিশ্ররাগ?
কাদম্বরী হাসতে-হাসতে দৌড়ে আসে। পিছন থেকে জ্যোতিরিন্দ্রর কাঁধ ধরে বলে, রবি সত্যিই বেয়াড়া বেহায়া! না হলে কেউ এমন নির্লজ্জ প্রেমের গান লিখতে পারে?
জ্যোতি– নতুন বউ, নিধুবাবুর কোন গানটা লাজুক প্রেমের গান বলতে পারো? সবই তো বেয়াড়া বেহায়া!
কাদম্বরী– নিধুবাবুর কথা ছাড়ো। ওসব গান তো বিয়ন্ড বেয়াড়া বেহায়া! বেয়াদপ অশালীন।
জ্যোতি অবাক হয়ে তাকায় কাদম্বরীর দিকে। বলে, তোমার মাস্টারমশাই রবির তারিফ না-করে পারছি না।
কাদম্বরী– যোগ্য ছাত্রী না পেলে মাস্টারমশাইয়ের এমন পরম খোলতাই হত কী?
জ্যোতি– তোমার এই নতুন খোলতাই শুধু কথায় নয় কাদম্বরী। সর্বত্র।
কাদম্বরী– ‘সর্বত্র’ শব্দটা ঈশ্বরের মতো। এত ছড়িয়ে আছে ফোকাসে আনা দায়। ছড়ানে ভাবটাকে একটু গুছিয়ে বলো দেখি।
জ্যোতি– তোমার খোলতাই তোমার আচরণে, তোমার ব্যবহারে, তোমার হাসিতে, আনন্দে, উচ্ছ্বাসে। তোমার গানে, প্রাণে, অভিমানে!
কাদম্বরী– ব্যস! তারপর বেশ উচ্চস্বরে হেসে, আর কিছুতে খোলতাই চোখে পড়ছে?
জ্যোতি– আগে চোখের সামনে এসো। কাদম্বরী দৌড়ে এসে দাঁড়ায় জ্যোতিরিন্দ্রর একেবারে চোখের সামনে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ডানধারের বুক থেকে ভ্রষ্ট রাখে তার লালপাড় ডুরে শাড়ির আঁচল।
জ্যোতিরিন্দ্র অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকল তার স্ত্রীর দিকে। এই মেয়েটি প্রতি রাত্রে তার বিছানায় শুয়ে থাকে! জ্যোতি ভাবে ভারি অবাক হয়ে। এই রূপ তো তার চোখে পড়েনি কোনও দিন। এই মেয়ের পাশে শুয়েও সে ভেবেছে রাতের পর রাত গোলাপ সুন্দরীর শরীর! গোলাপের গান, নাচ, কোমর, নিতম্ব, বুক–সব মিলেমিশেই তো তৈরি হচ্ছে তার মধ্যে প্লাবন। তবে, মেজবউঠান কিন্তু ভেসে যায়নি সেই প্লাবনে। জ্যোতি জানে, গোলাপ ক’দিনের! গোলাপের না আছে শিক্ষা, না আছে ব্যক্তিত্ব, না আছে আভিজাত্যের টান। একদিকে মেজবউঠান। অন্যদিকে গোলাপসুন্দরী। দুই মেরু দু’দিকে। কোনও দিন কাছাকাছি আসবে না তারা। কিন্তু দুই মেরুকেই তো প্রয়োজন পৃথিবীর। তেমনই জ্যোতিরও প্রয়োজন জ্ঞানদাকে, গোলাপকে। জ্ঞানদার গাম্ভীর্য, স্থিরতা, একাকিত্ব, লাবণ্য, মায়া, মমতা, আর শিক্ষা। গোলাপের লাস্য, ফুর্তি, বেলেল্লাপনা, ছেনালি, নাচ, গান, উল্লাস, উন্মত্ততা আর সেবা। সব চাই জ্যোতিরিন্দ্রর। ব্যাপারটা খুব সিম্পল, সারকথা হল, জোড়াসাঁকো মানে মেজবউঠান। আর কলকাতার থিয়েটার পাড়া মানে গোলাপসুন্দরী। অন্তত জ্যোতির কাছে।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
একদিকে মেজবউঠান। অন্যদিকে গোলাপসুন্দরী। দুই মেরু দু’দিকে। কোনও দিন কাছাকাছি আসবে না তারা। কিন্তু দুই মেরুকেই তো প্রয়োজন পৃথিবীর। তেমনই জ্যোতিরও প্রয়োজন জ্ঞানদাকে, গোলাপকে। জ্ঞানদার গাম্ভীর্য, স্থিরতা, একাকিত্ব, লাবণ্য, মায়া, মমতা, আর শিক্ষা। গোলাপের লাস্য, ফুর্তি, বেলেল্লাপনা, ছেনালি, নাচ, গান, উল্লাস, উন্মত্ততা আর সেবা। সব চাই জ্যোতিরিন্দ্রর।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
–কী হল তোমার! আমার দিকে সেই থেকে তাকিয়েই আছ। কী ভাবছ বলো তো! যেন কোনও দিন দেখনি আমাকে? বলে কাদম্বরী।
–দেখেও দেখিনি, কথাটা চরম সত্যিকথা বলার মতো করেই বলে জ্যোতি।
–দেখেও যখন দেখোনি, এবার ভালো করে দেখে বলো, বলে কাদম্বরী।
–এখন আর হয় না। বড্ড দেরি হয়ে গেছে নতুন বউ।
–পৃথিবীর সব কথা পাংচুয়াল নয়। কোনও-কোনও জরুরি কথা লেটলতিফ, জীবনে অপ্রস্তুত অবস্থায় ঢুকে পড়ে।
হেসে ফেলে জ্যোতি। তারপর বলে, তোমার দিকে তাকিয়ে তোমার খোলতাই দর্শন করে আমার মনে আসছে রবির একটা কথা! কী করে জানল রবি? একেবারে হুবহু!
–কী কথা? হঠাৎ কাদম্বরীর গলা শুকিয়ে কাঠ! কতটুকু জেনেছে জ্যোতিরিন্দ্র? কতটা গড়িয়েছে রবির সঙ্গে তার সম্পর্ক, তার কতটুকু জ্যোতিরিন্দ্র আন্দাজ করতে পারে?
–ক’দিন আগে রবি গুনগুন করে গাইছিল। শুধু দুটো লাইন!
–কোন লাইন? মনে আছে তোমার কথাগুলো, কাদম্বরীর কণ্ঠে উৎকণ্ঠা।
–আমাকে রবি বলল, গানটা কিছুতেই লিখতে পারছে না। হয়তো কোনও দিন অনেক বছর পরে, পারবে। এখনও শুধু এই দুটো লাইন ধরা দিয়েছে। কথাটা ভারি অদ্ভুত লাগল আমার। রবির কোনও ভবিষ্যৎ গানের কথা আর সুর কেমন করে ভেসে এল পিছন পানে?
–আঃ তখন থেকে ঘ্যানর-ঘ্যানর করছ। গানের কথাগুলো মনে আছে তোমার?
–দাঁড়াও, চেষ্টা করি। পিয়ানোতে সুরটা বাছাই। তাহলে কথাগুলো মনে আসবে।
আবার ভয় করে কাদম্বরীর। গানের কথায় কী এমন লিখেছে রবি, তা মনে পড়ে গেল জ্যোতিরিন্দ্রর কাদম্বরীর দিকে তাকিয়ে?
জ্যোতিরিন্দ্র হঠাৎ পিয়ানো বাজাতে বাজাতে কাদম্বরীর দিকে তাকিয়ে হাসতে-হাসতে গাইতে শুরু করে:
গোপনে দেখেছি তোমার ব্যাকুল নয়নে ভাবের খেলা।
উতল আঁচল এলোথেলো চুল, দেখেছি ঝড়ের বেলা।
বারবার গাইতে থাকে জ্যোতি এই দু’টি লাইন। জ্যোতি লক্ষ করে, গানটা শোনামাত্র কেমন যেন শিউড়ে ওঠে কাদম্বরী। তাড়াতাড়ি বুকের আঁচল টেনে গুছিয়ে নেয় নিজেকে।
–তখন থেকে দুটো লাইন শুধু গেয়ে চলেছে। থামাও তো। আর লাইনগুলো কই?
–বললাম না, শুধু এই দুটো লাইন রবিকে ধরা দিয়েছে। গানের বাকি লাইন এখনও ভবিষ্যতের গর্ভে।
–তা আবার হয় না কি?
–আরও ঝড়, আরও আলুথালু, আরও দেখা, তবে হয়তো রবি লিখতে পারবে গানের অন্য লাইনগুলো।
–আমি ঠিকই বলেছি তোমাকে। রবি সত্যি বেহায়া, নির্লজ্জ হয়ে গেছে।
কী সমস্ত প্রেমের গান লিখছে, কী বলব!
–শোনাও তো একটা। আমাকে শোনায়নি। অথচ তোমাকে শুনিয়েছে? এমন গান সত্যি আছে না কি ওর? মুচকি হেসে প্রশ্ন করে জ্যোতি।
কাদম্বরী মুহূর্তে গাইতে শুরু করে:
কতদিন একসঙ্গে ছিনু ঘুমঘোরে,
তবু জানিতাম না কো ভালোবাসি তোরে।
মনে আছে ছেলেবেলা কত যে খেলেছি খেলা,
কুসুম তুলেছি কত দুইটি আঁচল ভরে।
ছিনু সুখে ততদিন দু’জনে বিরহহীন।
তখন কি জানিতাম ভালোবাসি তোরে।।
গান শেষ হয়। জ্যোতিরিন্দ্র চুপ করে থাকে অনেকক্ষণ।
তারপর বলে, কী নিদারুণ সত্যি কথা কী সহজ সাহসে রবি বলতে পেরেছে কাদম্বরী।
কাদম্বরী চুপ করে তাকিয়ে জ্যোতিরিন্দ্রর চোখে চোখ রেখে। তার চোখে কোনও ভয় নেই। শুধু সত্যের আলো।
–নিটোল সত্যি কথা, বলে জ্যোতি। তুমি আমার স্ত্রী হতে পারো কাদম্বরী। কিন্তু রবিই তো ছিল তোমার খেলার সাথী। তখন তো রবি জানত না তোমাকেই ও ভালোবাসে। কী অকপটে স্বীকার করেছে সে কথা।
–তোমার মনে রাগ নেই? তোমার অপমানিত লাগছে না?
–না, গভীর দুঃখ পাচ্ছি যদিও, এই কথা ভেবে, রবি তোমাকে অন্তর থেকে ভালোবেসেছে। আর আমি তোমাকে বাবামশায়ের শাসন মেনে নিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি।
–আমাকে ভালোবাসো না?
–তুমি রবির।
–তুমি আমার স্বামী।
–তুমি রবিকে– রবিকেই ভালোবাসো। সেই ভালোবাসe তুমি আর কাউকে কোনও দিন দিতে পারবে না। তোমার পক্ষে সম্ভব নয়।
–কেন এমন হল? কেন এমন হয়? আমি কী করব?
–তুমি রবিকে সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসবে। তুমি ওর প্রেরণা। তোমার প্রেরণাই রবিকে জ্বালিয়ে রাখবে।
–তোমাকে একটি সত্যি কথা না বলে পারছি না, বলে কাদম্বরী। তারপর হাঁটুগেড়ে বসে জ্যোতিরিন্দ্রর সামনে।
–কী কথা নতুন বউ?
–রবি বিলেত থেকে ফিরে প্রথম বুঝতে পেরেছে ওর মন কী চায়। এই গানে সে-কথা বলেওছে।
–এই গানে! কী বলেছে?
–গানের একেবারে শেষে সেই মর্মান্তিক স্বীকারোক্তি লইয়া দলিত মন হইনু প্রবাসী–
তখন জানিনু সখী, কত ভালবাসি!
(চলবে)
…পড়ুন মেজবউঠাকরুণ-এর অন্যান্য পর্ব…
মেজবউঠাকরুণ ২৯: দুর্গার মুখ আর এস্থারের মুখ প্রায় হুবহু এক
মেজবউঠাকরুণ ২৮: দেবদূতের সঙ্গে পাপের আদানপ্রদান
মেজবউঠাকরুণ ২৭: কাদম্বরী শুধুই রবির, আর কারও নয়
মেজবউঠাকরুণ ২৬: আমারও খুব ইচ্ছে বউঠান, পাঁচালির দলে ভর্তি হয়ে গ্রামে গ্রামে মনের আনন্দে গেয়ে বেড়াই
মেজবউঠাকরুণ ২৫: জ্ঞানদা প্রথম মা হল একটি মৃত সন্তান প্রসব করে!
মেজবউঠাকরুণ ২৪: কাদম্বরীকে ‘নতুন বউঠান’ বলে উঠল সাত বছরের রবি
মেজবউঠাকরুণ ২৩: ঠাকুরপো, তোমাকে সারা বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি, আর তুমি ছাদে একা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে!
মেজবউঠাকরুণ ২২: কাল থেকে আমিও রবির মতো একা হয়ে যাব না তো ঠাকুরপো?
মেজবউঠাকরুণ ২১: জ্ঞানদার মধ্যে ফুটে উঠেছে তীব্র ঈর্ষা!
মেজবউঠাকরুণ ২০: স্বামী সম্বন্ধে জ্ঞানদার মনের ভিতর থেকে উঠে এল একটি শব্দ: অপদার্থ
মেজবউঠাকরুণ ১৯: কাদম্বরী ঠাকুরবাড়িতে তোলপাড় নিয়ে আসছে
মেজবউঠাকরুণ ১৮: নতুনকে কি বিলেত পাঠানো হচ্ছে?
মেজবউঠাকরুণ ১৭: চাঁদের আলো ছাড়া পরনে পোশাক নেই কোনও
মেজবউঠাকরুণ ১৬: সত্যেন্দ্র ভাবছে জ্ঞানদার মনটি এ-বাড়ির কোন কারিগর তৈরি করছে
মেজবউঠাকরুণ ১৫: জ্ঞানদার কাছে ‘নতুন’ শব্দটা নতুন ঠাকুরপোর জন্যই পুরনো হবে না
মেজবউঠাকরুণ ১৪: জ্যোতিরিন্দ্রর মোম-শরীরের আলোয় মিশেছে বুদ্ধির দীপ্তি, নতুন ঠাকুরপোর আবছা প্রেমে আচ্ছন্ন জ্ঞানদা
মেজবউঠাকরুণ ১৩: বিলেতে মেয়েদের গায়ে কী মাখিয়ে দিতে, জ্ঞানদার প্রশ্ন সত্যেন্দ্রকে
মেজবউঠাকরুণ ১২: ঠাকুরবাড়ির দেওয়ালেরও কান আছে
মেজবউঠাকরুণ ১১: ঠাকুর পরিবারে গাঢ় হবে একমাত্র যাঁর দ্রোহের কণ্ঠ, তিনি জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ১০: অসুস্থ হলেই এই ঠাকুরবাড়িতে নিজেকে একা লাগে জ্ঞানদানন্দিনীর
মেজবউঠাকরুণ ৯: রোজ সকালে বেহালা বাজিয়ে জ্ঞানদার ঘুম ভাঙান জ্যোতিঠাকুর
মেজবউঠাকরুণ ৮: অপ্রত্যাশিত অথচ অমোঘ পরিবর্তনের সে নিশ্চিত নায়িকা
মেজবউঠাকরুণ ৭: রবীন্দ্রনাথের মায়ের নিষ্ঠুরতা টের পেয়েছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ৬: পেশোয়াজ অন্দরমহল আর বারমহলের মাঝখানের পাঁচিলটা ভেঙে দিল
মেজবউঠাকরুণ ৫: বাঙালি নারীশরীর যেন এই প্রথম পেল তার যোগ্য সম্মান
মেজবউঠাকরুণ ৪: বৈঠকখানায় দেখে এলেম নবজাগরণ
মেজবউঠাকরুণ ৩: চোদ্দোতম সন্তানকে কি ভুল আশীর্বাদ করলেন দেবেন্দ্রনাথ?
মেজবউঠাকরুণ ২: তোমার পিঠটা কি বিচ্ছিরি যে তুমি দেখাবে না বউঠান?
মেজবউঠাকরুণ ১: ঠাকুরবাড়ির বউ জ্ঞানদাকে ঘোমটা দিতে বারণ দেওর হেমেন্দ্রর