রবীন্দ্রনাথের রামায়ণ পাঠের এই রীতি অবশ্য উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের পছন্দ হবে না। তাঁরা তো রামকে ‘যুদ্ধবাজ’ হিসেবেই দেখাতে চান। না দেখালে তাঁদের মনোবাসনা অপূর্ণ থেকে যাবে। যে কোনও উগ্রধর্ম যখন উগ্রজাতীয়তাবাদের সহচর হয় তখন একজন শত্রুকে খুঁজে বের করাই উদ্দেশ্য। শত্রু ছাড়া উগ্রধর্ম ও উগ্ররাষ্ট্র লড়াই জারি রাখতে পারে না। শত্রু না থাকলেও কাল্পনিক শত্রু চাই। রবীন্দ্রনাথ এই লড়াইখ্যাপা স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতাতন্ত্রকে খুবই চিনতেন। এই ক্ষমতাতন্ত্রের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের রামায়ণ পাঠের যোগ নেই, বিয়োগ রয়েছে।
‘রামায়ণ’ কাব্যটিকে কীভাবে পড়তে চাইছিলেন রবীন্দ্রনাথ এই প্রশ্নটি এখন নানা কারণে জরুরি। রামায়ণ তো এখন আর ‘কাব্যসীমা’য় ‘বদ্ধ’ হয়ে নেই– তা পাথুরে ইতিহাসের ঢাল-তলোয়ার লাভ করুক সাম্প্রতিককালে, অনেকেরই তা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাসনা। এই বাসনা বাস্তবায়িত করার জন্য পিছন দিকে এগিয়ে যাওয়ার নির্ধারিত কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। একটি কাঠামো ভেঙে তার তলায় কী ছিল, তা আবিষ্কারের চেষ্টা ও সেই আবিষ্কৃত অতীতকে যেমন তেমন করে যা-চাইছি সেই অতীত রূপে প্রমাণ করে, তার পুনর্নবীকরণের মাধ্যমে ভবিষ্যতের কাঠামো নির্মাণের নির্দেশ– এই হল চেনা ‘হিন্দুত্ববাদী’ যাত্রাপথ। এই যাত্রাপথে অতীতের অতীতে যাওয়ার ইচ্ছে অবশ্য নেই। ইচ্ছে একটাই, ঈপ্সিত একটি বিন্দুতেই অতীত-কল্পনা আটকে যাক, রামনাদে চারপাশ মুখরিত হোক। ‘রামায়ণ’কে যাঁরা কাব্য হিসেবে পড়েন, সংগত কারণেই তাঁদের পাঠ কিন্তু এরকম নিশ্চয়াত্মক নয়। এ দেশে শোনা-পড়ার সূত্রেই ‘রামায়ণ’ বহুপ্রকার, বহুপ্রকার রামায়ণ বহুর্থবোধক। এই যে নানারকম রামায়ণ তা গড়ে উঠেছিল কবিদের মনোভূমিতে– নানা কবি তাঁদের মনে মনে রাম ও রামায়ণকে নানাভাবে নির্মাণ করেছিলেন। সেই মনের স্বাধীনতাকে মিথ্যে ইতিহাসের পরাধীনতার পায়ে বলি দিতে রবীন্দ্রনাথ নারাজ।
দীনেশচন্দ্র সেনের ‘রামায়ণী কথা’ বইটির ভূমিকা লিখতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ কবিদের দু’দলে ভাগ করেছিলেন। একদল কবি নিজের কথা বলেন, আরেক দল কবি সকলের কথা বলেন। কোনও কাব্য ‘একলা কবির কথা’ আবার কোনও কাব্য বৃহৎ সম্প্রদায়ের কথা। রামায়ণ তাঁর মতে বৃহৎ সম্প্রদায়ের কথা। বৃহৎ সম্প্রদায়ের কথা বলেই তা ‘মুদির দোকান’ থেকে ‘রাজার প্রাসাদ’ পর্যন্ত সর্বত্র সমানভাবে আদৃত। প্রশ্ন হল, মুদির দোকানে রামায়ণের যে রূপটি আদর পায়, রাজার প্রাসাদেও কি রামায়ণের সেই রূপেরই আদর? হয় না তা। শ্রেণি আর অবস্থানের সূত্রে এক রামায়ণ নানাভাবে পড়া হয় এদেশে। খুবই স্বাভাবিক তা।
রবীন্দ্রনাথ নিজে ছেলেবেলায় সংস্কৃত রামায়ণ পড়েছিলেন পিতা দেবেন্দ্রনাথের কাছে। পাশাপাশি কৃত্তিবাসী পাঁচালি ছিল কিশোর রবির পড়ার বইয়ের বাইরের বই। মাস্টারমশাই চলে গেলে কৃত্তিবাসের পাঁচালি খুলে বসত সে। আর তুলসীদাসের রামায়ণ কিশোর রবি পড়েনি, শুনেছিল। তাঁদের বাড়িতে যে অবাঙালি কাজের লোকেরা ছিলেন, তাঁদের সন্ধেবেলার নামগানে তুলসীদাসের অনিবার্য উপস্থিতি। রবীন্দ্রনাথ নিজেই ছেলেবেলায় এই তিন রামায়ণের ভোক্তা। ভারতবর্ষে রামায়ণ অবশ্য এ-তিনরকম নয়, আরও বহুরকম। এক বাংলা রামায়ণেরই কত রূপ। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে দীনেশচন্দ্র সেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নানা বাংলা-রামায়ণ নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, পরে তা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। সংস্কৃত বাল্মীকি রামায়ণ ‘এলিট-পুরুষ’ পাঠ্যবই। দেবেন্দ্রনাথের কাছে সেই রামায়ণে রবির হাতেখড়ি হলেও সাধারণ বাঙালি পাঠকদের প্রিয় কৃত্তিবাসের রচনা নিজে-নিজে পড়তে সে ভোলেনি। বাল্মীকি রামায়ণের সঙ্গে কৃত্তিবাসী রামায়ণের অনেক পার্থক্য, তুলসীদাসের রামায়ণ আবার বাল্মীকি কৃত্তিবাসের থেকে আলাদা।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
তাঁর মনে হয়েছিল রামকথার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন কতকগুলি কাহিনিধারা মিশে আছে। অযোধ্যার রাজ-পরিবারের কাহিনি, বালি-সুগ্রীবের আখ্যান, রাবণের বৃত্তান্ত এই তিন আলাদা বিষয় রামায়ণের বাল্মীকিপাঠে একসঙ্গে মিলে গেল। মিলে গেলেও রাম-রাবণের যুদ্ধ সেখানে গৌণ– মূল কথা হল পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘কিন্তু রামায়ণের মহিমা রাম-রাবণের যুদ্ধকে আশ্রয় করিয়া নাই, সে যুদ্ধঘটনা রাম ও সীতার দাম্পত্যপ্রীতিকেই উজ্জ্বল করিয়া দেখাইবার উপলক্ষ মাত্র।’
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
এই যে নানা-রামায়ণ, তাতে রামায়ণের কোন দিকটি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে? রবীন্দ্রনাথ পাঠক হিসেবে মনে করতেন, ‘রামায়ণেও যুদ্ধব্যাপার যথেষ্ট আছে, রামের বাহুবলও সামান্য নহে, কিন্তু তথাপি রামায়ণে যে রস সর্বাপেক্ষা প্রাধান্য লাভ করিয়াছে তাহা বীররস নহে।’ রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে গৌণ। তাঁর মতে, রামায়ণ ‘ঘরের কথাকেই অত্যন্ত বৃহৎ করিয়া দেখাইতেছে।’ সেই ঘরের কথায় যুদ্ধের গর্জন নেই, রাবণের সঙ্গে দাঁতে-দাঁত চেপে লড়াই-বাসনায় রাম বড় হয়ে উঠছেন না। রবীন্দ্রনাথের এই অভিমতকে দীনেশচন্দ্র সেন বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে একরকম করে মান্যতা দিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, রামকথার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন কতকগুলি কাহিনিধারা মিশে আছে। অযোধ্যার রাজ-পরিবারের কাহিনি, বালি-সুগ্রীবের আখ্যান, রাবণের বৃত্তান্ত এই তিন আলাদা বিষয় রামায়ণের বাল্মীকিপাঠে একসঙ্গে মিলে গেল। মিলে গেলেও রাম-রাবণের যুদ্ধ সেখানে গৌণ– মূল কথা হল, পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘কিন্তু রামায়ণের মহিমা রাম-রাবণের যুদ্ধকে আশ্রয় করিয়া নাই, সে যুদ্ধঘটনা রাম ও সীতার দাম্পত্যপ্রীতিকেই উজ্জ্বল করিয়া দেখাইবার উপলক্ষ মাত্র।’
রবীন্দ্রনাথের রামায়ণ পাঠের এই রীতি অবশ্য উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের পছন্দ হবে না। তাঁরা তো রামকে ‘যুদ্ধবাজ’ হিসেবেই দেখাতে চান। না দেখালে তাঁদের মনোবাসনা অপূর্ণ থেকে যাবে। যে কোনও উগ্রধর্ম যখন উগ্রজাতীয়তাবাদের সহচর হয় তখন একজন শত্রুকে খুঁজে বের করাই উদ্দেশ্য। শত্রু ছাড়া উগ্রধর্ম ও উগ্ররাষ্ট্র লড়াই জারি রাখতে পারে না। শত্রু না থাকলেও কাল্পনিক শত্রু চাই। রবীন্দ্রনাথ এই লড়াইখ্যাপা স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতাতন্ত্রকে খুবই চিনতেন। এই ক্ষমতাতন্ত্রের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের রামায়ণ পাঠের যোগ নেই, বিয়োগ রয়েছে।
‘রক্তকরবী’ নাটকে রামায়ণের নানা অনুষঙ্গ ব্যবহার করেছিলেন তিনি। রাম-সীতার কাহিনিকে যে শস্য-সংস্কৃতির সূত্রে পড়া যায় তা তিনি মানতেন। এ-নাটকে নন্দিনী সীতার মতোই মাটির সঙ্গে সম্পর্কিত। রাজা জনক হাল চষতে গিয়ে সীতাকে পেয়েছিলেন। ‘রক্তকরবী’ নাটকে ধানী রঙের শাড়ি পরা নন্দিনী সীতারই প্রতিরূপ যেন। কৃষি-সংস্কৃতির সঙ্গে তার জীবনের যোগ। সে আর রঞ্জন খনিশহরের মানুষদের কৃষি-অর্থনীতির বনেদের ওপর ভরসা রাখতে বলে। এরই বিপরীতে খনিশহরের অর্থনীতি চালিয়ে নিয়ে যায় সর্দার ও সর্দারদের সাজিয়ে রাখা ‘জুজুর পুতুল’ রাজা। এই জুজুর পুতুল সেজে থাকার দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত পরিত্যাগ করবে। রাজার মনবদলের আগে রাজার মনের খবর বোঝার জন্য সর্দার চিকিৎসককে ডেকে এনেছে। সর্দার-চিকিৎসকের সংলাপ লক্ষ করার মতো,
চিকিৎসক। দেখলুম। রাজা নিজের ’পরে নিজে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। এ রোগ বাইরের নয়, মনের।
সর্দার। এর প্রতিকার কী।
চিকিৎসক। বড়োরকমের ধাক্কা। হয় অন্য রাজ্যের সঙ্গে, নয় নিজের প্রজাদের মধ্যে উৎপাত বাধিয়ে তোলা।
সর্দার। অর্থাৎ আর-কারও ক্ষতি করতে না দিলে, উনি নিজের ক্ষতি করবেন।
চিকিৎসক। ওরা বড়োলোক, বড়ো শিশু, খেলা করে। একটা খেলায় যখন বিরক্ত হয়, তখন আর একটা খেলা না জুগিয়ে দিলে নিজের খেলনা ভাঙে। কিন্তু প্রস্তুত থাকো সর্দার, আর বড়ো দেরি নেই।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
আরও পড়ুন: ড্রইং শুরু করার আগে পেনসিলকে প্রণাম করতে বলেছিলেন
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
এই যে বিরক্ত রাজাকে নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি, তা লড়াইখ্যাপার পদ্ধতি। উৎপাত বাঁধিয়ে রাজাকে তখন ক্ষমতাতন্ত্রীরা ব্যবহার করবেন, ভুলিয়ে রাখবেন। এই ভুলিয়ে রাখার পদ্ধতিটি লড়াই-লাগানোর পদ্ধতি। ‘রক্তকরবী’তে সর্দার এই ভুলিয়ে রাখার দায়িত্বটি নিয়েছেন। শেষে অবশ্য তা ব্যর্থ হল। রাজা ভুলে থাকলেন না– সীতাকল্প নন্দিনীর টানে তার জাল ছিন্ন হল, ক্ষমতাতন্ত্রের বাইরে এলেন তিনি। এ নাটকে শস্যজীবীদের অর্থনীতিতে বড় হয়ে ওঠা সীতাকল্প নন্দিনী লড়াইখ্যাপা রাজনীতির বিরোধিতা করেছেন। অর্থাৎ, রামায়ণের অনুষঙ্গ দিয়েই রবীন্দ্রনাথ ক্ষমতাতন্ত্রের বিরোধিতা করছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হালের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাতন্ত্র উলটে রাম ও রামায়ণকে তাদের পক্ষে ‘জুজুর পুতুল’ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। অযোধ্যার জুজুর পুতুলের ছায়া দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
…………………ছাতিমতলা অন্যান্য পর্ব……………………..
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি