শাহরুখ জীবনের শুরুতেই মণি কাউলের ‘ইডিয়ট’-এ অভিনয় করে ফেলেছেন, অরুন্ধতী রায়ের ছবি ‘ইন হুইচ অ্যানি গিভস ইট দোজ ওয়ানস’-এ ছোট হলেও একটি সমকামী চরিত্রে অবতীর্ণ হয়েছেন, কেতন মেহতার ‘মায়া মেমসাব’-এ এসেছেন, যেখানে তাঁর অভিনয় করা ঘনিষ্ঠদৃশ্য রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছে। অভিনয় করেছেন ‘ওহ ডার্লিং ইয়েহ হ্যায় ইন্ডিয়া’-র মতো স্পুফ ছবিতেও। কিন্তু তাঁর নাড়া বাঁধা ছিল অন্যত্র। অমরিশ পুরির মতো যে কোনও মুহূর্তে অনার কিলিং করে ফেলতে পারা ভিলেন শুধু ট্রেন থেকে বাড়িয়ে দেওয়া ওই হাতের ইশারাতেই বলে ফেলবে, ‘যা সিমরন, জি লে আপনি জিন্দেগি।’ কত বেকার ছেলের না হওয়া প্রেম, কত বেপাড়ার মেয়ের চোখের জল নিয়ে বাধ্য হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার ব্যর্থতা পলকে মুছে যাবে!
৩৩.
শতাব্দীর শেষ দশক ছিল মন্থর, এবং অন্তঃসলিলায় তুমুল গতিশীল। কেউ জানত না, কীভাবে আগামী দশকগুলো গিলে খাবে এই শেষ কয়েকটা শান্ত বিকেল! এসটিডি বুথকে গিলবে পেজার, তারপর নোকিয়ার ঢাউস রুপোলি মোবাইল, কম্পিউটার আসতে শুরু করবে ঘরে ঘরে। ভারতীয় সিনেমা তখনও এক শতক পেরয়নি। সার্কাসের তাঁবু আর সিনেমা হলের মধ্যে বিস্ময়ের যে যোগাযোগ-সেতু ছিল, তা ভাঙতে শুরু করবে অচিরেই। বদলাচ্ছিল খেলাও। এসবের মাঝেও ‘গোপনীয়তার মালিকানা’-র জন্য সিনেমা হলের অন্ধকারের আহ্বান ছিলই।
১৯৯২ সালের বসন্ত-গ্রীষ্মের মৌতাতে এল, ‘জো জিতা ওহি সিকান্দর’। কলকাতার পাড়ার কৈশোর নিজেকে খুঁজে পেল আমির খান-আয়েশা ঝুলকার মধ্যে। অনুরণিত হতে থাকল ‘পহেলা নাশা, পহেলা খুমর’; মাইক থেকে ক্যাসেট, সেই গান যেমন বাজত সোচ্চারে, তেমন তা অন্তর্লীন গুনগুনও তো বটে। ওই যে সাইকেল নিয়ে যে ছেলেটা বিকেলে শ্যামপুকুর থানার পাশে বাঁক নেওয়ার পথে দেখতে পায় হঠাৎই কোচিংয়ের মেয়েটিকে, স্কুলফেরত সেও একঝলক দেখেই হাসির ইঙ্গিত দিয়ে সরে যায়, ছেলেটার প্যাডেল বেসামাল হয়ে যায়, বুক ধড়ফড় করে ওঠে– তখন কান পাতলে কোথাও কি ‘নয়া পেয়ার হ্যায়, নয়া ইন্তেজার’ শোনা যাবে না? আলবাত যাবে! ‘মেরে দিল-এ বেকারার/ তু হি বাতা’– সুর কি ভেসে আসবে না, যখন দীর্ঘ নীরব টেনশনের পর অল্প কথার শেষে বাড়ি ফিরে স্কুলকলেজের ব্যাগ ছুড়ে ফেলে দিয়ে খাটে এলিয়ে দিয়েছে আনন্দে উদ্বেল শরীর, বাইরের জামাকাপড় ছাড়ার কথা ভুলে গিয়েই! খেলোয়াড়ি মন যতই সিনেমার নামে ভর করুক, যতই শিখুক জেতার মন্ত্রগুপ্তি, আদতে তো মন জানত, কোন সুরে নাড়া বাঁধা! যে মধ্যবয়সিনি এসে দুঃখ করে, ওই সুরে তার সহপাঠিনীকে সে ডাকতে চেয়েও পারেনি, চারপাশে তোলা দেওয়াল ভেদ করে, তার জন্য এই সিনেমার নাম কি আদতে নিষ্ঠুর খোঁচা নয়? ‘জো জিতা ওহি সিকান্দর’, কিন্তু দুনিয়া ওপর ওপর যতই কলার তুলুক, আন্ডারওয়ার্ল্ডে তো হেরোদেরই!
আসলি আন্ডারওয়ার্ল্ডও কিন্তু পিছিয়ে ছিল না। নব্বই জুড়ে বলিউডের নানা নীল নকশায় সে ঘাপটি মেরেই রইল। দক্ষিণী সিনেমা তখন নায়কের হ্যামারশিয়ার ওপর জোর দিচ্ছিল। যেজন্য দক্ষিণ ভারত থেকে মুম্বইয়ে এসে ত্রাসের রাজত্ব করা রবিনহুড মুদালিয়র মণিরত্নমের দক্ষিণী ছবিতে হয়ে ওঠেন একচ্ছত্র নায়ক, কমল হাসানের হাত ধরে। শান্তনু চক্রবর্তী ‘বলিউডের জন-গণ-মন’-তে দেখিয়েছিলেন, কীভাবে দক্ষিণ তার স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছিল সিনেমায়, এবং সর্বভারতীয়ত্ব নামক বর্গটির থেকে সচেতন দূরত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিল বরাবর। সেই জায়গা থেকেই মণিরত্নম ‘নায়কন’-এর পটভূমি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সমীকরণ ঘাঁটল, যখন ধর্মের সিঁধকাটা সাপ ঢুকে পড়ল ক্ষমতার বাসরঘরে। আটের দশকের শেষ থেকেই যে রামরথযাত্রার প্রতিধ্বনি পাওয়া যাচ্ছিল, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর এসে তা পূর্ণতা পেল, বাবরি মসজিদের ধ্বংসলীলায়। এবং ‘দর্পণা’-য় সেই দিনই একদল পড়ুয়া আটকে পড়েছিল সেসময় তুমুল জনপ্রিয় হওয়া একটি ছবি দেখতে গিয়ে। ছবির নাম, ‘রাজু বন গ্যয়া জেন্টলম্যান’। আর সেই ছবি দেখার পরেই, রান নিতে গিয়ে যেমন ব্যাটারের জায়গা বদল হয়, সেভাবেই অনেকের হৃদয়ে বদলে গেল তাদের স্বপ্নের নায়কের নাম। অন্তত এই কোচিংপালানো পড়ুয়াদের দলে, সুদর্শন, রোমান্টিক, তরুণ আমির খানের নাম প্রতিস্থাপিত হল– মোলাকাত হল এক তথাকথিত সৌন্দর্যের ছকে না আঁটা, কিন্তু দিলখোলা, মানে এতটাই দিলখোলা যে, একটা গোটা ভালবাসার ভারত সেই বুকে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে নির্দ্বিধায়, এমন এক নায়কের সঙ্গে।
‘দিওয়ানা’ বা ‘দিল আশনা হ্যায়’ রিলিজ করেছিল ওই বছরেই। ‘চমৎকার’ দেখে অনেকেই চিনল বটে তাঁকে, কিন্তু অনেকের কাছেই, ভূত সাজা নাসিরুদ্দিন শাহ হয়ে উঠলেন অবধারিত নায়ক। কিন্তু ওই হেরোদের বুকের ভেতর, ‘একাবোকা থাকব না’-র অনুরণনটা প্রথম তুলল সেই ছেলেটিই, যাকে শাহরুখ খান নামে চিনতে শুরু করেছিল দেশ। তখনও বাঙালি কেএমডিএ বা পিডব্লুডি-র মতো আদ্যক্ষরের খেলায় মেতে ছিল বটে, কিন্তু ‘এসআরকে’ বলে উঠতে পারেনি দুম করে। আর কিং খান বা বাদশা-র মতো ভারী ভারী নাম তখন দূরেই। কয়েকবছর আগে ‘ফৌজি’-তে দেখা মুখটা বড়পর্দায় আশ্চর্য ম্যাজিক আমদানি করল। হেমন্তশেষের, শীতের বার্তা দেওয়া বিকেলগুলোর বিমর্ষ হাওয়ায় ততক্ষণে বেঁটেখাটো চেহারার শাহরুখ তখন হলফেরত অনেকেরই স্মিত হাসিতে, আনমনা চোখে, মলিনতার আবডালে বাসা বেঁধে ফেলেছেন চুপিসারে।
কিন্তু সেই সম্মোহন কোথায় ভ্যানিশ হয়ে গেল হাতিবাগানে পা রেখেই! এই উত্তুরে প্রাণকেন্দ্র এমনই ভিড়জমাট থাকে, যে পা ফেলা দায় হয়। কোথাও জনমনিষ্যি নেই!
হঠাৎই কোচিংফেরত একজনের দাদা প্রায় যমদূতের মতো হাজির হল সামনে। সকলের মুখ পানসে। কোনও এক খোচড়ের থেকে খবর পেয়েই এই আবির্ভাব, বোঝা গেল। কিন্তু দাদার মুখচোখে পালিয়ে সিনেমা দেখা নিয়ে কোনও রাগ অনুরাগ নেই, যা আছে, তা উদ্বেগ।
‘বাড়ি চল তোরা সবাই! বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে। ঝামেলা লাগতে পারে।’
তাও, এক মুসলিম নায়কের প্রেমে আকুল সেসব দর্শক মুহূর্তে চিহ্নিত হয়ে যায়নি তখনও ‘লাভ জিহাদি’ হিসেবে। প্রেমের সঙ্গে লাভলোকসান না থাকুক, জিহাদ যে জুড়ে থাকেই, সেকথা তো সেই লোকটাই শেখাবে এরপর। শাহরুখ জীবনের শুরুতেই মণি কাউলের ‘ইডিয়ট’-এ অভিনয় করে ফেলেছেন, অরুন্ধতী রায়ের ছবি ‘ইন হুইচ অ্যানি গিভস ইট দোজ ওয়ানস’-এ ছোট হলেও একটি সমকামী চরিত্রে অবতীর্ণ হয়েছেন, কেতন মেহতার ‘মায়া মেমসাব’-এ এসেছেন, যেখানে তাঁর অভিনয় করা ঘনিষ্ঠদৃশ্য রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছে। অভিনয় করেছেন ‘ওহ ডার্লিং ইয়েহ হ্যায় ইন্ডিয়া’-র মতো স্পুফ ছবিতেও। কিন্তু তাঁর নাড়া বাঁধা ছিল অন্যত্র। অমরিশ পুরির মতো যে কোনও মুহূর্তে অনার কিলিং করে ফেলতে পারা ভিলেন শুধু ট্রেন থেকে বাড়িয়ে দেওয়া ওই হাতের ইশারাতেই বলে ফেলবে, ‘যা সিমরন, জি লে আপনি জিন্দেগি।’ কত বেকার ছেলের না হওয়া প্রেম, কত বেপাড়ার মেয়ের চোখের জল নিয়ে বাধ্য হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার ব্যর্থতা পলকে মুছে যাবে! অমরিশ পুরির ওই একটি বার্তা কত সাহস জোগাবে স্কুলড্রেস পরা সেসব আশিকদের বুকে!
মজার বিষয়, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’-র আগে, মুক্তি পেয়ে গিয়েছে ‘ডর’, ‘বাজিগর’-ও। একরোখা, জেদি, ভয়াবহ প্রেমিক শাহরুখ, ধূর্ত শাহরুখ হয়তো ভয় দেখিয়েছে অনেককেই। অনেকেই পাড়ার কোনও দাদার নিয়মিত চোখে চোখে রাখা নিয়ে আরও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। সেই অ্যান্টি হিরো শাহরুখকে বলতেই হল সোচ্চারে, ওইসব মিথ্যে। এই তো মহব্বতের ট্রেন ছাড়ছে, দৌড়ে এসে উঠে পরো। হাত বাড়িয়েই আছি! ‘ডর’-এর থমথমে ভাব কাটল, হাওয়ায় ভেসে এল ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম/ পেয়ার হোতা হ্যায় দিওয়ানা সনম…’
কিন্তু ঘৃণার তাকত চিরকালই বেশি। তাই মসজিদের ভাঙা ইটের ধুলো উড়ে এসে লাগল যৌবন উত্তীর্ণ স্বাধীন দেশের মুখে। মুম্বইয়ে দাঙ্গা, ও তৎপরবর্তী বিস্ফোরণ সন্ত্রাসের জ্বালামুখ খুলে দিল। আবার, কার্টুনিস্ট থেকে জাতীয়তাবাদী নেতা হয়ে ওঠা বাল ঠাকরের ও তাঁর মারাঠি অস্মিতার সঙ্গে তখন টিনসেল টাউনের অন্য বোঝাপড়া। অন্যদিকে, মারাঠা মন্দিরে ‘দিলওয়ালে…’ যখন আগামী কয়েক দশক ধরে টানা চলার ইতিহাসের যাত্রাটা শুরু করছে, তখন কাশ্মীরে ধিকিধিকি আগুন জ্বলে উঠছে। মণিরত্নম কার্যত দক্ষিণী বেড়াজাল ভেঙে হয়ে উঠছেন প্যান ইন্ডিয়ান, বানাচ্ছেন ‘রোজা’, ‘বম্বে’, ‘দিল সে’। এসব ছবি সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রপন্থাকে দেখতে চাইল এক উদার জাতীয়তাবাদী আতশকাচে, যা দিনের শেষে সংবেদনশীল। আর এ. আর. রহমান নামক এক প্রায় জাদুকরের হাতে প্রাণ পেল ‘তেরা বিনা ম্যায় ক্যায়সে জিউ’-র সেই আশ্চর্য সুর, যা শেখাল, দেশজুড়ে পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত নড়ে গেলেও, সংগীত পারে বিশ্বাস করাতে। ‘দিল সে’-তে আগুন, বিস্ফার আর বিভেদের নো ম্যানস ল্যান্ডেও শাহরুখ অবিচল থাকলেন, ‘দিলওয়ালে…’-তে তাঁর ওই সরষে খেতে ম্যান্ডোলিন হাতে দাঁড়ানো প্রেমিক অবতারেই। মণীষা কৈরালার বিষাদ ছুঁয়ে, ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’-র ছন্দ ছুঁয়ে শাহরুখ তখনই বার্তা দিয়েছিলেন, যুদ্ধবিগ্রহের মাঝেও তিনি ভালবাসাতেই বিশ্বাস করাতে বদ্ধপরিকর। আর কয়েক বছর পর ‘মিশন কাশ্মীর’ বা ‘গদর’ হবে। শাহরুখ তখন অভিনয় করছেন কমল হাসানের ‘হে রাম’-এ।
অনিল কাপুর-শ্রীদেবীর ‘হির রঞ্ঝা’ বা বিধুবিনোদ চোপড়ার ছবি ‘১৯৪২: আ লাভ স্টোরি’, যাতে আর. ডি. বর্মনের ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’ বা ‘কুছ না কহো, কুছ ভি না কহো’-র মতো মেলোডি জন্মেছে, যা পাড়ায় পাড়ায় এই শরৎকালে বেজে উঠলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে নব্বইয়ের স্মৃতিগুচ্ছ– সেসব ছিলই। ছিল গোবিন্দার ‘শোলা অউর শবনম’, বা সেই ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ থেকে নির্দিষ্ট দর্শকের জন্য প্রায় লোফার হিরো হয়ে ওঠা সলমন খানও ছিল। কিন্তু শাহরুখ খান অনিবার্যভাবেই এসটিডি বুথ, পাড়ার ছবি তোলার স্টুডিও, মলিন চাঁদসি ফার্মেসি বা হোমিওপ্যাথির দোকান, উল্টে পড়া ভোমার জায়গায় চড়াইমারা মোবাইলের টাওয়ারের ওপরের আকাশ বেয়ে আসমুদ্রহিমাচল গমখেত থেকে তুষার উপত্যকায় নিজেকে একচ্ছত্র রোম্যান্টিক নায়ক করে তুলতে পেরেছিলেন। তাই তিনি সহজেই বলতে পারেন শতাব্দীর শেষের এক সাক্ষাৎকারে, ‘ঈশ্বর নব্বই দশকটাই আমার জন্য বেছে রেখেছিলেন।’
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩২। অমর চিত্রকথা, চাচা চৌধুরী ও ইরোটিকার পৃথিবীতে এসে পড়ল তরুণ বেপরোয়া নায়কদের দিন
পর্ব ৩১। নব্বইয়ের শুরু থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ঢাকা পড়ল বলিউডের তাজমহলে
পর্ব ৩০। ফুলন দেবীর বন্দুক ও ‘মির্চ মসালা’-র প্রতিরোধ
পর্ব ৩০। স্কুল থেকে শ্মশান, সর্বত্র শোনা গেছে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’
পর্ব ২৯। ‘ক্যায়ামত’ না আসুক, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ঠিক বুঝেছে এসটিডি বুথ, একা অ্যান্টেনা
পর্ব ২৮। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দিন জনশূন্য কলকাতায় পকেটমারি
পর্ব ২৭। মাস্টারমশাইরা কি আজও কিচ্ছু না দেখেই থাকবে?
পর্ব ২৬। ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের আপত্তি জোটেনি কিন্তু ‘উরি উরি বাবা’ নাকি অপসংস্কৃতি
পর্ব ২৫। চুল কাটলেই মাথার পিছনে জ্যোতির মতো বাজবে ‘শান’-এর গান!
পর্ব ২৪। মরণোত্তর উত্তমকুমার হয়ে উঠলেন সিরিয়াল কিলার
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল