দেবী যোগাদ্যা, একান্ন সতীপীঠের উল্লেখ আছে তন্ত্রের এমন সব বইতেই ক্ষীরগ্রামকে সতীপীঠ বলে স্বীকার করা আছে, দেবীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল নাকি এখানেই পড়েছিল। ভৈরবের নাম ক্ষীরখণ্ডক। কৃত্তিবাস ওঝা বিরচিত ‘শ্রীরামের পাঁচালী’-তে উল্লেখ আছে এই দেবী যোগাদ্যার। লঙ্কার রাজা রাবণ পুত্র মহীরাবণ ভদ্রকালী নামে এই দেবীর পূজা করতেন। নিত্য পূজা, বলিদান চলত, দেবীর বরে মহীরাবণ যুদ্ধে শত্রু দমন করতেন অনায়াসে।
১৪.
তীর্থস্থানের গল্প যে লাঠিয়াল বা লাঠিখেলা দিয়ে শুরু করা যায় আগে কখনও তেমন ভাবিনি। কিন্তু ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরাতেই যেন প্রমথ চৌধুরীর ‘মন্ত্রশক্তি’ গল্পের অনুকরণে মনে হল, ‘মন্ত্র শক্তিতে তোমরা বিশ্বাস কর না, কারণ আজকাল কেউ করে না; কিন্তু আমি করি। এ বিশ্বাস আমার জন্মেছে শাস্ত্র পড়ে নয়, মন্ত্রের শক্তি চোখে দেখে’। তবে কি না যে ইতিহাসের কথা লিখব, সেটি আমার নিজের চোখে আদৌ দেখা নয়।
ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা মন্দির হল এই ঘটনার অকুস্থল। মহাজাগ্রত তীর্থ বলে পরিচিত এই যোগাদ্যা মন্দির, সতীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল পড়েছিল নাকি এখানেই, অন্তত সতীর একান্ন পীঠের উল্লেখ যত বইতে আছে তার সর্বত্রই এমনটাই লেখা। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, কেবল জল থেকে তুলে এনে পুজো করা হয় বৈশাখের সংক্রান্তি দিবসে। তারপর দু’দিন মন্দিরে গোপনে ব্রাহ্মণেরা পুজো করে শেষ দিনে আবার সর্বসাধারণের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হয়, তারপর দেবীকে আবার মন্দির সংলগ্ন পুকুরের জলে ডুবিয়ে রাখা হয়।
বৈশাখী সংক্রান্তির দিন অগণিত ভক্ত সমাবেশে নানা এলাকার লাঠিয়ালেরা এসে মায়ের সামনে তাদের কলা পরিবেশন করত। সেইসব বলশালী লেঠেল বাহিনী আগেভাগে এসেই মন্দিরের দখল নিয়ে নিত, অন্য ভক্তেরা সারাবেলা ধরে অপেক্ষা করত, যতক্ষণ সেই বীরপুঙ্গবদের পুজো শেষ হয়। এমনই একবার সুদুর নদীয়া থেকে এসেছেন আশানন্দ ঢেঁকি আর তাঁর বেশ কিছু সঙ্গীসাথী। ওদিকে নিমদে গ্রাম থেকে একদল লেঠেল সেই সকাল থেকে দখল নিয়ে মন্দির জুড়ে তাদের পুজো করছে তো করছেই। বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে, বোশেখ মাসের প্রচণ্ড দাবদাহে মায়ের জন্যে আনা ফুল, প্রসাদ সব শুকিয়ে আসছে, তাই আশানন্দ মন্দিরের সামনে এগিয়ে যেতে রইলেন, সেই দেখে নিমদা গ্রামের সেই লেঠেলদের সর্দার হুমকি দিয়ে তাঁকে হটিয়ে দিতে গিয়ে হটকারীর মত আশানন্দের মাথায় দিয়ে বসলেন লাঠির এক বাড়ি। ফিনকি দিয়ে রক্ত বইল। মাথা নীচু করে আশানন্দ ফিরে এলেন নিজের দলের লোকেদের কাছে, বাছাই করে নিলেন এক লাঠি। নিমেষে চোখে সর্ষেফুল দেখতে রইলেন নিমদার সর্দার। আশানন্দ মুখোপাধ্যায় ছিলেন আঠারো শতকের এক নামজাদা লাঠিয়াল। একবার শুধুমাত্র এক ঢেঁকির সাহায্যে গোটা এক ডাকাতদলকে শায়েস্তা করেছিলেন, সেই থেকে ‘ঢেঁকি’ শব্দটা জুড়ে গিয়েছিল তাঁর নামের সঙ্গে।
দেবী যোগাদ্যা, একান্ন সতীপীঠের উল্লেখ আছে তন্ত্রের এমন সব বইতেই ক্ষীরগ্রামকে সতীপীঠ বলে স্বীকার করা আছে, দেবীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল নাকি এখানেই পড়েছিল। ভৈরবের নাম ক্ষীরখণ্ডক। কৃত্তিবাস ওঝা বিরচিত ‘শ্রীরামের পাঁচালী’-তে উল্লেখ আছে এই দেবী যোগাদ্যার। লঙ্কার রাজা রাবণ পুত্র মহীরাবণ ভদ্রকালী নামে এই দেবীর পূজা করতেন। নিত্য পূজা, বলিদান চলত, দেবীর বরে মহীরাবণ যুদ্ধে শত্রু দমন করতেন অনায়াসে। সীতা উদ্ধারের জন্য রামচন্দ্র লঙ্কায় এলে মহীরাবণ কৌশলে তাঁদের দুই ভাইকে বন্দী করেন, ও তাঁর ইষ্টদেবীর কাছে বলি দিতে মনস্থ করেন। ওদিকে রামভক্ত হনুমান দেবীকে শাসাতে রইলেন এই বলে,
মহীর গৃহে আছেন জগতের মাতা
প্রীতি বাক্যে কহি গিয়া গুটিকত কথা।।
তাহে যদি মহীর করিতে চান হিত।
সাগরে ডুবাব লয়ে মন্দির সহিত।।
এরপর মাছির রূপ ধারণ করে দেবী মূর্তির কানে কানে বললেন, রাম আর লক্ষণ এসেছেন, আজ মহীরাবণকে হত হতে হবে। দেবী নিজেও খুব খুশি, রাম লক্ষণের আগমনে। মহীরাবণ রাম, লক্ষণকে বলি দেওয়ার জন্য দেবীর সম্মুখে এনে প্রণিপাত প্রণাম করতে বললে, সেই দুইজন বললেন তাঁরা প্রণাম করতে জানেন না, শিখিয়ে দিতে হবে। আর যেই না মহীরাবণ দেবীর সামনে প্রণিপাত প্রণাম করতে গেলেন, রাম দেবীর হাতের খাঁড়াখানি দিয়েই তার মাথা কেটে ফেললেন। বীর স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রানি বললেন,
রাণী বলে এই ছিল যোগাদ্যার মনে,
এতকাল পূজা খেয়ে মারিল রাজনে।
মহীরে দিলেক বলি দেবীর সাক্ষাতে।
মজিল আমার রাজ্য মহামায়া হাতে।।
রাম ও তাঁদের দোসর বানরসেনার এই ঔদ্ধত্যের সমুচিত জবাব দেওয়ার আগে মহাদেবীর এই অকৃতজ্ঞ কার্যের প্রতিকার-কল্পে রানি প্রতিজ্ঞা করলেন,
অগ্রে গিয়া প্রতিমা ডুবায়ে দিব জলে,
নর-বানরের প্রাণ লব শেষকালে।।
কিন্তু রানি ওমন করার আগেই দেবী হনুমানের কাঁধে চেপে চলে এলেন ক্ষীরগ্রামে।
এমন গল্প, তা সে যবেই তৈরি হোক না কেন, এক বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ছড়ান, এমনটাই মনে করেন অনেকে। মাতৃকাপূজার চল ছিল মূলত অনার্য সমাজে, হয়তো এই যোগাদ্যাও তেমনই এক অন্ত্যজ জনগোষ্ঠীর দেবী, ক্রমে ব্রাহ্মণ্য সমাজে উত্তীর্ণ হয়েছেন, এই কাহিনিগুলির ভিত্তিতে স্বীকৃত হয়েছেন। সন্দেহটা শুরু হয়, যখন জানা যায় মহাপূজার আগের রাতে ডোম সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় পূজারী ব্রাহ্মণদের এক নকল লড়াই অনুষ্ঠান বা ‘ডোম চুয়ারী’ অনুষ্ঠান পূজার প্রাচীন প্রথা মেনে আয়োজিত হয়, আর সেই লড়াইয়ের শেষে ডোমদের রক্ত দিয়েই দেবীর পূজা শুরু হয়। যে অঞ্চলে যোগাদ্যার মন্দিরখানি অবস্থিত সেই মঙ্গলকোট ছিল এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল বলেই স্বীকৃত। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ বছর আগে এখানে মানুষের বাস ছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় জানা গেছে, সুতরাং প্রাচীনকালে মাতৃকাপূজার চল যে ছিল এমন মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক।
যোগাদ্যার আবির্ভাব নিয়ে আরেকটি কাহিনি ওই অঞ্চলে খুবই প্রচলিত। কোনও এক সময়ে হরিদত্ত নামে এক ধার্মিক ও প্রজাবৎসল ‘নরপতি’ ওই অঞ্চলে রাজত্ব করতেন। এক রাত্রে তিনি স্বপ্ন দেখলেন জগন্মাতা যোগাদ্যা তাঁর রাজ্যে পূজা পেতে আগ্রহী। তিনি এক মূর্তিতে প্রকট হয়ে আদেশ করলেন নিত্যদিন নরবলি দিয়ে যেন রাজা তাঁর পূজা করেন। পরদিন থেকে রাজা হরিদত্ত সাতদিন ধরে তাঁর সাত পুত্রকে পরপর বলি দিয়ে মায়ের পূজা করলেন এবং অষ্টম দিন থেকে গ্রামের প্রতি পরিবার থেকে পালাক্রমে একজন করে মায়ের কাছে বলি দিতে থাকলেন। এমন এক দিন এল যেদিন মায়ের পূজারীর পরিবারে পালা পড়ল। পূজারী ও তাঁর স্ত্রী আগের রাতে অনেক ভেবেচিন্তে স্থির করলেন, প্রাণ বাঁচাতে হলে গ্রামত্যাগ করতে হবে। সেই মতো নিশুত-রাতে তাঁরা তিনজনে জঙ্গলের পথ ধরলেন। ঘন অন্ধকারে পথে যেতে যেতে আকস্মিক এক বৃদ্ধার সঙ্গে তাঁদের দেখা। এত রাতে কোথায় চলেছেন তিনজনে এই প্রশ্ন করলেন সেই বৃদ্ধা। ব্রাহ্মণ সত্যভাষী, তাই সব কথাই খুলে ব্যক্ত করলেন। তখন সেই বৃদ্ধা বললেন, ‘যে ভয়ে পালাও তুমি, সেই মহাদেবী আমি’।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
যোগাদ্যার আবির্ভাব নিয়ে আরেকটি কাহিনি ওই অঞ্চলে খুবই প্রচলিত। কোনও এক সময়ে হরিদত্ত নামে এক ধার্মিক ও প্রজাবৎসল ‘নরপতি’ ওই অঞ্চলে রাজত্ব করতেন। এক রাত্রে তিনি স্বপ্ন দেখলেন জগন্মাতা যোগাদ্যা তাঁর রাজ্যে পূজা পেতে আগ্রহী। তিনি এক মূর্তিতে প্রকট হয়ে আদেশ করলেন নিত্যদিন নরবলি দিয়ে যেন রাজা তাঁর পূজা করেন। পরদিন থেকে রাজা হরিদত্ত সাতদিন ধরে তাঁর সাত পুত্রকে পরপর বলি দিয়ে মায়ের পূজা করলেন এবং অষ্টম দিন থেকে গ্রামের প্রতি পরিবার থেকে পালাক্রমে একজন করে মায়ের কাছে বলি দিতে থাকলেন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
ধরা পড়েও অভয়ার আশ্রয় নিতে শরণাগত পূজারী পরিবারকে দেবী আশ্বস্ত করলেন, তখন থেকে আর নিত্যদিন নরবলির প্রয়োজন হবে না, নিবারণ চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় জানা যায়, দেবী নাকি বলেছিলেন– বৈশাখ সংক্রান্তিতে এক অজ্ঞাত পরিচয় মানুষ স্বেচ্ছায় আত্মাহুতি দিয়ে, নরবলির প্রথা অক্ষুণ্ণ রাখবেন। এমন ভয়ঙ্কর প্রথা কতদিন চলেছিল সেকথা অবশ্য জানা যায় না। তবে যোগাদ্যাকে ঘিরে নানা কিংবদন্তি, মুচমুচে কাহিনি লোকের মুখে আজও ঘোরে। যেমন ওই শাঁখা পরার গল্পটি, যে গল্প আমি আরও অনেক মন্দিরেই শুনেছি, কী কালীঘাট, কী মাইথন, কী যোগাদ্যা। মনে হয় কাহিনিটি কোথাও একবার জনপ্রিয় হওয়ার পরে দেবীমাহাত্ম্য জোরালো করতেই এটি ছড়িয়ে পড়ে নানা মাতৃমন্দিরে। তবে সত্যি ঘটনাও কিছু এমন এমন ঘটে যায়, যাকে অলৌকিক ভাবতে বা ভেবে আনন্দ পায় ভক্তমন।
এই যেমন দেবী যোগাদ্যার মূর্তি। প্রাচীন কালের মূর্তিটি চুরি হয়ে গেলে দ্বিতীয় এক মূর্তি তৈরি করানো হয়। তারপর সেটিও হারিয়ে যায়। গড়া হয় তৃতীয় মূর্তি। দেবীমূর্তি যে মন্দিরে রেখে পূজা করা হয় সেটি একাদশ শতাব্দীতে তৈরি বলে মনে করেন গবেষকেরা, আর তার মাথার গম্বুজটি গড়িয়ে দেন বর্ধমানের রাজা কীর্তিচন্দ্র। তৃতীয় মূর্তিটির কারিগর ছিলেন দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী মূর্তির কারিগর দাঁইহাটের নবীন ভাস্কর। ২০০৯ সালে ক্ষীরদিঘী সংস্কার করার সময় একাদশ শতকে তৈরি একটি মূর্তি জলের মধ্যে থেকে উঠে আসে। এক পৃথক মন্দিরে রেখে সেটিও পূজা করা হচ্ছে ২০১১ সাল থেকে। দীর্ঘদিন যা হারিয়ে গেছে ধরে নেওয়া হয়েছিল, সেটির পুনরুদ্ধার স্থানীয় মানুষের কাছে অলৌকিক বলেই প্রতীত।
আরও একটি অনুষ্ঠানের কথা বলতেই হয়, যার স্থানীয় নাম ‘নিশী ঢম্বুল’। পৌষ সংক্রান্তি থেকে মাঘ সংক্রান্তি পর্যন্ত একমাস প্রতি রাতে বারোটার সময় মন্দির চত্বরে এসে দাঁড়ান নির্দিষ্ট এক ঢাকি। চোখে তাঁর সাত পট্টী কাপড় বাঁধা। চত্বরের এক কোণায় দাঁড়িয়ে আধাঘণ্টা বাজিয়ে চলেন বিভিন্ন বোল। কনকনে শীতের মধ্যরাতে এমনিতেই মন্দিরের আশেপাশে কেউ আসেন না, ফলে ঢাকি একাই বাজিয়ে চলেন, আর সদাই নাকি অনুভব করেন সেই তালে মায়ের নৃত্যছন্দ।
বিশ্বাস আর বিশ্বাসীদের নিত্য আনাগোনা চলে, তাই এই বিখ্যাত মন্দিরে নিত্যদিন। আর বৈশাখী সংক্রান্তিতে দেবী দর্শনের জন্য আসেন কয়েক লক্ষ মানুষ, ভারতের নানা প্রান্ত থেকে।
(চলবে)
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব
আমরা তো এদিকে হোম-ডেলিভারিকে বিদায় দিয়ে ততদিনে ভাতের হোটেলে বেঞ্চি বুক করে ফেলেছি। যে কোনও মেসতীর্থেই ধীরে জেগে ওঠে এই সব হোটেল। তাদের হোটেল বললে বড় পাঁচ-সাত তারা-রা কুপিত হতে পারে। না বললে, আমাদের সম্মানে লাগে।