পীঠনির্ণয় তন্ত্র, শিবচরিত গ্রন্থ সতীপীঠের সংখ্যা ৫১ বলে মেনে নিয়েছে, অন্যদিকে কুব্জিকাতন্ত্র অনুযায়ী পীঠের সংখ্যা ৪২। তবে কি না দেবী ভগবত, কালিকা পুরাণ, শিব পুরাণ মূলত চারটি পীঠের কথাই জোর দিয়ে বলেছে। পুরীধামে বিমলা যেখানে পদ, বহরমপুরে (ওড়িশা) তারাতারিণী যেখানে স্তন, অসমের কামাখ্যায় যোনি, এবং কালীঘাট। স্পষ্টতই, এগুলি অনেকটাই বিভিন্ন সময়ে বদলে বদলে গিয়েছে, এমনকী অনেক দেহখণ্ড সঠিক কোথায় পড়েছিল, নির্দিষ্ট করে বলাই যায় না। প্রাচীন বইগুলিতে যে স্থান-বিবরণ আছে, সেই অনুযায়ী অনেক জায়গারই আর অস্তিত্ব মেলে না।
২৩.
দক্ষযজ্ঞে পতি-নিন্দা শুনে সতী দেহত্যাগ করার পর শিব তাঁর সেই নশ্বর দেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব নৃত্যে মেতে ঘুরে বেড়াতে রইলেন। তাঁর প্রতি পদবিক্ষেপে ধ্বংস হতে থাকল সেই অঞ্চলের সমস্ত সৃষ্টি। দেবতারা পরামর্শ করে বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের সাহায্য সতীর দেহ টুকরো টুকরো করে দিলেন। যেখানে যেখানে সেই দেহাংশ পড়েছিল সেখানে সেখানে তৈরি হয় একটি করে সতীপীঠ। সেখানে সেখানে একজন করে ভৈরবও দেবীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকেন।
‘যথা শক্তি তথা ভৈরব’ একথা সবাই জানেন, কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করা হয়, মোট ক’টি জায়গায় সতীর দেহাংশ পড়েছিল, তবে আজ অনেকেই বলে দেবেন ৫১, কিন্তু পণ্ডিতেরা দেখিয়েছেন নানা কালে এই সংখ্যার তারতম্য ঘটেছে, চার দিয়ে শুরু হয়ে এক সময় ১০৮টি সতীপীঠের খবর পাওয়া যায়, এখন আবার সেই সংখ্যাটি কমে ৫১-তে এসে দাঁড়িয়েছে। শুধু কি তাই, ঠিক কোথায় কি পড়েছিল, আদৌ পড়েছিল কি না সেই নিয়ে এত মতানৈক্য আছে যে খুবই ধন্দে পড়ে যেতে হয় সত্যিকারে সতীপীঠ কোনটি আর কোথায়, আর কোনটিই বা পরবর্তী সংযোজন। দীনেশ চন্দ্র সরকার ১৯৫০ সালে একটি বই লিখেছিলেন যার শিরোনাম ছিল– ‘The Sakta Pithas’। সেই বইয়ের অষ্টম পাতায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ‘The Tirtha Yatra section in the Vanaparvan of the Mahavarata, which is probably earlier than the rise of the Guptas in the fourth century AD’.
পীঠনির্ণয় তন্ত্র, শিবচরিত গ্রন্থ সতীপীঠের সংখ্যা ৫১ বলে মেনে নিয়েছে, অন্যদিকে কুব্জিকাতন্ত্র অনুযায়ী পীঠের সংখ্যা ৪২। তবে কি না দেবী ভগবত, কালিকা পুরাণ, শিব পুরাণ মূলত চারটি পীঠের কথাই জোর দিয়ে বলেছে। পুরীধামে বিমলা যেখানে পদ, বহরমপুরে (ওড়িশা) তারাতারিণী যেখানে স্তন, অসমের কামাখ্যায় যোনি, এবং কালীঘাট। স্পষ্টতই, এগুলি অনেকটাই বিভিন্ন সময়ে বদলে বদলে গিয়েছে, এমনকী অনেক দেহখণ্ড সঠিক কোথায় পড়েছিল, নির্দিষ্ট করে বলাই যায় না। প্রাচীন বইগুলিতে যে স্থান-বিবরণ আছে, সেই অনুযায়ী অনেক জায়গারই আর অস্তিত্ব মেলে না। এই যেমন দেবীর ওষ্ঠ ঠিক কোথায় পড়েছিল বলাই যায় না। বীরভূমের লেখক-গবেষকেরা মনে করেন, বীরভূমের লাভপুরের কাছে দেবী ফুল্লরাতেই সেই পীঠের অধিষ্ঠান আবার বর্ধমানের গবেষকেরা দাবি করেন, ঈশানী নদীর বাঁকে বর্ধমানের দক্ষিণডিহিতেই দেবীর ওষ্ঠপাত ঘটেছিল। তবে ভক্তদের কাছে দুটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্র এবং অলৌকিক শক্তি দুই জায়গাতেই বর্তমান।
প্রথমেই শুরু করা যাক বীরভূম দিয়ে। বোলপুর থেকে আহমদপুর জংশন, সেখান থেকে গাড়ি বদল করে কাটোয়া লাইনের ট্রেন ধরে লাভপুর স্টেশন। সেখান থেকে ফুল্লরা মায়ের মন্দিরে যাওয়া খুবই সোজা। তন্ত্রচূড়ামণি মতে, এই ফুল্লরাতেই দেবীর ওষ্ঠ পড়েছিল, এখানে ভৈরবের নাম বিল্বেশ্বর। কয়েক বছর আগেও জায়গাটা গা ছমছমে এক অনুভূতি দিত, বিশেষ করে সন্ধ্যের দিকে, তখন শেয়ালের ডাকে হাড় হিম হয়ে আসত। মায়ের মন্দিরের পিছন দিকে তাদের জন্য মায়ের প্রসাদ নিয়ে রেখে আসতেন পূজারী ঠাকুর, শিবাভোগ। মন্দিরে এক বিরাট আকৃতির পাথর, আকারটা অনেকটাই ঠোঁটের মতো। নিত্যদিন অজস্র ভক্তের ভীড়ে মুখরিত থাকে মন্দির চত্বর। আগেকার দিনে বহু তান্ত্রিক এখানে নানা ধরনের অভিচার ক্রিয়া করতেন বলে জানা যায়।
আনুমানিক ৭৪২ খ্রিস্টাব্দে বেদ্গর্ভ আদিশূরের থেকে সিদ্ধল গ্রামখানি উপহার পেলেন। তাঁর ছেলে বশিষ্ঠ, আবার তাঁর ছেলের নাম অট্টহাস। এই অট্টহাসই হলেন ফুল্লরা সতীপীঠের প্রথম সিদ্ধ সাধক। চূড়ামণি তন্ত্রেই তো আছে ‘অট্টহাসে চোষ্ঠপাতে দেবী ফুল্লরা স্মৃতা’। আর সেই দেবী লাভপুরের গ্রাম দেবীও বটে। তাছাড়া বীরভূমের শিয়ানে মখদুম শাহের মাজারে পাওয়া শিলালিপি থেকে জানা যায়, পালবংশীয় নয়পাল ফুল্লরাদেবীর মন্দিরের তোরণে এক সুবর্ণ গোলক দান করেন। মধ্যাহ্নকালে সেটি এমন চকচক করে আলো ঠিকরাতো যেন মনে হত, আকাশে একই সঙ্গে দুটি সূর্য উদিত হয়েছে।
…………………………………………………………………………………………..
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীর বাতের ব্যথার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতেন বেলে নামের এক জায়গার ধর্ম ঠাকুরের থানের মাটি। ওখানে এলে লাভপুরে তারাশঙ্করের আথিথেয়তা এড়াতে পারতেন না। সেবারেও এসেছেন, কিন্তু লক্ষ্য করলেন তারাশঙ্করের মুখ বিষাদে পূর্ণ। খোঁজ নিয়ে জানলেন ওইদিন সকালেই তারাশঙ্করের সন্তান বিয়োগ হয়েছে। অনেক অনুরোধের পরেও সেদিন আর কাজী তারাশঙ্করের বাড়ি গেলেন না। ফুল্লরাদেবীর মন্দিরের বাইরে এক গাছের তলায় বাঁধানো বেদীতে রাত কাটাবেন ঠিক করলেন। পরদিন সকাল হতে তারাশঙ্কর কবির খোঁজ নিতে এসে দেখলেন কাজী সাহেবের চোখ দুটি আরক্ত আর সামনের খাতায় লেখা আছে– ‘শ্মশানে জাগিছে শ্যামা’।
…………………………………………………………………………………………..
লাভপুরের কথা হবে আর তারাশঙ্করের নামটাই উঠবে না সেও আবার হয় নাকি। বিশেষ করে লাভপুরের জমিদার বংশেরই সন্তান যে তারাশঙ্কর। ‘আমার কালের কথা’ নামে গ্রন্থে তারাশঙ্কর লিখে গেছেন, ‘আমাদের গ্রাম দেবতা ফুল্লরা দেবী। একান্ন মহাপীঠের অন্যতম মহাপীঠ। আসল নাম নাকি অট্টহাস। ব্যবসায়ী ধনী দেবীর প্রাচীন মন্দির ভেঙে নতুন মন্দির করে দিলেন। জমিদার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধিয়ে দিলেন দেবীর মন্দিরের সম্মুখে দীঘির উপর প্রশস্ত ঘাট’।
আরও একটি ঘটনার কথা জানা যায় এই ফুল্লরা মন্দির নিয়ে। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীর বাতের ব্যথার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতেন বেলে নামের এক জায়গার ধর্ম ঠাকুরের থানের মাটি। ওখানে এলে লাভপুরে তারাশঙ্করের আথিথেয়তা এড়াতে পারতেন না। সেবারেও এসেছেন, কিন্তু লক্ষ্য করলেন তারাশঙ্করের মুখ বিষাদে পূর্ণ। খোঁজ নিয়ে জানলেন ওইদিন সকালেই তারাশঙ্করের সন্তান বিয়োগ হয়েছে। অনেক অনুরোধের পরেও সেদিন আর কাজী তারাশঙ্করের বাড়ি গেলেন না। ফুল্লরাদেবীর মন্দিরের বাইরে এক গাছের তলায় বাঁধানো বেদীতে রাত কাটাবেন ঠিক করলেন। পরদিন সকাল হতে তারাশঙ্কর কবির খোঁজ নিতে এসে দেখলেন কাজী সাহেবের চোখ দুটি আরক্ত আর সামনের খাতায় লেখা আছে– ‘শ্মশানে জাগিছে শ্যামা’। মন্দির ও সংলগ্ন এলাকার নিশাকালের আধ্যাত্মিক অলৌকিক পরিমণ্ডলের উপলব্ধিসঞ্জাত এই সঙ্গীতখানি অনেক না বলা কথাই বলে দেয় যেন।
ঈশানী নদীর বাঁকে বর্ধমান জেলার ব্রাহ্মণডিহি গ্রামে আছে আরেক অট্টহাস। এখনও সেই মন্দির ঘিরে ঘন গাছ গাছালির আলোছায়া এক অদ্ভূত শিহরণ জাগায়। বেশি দিন আগের কথা নয়, মন্দিরের পথটি ছিল দুর্গম, ফলে লোক চলাচল তেমন খুব একটা ছিল না। প্রমোদ কুমার চট্টোপাধ্যায় ‘তন্ত্রাভিলাষী সাধুসঙ্গ’ নামে একখানি বই লেখেন, ১৯১১ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত, তীর্থে তীর্থে পর্যটন করে যে অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয় সেই কথাগুলিই লিখেছিলেন ওই বইতে। সেই যাত্রাকালেই তিন এসেছিলেন অট্টহাস মহাতীর্থে। লিখেছেন, ‘আমি অট্টহাস যাত্রা করিলাম। ঠিক মনে হইতেছে না, নিরোল অথবা পাচন্ডী স্টেশনে নামিয়াছিলাম। স্টেশন হইতে প্রায় দেড় ক্রোশ হাঁটিতে হইয়াছিল, মাঠের উপর দিয়াই পথ, মধ্য মধ্যে ঘন বৃক্ষলতাপূর্ণ জনবহুল গ্রামও আছে। ঐরূপ দুইখানি গ্রাম ও একটি ছোট খাল বা নদী নৌকায় পার হইয়া দশটা নাগাদ অট্টহাস মহাপীঠের মনোরম বৃক্ষলতায় পরিবেষ্টিত জনবিরল স্থানের মধ্যে উপস্থিত হইলাম’। দেখা পেয়েছিলেন এক বৃদ্ধ ভৈরব ও ভৈরবীর। সেই ভৈরব তাঁকে বড় অদ্ভুত এক কথা বলেছিলেন, বলেছিলেন, ‘তিনি যে মহা তান্ত্রিক ছিলেন’। আরও বলেছিলেন, ‘দেবীর অধরোষ্ঠ এখানে পড়েছিল, সেই অধরোষ্ঠ পাষাণ হয়ে আছে’। সেই পাষাণটি ছিল দুই ফুট লম্বা আর দেড় ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট। আর লাভপুরের ফুল্লরা সম্পর্কে তাঁর মত ছিল, ‘কেউ কেউ বলেন ওখানে মায়ের চোয়াল পড়েছিল’।
সুবিখ্যাত গবেষক বুদ্ধদেব আচার্য (বেদ্গর্ভা কঙ্কালী গ্রন্থের প্রণেতা) একটি লেখায় লেখেন, ‘রঢ়বঙ্গের শক্তিপীঠগুলিতে নাথ যোগীদের সাধন সম্পর্ক ছিল যথেষ্ট।’ এইসব যোগীরা পরবর্তীকালে ভৈরব হয়েও পূজা পাচ্ছেন। চৌষট্টী যোগীদের প্রভাব বাংলাদেশে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এই যে একান্নপীঠের কাহিনি, অনেকেই মনে করেন, বুদ্ধদেবের দেহাস্থি বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করে মন্দির রচনার ঘটনার সঙ্গেও জড়িয়ে ছিল।
নিরোলের এই মন্দিরে একটি অতি সুন্দর দক্ষিণা কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে, সেখানেই নিত্য পূজা হয়। মন্দিরটি ২০০৫ সালে নূতন করে তৈরি করা হয়েছে। রাস্তাঘাট-সহ সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় আগের তুলনায় মন্দিরে যাওয়া অনেকটাই সহজ, ফলে আগের তুলনায় নিত্যদিনে স্থানীয় তো বটেই দূরদূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম বেড়েছে। তবু নানা গাছগাছালির ছায়ায় ঢাকা মন্দির চত্বর আজও অনেক রহস্যের আবরণে ঢাকা।
এই মন্দিরে দেবীর উদ্দেশ্যে জোড়া মাগুর মাছ মানত করার প্রথা আছে। পেটের শূল ব্যাধির নিরাময় চেয়ে ভক্তেরা এমন মানসিক করে থাকেন। অসুখ সেরে গেলে জ্যান্ত মাগুর মাছ এনে মায়ের যূপকাঠে নিবেদন করা হয়, তারপর সেই জোড়া মাছ জীবন্ত রেখেই মায়ের পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়, অন্য কোনও বলি দান হয় না। অথচ লোক বিশ্বাস, আগেকার দিনে মায়ের সামনে নরবলির প্রচলন ছিল। এখানে তখন দেবী চামুণ্ডার এক মূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল, কোনও এক ঘটনা বা উপদ্রবের ফলে সেই মূর্তি পুকুরে ফেলে গোপন রাখা হয়।
পরবর্তীকালে সেই পুকুর সংস্কারের সময় মূর্তিটি উদ্ধার করা হলে সেটি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এ (কলকাতা) স্থান পায়। জীতেন্দ্র নাথ বন্দোপাধ্যায় ‘ডেভালপমেন্ট অব হিন্দু আইকনোগ্রাফি’ বইতে এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, মূর্তিটি চামুণ্ডার এবং যেমনই অদ্ভুত, তেমনই বিদ্ঘুটে। সেই মূর্তির বিশদ বিবরণ দিয়ে তিনি লিখেছেন ভারতের মূর্তি শিল্পীরা কি অনন্য দক্ষতায় পাথরে সেই অদ্ভুত মূর্তি গড়ে গেছেন, ভাবতেই বিস্ময় লাগে।
……………………………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………………………..
কোথায় দেবীর দেহের কোন অংশ পড়েছিল বা আদৌ পড়েছিল কি না, সেই নিয়ে বিবাদ, মতপার্থক্য থাকতে পারে, তার বিচার পণ্ডিতেরা এতদিনেও করে উঠতে পারেননি, কারণ মানুষের বিশ্বাসের কাছে এর মূল্য সামান্যই। আর তাই ফুল্লরা না কেতুগ্রাম, ওষ্ঠ না চোয়াল এই নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকুক, কিন্তু সাধারণ ভক্তেরা দু’জায়গাতেই দেবীর চরণে অঞ্জলি দিয়ে মনের কামনা ব্যক্ত করে শান্তি লাভ করে থাকেন।
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২২। মূর্তি নয়, শিলাখণ্ডেই পুজো পান দেবী কল্যাণেশ্বরী
পর্ব ২১। এক কুমোর পণ্ডিতদের নাজেহাল করেছিল বলে জায়গাটির নাম ‘কুমারহট্ট’
পর্ব ২০। মামলার টাকায় হংসেশ্বরী মন্দির গড়েছিলেন রাজা নৃসিংহদেব
পর্ব ১৯। হুতোমের কথায়, মাহেশের রথের মতোই স্নানযাত্রারও ধূম ছিল সে কলকাতায়
পর্ব ১৮। কঙ্কালীতলায় বলিদানের বীভৎসতা ব্যথিত করেছিল রবীন্দ্রনাথকে
পর্ব ১৭। শ্রীরাধার মূর্তিকে কনের সাজে যুগল কিশোর মন্দিরে পাঠিয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
পর্ব ১৬। যে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয় জলঘড়ির সাহায্যে
পর্ব ১৫। হেস্টিংসের নজর থেকে গুহ্যকালীর মূর্তি রক্ষা করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব